ভূ ইয়া [ 8-- ] ভূইয়। করিয়া থাকে। এতভিয় খাজাখিজর ও পীর বদরের পূজা তাহাদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। আষাঢ় মাসের অম্বুবাচীর তিন দিন তাহারা ভূমিকৰ্ষণাদি করে না। উচ্চশ্রেণীর হিন্দুগণের ক্রিয়াকলাপাদি অনুসরণ করিয়া শূদ্ৰশ্রেণী বলিয়া পরিচিত হইতে চেষ্টা পাইলেও,তাহারা এখনও গ্রামের ভিতর থাকিতে পায় না। এখনও তাহারা জাতিগত নীচবৃত্তি লইয়া জীবন ধারণ করিতেছে। অন্যান্ত নিম্নশ্রেণীর স্তায় । এখন তাহারা পূকরভোজন ত্যাগ করিয়াছে। ২• বৎসর পূর্কে তাছার চওtলদিগের সহিত একত্র বসিয়া ভোজন করিত, কিন্তু এখন উচ্চ-সমাজে মিলিত হইবার আশায় তাহারা তাহাদের সাহচৰ্য্য পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছে। ভূইয়া, স্বনামখ্যাত ভারতবাসী জাতিবিশেষ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই ভূইয়া’ শব্দ জাতিবাচক কিনা, তৰিষয়ে জাতিতত্ত্ববিদগণের মধ্যে আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছে। পূৰ্ব্বে আসাম হইতে পশ্চিমে রাজপুতান এবং উত্তরে উত্তরপশ্চিমপ্রদেশ হইতে দক্ষিণে মাম্রাজ পৰ্যন্ত বিস্তাৰ্ণ ভূভাগে ভূহয়। নামধেয় শ্রেণীবিশেষের বাস আছে । উহাদের সকলের মধ্যেই যে অনাৰ্য্যরক্ত প্রবাহিত এরূপ নহে। রাজপুতানার ভূইয়া (ভূমির)গণ রাজপুত, বেহারের ভূইয়া (ভূমীহার)গণ বাভন এবং পূর্ববঙ্গ ও আসামের ভূইয়া (বার স্থা গণের মধ্যে মুসলমান ও হিন্দুজাতির সমাবেশ থাকায় তাহারা অনুমান করেন যে, এই ভূহয়। শঙ্গ জাতিগত না হইয়া বরং ব্যক্তিগত ছিল। যে সকল ব্যক্তি পুৰ্ব্বকালে স্থানবিশেষে মাসিয়। বন কাটিয়া বসতি করিয়াছে, তাহারা স্থানীয় জমিদার রাজার নিকট সেই ভমির সত্ত্ব লাভ করিয়া ভূইয়া নামে আখ্যাত হইয়াছিল। এখনও আসামের অনেক ভূম্যধিকারী ভূইয়। উপাধি রক্ষা করিয়া আসিতেছে। এইরূপে গাঙ্গপুর ও বোনাই সামন্তরাজ্যে, ছোটনাগপুর ও মানভূমে, কেউঝরে এবং লোহারডাগার মুওাঁ, ওরাও{ প্রভৃতি অনাৰ্য্যজাতির মধ্যেও ভূমিজ বা ভূইয়া উপাধি দৃষ্ট হয়। প্রবাদ, বর্তমান ভূইয়া নামধেয় অনাৰ্য্যজাতির পুক পুরুষগণ এখানে আসিয়া সৰ্ব্ব প্রথমে বসবাস করে। যাহারা সেই সময়ে বঙ্গবিভাগ পরিষ্কার করি। সেই ভূমি বন্দোবন্ত করিয়া লইয়াছিল, তাহারাই সম্ভবতঃ ভূমিহার, ভূইয়ার বা ভূইয়। আখ্যালাভ করিয়াছে। ক্রমে একস্থানে বাসনিবন্ধন এই শ্রেণীভুক্ত ব্যক্তিগণ এরূপ একটা স্বতন্ত্র আখ্যায় অভিহিত হইয়। আলিতেছে। দ্রাবিড়-শাখাভূক্ত ষে অনাৰ্য্য-সম্প্রদায় এইরূপে একত্র বসবাস করিয়াছে,তাহারাও কালে স্থইর নামধারী জাতিরূপে গণ্য হয়। হিন্দু, মুসলমান প্রভৃতি জাতি বা বংশের উপাধিধারী ভূহুয়াদিগকে ছাড়িয়া ছোটনাগপুর-অধিত্যকার দক্ষিণস্থ গাঙ্গপুর, বোনাই, কেউঝর ও বামুড়া প্রভৃতি সামন্তরাজ্যবাসী ভূইয়াদিগের জাতিতৰ আলোচনা করিলে, শেষোক্তদিগকেই প্রকৃতপক্ষে ভূহয়। জাতি বল যায়। সিংহভূম, হাজারিবাগ ও দক্ষিণবেহারে মুসাহারনামক ভূইয়াদিগের প্রতিপত্তি দেখা যায়। মাজাপুরবাধা ভূইয়াগণের উৎপত্তিলম্বন্ধে এইরূপ একটা কিংবদন্তী প্রচলিত আছে –মোম ও কুপ্তনামক ঋষিদ্বয়ের যথাক্রমে ভদ্র ও মহেশ নামে দুই পুত্র ছিল। তন্মধ্যে ভদ্র মগধের বিজন অরণ্যে গমন করিয়া তপশ্চৰ্য্যায় নিযুক্ত হন। মহেশ্বও তাহার সেবার জন্ত বনগমন করেন। প্রত্যহ মহেশ বনমধ্যে গমনপূৰ্ব্বক ফলমূল আহরণ করিতেন। অন্ধেক আপনি ভক্ষণ করিয়া অপরাদ্ধ ভ্ৰাতৃসেবার্থ রাখিয়া দিতেন। যে নিম্বতরুমূলে ভদ্র ধ্যানে নিরত হইয়াছিলেন, একদা তিনি ক্ষুধাবশে তাহারই ছাল ভক্ষণ করিলেন। তদবধি তিনি নিম্বঋষি নামে খ্যাত হন । এইরূপ কঠোর তপশ্চৰ্য্যায় দ্বাদশবর্ষ কাল অতিবাহিত হইলে, ভগবান জাহাকে ছলন করিবার জন্য জনৈক স্বৰ্গ-বিদ্যাধরীকে প্রেরণ করেন। নিম্বঋষি তাহার সেবা ও রূপদৰ্শনে কামাভিভূত হইয় তাহার সহবাস করিলেন। এই সংযোগফলে তাহার সাত পুত্র হয়। ঐ সাত পুত্রের বংশ হইতে মগহিয়া, তীরবাহ, দণ্ডবার, ধেলবার, মুসাহার, ভূইহার বা ভূইয়ার জাতির উৎপত্তি হয়। উক্ত ঋষি হইতে উৎপত্তি হইয়াছিল বলিয়া ভুহয়াগণ আপনাদিগকে ঋষিরানু ভূইয়া নামে অভিহিত করিয়া থাকে। মীর্জাপুরী-ভুঁইয়াগণ মুলাহার ও ভূমিছারদিগের সহিত আপনাদের আত্মীয়তা স্বাকার করে ; কিন্তু ছোটনাগপুরে ভূইয়াদিগের সহিত কোন সম্পর্ক আছে বলিয়া স্বীকার করে না। শেষোক্ত স্থানের ভূইয়াগণ শম্বুক হইতে আপনাদের উৎপত্তি কল্পনা করে এবং কোন কোন স্থানের ভূইয়াগণ কোল, সাঁওতাল বা খাসিয়া জাতির স্থায় আপনাদের উৎপত্তি-কাহিনী প্রকাশ করিয়া থাকে। গাজপুর ও বোনাইবাসী ভূইয়াগণ ঘোর কৃষ্ণবর্ণ, বলিষ্ঠ, সুগঠিত, মধ্যমাকৃতি ও কৰ্ম্মঠ। অতিশয় পরিশ্রমেও তাহারা কাতর হয় না। তাহাদের চতুরস্ৰ মুখাকৃতি, নাসা, গণ্ডাস্থি, হষ্ণু, দন্ত ও চিবুকাস্থি লক্ষ্য করিলে সমতলবাসী বলিয়াই अकूभिङ इब्र । श्रावांब्र cर्केऊँकड्रदांगैौ *ांकर्तष्ठौब्र ভূইয়াগণের আকৃতি অনেকাংশে তুরাগীরবৎ। তাছাদের প্রশস্ত মুখ, পুষ্ট অধরোষ্ট, ক্ষুদ্র কপাল ও চক্ষু প্রভৃতি হইতে তাহার বিশেষ
পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৪৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।