ভিক্ষু [ 8७० J ਚਿਲ੍ਹੇ বিষ্ণু-সংহিতায় চতুর্থ আশ্রমের বিষয় এইরূপ অভিহিত হইয়াছে,—এহ্মচৰ্য্য, গাহ স্থ ও বানপ্রস্থ এই তিন আশ্রমে আসক্তি-নিবৃত্তি হইলে, প্রাজাপত্যযাগের পর সর্বস্ব দক্ষিণ দিয়া এই আশ্রম গ্ৰহণ করিতে হয়। এই যাগের বিষয় যজুৰ্ব্বেদায় উপাখ্যান গ্রন্থে বিহিত হইয়াছে। ভিক্ষু আপনাতে অগ্নি আরোপিত করিয়া ভিক্ষার জন্ত গ্রামে প্রবেশ এবং সাত বাটীতে ভিক্ষা গ্রহণ করিতে পারিবেন । ভিক্ষা না পাইলে ব্যথিত হইবেন না । ভিক্ষুকের নিকট ভিক্ষা করিবেন না । লোকের আহার হইয়া গেলে এবং উচ্ছিষ্ট পাত্র সকল নিরাকৃত হইলে মৃন্ময় পাত্র, দারুময় পাত্র বা অলাবুপাত্রে ভিক্ষা করিবেন। ভিক্ষুর এই সকল পাত্র জল দ্বারা শুদ্ধ হইলে । পরিত্যক্ত বাট বা বৃক্ষমূলে নিশাযাপন করিবেন । গ্রামে এক রাত্রির অধিক বাস করি বেন না। কেীপীন ও বহির্বাস ব্যতীত দ্বিতীয় পরিধেয় ব্যবহার করবেন না। পদক্ষেপ করিবার সময় পথ দেখিয়া চলিবেন। বস্ত্রপূত-জল-গ্ৰহণ, সত্যপুত-বাক্যপ্রয়োগ এবং মনঃপূত আচরণ করবেন। মরণ অথবা জীবন আসাক্ষ করিবেন না। পরে অপমান করিলে তাহ সহ কারনে, কিন্তু নিজে কাহাকেও অপমান করিবেন না । ভিক্ষুর কাহাকে আশীব্বাদ বা নমস্কার করা বিধেয় নহে। ভিক্ষু প্রাণায়াম, ধারণা ও ধ্যানতৎপর হইবেন । সংসারের অনিত্য , শরীরের | অশুচিতা, জরা দ্বারা রূপবিপর্য্যয়, শারীরিক ও মানসিক, আগন্ধক ও স্বাভাবিক ব্যাধি দ্বারা উপতাপ, গর্ভে মুত্রপুরীষ মধ্যে অবস্থিতি, তাহাতে শীতোষ্ণ-দুঃখ ভব, জন্মি বার সময় যোনিলঙ্কটনিগম এবং তজ্জন্তু বিশেষ যন্ত্রণা, বাল্যকালে মুঢ়তা, গুরুজনের অধীনে অবস্থান, অধ্যয়নে বক্ষকেশ, ধোবনে বিষয়প্রাপ্তির জন্ত বিশেষ আয়াস, অসৎ কার্য্য করিয়া বিষয় লাভের পর, তদীয় ভোগবশতঃ নরকগমন, অপ্রিয়ের সংসৰ্গ, প্রিয় জনের বিরহ, নরকে মহাদুঃখ এবং সংসার অনিত্য, সংসারে কিছুই মুখ নাই ইত্যাদি বিষয় সৰ্ব্বদ আলোচনা করিবেন ও সৰ্ব্বদা ধ্যাননিরত থাকিবেন। ধ্যানের সময় চরণদ্বয় উক্টদ্বয়ে, এবং দক্ষিণকর বাম করে, রাখিয় স্থিরচিত্তে পরমাত্মচিস্তায় নিরত থাকিবেন। দৃষ্টি মাসিকাগ্রে স্থির রাখিতে হইবে। তখন ভিক্ষ একাগ্ৰ মনে নির্ভয় ও প্রশাস্তুচিত্ত হইয়। চতুবিংশতি তত্ত্বের অতীত, নিত্য, ইজিয়াতীত, নিগুণ, সৰ্ব্বজ্ঞ, সৰ্ব্বত:পাণি৷ পাদাস্ত সৰ্ব্বজ্ঞেংক্ষিশিরোমুখ, পরব্রহ্মের ধ্যান করিবেন। এইরূপ করিতে করিতে পরম পদ লাভ হইয় থাকে । (বিষ্ণুসংহিতা ఎ6-సెy' ) হারাতসংহিতায় লিখিত আছে যে, চতুর্থ আশ্রমের নাম ভিক্ষু বা সন্ন্যাস। শ্রদ্ধার সহিত এই আশ্রমানুষ্ঠান করিলে, ভববন্ধন হইতে মুক্তি লাভ করিতে পারা যায়। ৰানপ্রস্থাশ্রমে থাকিয় সকল প্রকার পাপ ধ্বংস করিতে পারিলে,এই আশ্রমে অধিকার জন্মে। বানপ্রস্থাশ্রমে অবস্থিত হইয়৷ পিতৃগণ, দেবগণ মনুষ্যগণ উদ্দেশে দান ও শ্রাদ্ধ" করিয়া এবং আপনার অগ্নি ক্রিয়া সমাপনের পর, পূৰ্ব্ব অথবা উত্তরদিকৃ লক্ষ্য করিয়৷ এই আশ্রম গ্রহণ করিতে হইবে । এই আশ্রম গ্রহণ করিবার সময় বৈবাহিক অগ্নি সঙ্গে লইতে হইবে। এই আশ্রমগ্রহণের পর স্ত্রীপুত্রাদির সহিত আলাপ বিধেয় নহে। ভিক্ষু চতুরঙ্গুল পরিমিত কৃষ্ণ গোৰালরজ দ্বারা বেষ্টিত, সমপৰ্ব্ব, প্রশস্ত ও বেণু নিৰ্ম্মিত ত্ৰিদণ্ড গ্রহণ করিবেন। ইনি আচ্ছাদন বাস, কেীপীন, শতনিবারণী কন্থা এবং পাদুকাদ্বয় এই সকল দ্রব্য ভিন্ন অদ্য কোন দ্রব্য সংগ্ৰহ করিবেন না । ভিক্ষু এই সকল দ্রব্য লইয়। সয়্যাস গ্রহণপূৰ্ব্বক .উত্তম তীর্থে গমন, মন্ত্রপুত বারি দ্বারা আচমন ও তৎপরে দেবগণের তপণ করিয়৷ সূৰ্য্যদেবকে সমস্ত্রক প্রণাম করিবেন । অনস্তর পূৰ্ব্ব মুখে উপবিষ্ট হইয়া যথাশক্তি গায়ত্ৰীজপাস্তে পরব্রহ্মের ধ্যানে নিমগ্ন হইবেন । ইনি প্রতিদিন আপনার প্রাণ ধারণের জন্য ভিক্ষায় গমন করিবেন । সায়ংকালে ব্ৰাহ্মণগণের গৃহে উপস্থিত হইয়া দক্ষিণ হস্ত দ্বারা সম্যকৃ কবল প্রাথনা করিবেন। বাম করে পাত্র স্থাপন করিয়া দক্ষিণ হস্ত দ্বারা উহা সংগ্ৰহ করিতে হইবে। ভিক্ষু ভক্ষণোপযোগী অন্ন সংগ্ৰহ করিবে, তৎপরে সেই পাত্র অন্যত্র গুচিদেশে স্থাপন করিয়া সমাহিতচিত্তে চতুরঙ্গুল দ্বারা গ্রাসমাত্র অন্ন আচ্ছাদন করিয়া পৃথক্ পাত্রে রাখিবেন । পরে তাহা স্বৰ্য্যাদি ভুতদেবগণকে প্রদান করিয়া পাত্রদ্বয়ে বা একপাত্রে ভোজন করিবেন। আচমনের পর নিদিধ্যাসনপুৰ্ব্বক ভগবান ভাস্করের উপাসনা করিবেন। সায়ংকালে সন্ধ্যাবন্দনাদি করিয়া দেবগৃহাদিতে রাত্রিযাপন করা বিধেয় । এই সময় তিনি হৃদয়পদ্মে ব্ৰহ্মকে ধ্যান করিবেন। ইহাতেই র্তাহার মুক্তিলাভ হইবে। ( হারাতসং ৭ অ• ) হারাতের মতে ভিক্ষু কুটীচর, বহুদক, হংস ও পরমহংস এই চারি শ্রেণীতে বিভক্ত। “চতুৰ্ব্বিধ ভিক্ষবস্তু প্রোক্তাঃ সামান্তলিঙ্গিন । তেষাং পৃথক পৃথগুজ্ঞানং বৃত্তিভেদাং কৃতং শ্রতম্ ॥ কুটীচরে বহূদকে হংসশ্চৈব তৃতীয়ক: । চতুর্থঃ পরমে হংসে যে ষ পশ্চাৎ স উত্তমঃ ॥” (হারীত) এই চারি শ্রেণীর ভিক্ষুর মধ্যে পরপরই শ্রেষ্ঠ। কুটীচর
পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৪৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।