ব্ৰহ্মপুত্র s ১৫৬ ] ব্ৰহ্মপূত্র এখানে তীর্থ যাত্রা করিয়া থাকেন । ব্রহ্মকুণ্ড হইতেই উক্ত মিলিত নদীত্রয় ব্রহ্মপুত্র নাম ধারণ করিয়াছে। [ বহ্মকু গু দেখ ] আসামের পাৰ্ব্বত্য বক্ষে মহাবেগে প্রবাহিত ব্ৰহ্মপুত্র নদ স্বীয় স্রোপ্তপথে বালুকণাসমূহ সঞ্চিত করিয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চরের সৃষ্ট করতেছে। চোরা বালুর সঞ্চিত চরগুলি ক্রমে সদ্ধিতায়তন ও বিস্তীর্ণ জলরাশিপরিবেষ্টিত হওয়ায় অনেকাংশেই দ্বীপের স্থায় পরিলক্ষিত হইতেছে। লোহিত্য ও ব্রহ্মপুত্রের মধ্যবর্তী মাজুলির চর এবং বিশ্বনাথ হইতে গৌহাটা পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত কলঙ্গৰেষ্টি ও ভূ ভাগ উহার প্রধান নিদর্শন। বিশ্বনাথ, শীলঘাট, তেজপুর, সিঙ্গিপৰ্ব্বত, গৌহাটী, হাতীমোড়া, গোয়ালপাড়া ও ধুড়ি প্রভৃতি সহরের পাৰ্ব্বতীয় নদীতীর সমূহ ব্ৰহ্মপুত্রের প্রবলবেগে কখনও ধসিয়া যায় না। সুতরাং সেই শ্রোতলহরী অপ্রতিহত গতিতে নিম্ন ভূমে উপনীত হইয়া প্রচ্ছন্নভাবে নদীকূল ভাঙ্গিয় বৃহৎ বৃহৎ খাত বা গাঙ্গের স্মৃষ্টি করিয়াছে। আসাম উপত্যক। হঠতে ৪৫০ মাইল পথ দক্ষিণপশ্চিমে আসিয়া এই নদী গারে। পৰ্ব্বতমালা ঘুরিয়া গিয়াছে। ইহার দক্ষিণগামী যমুনাস্রোত পদ্ম ও মেঘনার সহিত মিলিত হইয়। পূর্ববঙ্গে একটা খরস্রোতা নদীমালার অবতারণা করিয়াছে। পাৰ্ব্বত্যস্রোতোমাগাব্যতীত ব্ৰহ্মপুত্রনদের দক্ষিণকুলে সুবৰ্ণ শ্ৰী, ভোরোলী, মনসা, গদাধর বা সঙ্কোশ, ধলা ও ঠিস্থ এবং বামকুলে নোয়াডহিঙ্গ, বুড়িডিহিঙ্গ, ডিসঙ্গ, দিখু, ধানী, কলঙ্গ ও কপিলী প্রভৃতি শাখা নদী প্রবাহিত । উক্ত নদiমালায় নৌকাযোগে ইচ্ছামত বাণিজ্য দ্রব্য লইয়া যাওয়া যায় । বাণিজ্যকল্পে ব্ৰহ্মপুত্র নদ গঙ্গার দ্বিতীয়স্থান অধিকার করিয়াছে, কিন্তু ব্ৰহ্মপুত্র বিধৌত পূৰ্ব্ববঙ্গের সৈকতভূমি সমূহে ধান্ত, পাট প্রভৃতি প্রভূতপরিমাণে উৎপন্ন হইয় থাকে। ডিব্ৰুগড়, ডিহিঙ্গমুখ, ডিসঙ্গমুখ বা দিখুমুখ ( শিবসাগরযাত্ৰী ); কোকিলমুখ (জোড়াহাট ও লখিমপুত্রযাত্রী); নিগ্রিটিং (গোয়ালঘটে যা রী ) ; ধান শ্ৰীমুখ, বিশ্বনাথ, কালিয়াবর বা শিলঘাট ( নওগ যায়ী) ; তেজপুর, রাঙ্গামাট (মঙ্গলদৈ যায়ী); গোয়াল পাড়া, গৌহাট ও ধুবড়ী প্রভৃতি নগরে "মারযোগে গমনাগমন করা যায়। ঐ সকল নদীতীরবর্তী স্থানও আসামপ্রদেশের বাণিজীবঙ্গর বলিলেও চলে। ষ্টীমার আলিবারকালে ৰাঙ্গালার কালীগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল ও নলছিটি প্রভৃতি প্রধান প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ঘুরিয়া আইসে। এই নদের উৎপত্তি ৰিৰয়ণ কালিকাপুরাণে এইরূপ লিখিত আছে। রাজা সগর ঔৰ্বঋষিকে ত্রদ্ধপুত্র নদের উৎ পত্তি বিবরণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলিয়াছিলেন, হরিবর্ষে শাস্তমুনামে তপঃপরায়ণ এক মুনি ছিলেন। হিরণ্যগর্ত মুনির কন্যা অমোবার সহিত তাহার বিবাহ হয়। অমোঘ অসামান্তা রূপবর্তী ছিল। মুনি শাস্তমু অমোঘার সহিত গন্ধমাদন পৰ্ব্বতে বাস করিতেন। একদা শাস্তস্তু ফলপুষ্পাম্বেষণে বহির্গত হইলে সৰ্ব্বলোকপিতামহ ব্ৰহ্মা যথায় শাস্তমুভাৰ্য্যা অমোঘ ছিলেন, সেইস্থানে উপস্থিত হইলেন। অমোঘার রূপলাবণ্য দেখিয়া ব্ৰহ্মা মদনবশবৰ্ত্তী হইয়। তাহাকে ধরিতে যান, -অমোঘ উীত হইয়া নিজকুটারে পলায়ন করেন। পরে পর্ণ শালার দ্বার রুদ্ধ করিয়া সক্রোধে ব্ৰহ্মাকে বলিয়াছিলেন, আমি মুনিপত্নী ও সাধবী, ভ্ৰমেও কখন পাপ করি নাই এবং স্বেচ্ছাক্রমে কখনই পাপ করিব না। যদি তুমি বলাৎকার কর, তাহ। হইলে শাপ দিব ! অমোথা এইরূপ বলিলে, বিধাতার তখন রেতঃস্খলন হইল। রেতঃস্খলন হইলে ব্ৰহ্মা হংসযানে আরোহণ করিয়া লজ্জাপুর্ণচিত্তে সত্বর নিজ আশ্রমাভিমুখে গমন করিলেন। বিধাত চলিয়া যাইলে শাস্তমু নিজ আশ্রমে আসিলেন। সেইস্থলে হংসকুলের পদচিহ্ন এবং ভূতল-পতিত ব্ৰহ্মবীৰ্য অবলোকন করিয়া পর্শশালার অভ্যন্তরে অবস্থিত। অমোঘাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, সুভগে । এখানে কি হইয়াছিল ? এই ষে পক্ষীদিগের পদচিহ্ন এবং অলৌকিক বীর্য্য পতিত রহিয়াছে, এ কি ? অমোঘ শাস্তমুর এই কথা শুনিয়৷ ব্যাকুলভাবে ও ক্রোধের সহিত বলিয়াছিল, একজন কমণ্ডলু ধারী চতুর্মুখ হাসবিমানে এখানে আসিয়া আমাকে সম্ভোগ করিতে প্রার্থনা করে । তৎপরে আমি তাঙ্কাকে তিরস্কার করিলে তিনি খলিতবীৰ্য্য হইয়া আমার শাপ ভয়ে এই স্থান হইতে প্রস্থান করেন । প্রভো | আপনার উপর আমার এই অনুরোধ, যদি আপনি সমর্থ হন, তাহা হইলে ইহার প্রতীকার করুন। তবে ইহা নিশ্চয় জানিবেন, কোন প্রাণীই আমাকে বলাৎকার করিতে সমর্থ নহে । শাস্তম্ব অমোঘার কথা শুনিয়া বুঝিলেন, স্বয়ং ব্রহ্মাই এইখানে আসিয়াছিলেন । ইহা স্থির করিয়া তিনি ধ্যানে প্রবৃত্ত হইলেন, তখন তিনি জানিতে পারিলেন জগতের হিতার্থে তীর্থোৎপাদন দেৰগণের উপস্থিত-কাৰ্য্য । তদনুসারে তিনি স্বীয় পত্নীকে কছিলেন, আমোঘে ! ত্রিভুবনের স্থিতাখে এৰং দেৱগণেশ্ন কাৰ্য্যসিদ্ধির জন্য এবং আমার অনুমতিক্রমে তুমি এই ব্রহ্মবীৰ্য্য পান কর। স্বয়ং ব্ৰহ্মা তোমার নিকট আসিয়াছিলেন, তোমাকে না পাইয়া মহৎকার্য্য সাধমোদেশে এই বীৰ্য অামাজিগের উভয়কে সমর্পণ করিয়া निजांनप्द्र शमन कब्रिबारश्म, uहेक्रन छूबि श्राबांबू पाहे
পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/১৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।