ভোজরাজ মুঞ্জ আনন্দাশ্র বিসর্জন করিলেন। বৃদ্ধ মুঞ্জ আর সিংহাসনে বসিলেন না, ভোজকে রাজ্যভার দিয়া সন্ত্রীক বনগমন করিলেন । ( ভোজপ্রবন্ধ ) প্রবন্ধসমূহে মুঞ্জের পরই তাহার ভ্রাতৃপুত্র ভোজের রাজ্যগ্রহণের কথা থাকিলেও ইহা প্রকৃত বা সম্ভবপর বলিয়া বোধ হয় না। কারণ পদ্মগুপ্তের নবসাহসান্ধচরিতে যে সকল সাময়িক ঘটনার উল্লেখ আছে, প্রবন্ধে তাহার शिनौठ । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, কবি পদ্মগুপ্ত মুঞ্জ-বাকৃপতি ও র্তাহার অম্বুজ সিন্ধুরাজের সভা উজ্জল করিয়াছিলেন। এই কবি লিথিয়াছেন, বাকৃপতি পৃথিবীভার সিন্ধুরাজের বাহতে স্তন্ত করিয়া অম্বিকাপুরে গমন করিয়াছিলেন । ( ১১৯৮) সিন্ধুরাজ কোশলাধিপ, বাগড়, লাট ও মুরলদিগকে জয় করিয়াছিলেন। (১০১৪-২১) এতদ্ব্যতীত তিনি নৰ্ম্মদার ৫৫ গকৃতি দূরে অবস্থিত রত্নবতা নামক স্থানে বজাম্বুশকে বধ করিয়া স্বর্ণপদ্মসহ নাগরাজকন্ত। শশিপ্রভাকে লাভ করিয়াছিলেন। উদেপুরপ্রশস্তিতেও বর্ণিত রহিয়াছে যে, সিন্ধুরাজ হুণরাজকে পরাজয় করিয়াছিলেন । সিন্ধুরাজের অগ্রজ মুঞ্জ-বাকৃপতির কিরূপে মৃত্যু হইল ও কোন সময় সিন্ধুরাজ রাজা হইলেন, সে কথা পদ্মগুপ্ত কর্তৃক অথবা কোন প্রশস্তিতে বর্ণিত হয় নাই। মেরুভুজ লিখিয়াছেন যে, প্রধান অমাত্য রুদ্রাদিত্যের পরামর্শে বাক্পতিরাজ তৈলপের রাজ্যজয়ার্থ যুদ্ধযাত্রা করেন। গোদাবরী উত্তীর্ণ হইয়া তৈলপের রাজ্যসীমান্ন উপস্থিত হইলে তিনি তৈলপের হস্তে পরাজিত ও বন্দী হন। বছনি কারাবাসের পর তিনি পলায়নের চেষ্টা করিলে ধৃত ও নিহত হন। চালুক্যরাজ ২য় তৈলপের শিলালিপিতেও মুঞ্জ-বাকৃপতির পরাজয় কথা বিঘোষিত হইয়াছে। অমিতগতির গুজ্ঞাসিতরত্নসন্দোহগ্রন্থের উপসংহারে লিখিত আছে, ১৯৫১ ৰিক্রমসংবতে =৯৯৩-৯৪ খৃষ্টাব্দে ) মুজের রাজত্বকালে উক্ত গ্ৰন্থ রচিত হয়। এদিকে চালুক্যবংশপরিচয় হইতে জানা যায় যে, ২য় তৈলপ ৯১৯ শকাব্দে ( ৯৯৭-৯৮ খৃষ্টাব্দে ) ইহলোক পরিত্যাগ করেন। এরূপ স্থলে ৯৯৪ হইতে ৯৯৭ খৃষ্টাব্দের মধ্যে মুঞ্জ-বাকৃপতির নিধন ও সিন্ধুরাজের সিংহাসনারোহণকাল অবধারিত হইতে পারে। সিন্ধুরাজের পরাক্রম ও বহুস্থান জয়ের বিবরণ পাঠ করিলে, অন্ততঃ ৭৮ বর্ষকাল তাহার রাজত্ব চলিয়াছিল বলা ঘাইতে পারে। কৰিবর পদ্মগুপ্ত সিন্ধুরাজের পরাক্রম ও রাজ্যসমৃদ্ধির षट्षष्ठे *द्भिज्झ निष्ण७ एठ९शूढ cखोष्णब्रारबब्र मtषघैौ *ीर्थाख [ (సెతి l ভোজরাজ উল্লেখ করেন নাই, ইহার কারণ কি ? অধিক সম্ভব, তখনও ভোজরাজের জন্ম হয় নাই, অথবা তিনি অতি বালক ছিলেন বলিয়া তাহার নামোল্লেখের প্রয়োজন মনে করেন নাই। উদেপুরপ্রশস্তিতে ভোজের শৌর্য্য, বীৰ্য্য, প্রতাপ ও বিদ্যা বত্তার পরিচয় আছে। এই প্রশস্তিতে ঘোষিত হইয়াছে,— ‘কবিরাজ প্রভোজের আর কি প্রশংসা করিব ? তিনি যাহ। সাধন করিয়াছেন, যাহা বিধান করিয়াছেন, যাহা লিখিয়াছেন, বা তিনি যাহা জানেন, অন্য কোন লোকের যে তাহ নাই । চেদিরাজ ইস্ত্ররথ, তোগগল ও ভীমপ্রমুখ কর্ণাট, লাট, গুর্জরপতি ও তুরুক্ষগণ র্যাহার ভূত্যের নিকট পরাজিত হইয়াছিল, যাহার মৌলপুরগণ নিজ নিজ বাহুবলই ধারণা করিত, যোদ্ধাগণের সংখ্যা কথন মনেও ভাবিত না । কেদার, রামেশ্বর, সোমনাথ, মুণ্ডার, কাল, অনল ও রুদ্র প্রভৃতির দেবালয় স্থাপন করিয়া তিনি জগতে প্রকৃতই ‘জগতী’ নাম রক্ষা করিয়াছিলেন ।** ভোজরাজ ষে কর্ণাট আক্রমণ করিয়াছিলেন, তাহ কল্যাশের চালুক্যরাজ ৩য় জয়সিংহের ৯৪১ শকে ( ১৯১৯-২• খৃষ্টাব্দে ) উৎকীর্ণ শিলালিপি হইতেও বুঝা যায়। কিন্তু এই শিলালিপিতে ভোজরাজের পরাজয় বিঘোষিত হইয়াছে । প্রায় ১•১১ খৃষ্টাব্দে এই যুদ্ধ ঘটে। গুর্জরপতি চেলুক্যভীমের সহিত (১৯২১-১৯৬৩ খৃঃ অঃ ) ভোজের যুদ্ধকথা প্রবন্ধচিস্তামণিতেও বর্ণিত হইয়াছে। মেরুভূঙ্গ লিখিয়াছেন, ‘যৎকালে ভীম সিন্ধুজয়ে ব্যাপৃত ছিলেন, সেই সময় ভোজ কুলচন্দ্র নামে এক দিগম্বর (জৈন)-কে সসৈন্তে অণহিলবাড়ে পাঠাইয়াছিলেন। রাজধানী শক্রহন্তে পতিত হইল। কুলচন্দ্র জয়পত্র লইয়া মালৰে ফিরিয়া আসিলেন।’ মহাকবি ৰিলহণ "ৰিক্রমাঙ্কদেৰচরিত’ নামক ঐতিহাসিক কাব্যে লিখিয়াছেন, যে ৰিক্রমাঙ্কের পিতা ২য় সোমেশ্বর (রাজ্যকাল ১০৪৩ হইতে ১০৬৮-৬৯ খৃঃ অঃ ) ক্ষিপ্রগতিতে ধারা অধিকার করেন, ভোজ পলায়ন করিতে বাধ্য হন। (১।৯১-৯৪ ) ভোজকন্যা ভানুমতীর সহিত বিক্রমার্কের বিবাহপ্রবাদ প্রচলিত আছে। অনেকে তাহা বিক্রমার্কের পিতার নিকট ভোজরাজের পরাজয়ের পল্প বলিয়া মনে করেন।
- “णाक्षिष्ठं विशिष्ठः श्डश् चाष्ठ: प्ठर् चन्न ८ुनष्ठेि९ ।। किभछ९ कविब्रांजना क्षैरशांजना थभगाrठ ॥ চেনীয়েন্ত্ররথতোস্থগল ভীষমুখ্যান কর্ণাটলাটপতিগুর্জয়রাটভুরুঙ্কান। বস্তৃতামাত্ৰজিতানৰলোক্য মৌল দোকা বলানি কলান্তি নবােলোকান। কেদাররামেস্বরসোমনাখন্ত্রজীয়কালামলক সংজ্ঞকৈ: | জয়শ্রয়ৈৰ্ব্ব্যাপ্য চ ধ: সমদ্ভাবখাৰ্থসংজ্ঞাং জগতীং চকার।"
( উদেপুরপ্রশস্তি ১৮-২• মোক )