পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ [ ৩৭৩ ] ভারতবর্ষ ۔سس۔-بی. গান্ধারের শেষ কিদাররাজের মন্ত্রী কল্পট (কন্নর ) নামে | এক ব্রাহ্মণ ছিলেন। আলবেরুশি তাহাকে লগ-তুরমান | ( অল কিতোয়মান্‌) নামে উল্লেখ করিয়াছেন। এই ব্রাহ্মণ । মন্ত্রী অথবলে কিদাররাজের হস্ত হইতে গান্ধাররাজ্য কাড়িয়া লন। এই ব্রাহ্মণবংশ বেশী দিন রাজ্যমুখ ভোগ করিতে পারেন নাই । आबाबै কিদারবংশ প্রবল হইয়া ব্রাহ্মণহস্ত হইতে গান্ধার উদ্ধার করিয়াছিলেন। ইহার “শাহী” ৰলিয়া গণ্য ছিলেন। গান্ধারে বহুশত বর্ষ রাজত্বের পর, ১•২৬ খৃষ্টাব্দে এই রাজবংশের রাজ্যাবসান ও মুসলমানঅধিকার বিস্তৃত হইল। এই রাজবংশের সহিত কাশ্মীরের ক্ষত্রিয়-রাজগণ বহু সম্বন্ধস্থত্রে আবদ্ধ ছিলেন। কাশ্মীরের বহু রাজমহিষী এই গান্ধার-রাজবংশসস্তৃতা ; রাজতরঙ্গিণী পাঠে তাহাদের বিস্তৃত বিবরণ জানা যায়। গান্ধার রাজবংশ জগুহ (জজহু) রাজপুত বলিয়া ও গণ্য ছিলেন • । টভূসাহেব ; fলখিয়াছেন, গান্ধারের শক বংশায় রাজপুত-শাখা রাজপুতানায় আধিপত্য বিস্তার করিয়াছেন । । | শক-সংগ্রব । শকাধিকারের যে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বিবৃত হইল, তৎপাঠে সকলেই বুঝিবেন, শাকদ্বীপ ও তথাকার শকদিগের সহিত | ভারতবর্ষের বিশেষ সংস্রব ঘটিয়াছিল। প্রথমে তাহারা সকলেই স্বৰ্য্যোপাসক ছিল । মগাচাৰ্য্য জরথুস্ত্র কত্ত্বক অগ্নি- । পূজা প্রচার ও পারস্তাধিপতিগণ কর্তৃক তন্মতাবলম্বনে পৌর শকগণ অগ্নিপূজক হইয়াছিল। ভারতে যে সকল শকমুদ্রা বাহির হইয়াছে, তাছাতে স্বৰ্য্যোপাসনা ও অগ্নিবেদা উভয়েরই চিত্র দৃষ্ট হয়। ভারতেও তাহারা প্রথমতঃ সৌর ও অগ্নিপূজক বলিয়া গণ্য ছিল। এখনও যে রাজপূতগণ আপনাদিগকে স্বৰ্য্যবংশীয় ও অগ্নিকুলোদ্ভব বলিয়া পরিচয় দেন, তাহা সস্তৰতঃ সেই পূৰ্ব্বতন শকগণের ধৰ্ম্মপরিচায়ক ক্ষণস্মৃতিমাত্র । ভারতে যখন প্রথম শকাধিপত্য বিস্তৃত হয়, তৎকালে এখানে বৌদ্ধ ও জৈন এই চুই ধৰ্ম্মই প্রবল ছিল। কিন্তু তখনও ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে শিবোপসন। বিলুপ্ত হয় নাই। শকাধিপগণ প্রথমে ‘শৈব হইয়াছিলেন, পরে কনিষ্কের সময় হইতেই এই বংশে বৌদ্ধ ও জৈন ধৰ্ম্মামুরাগ প্রবল হয়। অবশেৰে ব্ৰাহ্মণদিগের প্রভাবে শকের অধিকাংশই হিন্দুধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া ব্রাহ্মণের প্রাধান্ত স্বীকার করিয়াছিল। • Cunningham's Coins of Mediaeval India, p. 56. + Tod's Rajasthan, Vol II who XIII 28 ভারতীয় ক্ষত্রিয়প্রভাবে বৌদ্ধ ও জৈন-ধর্ণের অভু্যদয় ঘটে। সেই ক্ষত্রিয়প্রভাব ৰিলুপ্ত করিবার জঞ্চ নীতিকুশল ব্রাহ্মণগণ সম্ভবতঃ শক রাজগণের আশ্রয় লইয়াছিলেন । এই সময়ে শকরাজগণও আপনাদিকে গোপ্রাক্ষণভক্ত বলিয়া পরিচয় দিয়া আত্মগৗরব প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন । বৌদ্ধধৰ্ম্ম যত দিন বিশেষ প্রবল ছিল, ততদিন ব্রাহ্মণভক্ত শক রাজগণ ও সামাদ্যতঃ বৌদ্ধ-ভিক্ষুদিগকে আশ্রয় দান করিতেন। অবশেষে বৌদ্ধামুরক্তি শক-হৃদয় হইতে এককালে বিলুপ্ত কষ্টয়াছিল। তাহার। নিতান্ত গোত্রাঙ্গণভক্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন । এাহ্মণের তাগিকে বিশুদ্ধ ক্ষত্রিয় বলিয়া স্বীকার করিয়৷ লক্টলেম। এই সকল রাজগণের প্রভাবে ব্রাহ্মণ্য-ধন্মের পুনরভু্যদয় এবং পূৰ্ব্বতন ক্ষত্রিয়-প্রাধান্ত-বিলয়ের সহিত ক্রমে ক্রমে বৌদ্ধ ও জৈন ধৰ্ম্ম নিতান্ত টান হইয়৷ পড়ে । শকরাঞ্জবংশীয়গণ ক্ষত্রিয় বলিয়া পরিগণিত হষ্টলে ষ্টাছদের ভারতীয় উৎপত্ত্বি ও বিশুদ্ধ-ক্ষত্ৰিয়ত্ব প্রতিপাদনাথ এাহ্মণ ও ভট্ট কবিগণ বশিষ্ঠ কর্তৃক অগ্নিকুলোৎপত্তিকাহিনী প্রচার করিলেন এবং তাছাই কালে প্রকৃত বিবরণ বলিয় রাজপুত সমাজে গৃহীত হইয়াছে। এখন আর কোন রাজপুত আপনাকে শক বংশীয় বলিয়া মনে করেন না। যাহাই হউক, মহাত্মা ট্যু সাহেব নানা প্রমাণ দ্বারা দেখাইয়াছেন, এখন ও রাজপুস্তুদিগের আচার, ব্যবহার, রীতিনীতি, ও উৎসবাদিতে পুৰ্ব্বতন শকপ্রভাব বিদ্যমান রহিয়াছে । - শক ও আন্ধ-(সাতবাহন) গণের অধিকার কালে, কাঞ্চীপুরে পল্লবের আধিপত্য করিতেছিলেন । { পল্লব দেখ। ] এই সময় শকগণ সৌর ও ব্রাহ্মণ-ধৰ্ম্মাবলম্বী হষ্টলে ৪ তাহার। প্রথমে বৌদ্ধধৰ্ম্মের অনাদর করিতেন না, তাহদের কুটুম্ব আন্ধগণ বৌদ্ধ ছিলেন এবং তাছাদের যয়ে নাসিক প্রভৃতি স্থানে বহুতর বেীন্ধকীৰ্ত্তি স্থাপিত হয়। আন্ধ-গণের প্রতাপ থর্ষ হইলে এবং শক, পল্লব ও কাদম্বগণের প্রভাবে, আবার ব্রাহ্মণপ্রাধান্যের সুত্রপাত হইয়াছিল । শকাধিকার-কালে ঈশ্বরদত্ত নামে ত্ৰৈকূটক বংশীয় একজন মহাঙ্গত্রপ কোঙ্কণে প্রবল হইয়াছিলেন । তাহার প্রভাবে শকাধিকার বিচলিত হইয়াছিল। এই ত্ৰৈকূটক বংশই পরে কলচুরি বা চেদি বলিয়া অভিহিত হইয়াছেন । কেহ কেহ মনে করেন,— प्रहांक्रबन झेश्वग्नम८द्धग्न ब्रांखTांद्रश्छ रुहें८ङई टेढकृफ्रैंक व ८5‘म সংবৎ জারম্ভ হয় । শকাধিপ বীরদামের পুত্র রুদ্রসেন আবার শকদিগের প্রনষ্ট গৌরব উদ্ধার করেন । গুপ্তপ্রস্তাষ । খৃষ্টীম্ব ৪র্থ শতাঙ্গে চন্দ্রগুপ্ত-বিক্রমাদিত্য, শকদিগের প্রস্তাৰ