পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

マうるや [ ১৯৪ ] ভকত গুগ অধিকার করেন । হারাবতী ও মেবার নগরের বাণিজ্য দ্রব্যাদি এই নগরমধ্য দিয়া গমনাগমন করিয়া থাকে । উদয়পুর রাজ্যের জনৈক প্রধান সামস্ত এখানে বাস ও আধিপত্য করিয়া থাকেন । ইহার তিন ক্রোশ পশ্চিমে বরোলার স্ন প্রাচীন ধ্বংসাবশেষসমূহ নয়নগোচর হয় । এই প্রাচীন নগরের নাম ভদ্রাবতী, হূণরাজগণের রাজত্ব সময়ে ইহার যথেষ্ট সমুদ্ধি হইয়াছিল । বৰ্ত্তমান ভইসরোরগড়ের চঃম্পার্শ্ববর্তী ধ্বংসরাশি ও পরাজিই তাহার নিদর্শন, মহাত্ম। ট সাঙ্কের এস্থানের ভগ্নপ্রায় শিবমন্দিরের অত্যাশ্চর্য্যশিল্পনৈপুণ্য দেখিয় লিখিত্ব গিয়াছেন যে ‘সমগ্র রাজপুতনার বর্ষাধিক রাজস্বে ও ইহা নিম্পাদিত হইতে পারে না।’ উইদ লাল, উঃ পঃ প্রদেশের মুজঃফরনগর জেলার অন্তর্গত একটা গগুগাম। যমুনানদীর পুর্ণ খালের উপর মুজঃফর নগর হঠতে ১৩॥• ক্রোশ দূরে অবস্থিত। এই গ্রামের ঠিক মধ্যস্থলে স্বাপতি পীর ঘাবের ২• ফিট উচ্চ সমাধিস্থপ বিদ্যমান মাছে । *. ভকত, ( ভগত বা ভক্ত ) উঃ পঃ প্রদেশের মধ্য ও নিম্নশ্রেণীর শাক্ত উপাসক মাত্রেই ধৰ্ম্মপরিচর্য্যার নিমিত্ত এই সংজ্ঞায় অভিহিত হইয়া থাকে । মগু, মাংস ব৷ মৎস্ত পান ও ভোজনে fবর ত বলিয়াই তাহার। স্বতন্ত্র থাক বদ্ধ ও ভকং নামে পরি চিত হইয়াছে। জৈসবার, বিয়াহুং, বিহারবাসী তামুলী এবং ক সস বাণী ও কযেtধন নামক বেলিয়াগণ ভকত উপাধিতেই ভূধিত । মানভূম ও হাজারিবাগ জেলার ভকতগণ সাধা রণ তঃ চটিতেই কার্য্য করিয়া থাকে । ২ ওরা ৪৭জাতির মধ্যে এই নামে একটী বিশিষ্ট থাক দেখা যায়। ধৰ্ম্মশাল তার জন্ত তাহার। এই স্বতন্ত্র আখ্যা লাভ করিয়াছে। ইহারা আপনাদিগকে ওরাওন বলিয়া স্বীকার করে এবং ঐ জাতি হইতে শিষ্য গ্রহণ করিয়া আপনাদের সম্প্রদায় বুদ্ধি করিয়া থাকে। যে সকল ওরাও ইহাদের ধৰ্ম্মে দীক্ষিত ন। হয়, ইহার। তাছাদের পৃষ্ট জলও গ্রহণ করে না । হিন্দু- , দেবতার সমক্ষে উংসর্গীকৃত ছাগমাংস ব্যতীত অপর মাংস ভোজন ও মদ্যপান বিশেষ নিষিদ্ধ, কিন্তু মৎস্যাছারে কোন নিষেধ নাই। ইহার ওর ওন, তেলি বা মুণ্ডাদিগের সস্থিত একত্র মিষ্টান্ন ভোজন করিতে পারে। মহাদেব ও কালী ইহাদের প্রধান উপাস্যদেবতা। প্রতি বুধ ও শনিবারে ইহারা পুজা দেয় এবং প্রসাদী দ্রব্য সপরিবারে ভোজন করিয়া থাকে। পূজাদিতে ব্ৰাহ্মণের ইছাদের পৌরোহিত্য করে না, উহাদের মধ্যে পুজাকৰ্ম্মে দক্ষ জনৈক l ব্যক্তি ছাগাদি উৎসর্গ প্রভৃতি সকল ক্রিয়াই সম্পাদন করিয়া থাকে। বিবাহদি কার্য্যেও জনৈক ভকত পুরোহিতরূপে অধিষ্ঠিত থাকিয়া হিন্দু-প্রথার অনুকরণে কাৰ্য্যাদি সম্পন্ন করে । কস্তার পণস্বরূপ এক জোড়া বলদ বা তদুপযুক্ত মূল্য দিলেই ইহাদিগের বিবাহ সিদ্ধ হয় । ব্রাহ্মণের ইহাদের পৌরোহিত্য না করিলে ও ধৰ্ম্মোপদেষ্ট বা মন্ত্ৰদণত। গুরুরূপে ব্ৰতী হইয়া থাকেন। অনুকরণ প্রয়াসী ভকত ওরাওনগণ হিন্দু ধৰ্ম্মের সাদৃশুরক্ষীয় যত্নবান হহলেও তাহাদের মধ্যে এখনও অসভ্য ওরা ওনদিগের ক একটা কুরীতি প্রচলিত আছে । তাহদের ধৰ্ম্মভাব বিবাহসংস্কারে আদৌ জড়িত নহে। ওরাও দিগের স্থায় তাহারাও ১৬শ বর্ষীয় কন্যার বিবাহ দেয়। বিবাহের পুৰ্ব্বে কহ। যদি অপর পাত্রের সহিত সম্ভাবস্থাপন করে, তাহা ও ততদুর দোষাবহ বলিয়া বিবেচিত হয় না। ঐ রূপ সত্বাব-সহ বাসে কন্যা গর্ভবতী হইলে, সেই পাত্রের সহিত তাহার বিবাহ দে ওয়া হহয়! থাকে। স্ত্রী বন্ধ্যা হইলে দ্বিতীয় দারপরিওহে বাধা নাই। বিধবাবিবাহ ও প্রচলিত আছে। স্বামী ব৷ স্ত্রীর মধ্যে সামান্ত মনোমালিন্ত ঘটিলে বিবাহ বন্ধনচ্ছেদ হইয়া থাকে। পরম্পর পরম্পরের পরিত্যক্ত হইয়া অভু্যত্র বিবাহ করিলেহ গোলমাল মিটিয়। ধায়, অথবা কন্যা ওঠ৭ কালে স্বামীকে যে পণ দিতে হইয়াছিল, তাহ প্রত্যপণ করিলেই স্ত্রী অব্যাহতি পাইতে পারে। হহারা ও পদ্ধতিমত শবদেহ দাহান্তে স্বল্প ভস্ম বা হাড় লইয়। রাখে, ‘হড্ডিফোড়’ উৎসবের সময় সেই গুলি লইয়। ভূ ইহারি গ্রামে প্রোথিত করে। ঐ সময় মৃত পুৰ্ব্বপুরুষগণের উদ্দেশে চাউল, শূকরশাবক প্রভৃতি উৎসর্গ করে, কেক কেহ এমন কি প্রতিদিন খাদ্যের সময় চাল ডালের পিওঁ মাখিয়া ভূমিতে রাখিয়া দেয় এবং ধূমপানের সময়ও একটু তামাকু পৰ্য্যস্ত দিয়া থাকে। স্থতিকাগারে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রন্থতির মৃত্যু হইলে পুতিয়া রাখে এবং তাহার সমাধিস্থানে মুরগী উৎসর্গ করে। বর্ষাকালে মৃত ব্যক্তিমাত্রকেই পুতিয়া রাখা হয়, পরে বর্ষাপগমে তাহাদের শবদেহ কবর হইতে উঠাইয়া পুনরায় দাহ করা হইয়া থাকে। ৩ উঃ পঃ প্রদেশের পশ্চিমে কাঙ্গড়ার বাজেশ্বরী মন্দিরেe এবং জালামুখীর দেবীমন্দিরের নিকট অনেক ভকতের বাস আছে। ইহার প্রতিমাসের শুক্লাষ্টমীতে দেবীর পূজাদি সমাপন করে। চৈত্র ও কউর ( আশ্বিন ? ) মাসের শুক্লাইমাই • গজনীপতি মস্ক ও ফিরোজ তোগলক এই মন্দির লুণ্ঠন করিয়াছিলেন।