ভূমিকম্প [ cos ) ভূমিকম্প ৰিচালিত করে। ভূমিকম্পের পর তৃতীয়, চতুর্থ ও সপ্তমদিনে কিম্বা মাসে বা পক্ষে অথবা ত্রিপক্ষে যদি পুনৰ্ব্বার ভূমিকম্প হয়, তাহ হইলে প্রধান রাজার বিনাশ হয়। (বৃহৎস• ৩২ অ• ) বরাহমিহির আরও বলিয়াছেন “উৰু হরিশ্চন্ত্রপুরং রজশ্চ নির্বাতভূকম্পককুপূগ্ৰদাহা ॥ বাতোহুতিচওে গ্রহণং রবীন্থো নক্ষত্ৰতারাগণবৈকৃতানি ॥” (৩২২৪ ) উৰণ, গন্ধৰ্ব্বপুর, রঙ্গ, নির্ঘাত, ভূকম্প, দিগদাহ, প্রচও বায়ু এবং স্বৰ্য্যচক্সের গ্রহণ নক্ষত্র ও তারাগণের বিকৃতির কারণ ঘটিয়া থাকে। ভূমিকম্প সম্বন্ধে এইরূপ প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, বাস্থকি নিজ সহস্ৰ ফণার উপরি পৃথিবীকে ধারণ করিয়া আছেন, যখন কোন ফণায় বিশ্রাম করিবার আবগুক হয়, তখন তিনি ঐ ফণা অবনমিত করেন, তাহাতে ভূমিকম্প হয়। এক সময়ে সকল দেশে ভূমিকম্প হয় না, তাহার কারণ, যে ফণা তিনি অবনমিত করেন, ঐ ফশাস্থিত দেশসমূহও কম্পিত হয়, অন্যস্থল কম্পিত হয় না। এই প্রবাদের সত্যতা সম্বন্ধে কোন শাস্ত্রীয় প্রমাণ
- ां७ग्नीं यग्नि नl । অদ্ভুতসাগরে ভূকম্প সম্বন্ধে লিখিত আছে,—
“মেয়ে বৃশ্চিকভে গজঃ প্রচলতি ব্যাসাদিভিঃ কথ্যতে চাপে মীনকুলারভে চ বৃষভে সত্যং চলেং কচ্ছপ । যুকে কুম্ভধরে মৃগেন্দ্রমিথুনে কস্তাযুগে পরগস্তেষামেকতমো যদি প্রচলতি ক্ষেীণী তদা কম্পতে ॥” মেষ ও বৃশ্চিক রাশিতে গজ প্রচলিত হয়, এবং ধতু, মীন, কর্কট, ও বৃষ রাশিতে কচ্ছপ, ভুল, কুম্ভ, সিংহ, মিথুন, কন্য ও মকর রাশিতে পল্লগ প্রচলিত হয়, এই গঙ্গাদি প্রচলিত হওয়ার জন্ত ভূমিকম্প উপস্থিত হয়। বাসা ভূমিকম্পের এইরূপ কারণ নির্দেশ করিয়াছেন। কচ্ছপ ও পল্লগ প্রচলিত হইয়া যে সময়ে ভূমিকম্প হয়, সেই সময় অতিশয় মড়ক, এবং পল্লগ প্রচলিত হইয়া ভূকম্পে নানাবিধ মুখস্বচ্ছন্দও হইয়। থাকে । “কচ্ছপে মরশং জ্ঞেয়ং মরণঞ্চাপি পল্লগে । সৰ্ব্বত্র মুখদঞ্চৈব পৃথিব্যাং চলিতে গজে ॥” (জ্যোতিস্তত্ব ) বর্তমান বৈজ্ঞানিক ও ভূতত্ত্ববিদগণের মধ্যেও মতভেদ দৃষ্ট হয়। অনেকেই ভূগর্ভের স্থানবিশেষের স্বাভাবিক কম্পনকেই ভূমিকম্প বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। অনেকের মতে আগ্নেয়গিরির সংস্রবই ভূমিকম্পের মুলকারণ। ষে কারণে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়, সেইরূপ জাভান্তরিক কারণেই ভূমিকম্প ঘটে। যেমন একটা বৃহৎ লৌহখণ্ডের এক দিকে ভারী হাতুড়ি দ্বারা সজোরে আঘাত করিলে লৌহের আঘাতিত অংশ হইতে অপরদিক্ পর্য্যন্ত স্পন্ন উৎপন্ন হয়, সেইরূপ নিরেটপূর্থা হইতেও আণবিক স্রোত বা স্পন্ন উৎপন্ন হইয়া ভূমিকে প্রকম্পিত করে। ভূগর্তের বহুনিয়ে কম্পনজনিত শিলোচ্চয়ের ঘর্ষণে পৃথিবীর যে যে স্থল কঁাপিয় উঠে, সেই সেই স্থলেই অল্লাধিক ভূকম্প অনুভূত হয়। কোন কোন ভূতত্ত্ববিদের বিশ্বাস, সচল পৃথিবীতে নিত্য আণবিকম্রোত বহিতেছে,সে ক্ষীণ স্পন্দন সামান্ততঃ ইঙ্গিয় দ্বারা অনুভূত হইবার নহে। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রসাহায্যে তাহার কতকটা স্থির হইয়াছে, কিন্তু সেই সামান্ত ম্পন্ন কোন সময়ে ভাষণ ভূমিকম্পে পরিণত হইবে, তাহ যুরোপীয় বৈজ্ঞানিকগণ বহুচেষ্টাতে এখনও স্থির করিতে পারেন নাই। তবে অনেকে এই স্থির করিয়াছেন,ভূগর্ভস্থ স্থিতিস্থাপক বাম্পরাশি আভ্যন্তরিক বহুব্যাপী তাপের সাহচর্য্যে সশব্দে বিক্ষিপ্ত হইয়। অনেক সময়ে ভূমিকম্পের স্বষ্টি করে। প্রতিবর্ষেই ১৯১২ বার পৃথিবীর নানা স্থানে ভূকম্পের কথা শুনা যায়। কোন কোন স্থানে এইরূপ অনর্থকর কম্পনে কতশত গ্রাম ও নগর বিধ্বস্ত হইয়াছে, কতশত প্রাণী অকালে কালক বলে পতিত হইয়াছে, সে সকল কথা ভাবিলেও শরীর লোমাঞ্চিত হয়। ভূমিকম্পের তালিকা আলোচনা করিলে জানা যাইবে, এসিয়ার পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণঅংশেই ভূকম্পের প্রভাব কিছু বেশী । কাপ্তেন স্মিথ সাহেব গণনা করিয়া লিখিয়াছেন যে,১৮• ০ হইতে ১৮৪২ খৃষ্টাব্দ অর্থাৎ ৪২ বর্ষমধ্যে ঐ অংশে ১৬২টা উল্লেখযোগ্য ভূমিকম্প ঘটিয়াছে, এই সকল ভূমিকম্প গাঙ্গেয় বদ্বীপেই বেশী অনুভূত হইয়াছিল। পারস্তের রাজচিকিৎসক থলজান আরব্য ও পারস্ত ইতিহাস হইতে খৃষ্টীয় ৭ম হইতে ১৭শ শতাদের মধ্যে যে সকল ভূকম্প ঘটিয়াছে, তাহার তালিকা সংগ্ৰহ করিয়াছেন। তিনি দেখাইয়াছেন, ঐ সময়ের মধ্যে ১১১ বার লোকক্ষয়কর ভাষণ ভূমিকম্প হইয়া গিয়াছে, তাহাতে কেবল ঘর, বাড়ী ভূমিসাং হইয়াছে, এমন নহে, বহুজনাকীর্ণ শত শত নগর অধিবাসীসহ বিধবন্ত হইয়াছে। এক এক স্থানে ভূমিকম্প কেবল একবার হইয়া স্থির হয় নাই। ৬৪৪ খৃষ্টাব্দে খোরাসানে এইরূপ বহুদিনব্যাপী মছ৷ ভূমিকম্প হইয়। গিয়াছে। এই সকল ভূকম্পের পূৰ্ব্বে আকাশ যেন এক বিশেষ ভাৰ ধারণ করিত, প্রচও বায়ু বহিত, ঘূর্ণবাতাসও প্রবলবেগে প্রবাহিত হইত। ৭ম হইতে ১৭শ শতাদের মধ্যে পারস্যেও এরূপ ৫২ বার ভূকম্পূের উল্লেখ পাওয়া যায়। তন্মধ্যে পারস্তের সছিত সিরীয়া, ক্ষেলোপটেমিয়া, ইজিপ