ভগন্দর [ २२8 ] ভগন্দর অস্থিশগ্য ভোজন করে,তবে তাহা মলের সহিত शबलहः \{3 জপানবায়ু কর্তৃক অধোভাগে সঞ্চালিত হইয়া নির্গমন কালে মলদ্বার ক্ষত করে। আর্দ্রভূমিতে যেরূপ কৃমি হয়, তদ্রুপ সেই ক্ষতস্থানেও কৃমি জন্মে। সেই সকল কৃমি কর্তৃক মলস্বারের পার্শ্বসকল ভক্ষিত হইয়। বিদীর্ণ হয়। সেই কৃমিকৃত ছিদ্ৰসমূহ হইতে ক্রমে বাত, মূত্র, পুরীব ও রেতঃ নিঃস্বত হইয়া থাকে। উছ উষ্মাগী-ভগন্দর নামে খ্যাত। সকল প্রকার ভগন্দরই অতিশয় যন্ত্রণাদায়ক এবং কণ্ঠসাধ্য। যে সকল ভগন্দর দিয়া অধোবায়ু, মল, মূত্র ও কুমি নির্গত হয়, তাহাতে রোগীর প্রাণনাশ হুইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবলা। ধে ভগন্ধর প্রথমে গোস্তনের দ্যায় উন্নত হইয়া উৎপন্ন হয় এবং পরে বিদীর্ণ হইলে নদীজলের আবর্তের হ্যায় আকার ধারণ করে, তাহ অসাধ্য। বায়ু নিৰ্গমন স্থানে যে সকল অল্প অল্প উপদ্রব ও শোফ ৰিশিষ্ট রোগ জম্মিয়৷ শীঘ্র নিবৃত্তি হয়,তাহাদিগের নাম পীড়কা । পীড়ক। ভগন্দর হটতে ভিয় । যে পীড়কা হইতে ভগন্দর জন্মে, তাহা ইহার বিপরীত। যে পীড়কায় ভগন্দর হয়, তাহা পায়ুর ছই অজুলি পরিমিত স্থানে জন্মে। ইহা গুঢ়মূল, বেদন ও জরবিশিষ্ট হইয়া থাকে। যানে গমন কালে বা মলত্যাগ করিলে পায়ুদেশে কও, বেদনা, দাহ, শোফ ও কটিতে বেদন হওয়া ভগন্দরের পুর্বলক্ষণ। সকল প্রকার ভগণ রই ঘোর দুঃখের কারণ। ও ক্ষত জম্ভ ভগন্দর অসাধ্য। (ম শত নিদানস্থা • ৪ অs) ভাব প্রকাশে এই রোগের উৎপত্তিকারণ ও চিকিৎসা প্রকরণ এবং পুৰ্ব্বন্ধপ ও লক্ষণ লিখিত হইয়াছে—ভগন্দর হইবার পূৰ্ব্বে কটাফলকে স্বর্চবিদ্ধবৎ বেদন এবং গুহে দাহ, কও, ও বেদনাদি উপস্থিত হইয়া থাকে। গুহের এক পাশ্বে দুই মঙ্গুলি পরিমাণ স্থানে বেদনন্বিত পীড়ক হইয়া ভিন্ন হুইলে তাহাকে ভগন্দর কহে । এই ভগন্দর ৫ প্রকার, বাতিক, পৈত্তিক, শ্লৈয়িক সান্ত্রিপাতিক ও শল্যজ। বাতজন্য শতপোনক নামক ভগন্দর, পিত্তজন্তু উই গ্ৰীব নামক ভগন্দর, শ্লেষ্মজ 'ब्रुिवरी নামক ভগনীয়, শম্বুক নামক সন্নিপাতজ এবং উন্মাগী নামক শল্যজ ভগনার। ইহাদের লক্ষণ স্বশ্ৰুতোক্ত ভগন্সরেরই ভুল্য। কেবলমাত্র শলাজ ভগদরলক্ষণে একটু বিশেষ আছে ৷ গুহম্বারে কণ্টকাদি দ্বারা বা নখ দ্বারা ক্ষত হইয়া যে শেষ উৎপন্ন হয়, তাহাকে অবহেলা পূৰ্ব্বক চিকিৎসা না করাইলে ক্রমশই বন্ধিত হয় এবং তাহাতে কৃমি জন্মে। ঐ কৃমিসমূহ মাংসকে বিদারণ করত বহু ছিদ্র বিশিষ্ট ত্রণ উৎপাদন করে বলিয়া উহ। উন্মাঙ্গী-ভগন্দর নামে কথিত হইয়াছে। তাহাদিগের মধ্যে ত্রিদোষ | সৰ্ব্বপ্রকার ভগন্দররোগই ভয়ঙ্কর ও অতিকষ্টদায়ক। তন্মধ্যে সান্নিপাতক ও ক্ষতজ ভগনার সৰ্ব্বতোভাবে অসাধ্য। এবং যে ভগন্দর হইতে মূত্র, পুরীষ, শুক্র ও কৃমি বহির্গত হয়, তাহীও অসাধ্য। ইহার চিকিৎসা—গুহাদেশে পীড়কা হইলে অতি যত্নের সহিত চিকিৎসা করাইবে। ঐ পীড়ক যাহাতে পাকিতে ন পারে, তাহার প্রতি বিশেষ চেষ্টা করা বিধেয় এবং যাহাতে বস্থল পরিমাণে রক্তস্রাব হয়, তাহ করাও অবিশুক । বটপত্র, ইষ্টক, শুঠ, গুলঞ্চ ও পুনর্ণব। এই সকল পেষণ করিয়া পীড়কাবস্থায় গুহে প্রলেপ দিলে ভগন্দর রোগ নষ্ট হয় । পীড়কার অপক অবস্থায় প্রথমতঃ অতিতর্পণ, তৎপরে ক্রমান্বয় বিরেচন পৰ্য্যস্ত একাদশট ক্রিয় কর্তব্য। { বিরেচনাদি একাদশক্রিয়ার বিষয় রণশব্দে দ্রষ্টব্য ] ঐ পীড়ক পাকিয়া ভিন্ন হইলে এষণী দ্বারা শোষের অন্বেষণ, ছেদন, ক্ষার প্রয়োগ, ও অগ্নিকৰ্ম্ম প্রভৃতি ক্রিয় করিয়া দোষাসুসারে বিবেচনার সহিত ব্ৰণের দ্যায় চিকিৎসা করিতে হইবে । তিল, নিম্ব ও যুষ্টিমধু, সমভাগে দুগ্ধ দ্বারা পেষণ করিয়া শীতল প্রলেপ দিলে সরক্ত বেদনাসংযুক্ত ভগন্দর রোগ নষ্ট হয়। জাতিপত্র, বটপত্র, গুলঞ্চ, গুঠ, ও সৈন্ধব এই সকল তক্র দ্বারা পেষণ করিয়া প্রলেপ দিলে ভগন্দর আশু প্রশমিত হয়, তেউড়ী, তিল, হাতীগুড়া, ও মঞ্জিষ্ঠা এই সকল পেষণ করিয়া ঘৃত মধু ও সৈন্ধব সহযোগে প্রলেপ দিলে ভগন্দর রোগ নিরাকৃত হয় । খদিরকাষ্ঠের কাথ, ত্রিফল, গুগগুলু বা বিড়ঙ্গের কাথ পান করিলে ভগন্দর রোগ সারিয়া যায়। শম্বুকের মাংস একমাস পাক করিয়া ভোজন করিলে অজীর্ণ ও ভগনীর রোগ নষ্ট হয় । স্তগ্রোধাদি গণের ক্কাথ ও উহার কন্ধ যোগে তৈল ৰাশ্বত পাক করিয়া সেবন করিলে ঐ রোগ প্রশমিত হয়। তিল, লতা ফটুকিরা, কুড়, বিষলাঙ্গল, হাপরমালী, গুলফ, তেউড়ী ও দন্তী এই সকলের প্রলেপে ও ভগন্দররোগ বিনষ্ট হয় । এই রোগের শোধন ও রোপণার্থ তিল, হরিতকী, লোধ, নিমপাতা, হরিদ্রা, দারুছরিদ্র, বেড়েল, লোধ এবং গৃহধুম এই সকল প্রয়োগ করিলে উপকার দর্শে । ৰ আকন্দের আট দ্বারা দারুহরিদ্রার চুর্ণ পাক করিয়া তষ্কার বত্তি প্রস্তুত পূৰ্ব্বক শোষের মধ্যে প্রবেশ করাইলে ভগন্দর বা সৰ্ব্বশরীরগত শোষ নিবারিত হয় এবং ত্রিফলার ক্কাথ বিড়ালাস্থির সহিত পেষণ করিয়া প্রলেপ দিলেও ভগন্দর আরোগ্য হইয়৷ থাকে । ৰিড়ঙ্গসার, ত্রিফল, ছোটএলাচ, ও পিপ্পলীচুর্ণ এই সকল মধু ও তৈলের সহিত লেহন করিলে ভগন্দর রোগ শীঘ্র প্রশমিত হয় ।
পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/২২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।