ভক্তি { ২০৫ ৷ ভক্তি ভক্তি। পরা এই পদ দ্বারা পরা এবং গৌণ এই দুই প্রকার ভক্তি বুঝিতে হইবে। পরমেশ্বর বিষয়ে অন্তঃকরণের বৃত্তিবিশেষই পরাতুরাগ নামে অভিহিত, তাহাই ভক্তি । | উপাসনা, পরমেশ্বর বিষয়ে পরমপ্রেম, “নহীষ্টদেবাং পরমস্তি | কিঞ্চিৎ ইষ্টদেব হইতে আর কিছুষ্ট শ্রেষ্ঠ নহে, এইরূপ বুদ্ধি পূৰ্ব্বিক চিত্ত্ববৃত্তির নাম ভক্তি। ইহা প্রীতির অধীন। “নাথ ! যোনিসহস্ৰেষু যেযু যেযু বজাম্যহম্। তেষু তেগচাত ভক্তিরচু্যতাপ্ত সদা ত্বয়ি ॥ যা পাতিরবিবেকানাং বিষয়েখনপায়িনী । স্বামসুন্মর ত: স মে হৃদয়াম্মামপসপতু ॥” (বিষ্ণু১২৪৷১৯-2 s) ‘ধৰ্ম্মাথ কামৈ: কিং তস্ত মুক্তিস্তম্ভ করে স্থিত। সমস্তজগতাং মূলে যস্ত ভক্তি: স্থিরা ত্বয়ি ॥’ (বিষ্ণু১৷২০২৭) হে ভগবন! আমি যে কোন জন্ম পরিগ্রহ করি না কেন, তোমাতে যেন আমার ভক্তি নিশ্চলা থাকে, অবিবেকীদিগের | | | বিষয়ে যেরূপ প্রাতি থাকে, তোমাতে যেন আমার তাড়শা প্রতিষ্ট অবিচলিত হয় । সমস্ত ব্ৰহ্মাণ্ডের মূলাভূত কৃষ্ণে যাহার স্থিরা ভক্তি থাকে, তাহ1র মুক্তি করস্থিত । ধৰ্ম্মাথ কামে তাহার আর কোন প্রয়োজন নাই । এই স্থলে যে প্রতিপদের উল্লেখ হইয়াছে, ঐ প্রাতি স্থনিরত রাগ বুঝিতে হইবে । যে হেতু উহা সুথানরত ন হইলে উহাতে আসক্তি হইতে পারে না, অর্থাৎ যাহ। কিছু অনুষ্ঠিত হউক না কেন, তাছার মূলে সুখ হইবে, এই রূপ জ্ঞান থাক। আবহু ক, এই রূপ জ্ঞান না থাকিলে কেহ কোন কৰ্ম্মে প্রবুগু হইতে পারে না, অতএব ঐ যে প্রতি । উচ্চাঙ্ক সুখনির ত রাগ। পাতঞ্জলে উঠার লক্ষণ এইরূপ অভিহিত হইয়াছে—“ স্বখানুশয় রাগঃ ” (পাতঃ ২৩৯ ) উহ! স্মরণ ও কাৰ্ত্তনাদির দ্বারা হইয় থাকে । ভক্ত ভগবন্নাম কাৰ্ত্তনে বা ভগবন্নামৰ্ম্মরণে স্বথ বোধ করে বলিয়; পুনঃ পুন: ঐ সকল কার্য্যের অম্বুষ্ঠান করিয়া থাকে। ভক্তির বেগ যতই বুদ্ধি পায়, ভক্তের ততই কীৰ্ত্তনাদিতে আসক্তি জন্মে। তথন ভক্ত অনন্তকৰ্ম্ম হইয়া ভগবচ্চরণে মনঃপ্রাণ সমর্পণপুৰ্ব্বক র্তাহারই নামাদি কীৰ্ত্তনে নিরত থাকে। ভক্ত তদগতচিত্ত হইয়া কেবল তাহারই ভঞ্জন করে। “মচ্চিত্ত মদগতপ্রাণ বোধয়ন্ত: পরস্পরম্ । কথয়ন্তশ্চ মাং নিত্যং তুষ্যস্তি চ রমন্তি চ । তেষাং সততযুক্তানাং ভজতাং প্রতিপুৰ্ব্বকম্। দদামি বুদ্ধিযোগং তং যেন মামুপযাস্তিতে "(গীতা১ণ৯১-) “যাহারা মচ্চিত্ত ও মদগতপ্রাণ হইয়া পরস্পরে আমার প্তৰ আলাপনপূর্বক পরস্পরকে বুৰাইয় দেয় ও সেই হেতু XIII ૮:૨ | | | | অধিকতর আনন্দ লাভ করে এবং আমার প্রতি অমুরত্ব হই য়। থাকে ও সেইরূপ যোগযুক্ত হইয়া ভক্তিসহকারে আমাকে ( ঈশ্বরকে ) আরাধনা করে, আমিই তাহাদিগকে বুদ্ধিযোগ অর্থাৎ তত্ত্বজ্ঞান প্রদান করি । এই তত্ত্বজ্ঞান স্বারা তাহার। আমাকে পা হয় থাকে । আমি সেক্ট ভজনকারী ব্যক্তিবগের প্রতি অমুকম্পার্থ তাহীদের অন্তঃকরণে থাকিয়া তত্ত্বজ্ঞানস্বীপ উজ্জল প্রদীপ দ্বারা অজ্ঞানান্ধকার নাশ করিয়া থাকি। অতএব ভক্তির ফল মুক্তি, ষ্টই অবশুষ্ক স্বীকার করিতে হইবে। তৎসংস্থস্তামুতত্বোপদেশাং তৎসংস্থা তিস্মিন ঈশ্বরে সংস্থা ভক্তিযস্ত” যাহাদের ঈশ্বরে অবিচলিত ভক্তি আছে, তাহাদের অমৃতত্ব অর্থাৎ মোক্ষ লাভ হয় । "তেষামহং সমৃদ্ধওঁ মৃত্যসংসারসাগরাং । ভবামি ন চিরাং পাথ ময্যাবেশিতচেতসাম ॥” (গীতা ১১।৭) যাহাদের চিত্ত আমাতেই নিবিষ্ট থাকে, আমি তাহাদিগকে মৃত্যুরূপ সংসারসাগর হঠতে উদ্ধার করিয়া থাকি । তৈঞ্জিরীয় মন্ত্রভাগে ও লিথিত আছে— - "ত্র্যম্বকং যজামছে মুগন্ধিং পুষ্টিবৰ্দ্ধনম । উৰ্ব্বাস কমিব বন্ধনান্ম তোমু ক্ষীয়মামুতাৎ ॥” SBB BBBBS gggS BBJB BB BBB BBB BSBBB ফল মুক্তি । শা! গুল্যস্থত্রে জ্ঞান ও ভক্তির অঙ্গ বলিয়। কথিত DDDSL00 KBB BB BB BD KDDD BBB DDDBS SBB BBBB BB BBB BBB B DDBS BB DDJJ সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করিয়। KBBB BBBB BBBB BBBB BB00 BB DDBB সেই অস্তঃকরণবৃত্তিরূপা ভক্তি হইতে কিরূপে মুক্তি আসিতে পারে ? ইহার মীমাংস এইরূপঃ-যেহেতু সেই ভক্তি রূপ অস্তঃকরণবৃত্তিতে অজ্ঞানের ক্যধ্য আছে, অতএব তাহা অজ্ঞান জড়িত। অজ্ঞান থাকিলে মুক্তি অসম্ভব । ইহাতে প্রতিপঃ হয় লে, মুক্তির প্রধান কারণ ভক্তি নহে, জ্ঞান। অতএপ ভক্তির গৌণ ফল মুক্তি, তাহ নিশ্চয় । ভক্তি অবিচলিত হঠলে জ্ঞান হয়, জ্ঞান যথন উৎপন্ন হয়, অজ্ঞানের কার্য্য যে অতুরাগবিশেষ, তাহাও তখন থাকে না ; সুতরাং মুক্তির আর কোন বাধা থাকে না । অতএব ভক্তির অঙ্গ জ্ঞান না বলি। জ্ঞানের অঙ্গ ভক্তি বলাই সঙ্গত । হষ্টয়াছে,—‘ভক্তিজ্ঞ নায় কল্পতে ঈশ্বরে প্রণিধান, তপস্ত ও 零ジi পাপ্লে স1, এই জন্য শাস্ত্রেও অভিহিত স্বাধ্যায়াদি ক্রিয়াযোগ দ্বারা ভক্তি উৎপন্ন হয়, পরে ভক্তি দৃঢ় হইলে জ্ঞান জন্মে। সেই জ্ঞানেই মুক্তি লাভ হয়। বৈষ্ণবগণ ভক্তির ফল মুক্তি ইহ স্বীকার করেন না,* তাহারা বলেন, ভক্তির ফল প্রেম। র্তাহারা মুক্তি প্রার্থনা
পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/২০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।