ভারতবর্ষ [ ०७१ ] ভারতবর্ষ বর্ণন শুনিয়া মহারাজ তাহাকে সুরসিক প্রেমিক জ্ঞানে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “তুমি বহুদিন এখানে রহিয়াছ, তোমার স্ত্রীপরিবারের কোন তত্ত্বাবধান কর নাই ত ?” তদু- | ওরে ভারত বলিয়াছিলেন, “আমার স্ত্রী পিত্রালয়ে আছে, ভ্রাতৃবর্গের সহিত অসম্ভাব উপস্থিত হওয়ায় প্রতিজ্ঞ করিয়াছি, , স্বয়ং বাট প্রস্তুত না করিতে পারিলে আর গৃহী হইব না। ; স্বতরাং কিরূপে আর বাড়ীতে মুখ দেখাই, গঙ্গাতীরে একটু । জমি পাইলে বাট প্রস্তুত করিয়া সংসার ধৰ্ম্ম করিতে পারি।” | নবদ্বীপ হইতে কলিকাত পৰ্য্যন্ত গঙ্গাতীরবর্তী স্থান মহারাজ । কৃষ্ণচন্দ্রের অধিকারে ছিল । ভারতের প্রার্থন। মত তিনি ; তাহাকে মুলাজোড় গ্রাম খানি শু•• টাকা রাজস্বে हेछात्रः । দেন এবং বাটনিৰ্ম্মাণের জন্য ১• • • টাকা দান করেন। - ভারতচন্দ্র মুলাজোড়ে বাস করতে লাগিলেন। ঐ সময়ে বদ্ধমানপতি তিলকচন্দ্রের মাতা বর্গীর ভয়ে মূলা জোড়ের পাশ্বস্থ কাউগাছী গ্রামে আসিয়া বাস করেন । , পাছে রাণীমাতার হস্তী, অশ্ব, গে। প্রভৃতি পশ্বাদি ব্রাহ্মণ | ভারতচক্সের ইজারাভুক্ত মুলাজোড় গ্রামে যষ্টিয়া বৃক্ষাদি নষ্ট করে এবং তিনি ব্রহ্মস্বহরণপাপে পতিত হন, এই ভয়ে তিনি স্বীয় কৰ্ম্মচারী রামদেব নাগের নামে মুলাজোড় পত্তনী | লইয়াছিলেন । ইহার বিনিময় স্বরূপ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র ভারত চন্দ্রকে মূলাজোড়ে ১৬ বিঘা ও আনরপুরের অন্তর্গত গুস্তে । গ্রামে ১.৫ বিঘা ভূমি নিষ্কর ব্রহ্মোত্তররূপে প্রদান করেন। i মূলাজোড়বাসীর অনুরোধে তিনি উক্ত গ্রাম পরিত্যাগ । করিয়৷ যাইতে পারেন নাই। পকনিদার রামদেবের অত্যাচারে উত্ত্ব্যক্ত হইয়া ভারতচন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্রকে একখানি পত্রসহ অষ্টশ্নোকী নাগাষ্টক’ লিথিয়া পাঠান। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নাগাষ্ট্রকের রচনা-কৌশলে সাতিশয় সস্তুষ্ট হইয়া নাগের উপ | দ্রব নিবারণ করিয়াছিলেন। মুলাজোড়ে থাকিয়া ভারত র্তাহার পিতার ঔদ্ধ দেহিক ক্রিয়া সম্পন্ন করেন । ক এক বৎসর হাস্ত পরিহাসে কাল হরণ করিয়া তিনি ১৬৮২ শকে ৪৮ বৎসর বয়সে বহুমূত্ররোগে প্রাণত্যাগ করেন। কেহ কেহ । বলেন, বহুমূত্র হইতে রোগের স্বত্র পাত হইয়া শেষে তাহার ভস্মকরোগ জন্মিয়াছিল । | ভারতমণ্ডল, জৰুৰীপের মন্তর্গত ভারতাধ্য দেশভেদ। প্রজাগণের ভরণ কfরতেন বলিয়া মকু ভরত নামে আখ্যাত। আবার ভরত নামক মসুপ্রতিপালিত বলিয়৷ এই বর্ষের নাম ভারতবর্ষ হইয়াছে। কেছ আবার দুষ্ম স্তপুত্র ভরতের নামানুসারে ভারতবর্ষ নামের নিরুক্তি কল্পনা করিয়া থাকেন । আবার কুমারিকাখণ্ড ও নারসিংহপুরাণে লিখিত আছে, গুৰু স্বীপাধিপতি মগ্নীঞ্জের জ্যেষ্ঠ পুত্র নাভি হিমালয়ের আধিপত্য লাভ করেন । তৎপুত্র ঋষভ এবং তাহার পুত্র ভরত । এই ভরত বহু কাল ধৰ্ম্মানুসারে যে বর্ষ শাসন করিয়াছিলেন, তাহাই তল্লামাছুসারে ভারতবধ বলিয়া কীৰ্ত্তিত হইয়াছে । * মার্কণ্ডেয়পুরাণমতে, ভরতকে তৎপিতা এই রাজ্য দিয়৷ ছিলেন বলিয়। এই বর্ষের নাম ভারতবর্ষ হইয়াছে । } পৌরাণিক সীমা ও ভুবৃত্তান্ত । ব্ৰহ্মাণ্ড, মংস্ক, বিষ্ণু প্রভৃতি পুরাণে ভারতবর্ষের যে সাম। নির্দিষ্ট অাছে, তাহ নিম্নে প্রদ গু হইল— “উত্তরং যৎ সমুদ্রস্ত হিমবদক্ষিণঞ্চ যৎ । বৰ্ষং ক্ত স্তুরিতং নাম যুত্ৰেয়ং ভার তা প্রঞ্জt ॥” যে দেশ সমুদের উত্তর ও হিমালয় পৰ্ব্বতের দক্ষিণ, তাহার নাম ভারতবর্ষ। এখানকার প্রজাগণ ভারতী নামে প্রসিদ্ধ । পৌরাণিক বিeাগ । উক্ত পুরাণসমূহে লিখিত আছে,— “ভার ওস্তাস্ত বর্ষপ্ত নবভেদা: প্রকাত্তিতাঃ । সমুদ্রান্তরিত। প্লেয়াস্তেত্বগম্যা: পরস্পরম্ ॥ ইশ্রদ্বীপঃ কশেরুশ তাম্রবর্ণে গভস্তিমান । নাগদ্বীপস্তথা লোম্যে। গান্ধৰ্ব্বস্বথ বারণ; ॥ জয়ন্তু নবমস্তেষাং দ্বাপঃ সাগরসংস্কৃতঃ । যোজনানাং সহস্ৰস্তু দ্বাপোহয়ং দক্ষিণোগুরং ॥ আয়তে হাকুমারিকাদাগঙ্গাপ্রভবাচ্চ বৈ । তিৰ্য্যগু হুরবিস্তীর্ণ; সহস্রত্ৰয়মেব চ। স্বাপে স্থপনিবিষ্ট্রোইয়ং ম্নেচ্ছৈরস্তেষু নিত্যশ: | পূৰ্ব্বে কিরাত হস্তান্তে পশ্চিমে ঘবনাঃ স্বতাঃ ॥ ব্রাহ্মণা: ক্ষত্রিম বৈণ্ড মধ্যে শূদ্রাশ্চ ভাগশ: | ইজ্যাযুদ্ধবণিজ্যাদ্যৈবৰ্ত্তরস্তে ব্যবস্থিতা: ॥” ( ব্রহ্মা গুপুরাণ ৪৮৷১২-২৭ )
- { ভারতবর্ষ দেখ । ,
ভারতবর্ষ, লম্বীপের অন্তর্গত বলে। ব্ৰহ্মাওপুরাণে । লিখিত আছে— t “ ভরণাচ্চ প্রজানাং বৈ মজুর্ডয়ত উচ্যতে। নিরুক্তবচনাচ্চৈব বর্ধং তস্থারতং স্বতং।” (পূৰ্ব্বভাগ ৪৮১•) ΧΙΙΙ br意
- “মাৰে: পুত্রঞ্চ খলপ্তান্তরতে, চাতবস্তুত । BB BB DD BB BBBS BB BBBB SDDBB BB BS ( নারসিংহপুরাণ ৩১ অধ্যায় reব ) + “হিমাহৰ দক্ষিণং বর্নং ভয়তায় দদৌ পিতা। তন্মাচ্চ ভারতং বৰ্ষং "--{ মার্কণ্ডের পু• )