-- - ভক্তি ১৩ দশবর্গ, ১৪ নববর্গ, ১৫ সপ্তবর্গ, ১৬ ষড় বর্গ, ১৭ পঞ্চবৰ্গ, ১৮ চতুর্বর্গ, ১৯ ত্রিবর্গ। এই উনবিংশতিবর্গ ভক্তির বিষয় ভাগবতে বিশেষরূপে লিখিত আছে, বাহুল্য ভয়ে তাহ! লিখিত হইল না। ভাগ বতের দ্বিতীয়, সপ্তম, দশম ও একাদশ স্কন্ধে ইহার ভূরি ভূরি উদাহরণ ও দৃষ্টান্ত অভিহিত হইয়াছে। নারদ কৃত ভক্তিসূত্রে ভক্রিয় বিষয় যেরূপ আলোচিত হুইয়াছে, তাহা ও অতিপংক্ষিপ্তভাবে পর্য্যালোচিত হইল। “ওঁ পূজ্যাদিঘমুরাগ ইতি পারাশৰ্য্যঃ”, ও কথাদিঘিতি গাৰ্গ:", “ওঁ আত্মরত্যাবিরোধেনেতি শাণ্ডিল্যঃ”, “ও নারদস্তদপিতাধিলাচারতাভস্মিরণে পরমব্যাকুলতেতি।” ( নারদ ভক্তিস্থ• ১৬-১৯) ভগবৎ পূজাদিতে অনুরাগের নামই ভক্তি, ইহা মহর্ষি বেদব্যাসের মত । ইন্দ্ৰিয়গণকে কৰ্ম্ম হইতে নিবৃত্ত করিবার জন্য বিধিপূৰ্ব্বক পূজাদির প্রয়োজন। এইরূপে পূজা করিতে করিতে প্রেমের উদয় হইবে। সম্পূর্ণ প্রেমাবেশ হইলে বাহ ও মানস-পূজা নিবৃত্তি পায় এবং ক্রমে বিশুদ্ধ ভক্তি আসিয়া দেখা দেয় । ভগবৎকথাদিতে অনুরাগের নাম ভক্তি, ইহা গর্গাচার্যের মত। ভগবদ গুণানুবাদ শ্রবণ ও কীর্তনই সমস্ত সাধনার সার জ্ঞানিয়া তাঁহাতেষ্ট গাঢাভিনিবেশ ও শ্রদ্ধ করাই ভক্তি নামে অভিহিত হইয়াছে। শাণ্ডিল্যের মতে, আত্মরতির অবিরোধাবিষয়ে অনুরাগের নাম ভক্তি। জগদ্বোধ পরিহারপূর্বক একমাত্র আত্মচৈতন্তে অন্যাস্ত সমস্ত অস্তিত্বের আহুতি প্রদান করিয়া পুর্ণানন্দে বিভোর থাকাই আত্মরতি। দ্বৈতভাবেই হউক অথবা অদ্বৈত ভাবেই হউক, আত্মরতির অমুকুল, অনুরাগ বৃত্তির প্রবাহই ভক্তিনামে অভিহিত। লৌকিক ও পারমার্থিক সেদে কৰ্ম্ম शृं প্রকার, মানব যাগ-যজ্ঞাদি যে কোন কম্বের অনুষ্ঠান করুক না কেন, তৎসমস্তই ঈশ্বরার্থ বা তৎপূজা বিবেচনা করিলেই ভক্তি সাধিত হয়। “প্রতিকুখায় সায়াহ্নং সায়াহ্নাৎ প্রাতরস্ততঃ । বৎ করোমি জগন্মাতঃ ! তদেব তব পূজনস্ ॥” প্রাতঃকাল হইতে সায়াহ পর্য্যস্ত এবং সায়ংকাল হইতে পুনঃ প্ৰাতঃকাল পৰ্যন্ত যত কিছু লৌকিক ও পারমার্থিক কাৰ্য্য করি, হে জগন্মাত: ! তৎসমস্ত তোমারই পূজা মাত্র। “ওঁ ৰখা ব্ৰজগোপিকারং” ( নারদ ভক্তিস্থ• ২১ ) বৃন্দাবন বিহারিণী গোপরমণীগণই প্রেমভক্তির পরাকাষ্ঠ দেখাইয়া ছেন। বস্তুত: প্রেমে বিভোর হইয়া মদ্যপায়ী মাতালের [ २०१ ] orror-r ভক্তি छtश्च वैfश्iद्रां शृश्, गश्जाघ्र, चैकांश्], भीम, गझम, cणीयश्शब्ष्याः। প্রভৃতি সমস্তই বিসর্জন করেন, তাহারাই পরমভক্ত। ভগবান নিজমুখেই উদ্ধবকে বলিয়াছেন, হে উদ্ধৰ ! গোপীগণ মামাতেই মন সমর্পণ করিয়াছে, আমি তাছাদের প্রাণ, আমার জন্য তাহারা সৰ্ব্বস্ব ত্যাগ করিয়াছে। যাহারা আমার জg সকল ত্যাগ করিয়াছে, তাহাদিগকে আমিই রক্ষা কল্পিব । গোপীগণ আমাকে প্রিয় হইতেও প্রিয়তম বলিয়। জানে । আমি দূরে থাকিলে আমাকে স্মরণ করিয়া তাছার নিদারুণ বিরহব্যথায় ব্যাকুল হইয়া আত্মবিস্তুত হইয়া যায়। আমি ভিন্ন তাহার কায়ক্লেশে প্রাণ ধারণ করে । বৃন্দাবনে আমার পুনর্গমনের শুভসংবাদেই তাহারা জাৰিত আছে, আমিই সেই গোপীদিগের মোক্স এবং তাহারাই আমার প্রেমভক্তির বিস্তারকর্তা। • “ওঁ স তু কৰ্ম্মজ্ঞানযোগেভ্যোইপ্যধিকতর” (নামস্থ• ২৫) ঐ ভক্তি কৰ্ম্ম, জ্ঞান এবং যোগ হইতেও শ্রেষ্ঠ । ভগবদগীতায়ও উষ্ঠ হইয়াছে,— “তপস্বিভ্যোহধিকো ৰোগী জ্ঞানিত্যোহপি মতোহধিকঃ । কম্মিভ্যশ্চাধিকো যোগী তস্মাদযোগী ভবাঙ্গুন। যোগিমামপি সৰ্ব্বেধাং মদগতেনাস্তরাত্মমা । শ্রদ্ধাবানু ভঙ্গতে যে মাং স মে যুক্ততমো মত: ॥" (গীত) এই বাক্যে ভগবান জ্ঞান ও কৰ্ম্ম অপেক্ষ যোগের প্রাধান্য দেখা হয়৷ ভক্তকে যোগীদিগের মধ্যে প্রধান করিয়াছেন। কৰ্ম্ম, যোগ ও জ্ঞানসাধনকালে বর্ণ, অtশ্রম, অধিকার ও অনধিকার আদির বিচার দৃষ্ট হয়,কিন্তু ভক্তিসাধনে এ সকলের কিছুমাত্র বিচার নাই। যত্ন ও চেষ্ট দ্বারা মুক্তিলাভ করিতে পায় যায়,কিন্তু ভক্তি মুক্তি অপেক্ষাও দুর্লভ। “ওঁ ফলরূপত্বাং ।” ( নারদ • ২৬ ) কেন না উহ। ফলস্বরূপ, জ্ঞানাভিমানিগণ বলিয়া থাকেন যে, ভক্তিসাধন দ্বারা জ্ঞানরূপ ফল প্রাপ্ত হওয়া যায়। কিন্তু নারদের মতে জ্ঞান সাধনের দ্বারা ভক্তি রূপ ফল লাভ হইয় থাকে। গীতায় কথিত হইয়াছে -- “অহঙ্কারং বলং দৰ্পং কামং ক্ৰোধং পরিগ্রহম্ । বিমুচ্য নিৰ্ম্মম: শাস্তে ব্ৰহ্মভূয়ায় কল্পতে ॥ • “ত মন্মনস্থ মংগ্রোণী: মার্থে ত্যক্তদেহিকা: | যে ত্যগুলোকধৰ্ম্মাশ্চ মদর্থে তাল বিহুৰ্ম্মাহুম্ ॥ ময়ি তা প্রেরসাং গ্রেষ্ঠে দূরত্বে গোকুলঞ্জিয়ঃ। স্মরভোহঙ্গ বিমুকপ্তি বিরহোৎকণ্ঠবিহালা । প্রধারাপ্তি কুচ্ছেদ প্রায় প্রাপান কথঞ্চল। প্রত্যাগমনসঙ্গেশৈ বঙ্গভো মে মদান্ত্রিকাঃ "" ( ভাগবত ১· )
পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/২০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।