পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৪৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনেশ্বর [ 8૧૭ ] ভুবনেশ্বর মন্দির নিৰ্ম্মাণ করেন । কিন্তু আমাদের বিশ্বাস যে, ভুবনেশ্বর মন্দিরাভ্যস্তরস্থ শিলাফলকোঙ্ক রাজা ভীমদেব কর্তৃক সম্ভবতঃ এট তীমেশ্বর মন্দির স্থাপিত হইয়া থাকিবে। উক্ত স্থানের উত্তরপশ্চিমে অৰ্দ্ধমাইল দূরে রামাশ্রম অশোকবন দৃষ্ট হয়। এখানে একসময়ে কোন কেশরীরাজের প্রাসাদ ছিল, তাছায়ই নিকট রামেশ্বল্প-মন্দির ও অশোকতীর্থ। অশোকতীর্থের চারিধারেও অনেক দেবালয় আছে, তন্মধ্যে রাম, লক্ষ্মণ, সীতা, ভরত, হনুমান প্রভৃতির ক্ষুদ্র মন্দিরও দেখা যায়। ইহারই অনতিদূরে গোসহস্রন্থদ ও তাহার তীরে গোসহস্রেশ্বর মন্দির। একাম্রপুরাণমতে, এখানে ভগবতী গোচারণকালে লিঙ্গের উপর গোক্ষীর নিঃসারিত হইতে দেখিয়াছিলেন। গোসহস্ৰেশ্বরের উত্তরপূর্কে ঈশানেশ্বর, তৎপরে যথাক্রমে ভদ্ৰেশ্বর, কুকুটেশ্বর, পরমেশ্বর,পূৰ্ব্বেশ্বর, স্বর্ণকুটেশ্বর, বৈষ্মনাথ, হুঙ্কাম্রাভকেশ্বর, রুদ্রেশ্বর, বালকেশ্বর বা ডেকৃর ভীমেশ্বর, উৎপলেশ্বর, জটিলেশ্বর, অাম্রাতকেশ্বর, বৈতাল দেউল প্রভৃতি ক্ষুদ্র বৃহৎ কতকগুলি শিবালয় আছে। এতন্মধ্যে বৈতাল দেউলের গঠনের কিছু বিশেষত্ব আছে, ইহার চুড়া চারিকোণী, উপরে তিনটা কলস, দূর হইতে দেখিলে অনেকটা দাক্ষিণাত্যের গোপুর বলিয়া মনে হয়। মন্দিরে যথেষ্ট কারুকার্য্য ও শিল্পনৈপুণ্য দেখা যায় । সোমেশ্বয় । বৈতাল দেউলের প্রায় ১• • • হাত দক্ষিণে সোমেশ্বরের মন্দির। এই দেবায়তন দেখিলেই মল বিমুগ্ধ হয়—ইছার সৌন্দৰ্য্য ও শিল্পনৈপুণ্য কোন কোন অংশে মুক্তেশ্বরের সহিত তুলনা করা যাইতে পারে। এই মন্দির উচ্চে ৩৩ ফিট্‌ মাত্র, ইহার মোহন দৈর্ঘ্যে প্রস্থে ৩৩ × ২৭ ফিট্। ইহারই পাশ্বে বউলমাল পাথরে গাথা একটা বৃহৎ সরোবর আছে, ইহার মাম পাপনাশিনী। প্রথমাষ্টমীর সময় এখানে ভুবনেশ্বরের সচলমূৰ্ত্তি আনীত হয়। সায়ী দেউল । মহামন্দিরের উত্তরে এবং বড়াদও ও বিজুলাগয় যাইবার রাস্তার ধারে ৰহ মন্দির আছে, তন্মধ্যে লাষ্ট্ৰী দেউল উল্লেখযোগ্য। এই দেউল উচ্চে ৬৩ ফিট । মন্দিরের ভিত্তি প্রায় ২৬ ফিটু চওড়া, গৃহের ভিতর ১২ × ১১ ফিট। মন্দির ও মোহমে ষথেষ্ট শিল্পনৈপুণ্য আছে। ইহার সাজের কিছু বিশেঘত্ব আছে। ভুবনেশ্বরের আর কোন মন্দিরে এরূপ দেখা যায় না । ধারী, খিলান ও পোস্তার মাথায় বহৰিধ চিত্রিত পাত্র দেখা যায়। দেখিলেই যেন প্রাচীন গ্ৰীক ও রোমকদ্বিগের চিত্ৰপাত্র বলিয়া মনে হয়। কপিলেশ্বর । মহামন্দিরের সন্মুখ দিয়া একটি রাস্ত উত্তরে বড়াদও হুহয়। ইহার আধ ক্রোশ দক্ষিণে গিয়া কপিলেশ্বর গ্রামে মিলিত হইয়াছে । এই গ্রামে বহুসংখ্যক ব্রাহ্মণের বাস ; বাস গৃহগুলি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সুচিত্রিত । এষ্ট গ্রামের শেষ সীমায় কপিলেশ্বরের প্রসিদ্ধ মন্দির প্রতিষ্ঠিত। ইহার চত্বর ১৭৮ x ১৭২ ফিটু, ত;হার চারিদিকে ৮ ফিটু উচ্চ দুৰ্ভেদ্য পাথরের প্রাচীর । মধ্যস্থলে মোহম, নাটমন্দির ও ভোগমওপযুক্ত দেউল । দেউল ৪৬ ফিটু উচ্চ, বউলমাল। পাথরে নিৰ্ম্মিত । সমস্ত মন্দিরেই সাদাসিদা শিল্পনৈপুণ্য দেখ। যায়। . দেখিলেই লিঙ্গরাজের মহামন্দির অপেক্ষা পুরাতন বলিয়া বোধ হয় । ইহার নাটমন্দির ও ভোগমণ্ডপ মূলমন্দির ও মোহনের অনেক পরে নিৰ্ম্মিত হয় ভোগমওপে সুন্দর নানা রঙের মণ্ডোদক চিত্র দেখা যায়। মন্দিরের দক্ষিণ-প্রবেশদ্বারের নীচে একটা বৃহৎ সরোবর আছে। সরোবরের মধ্যে চিরস্থায়ী একটা প্রস্রবণ রহিয়াছে। তজ্জন্ত জলও অতি পরিষ্কার। ইহার জল গ্রামের লোকেরা পান করিয়া থাকে। শিবপুরাণ, একাম্রপুরাণ, কপিলসংহিতা, স্বর্ণাদ্রিমহোদয় ও একাম্রচন্ত্রিকায় ইহার মাহাত্ম্য বর্ণিত আছে । বহুধাত্রী এই কপিলেশ্বর দর্শনে আসিয়া থাকে । ইহার নিত্য সেবাদি ভুবনেশ্বরেরই মত। जिल्लग्न छ । - অপরাপর শিবলিঙ্গের ন্যায় লিঙ্গরাজেরও পত্র, পুষ্প, ভাঙ্গ, দুগ্ধ, জল প্রভৃতি দ্বারা পূজা হয়। তবে জগন্নাথের দ্যায় ইহারও নিত্য অন্নভোগের বন্দোবস্ত আছে। অন্য স্থানের শিবনিৰ্ম্মাল্য অগ্রাহ, কিন্তু ভুবনেশ্বরের নিৰ্ম্মাল্য কখনও কেহ পরিত্যাগ করে না, যাত্রিমাত্রেই পরম ভক্তির সহিত গ্রহণ করিয়া ,াকে। যেমন জগন্নাথের অল্পভোগ আচণ্ডাল ব্ৰাহ্মণ সকলে একত্র বসিয়া আহার করিতে পারে, লিঙ্গরাজের ভোগও সেইরূপ ব্রাহ্মণ শূদ্র সকল জাতিকেই একত্র ভোজন করিতে দেখা যায়। নীচজাক্তি-পৃষ্ট হইলেও লিঙ্গরাজেক্স ভোগ কখন অপবিত্র হয় না নিত্যসেবা ব্যতীত লিঙ্গরাজের দ্বাদশ ধাত্রা ও উপধাত্র। হইয়া থাকে। प्रांनर्ण बॉजी शष-४भ बांशै*ौरईब्र कृश*-छग्रांडेभैौष्ठ প্রথমাষ্টমা যাত্রী, ২য় ঐ মাসের শুক্লাষষ্ঠীতে প্রাবরণোৎসব, ৩ পৌষ-পূর্ণিমার পুষ্যৰাত্র, ও মকর-সংক্রাস্তিতে স্বত্তকম্বলযাত্রা, ৫ মাধসপ্তমী-যাত্র, ও শিবরাজি, ৭ চৈত্রমাসে অশোকা১মী, ৮ চৈত্রমাসের গুরু। চতুর্দশীতে দমনতঞ্জিকা, ১ বৈশাখ