ভক্তি ভক্তি ব্ৰহ্মভুত: প্রসন্নায়। ন শোচতি ন কাজতি। সম: সৰ্ব্বেষু ভূতেষু মুক্তিং লভতে পরাম্ ॥” ( গীত ) এই বাক্যে ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ দেথাইয়াছেন যে, জ্ঞান, কৰ্ম্ম ও যোগ সাধন দ্বারা মনুষ্য, অহঙ্কার, বল, দৰ্প, কাম, ক্রোধ, পরি ত্যাগ করিয়া নিৰ্ম্মল, শাস্ত ও ব্রহ্মাত্মজ্ঞানসম্পন্ন হয় । তথন পরমানন্দপূর্ণ হয়। শোক ও কামনাদিবিহীন এবং সৰ্ব্বভূতে সমদৰ্শী হইলে তাহার পরী-ভক্তি লাভ হইয়া থাকে। সকল সাধনের লক্ষ্য ভগবৎকৃপালাভ । কিন্তু ভগবৎ কৃপ। দৃষ্টি ন হইলে ভক্তির সঞ্চার হয় না, এইজন্য ভক্তি সকল সাধনের ফলস্বরূপ । “ওঁ ঈশ্বরদাপ্যভিমানদ্ধেধিস্থাৎ দৈন্ত, fপ্রয় হাচ্চ।” ( নারদ স্থ০ ২৭ ) ভগবানেরও অভিমানের প্রতি বিদ্বেষ ও দীনতার প্রতি প্রিয়ভাব আছে । কৰ্ম্ম, জ্ঞান ও যোগ সাধনকালে সাধকের তত্ত্বৎ সাধনাভিমান উদয় হইলে ভগবান প্রসন্ন হন না। অভিমানী তাছাকে ভাল বাসিতে পারে না, প্রাণ ভরয়। ভাল না বাসিলে--আপনাকে তাহার চরণে সমৰ্পণ না করিলে, “আমি তোমার ও তুমি আমার’ এইরূপ ভাবে বিগলিত না হইলে, ভগবৎ-প্রতি লাভ दः व्रीं श्रीं न !
- ওঁ তস্তা: জ্ঞানমেব সাধনমিত্যেকে” (নারদ ভক্তিস্থ • ২৮) কোন কোন পণ্ডিতের মতে জ্ঞানহ ভক্তির সাধন।
ভক্তি তত্ত্ব আলোচনা করিলে এই মত সমীচীন বলিয়া বোধ হয় না। কেন ন গৃধগজেও দি জ্ঞানলাভ না করিয়াও ভক্তি-সহকারে ভগবানকে ডাকিয়াছিল এবং তাহার দশন ও পাই আছিল । “ওঁ অস্তাপ্তাশ্রয়ত্বমিত্যন্তে” ( মারদভক্তিস্থ • ২৯ ) অন্য কেহ কেহ বলেন, ভক্তি ও জ্ঞান পরস্পর পরস্পরকে আশ্রয় করিয়া আছে । এ কথা ও যুক্তিযুক্ত বলিয়া বোধ হয় মা , কেন না ভঞ্চি উদয় হইলে আর জ্ঞানত ই জি জ্ঞাসার প্রবৃত্তিই হয় না। "ওঁ স্বয়ং ফলশ্নপতেতি এসকুমারা:" নারদস্থ ৩• ) সনৎকুমারাদি ও নারদের মতে ভক্তি স্বয়ংষ্ট ফলস্বরূপ। কেন না, কোন চেষ্টা বা কৌশল দ্বারা ভক্তি লাভ করা যায় না ।
- ওঁ তস্মাং সৈব গ্রাহ। মুমুক্ষুভি:” ( নারদস্তু- ৩১ ) মুমুক্ষুগণ একমাত্র ভক্তিই গ্রহণ করিবেন । স্বত্রকার নারদ বহুবিধ যুক্তিদ্বারা দেখাইয়াছেন যে, কৰ্ম্ম, যোগ ও জ্ঞান মুক্তির সাধন হইলে ও উহাতে বিপুল বিয়ের সম্ভাবনা আছে। মুক্তিলাভের নিমিত্ত ও ভগবানকে দেখিবার জন্য ভক্তিই নিৰ্ম্মল পথ। এইজন্তু তিনি জীবের প্রতি করুণ করিয়া ভক্তিসাধনে প্রবৃত্তি দান করিয়াছেন । মুক্তি ভক্তির লক্ষ্যাৰ্থ ফল আছে । তবে ভক্তিসাধনপথে অগ্রসর হইবার সময় পথিমধ্যে
[ مرا ہ ج ] মুক্তি আপন হইতেই উপস্থিত হয় । মুক্তিলাভের পরেও ভক্তির পথ মুদুর বিস্তৃত। মুক্তির জন্য মুমুক্ষু পুরুষকে স্বতন্ত্র সাধন করিতে হয় । ভক্তিই সমস্ত পরমার্থ প্রদাত্রা । “ওঁ তত্তদৃবিষয়ত্যাগাৎ সঙ্গত্যাগাচ্চ” ( নারদস্থ০ ৩৫ ) • ভক্তি বিষয় ও সঙ্গত্যাগ দ্বারা সাধিত হইয়া থাকে । ইন্দ্রিীয়বর্গ বিষয়াস্বাদে বিত্রত থাকিলে মন তাহাতেই মগ্ন হই য়ু থাকে। বিষয়কুচি মনকে সৰ্ব্বদা এক বিষয় হইতে বিষয়াস্তরে তাসক্ত করে, এই রূপে বিষয়ের সঙ্গ, কিংবা লোকের সঙ্গ সৰ্ব্বদ মনকে বিহবল করিয়া রাখিলে মন বিক্ষিপ্ত,চঞ্চল ও দুর্বল হইয়। পড়ে। সম্পূর্ণ একাগ্র না হইলে ভক্তি-আবেশের সম্ভাবন। নাই। ভক্তি সাধন করিতে হইলে প্রথমেই বৈরাগ্যবান ७ नि:मन्न ठ् Gम्न। জীবন ধারণের আবশুর্কীয় কাৰ্য্য কাল ভিন্ন যখনই অবকাশ পাহবে, তখনই ভগবানের নাম জপ ও গুণগান করিবে । কেন না হরিচিস্তন হইতে বিশ্রাম পাইলেই মন রজ ও তমোগুণের আবেশে আমোদিত হয়,অমনি বিষয়ুচিস্ত মনকে ভুলাহয়া লইয়। যায়। সকল অাবহ ক । কায্যে ও সকল অবস্থায় যদি ইন্দ্রি সুগণের সহিত মন ভগবৎপদে বিলয় থাকে, তাহা হইলে ক্রমশঃ ভক্তির আবেশ বদ্ধিত হয় । ধে পৰ্য্যন্ত অবিচ্ছেদে ভগবৎ-ভঞ্জন সাধনের সামথ্য ন জন্মে, ততদিন অবকাশ মত লোকের নিকট ভগবৎ কথ। শ্রবণ ও স্বয়ং উহা লোকের নিকট কীৰ্ত্তন করা ভাল ; কেন না এইরূপে চিত্ত ক্রমশঃ ভগবদভিমুখে আকৃষ্ট হয়। “ব্যাবৃত্তোহপি হরে চিত্তং শ্রবণাদে যজেৎ সদা । ততঃ প্রেম যথাশক্তি বাসনঞ্চ যদা ভবেৎ।” যে পর্যাস্ত চিত্তে ভক্তিভাবের উদয় না হয়, ততদিন সময়ে সময়ে হরিকথা শ্রবণাদি করিলে ক্রমে ক্রমে উহাতে আসক্তি বাড়িবে ও ক্রমশঃ ভক্তির বীজ দৃঢ় হইবে। মহাত্ম। গণের কৃপা বা ভগবানের কৃপাকণাদৃষ্টিই ভক্তির মুখ্য সাধন । “ওঁ মহৎসঙ্গস্তু দুল্ল ভোইগমোহমোঘশ্চ।” ( নারদ সুe ৩৯ ) মহৎসঙ্গ স্কুলভ, অগম্য এবং অমোঘ। নিজের শুভদৃষ্ট ব্যতীত সাধুকে চিনিতে পারা যায় না, সাধু সম্মুখে আসিলেও নিজ মনোমালিন্ত জন্ত র্তাহাকে সাধু বলিয়া বোধ হয় না। এই জন্য মছংসঙ্গ দুর্লভ। সাধুকে চিনিতে পারিলেও তাহার সাধনসিদ্ধভাবের মধ্যে প্রবেশ করাও কঠিন । এই জন্ত মহংসঙ্গ অগম্য। কিন্তু সাধু-সমাগম কখনও ব্যর্থ হয় না, নিজ অধিকারানুরূপ ফল অবশুই লাভ হইয়া থাকে ; অতএব মহৎসঙ্গ অমোঘ। “ওঁ লভ্যতেহপি তৎকৃপয়ৈব” ( নারদ • ৪• ) ভগবানের কৃপা হইলেই মহতের সঙ্গ হইয়া থাকে। “ওঁ তমি তজ্জনে ভেদাভাবাৎ” (নারদস্তু-৪১)