ভাষাতত্ত্ব [ ৪২১ ] ভাষাপরিচ্ছেদ সাওতালী, সোমভেঙ্গ, তলৈঙ্গ, তামিল, তেলগু, ভোট, ত্রিপুরী, তেড়িী,তেজ, তুলু, তুর্ক, ওরাওন, উড়িয়া, যোবিন, যেমাড়ী, বেকাল ও কোড়গের বন্য জাতির অপূৰ্ব্ব-ভাষা এসিয়ামহাদেশীয় বলিয়া গণ্য। এতদ্ভিন্ন মিসর, বৰ্ব্বর প্রভৃতি আফ্রিকাদেশীয়কেপ্টিক, দিনেমার, ওলন্দাজ, ইংরাজ, ফরাসী, জৰ্ম্মণ, ফিলিস, ফ্লেমিস, গেলিক, গ্ৰীক, হাঙ্গেরীয়, আইরিয, ইতালিয়, লাপ্, লণ্ডীয়, নরওয়েজীয়, পোলিয়, পর্ভ গীজ, রুমণিয়, রুষ, ক্লেডীয়, স্পেনীয়, স্কচ, সুইডিস, সুইস, সিরীয় ও ওয়েলস্ প্রভৃতি । বর্ণমালার আবিষ্কারের পর জার্যাঞ্জাতির বৈদিক ও সংস্কৃত ভাল লিখিত হইতে থাকে। ঐতিহাসিক গবেষণা ও শিলালিপি দ্বারা জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে ভাষার বিভিন্নতা সহকারে লিপির ও পার্থক্য হইয়াছিল। বিখ্যাত পারস্তরাজ দরায়ুসের পুত্র ঙ্গ রক্ষেস তদধিকৃত ১২৭ট প্রদেশে তত্ত্বদেশীয় ভাষায় অতুজ্ঞালিপি প্রচার করেন, তন্মধ্যে সামারিতাম, হিব্রু, ফিনিকিয়, গ্রীক, প্রাচীন বালিক (আবস্তিক), ইজিপ্তের দিমতিক, বঙ্কিস্বন-ফলকলিপি, অক্ষদ ও স্বসার ভাষা ব্যতীত অপর কাহার ও নিদর্শন নাই । বাবিলোনিয়ার মৃত্তিকানিহিত পুস্তাকালয়ে প্রাপ্ত মুংফলকলিপি, ইজিপ্তের হাইরোগ্লিফিক্স, সিরিয়ার কোণাকার লিপি ও ভারতের অশোকলিপি সৰ্ব্ব প্রাচীন বলিয়া অসুমিত হয়। ভাষাতত্ত্ববিদগণ অশোকলিপির পর ফিনিকিয় প্রভূতি বর্ণমালার উৎপত্তি কল্পনা করেন । দক্ষিণ এসিয়া ও ভারতে যে সকল বর্ণমালায় শিলালিপি ও তাম্রফলকে ভাষা লিথিত হইয়াছিল, তাহার সংক্ষেপবিবরণ নিয়ে প্রদত্ত হইল । আলাহাবাদ লাট ও গুপ্ত অক্ষর, অমরাবাঈ, আৰ্ম্মিয়, মাৰ্য্য বা বালিক, বাঙ্গাল, ভিলসা, কালদায় পহুলধী, বা পার্থিব, দেবনাগরী, গুজরাতী ফলক ও বর্ধমান লিপি, কৃষ্ণ, কুফিক, কুটিল, লাট বা ভারতীয় পালি, বৰ্ত্তমান পঙ্গী ও শাসনীয় পল্লী, ব্রহ্মের পালি ও বর্তমান পালি, পামিরাণী, পঞ্জাবী, পার্থ্যি, ফিনিকিয়, পিউনিক, গৌরাষ্ট্রের শাহরাঞ্জ-লিপি, সেমিতিক, সিনাই, ৫ম শতাঞ্জের সিরীয় ও বর্তমান সিরীয় লিপি, ভেলিঙ্গ, ভোট, পাশ্চাত্য গুহালিপি ও জমা বর্ণমালাই প্রধান । ডা: প্রিন্সেপ সংস্কৃত ভাষার বর্ণমালার রূপান্তর কাল এষ্ট রূপ নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন, ১ বৌদ্ধধর্শ্বের অভু্যখানকালীন খৃষ্টপূর্ব ৫ম শতাদের সংস্কৃত লিপি। ২ পশ্চিম ভারতীয় গুহা, লিপি। ৩ খৃষ্টপূৰ্ব্ব ৪র্থ শতাষ্ট্ৰীয় জুনাগড়ের অশোকলিপি। ৪ পৃষ্ঠীর ২য় শতাদের গুজরাত-তাম্রফলক। ৫ খৃষ্টীয় ৫ম শতাষোয় জালাহাবাদ-গুপ্তলিপি । ৬, ৭ম শতাঙ্গের সংস্কৃতের অন্ধুকয়ণে ভোটলিপি । ৯ম ও ১০ম শতাজের কুটিল লিপি ও XIII 3) s te বাঙ্গালা বর্ণমালা এবং তৎপরবর্তী দেবনাগরী ও ক্রমে কাইণী, हिनौ ७यङ्गछि अक्रग्न ७ ऊोबाग्न फेडरु झ्हेब्राष्ट्रिण । খৃষ্টীয় একাদশ শতাদের প্রারম্ভে মাজের ভারতাক্রমণ হইতে ভারতীয় ভাষাসমূহে পারসিক ও আরবী ভাষার সংমিশ্রণ জারম্ভ হয়। ঐ সময়ে উজীয় প্রধান আবুল জাকাস ও আহ্মদ মৈমলি মুসলমান রাজসরকারের যাবর্তীয় কাগজ পত্র পারসিক ভাষায় এবং চিরস্থায়ী নথিপত্র মায়ধী ভাষায় লিখনপ্ৰথা প্রবর্তিত করিয়া যান। সুতরাং তৎকালে ভারত বাসীকে কৰ্ত্তব্যবোধে অথবা বাধ্য হইয়। উক্ত ভাষায় অভ্যাস করিতে হয় । এইরূপে ক্রমশ: বিজাতীয় শব্দ বা পানিচয় ভারতীয় ছিন্দি ভাষায় সংমিশ্রিত হইয়৷ ষ্টীয় ১৪শ খুsাকে উর্দু ভাষার উৎপত্তি হয়। হিন্দিকে এই অভিনব ভাষায় ভিত্তি করিয়া তাহাতে আরবী, পারসিক, তুর্কী, সংস্কৃত, গ্রাবিড়, পর্তুগীজ ও কোলরিয় ভাষার চলিত শাসমূহ সংযোজিত করা হইয়াছে। উনবিংশ শতাদের প্রথমে ডাঃ জন বশউষ্টক গিলখুাষ্টষ্ট এই’ভাষার অঙ্গসৌষ্ঠব বুদ্ধি করেন। যুরোপবাসী বৈদেশিক অথবা ভারতের অগুস্থানবাপী জাঞ্জিমাত্রেই এই উ, হিন্দি ভাষার সাহায্যে পরস্পরের সহিত কথোপকথন করিতে সমর্থ হয় । সমগ্র যুরোপখণ্ডে ফরাসী ভাব যেরূপ সাধারণে পরিগৃহীত হইয়াছে, একমাত্র তারতে বিভিন্ন জাঠীয়ের ভাব অবগত হইতে হইলে ছিঙ্গিভাষার শিক্ষা আবশ্যক করে । হিন্দি ভাষা ভারতবাগী মাত্রেরই পরিচিত । ইংরেজ, ফরাসী বা জৰ্ম্মণ কর্তৃক হিলি ভাষায় জিজ্ঞাসিত হইলে, ভারতবাসী সহজে উত্তর প্রদান করিতে সমর্থ হয় । ভাষাপরিচ্ছেদ (পুং) মহামহোপাধ্যায় বিশ্বনাথ স্থায়পঞ্চানন কৃত ভায়ুশাস্ত্রের পরিভাষাগ্রন্থ। স্যায়শাস্ত্র পড়িবার পূৰ্ব্বে ভাষাপরিচ্ছেদ পড়িতে হয় । ইছাতে দ্যায়দর্শনের সমস্ত বিষয়ই সংক্ষেপে অতি সুন্দরভাবে বর্ণিত কষ্টয়াছে। পণ্ডি তাগ্রণী বিশ্বনাথ নিজেই ভাষাপরিচ্ছেদের সিদ্ধাস্তমুক্তাবলী নামে টকা প্রণয়ন করেন । এই টীকা অতি সুন্দর এবং অশেষ পাণ্ডিত্যের পরিচায়ক । সিদ্ধান্তমুক্তাবলীর আবার দিনক গ্ৰী ও রেী প্রভৃতি টীকা আছে। সিদ্ধাস্তমুক্তাবলীতে তিনি মহামহোপাধ্যায় বিদ্যানিবাস ভট্টাচার্য্যের পুঙ্কবরি পরিচিত হইয়াছেন। উক্ত গ্রস্থের প্রথম শ্লোক,— “নুতনজলধরফ্লচয়ে গোপবধুটীঘুকুলচেরায় । তস্মৈ নমঃ কৃষ্ণায় সংসারমহীরুহস্ত বীজায় ॥” শেষ শ্লোক—“সোহরং ক ইতি বুদ্ধিত্ব সাজাত্যমবলম্বতে। তদেহৌষধমিত্যাদেী সঙ্গাতীয়েছপি দর্শনাৎ ॥” ভাষাপরিচ্ছেদে ১৬৬টা শ্লোক আছে। এই গ্রন্থে নিম্নোক্ত
পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৪২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।