পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूवानश्वग्न


_

[ 848 | ভুবনেশ্বর পাইয়া একত্র আসিয়া কল্পবৃক্ষ হইতে ১৭•• ধমু দূরে এক অমল শিলাতল বাছিয়া লইলেন এবং বিশ্বকৰ্ম্মাকে ডাকিয়৷ তথায় পরিখা, তোরণ, কুগু, গোপুরাদি সৰ্ব্বাবয়বযুক্ত একটা তুঙ্গ প্রাসাদ নিম্মাণ করাহলেন। এখানে তাহাদের দান, অচ্চন, তপ ও যজ্ঞে সন্তুষ্ট হইয়া মহেশ্বর দেখা দিলেন ও বল্প দিতে চাছিলেন। তখন মেঘগণ প্রার্থনা করিলেন, আমরা এই প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করিয়াছি, আপনি এখানে অবস্থান করুন। মহাদেব বলিলেন, আমি এখানে মেঘেশ্বর নামে অবস্থান করিব, ইহার বিমলজল হ্রদও আমার প্রতিপ্রদ ও সৰ্ব্বপাপনাশক হুইবে । ( একাম্রপুরাণ ৩৮ অধ্যায় ) একান্ত্রপুরাণ যাহাই বলুক, এই মেঘেশ্বরমন্দির উৎকলবিজয়ী চোড়গঙ্গের পুত্র রাজরাজের শু্যালক মহাবীর স্বপ্নেশ্বর দেবের কীৰ্ত্তি। মেঘেশ্বরে পূৰ্ব্বে একখানি শিলাফলক ছিল, তাহ এখন অনস্তবামুদের মন্দিরে ভবদেব ভট্টের প্রশস্তির পার্শ্বে রক্ষিত আছে। জেনারল র্যাট কত্ত্বক উক্ত শিলালিপি স্থানচ্যুত হইয়াছিল এবং মেজর কিটে। কর্তৃক বর্তমান স্থানে সন্নিবেশিত হইয়াছে। এই শিলালিপি হইতে জানা যায় যে, গৌতমগোত্রে রাজপুত্র দ্বারদেব জন্ম গ্রহণ করেন, তৎপুত্র মূলদেব, তৎপুত্র অহিরম, অহিরমের স্বপ্নেশ্বর নামে একপুত্র ও সুরমা নামে এক কন্য। জন্মে। এই সুরমার সঙ্গে চোড়গঙ্গরাজপুত্র রাজরাজদেবের বিবাহ হয়। বিবাহ সম্বন্ধে স্বপ্নেশ্বর গঙ্গরাজসভায় বিশেষ সম্মানিত ছিলেন। এই স্বপ্নেশ্বর দেবই বর্তমান মেঘেশ্বরের মুন্দর মন্দিরটা নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। এই মন্দিরের পাশ্বে যে মেঘকুণ্ড আছে, তাহাও স্বপ্নেশ্বরের যত্নে প্রস্তুত হইয়াছে। আপ্লেশ্বরের ভগিনীপতি রাজরাজ খৃষ্টীয় ১১ শতাকে বিদ্যমান ছিলেন, সেই সময় মন্দিরের যেরূপ শোভ ছিল, এখন তাহ। নষ্ট হইয়াছে, যাহা আছে, তাহাও দেখিবার জিনিস সন্দেহ নাই । ৯ মুক্তেস্বর । রাজারাণী-দেউলের ৬•• হাত দূরে একটা আম্রবন ছিল, এবং এখানে কয়েকজন সিদ্ধ বাস করিতেন, তজন্তু এইস্থান সিদ্ধারণ্যনামে খ্যাত হয়। এখানে স্বভাবজ বহু শীতল প্রস্রবণ রহিয়াছে। কাজেই এমন মনোরম স্থানে শ্রেষ্ঠ দেবালয় কেন ন নিৰ্ম্মিত হইবে ? এমন স্বয়ম্য নির্জন স্থানে কে না থাকিতে চাহে ? তাই দেখিতে পাই,

  • মশিয় ও শিলালিপি সম্বন্ধে বিরত বিবরণ Journal of Asiatic

Soceity of Bengal, Vol, LXVI. pp. 11-22 qui rèv উৎকলের ভূপতিগণ বিভিন্ন সময়ে এখানে মুক্তেশ্বর, কেদারেশ্বর, সিদ্ধেশ্বর ও পরশুরামেশ্বর প্রভৃতি সোঁধাবলী প্রতিষ্ঠা করিয়া চিরস্থায়ি কীৰ্ত্তি রাখিয়া গিয়াছেন। এখানে যতগুলি দেবালয় আছে, তন্মধ্যে মুক্তেশ্বর বা মুক্তীশ্বর ভুলি বার নহে। উৎকল শিল্পিগণ এই মন্দিরে তাহদের গুণ পণার চরম দেখাইয়া গিয়াছে। মন্দিরের সে পুৰ্ব্ব দৃপ্ত আর নাই বটে, এখন অস্পষ্ট, বর্ণহীন ও অঙ্গহীন হইয়াছে, তথাপি এখনও অতি সুন্দর বিগত শিল্পনৈপুণ্যের মধ্যাদাপরিচায়ক। দেউল সবে মাত্র ৩৫ ফিটু উচ্চ ও মোহন ২৫ ফিট মাত্র, মোহনের সম্মুখে তোরণ ১৫ ফিট উচ্চ, কিন্তু বিভিন্ন অংশের রচনাবিদ্যাস, স্থান-নিৰ্ব্বাচন ও পরিমাণ-পারিপাট্য দেখিলে শিল্পীর অসাধারণ কৌশলের পরিচয় পাওয়া যায়, যেখানে যেটা সাজে, সেখানে সেটা সন্নিবিষ্ট, যেখানে যেটা রাখিলে সকলের নয়ন মন আকর্ষণ করিতে পারে, শিল্পী যেন দৈবশক্তিপ্রভাবে পাথর লহয়। সেই থেল থেলিয়াছেন ! কি সাজের বাহার—কোথায় স্তবকে স্তবকে পুষ্পগুচ্ছ, কোথায় সুসজ্জিত ও মুনিয়মিত নরনারী-মূৰ্ত্তি, কোথাও গজবাসিনী দেবীমূৰ্ত্তি আসিবৰ্ম্মাবৃত অমুর-বিনাশে উষ্ঠতা, কোথাও ভগবতা অন্নপূর্ণ ভোলানাথকে অন্ধভিক্ষাদানে নিরতা, কোথাও পঞ্চাশরা ভুজঙ্গের চক্রতলে অদ্ধসপাকৃতি রমণী, কোথাও সিংহ গজের উপর, আবার কোথাও সিংহসহ গজের যুদ্ধ, কোথাও গজগুওে সিংহ আবদ্ধ ;–নৰ্ত্তকীগণের "ার হাবভাবযুক্ত নানাদৃগু,—কেহ নাচিতেছে, কেহ বা মৃদঙ্গ, বীণা অথবা তমুর বাজাইতেছে,—কেহ প্রেমাবেশে প্রিয়তমকে আলিঙ্গন করিতেছে ;–কোন বলিষ্ঠ রাক্ষসমূৰ্ত্তি ভার বহিতেছে, সিদ্ধর্ষিগণ শিবপুজায় নিযুক্ত আছেন, গুরু শিষ্ণুকে উপদেশ দিতেছেন, কেহ বা চৌপায়ায় রক্ষিত পুথি পড়িতেছে, ছত্রতলে যেন কোন নারী দাড়াইয়া রহিয়াছে, কোন নারী আবার দ্বারদেশে শুকপার্থী হাতে করিয়া আছে, কোন রমণী বৃক্ষতলে, কেহবা কুশ্নের উপর শোভা পাইতেছে। রমণীগণের কেশ পাশেরই কত বাহার ! মাথারই বা কত অপরূপ সাজ ;–ফুলের সাজ, লতাপাতার কাজ, ঝাড়ের কাজ কি সুন্দর ! কি বলিব, কি লিখিব ! বাস্তবিক মন্দিরের শিল্পনৈপুণ্য লেখনী দ্বারা ব্যক্ত করা অসম্ভব, ধে দেখিয়াছে, সেই জানিয়াছে, সেই ভুলিয়াছে, উৎকলশিল্পের সহস্র ধন্তবাম্ব না করিয়া দ্রষ্টা কথন ফিরিতে পারেন না। এত কারিগরী, এত শিল্পচাতুৰ্য্য, সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতিও যেন অমুকুল। মন্দির মধ্যে যেখানে যেখানে জল থাকিলে ভাল হয়, সেই সেই স্থানেই স্বভাবজাত প্রস্রবণ শিল্পীর কৌশলে গৃহায়তনের