ভারতবর্ষ [ ৩৫৪ ] ভারতবর্ষ প্রত্যেক নগরস্থিত ৰাজারে বা গওগ্রামসমূহের হাট প্রভৃতিতে স্থানীয় এক একটা ক্ষুদ্র বাণিজ্য চলিল্প থাকে। কোন কোন হাটে কৃষকগণের জানাত ধান্তাদি শস্তেরও প্রভূত কারবার ছহয়া থাকে । আড়ৎজার মহাঙ্গলগণ ঐ সকল স্থানে থাকিয়৷ ক্ৰমবিক্রয় করে। দেৰোদ্দেশে মেলা বা উৎসবাদি উপলক্ষে কোন কোন স্থানে ঐক্ষপে খাস্তাদি শস্ত ও গবাশ্ব প্রভৃতির ক্রয়বিক্রয় হইতে দেখা যায় । ভারতে রেলপথ-বিস্তারের পূর্কে রাস্ত ও নদী দিয়া ৰাণিজ্য । কলিকাতা হইতে উত্তর । পশ্চিম প্রদেশে গমনাগমনের সুবিধার জন্ত খৃষ্টীয় ১৬শ শতাকে প্ৰৰ্য স্থানে স্থানে সরবরাহ হইত। আফগান সম্রাটু শের শাহ কর্তৃক 'গ্ৰাও ট্রাঙ্করোড' নামক স্ববিত্ব ও পথ প্রবর্তিত হয়। বড়লাট বেপ্টিক বাহাদুর উহার সংস্কার করিয়া বাণিজ্যের পন্থ৷ সুবিস্তায় করেন। ঐ প্রশস্ত পথ ছষ্টতে কতকগুলি রাস্ত। উত্তরপশ্চিম ভারতের প্রধান প্রধান । লগরে সংযোজিত আছে। ঐ পথসমূহ ধরিস্থ এক সময়ে বণিকূসম্প্রদায় পেশবার সীমান্ত পয্যন্ত গমন করিভ । এমন কি হিমা লয়, নীলগিরি ও পশ্চিমঘাট প্রভৃতি পৰ্ব্বতমালার উপরিতন ' গিরিসঙ্কট দিয়া গে।-শকটে মাল পূর্ণ করিয়াও বাণিজ্য চলাহত । এক্ষণে ভারতের উওর, দক্ষিণ, পুষ্ক, পশ্চিম ও মধ্যভাগের সঞ্চ এছ রেলপথ বিত্ব গু হইয়াছে। উহার কতকগুলি বণিক্সম্প্রদায়ের মধান। তম্ভিয় ইংরাজরাজ ও সামন্তরাজগণের যত্নে ও ব্যয়ে পরিচালিত কএকটা রেলপথ আছে। তন্মধ্যে ছ ঃ-ছ: গুয়া, ইষ্টকোঃ, গেট পেনিন্মুলার, রাজপুতনা-মালব, L;ঙ্গ --tাগপুর ও হঠারণ-বেঙ্গল রেলপথ প্রভৃতি প্রধান । { রেলপথ পেথ । ] ধঃ উল্লেখ করিয়াছি যে, অনাবৃষ্টি, অজন্ম ও রপ্ত(না৭iংল্যহেতু দেশে ছুভিগ উপস্থিত হয় । রেলপথ বিস্তারে গমনাগমন ও বাণিজ্য-পরিচালন পক্ষে বিশেষ মুবিধা হইয়াছে বটে, কিন্তু দেশবাসীর অমুখ ও অশাস্তি দিন দিন পরিবদ্ধিত ধেখানে aেrা বা গমনযোগ্য পথ নাই, কোন বীণত্বই তথাকার মালপত্র লইয়। বাণিজ্যের অভিলাষী নহেন, もむびもに験 I কিন্তু রেল-বিস্তায়ে ক্ষৰিধ হওয়ায় এক্ষণে ভদেশীয় দ্রব্যসমুদায় । লাভার্থীর ইচ্ছানুসারে ভিন্ন স্থানে পরিচালিত হইতেছে । পুকে ভাহার ইচ্ছামত ঐ সকল দ্ৰৰ উপভোগে সমর্থ হুইত । কিন্তু এক্ষণে ভদেশবাসী স্বদেশ জাতএবে বঞ্চিত হইয়। নিতান্ত । কষ্ট অমুম্ভৰ করিতেছে । ইহার উপর আবার বায়ু ও জলের । গোলযোগে উপযুfপস্থি হই বধ কাল বৃষ্টিপাত না ঘটিলে এবং পূৰ্ব্ব হইতে কোন প্রকার শস্ত সঞ্চ না থাকিলে ভদেশে । অচিরাং ভিক্ষ-প্রবেশের সঙ্কাৰন । ইতিহাস পাঠে জানা যায় যে, ১৭৬৯-৭৯ খৃষ্টাব্দে নিম্ন গাঙ্গ প্রদেশে ( বাঙ্গালায় ) একটী মহামারী উপস্থিত হয় । ১৭৮৯-১৭৮৩ খৃষ্টাব্দে কোঙ্কশরাজ্য হাইদার কর্তৃক লুষ্ঠিত হহবার পর তথায় দুর্ভিক্ষের স্বচনা হইয়াছিল। মহামতি বাক ওজস্বিনী ভাষায় তাহার চিত্র প্রকটিত করিয়া গিয়াছেন । ১৭৮৩-৪ খৃষ্টাকে বহুকালব্যাপী অনাবৃষ্টিহেতু উঃ পঃ প্রদেশে দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হয়। ঐ সময়ে ওয়ারেন হেষ্টিংস বাহাদুর দুর্ভিক্ষ-প্রপীড়িত প্রজাদিগের সাহায্যাৰ্থ কএকটী ধান্তগোলা স্থাপন করেন । তন্মধ্যে পাটনানগল্পের গোল এখনও বিস্তু মান আছে। ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে আর একবার মাত্র ইংরাজরাজ ঐ গোল খুলিয়। দরিদ্রের উদর পুষ্টি করিয়াছিলেন । ১৭৯০৯২ খৃষ্টান্ধে মাঙ্গাজ প্রদেশে দুই বর্ষ কালব্যাপী মহামার ঘটে। তৎপরে ১৮৮০-৬১ খৃষ্টাব্দে পুনরায় ভীষণ মুর্ষি ধারণ করিয়া দুৰ্ভিগ উত্তর পশ্চিম প্রদেশে আসিয়া দেখা দেয় । তৎকালে দুর্ভিক্ষের কঠোর প্রপীড়নে প্রজাবৰ্গ যে কষ্ট পাইয়াছিল এবং চারিদিক্ হাছাকার ধ্বনিতে প্রতিধ্বনিত হইয়া যেরূপ ভয়ঙ্কর ভাৰ ধারণ করিয়াছিল, তৎকালের রাজ্যশাসনের শিথিলত হইতে তাহার বিলক্ষণ আভাস পাওয়া ৰায় ৬ । খৃষ্টাব্দে পুনরায় উড়িষ্যাপ্রদেশে মহাদুৰ্ভিক্ষঞ্চাসিয়া সমুপস্থিত হয় । ঐ সময়ে লক্ষ লক্ষ উড়িষ্যাবাসা অনাহারে প্রাণত্যাগ করে । বাঙ্গালী ১২৭১ সালের (ইং ১৮৬৪ খৃ: ) আশ্বিন মাসের ভীষণ ঝড় ও বস্থায় নিমবঙ্গ প্লাবিত হইয়া শস্ত ভাণ্ডারের বিশেষ ক্ষতি করে। ঐ সময় হইতে ধান্তাদি মহার্ঘ হইতে মারম্ভ হয় । উহার ২৩ বর্ষ পরে ১২৭৪ সালের ২১এ কাৰ্ত্তিক শুক্রবার ‘কাক্টিকের ঝড়ে’ বাঙ্গালা প্রদেশ এরূপ বিপৰ্য্যস্ত হয় যে, তদবধি ধান্যাদি শস্তের মূল্য পরিবদ্ধিত হইয়। গিয়াছে। শুনা যায়, আম্বিনের ঝড়ের পুন্সে ৰাঙ্গালায় দ• আন মূল্যে ১/ মণ চাউল বিক্রস্থ হহত । কাৰ্ত্তিকের ঝড়ের পর ৮১৯ টাকা পৰ্য্যন্ত চাউলের দাম ৰাড়িয়াছিল । ঐ সময়ে অনেক দরিদ্র বঙ্গবাসীর অনাহারক্লেশ সদ্ধ করিক্তে হইয়াছিল। ১৮৬৮-৭• খ,ঃান্ধে অনাবৃষ্টি ছেছু উত্তরপশ্চিমপ্রদেশ ও রাজপুতনায় ছুর্ভিক্ষের সঞ্চার হয়। y\ed - sసి
- No useful leskon of aduliuistrative experience is to be jearued from the long list of famines and scarcities which offlicted the several provinces of India at recurring periods during the first half of the yies"nt century. . W. W. Hunter ‘India' ]