বুদ্ধদেব অবিদ্যার शश्रबरुँौं श्रेश উৎপত্তি ও নিরোধ লাভ করিয়াছে। জগতে কিরূপে দুঃখের উৎপত্তি হয় ; তাহা চিন্তা করিয়া বোধি সত্ত্ব বলিলেন, অবিদ্যা হইতে সংস্কার, সংস্কার হইতে বিজ্ঞান, : [ १२ ] বিজ্ঞান হইতে নামরূপ, নামরূপ হইতে বড়ায়তন, যড়ায়তন : হইতে স্পর্শ, স্পর্শ হইতে বেদনা, বেদন হইতে তৃষ্ণ, তৃষ্ণা হইতে উপাদান, উপাদান হইতে ভব, ভব হইতে জাতি ও জাতি হইতে জরামরণ, শোক, পরিদেব, দুঃখ, দৌৰ্ম্মনস্য, উপায়াস ইত্যাদির উৎপত্তি হয় । অবিদ্যা বা অজ্ঞানষ্ট দুঃখের কারণ। তিনি রাত্রির শেষ বামে চিন্তা করিতে লাগিলেন, এই অবিদ্যার কিরূপে নিবৃত্ত্বি হইতে পারে এবং লোক সকল কিরূপে দুঃখ হইতে চিরমুক্তি লাভ করিতে পারে । বহুচিস্তা করিয়া তিনি দুঃখনিবৃত্তির উপায় উদ্ভাবন করিলেন । বোধিসত্ত্ব যে মুহূর্তে জগতের দুঃখসমূহের উৎপত্তি ও নিরোধের কারণ নির্ধারণ করিয়াছিলেন, সেই মুহুর্ত হইতে তিনি ‘বুদ্ধ' এই নাম ধারণ করেন । বুদ্ধত্ব লাভ করিবার পরও এক সপ্তাহকাল তিনি বোধিদ্রুম মূলে অবস্থিতি করিয়াছিলেন । পঞ্চম সপ্তাহে তিনি মুচিলিন । নাগরাজভবনে এবং ৬ষ্ঠ সপ্তাহে অজপালের ভূগ্রোধমূলে অবস্থিতি করেন। সপ্তম সপ্তাহে তথাগত তারায়ণমূলে বিহার করিয়াছিলেন। সেই সময়ে ত্রপুষ ও ভল্লিক নামক দুই বণিক সহোদর বহুলোক সমভিব্যtহারে দক্ষিণাপথ হইতে উত্তরাপথ গমন করিতেছিল। তাহারা অতি ভক্তিসন্ধকারে বুদ্ধকে আছার প্রদান করিয়াছিল। তদনন্তুর তথাগত ধৰ্ম্মচক্র প্রবর্তন করিবার জন্য বারাণসী মহানগরীতে মৃগদাব নামক স্থানে গমন করেন । বারাণসী গমনকালে আজীবক নামক কোন দার্শনিকের সহিত বুদ্ধের সাক্ষাৎকার হয়। উভয়ের মধ্যে নানা আধ্যাত্মিক বিষয়ের কথোপকথন হয়। পরিশেষে আজীবক জিজ্ঞাসা করেন, ছে গৌতম । তুমি কোথায় যাইবে ? বুদ্ধ বলিলেন, “আমি ; বারাণসী গমন করিব । কাশিকাপুরীতে গমন করিয়া সংসারে ও প্রতিহত ধৰ্ম্মচক্র প্রবর্তন করিব ১ তখন অণুজীবক শ্লেষ প্রকাশপূৰ্ব্বক বলিলেন, হে গৌতম ! আমি প্রস্থান করিলাম। : তোমার গন্তব্যপথ এখনও অনেক দুরে আছে । অনস্তর গয়া প্রদেশে সুদৰ্শন নামক নাগরাজ বুদ্ধকে নিমন্ত্রণ করেন। কিয়ৎকাল পরে বুদ্ধ গঙ্গা নদী উত্তীর্ণ হইয়া বারাণসী মহানগরীতে উপস্থিত হন । সেখানে তিনি মহা- , (०) “बाब्राषगै\* शभिषाथि भै। tष कानिकाः शूद्रौ९ ।। १#कज* अवद्धिंtश cनाएकवभठिकठिंडम् ॥" i § বুদ্ধদেব কাশুপ, অশ্বজিৎ, মহানাম ও কৌণ্ডিল্য প্রভৃতি পাঁচজন শিষ্যের নিকট নিৰ্ব্বাণ ধৰ্ম্মের ব্যাখ্যা করেন । এই প্রসঙ্গে বুদ্ধদেব বলিয়ছিলেন,—দুঃখ, দুঃখের উৎপত্তি, দুঃখের নিরোধ এবং দুঃখ নিরোধের উপায় এই চারিটকে আৰ্যসত্য বলে। জন্ম, জরা, ব্যাধি, মরণ, অপ্রিয়সংযোগ এবং প্রিয়বিয়োগ ইত্যাদি সমস্তই দুঃখ শঙ্ক-বাচ্য। সংক্ষেপত: তৃষ্ণাই দুঃখোৎপত্তির কারণ এবং তৃষ্ণার নিবৃত্তিতেই দুঃখের নিবৃত্তি হইয়া থাকে । সম্যগ, 磷, সম্যক সংকল্প, সম্যক্বা, সম্যক্ কৰ্ম্মাস্ত, সম্যগাজীব, সম্যক ব্যায়াম, সম্যক স্মৃতি ও সম্যক্ সমাধি এই আটটকে আৰ্য্যাক্টাঙ্গিক মার্গ বলে এবং ঐ আটটর অবলম্বনেই তুঃখনিবৃত্তির উপায় প্রাপ্ত হওয়া যায়। কিয়ৎকাল পরে ৫৪ জন যুবরাজ ও এক হাজার তীৰ্থিক বুদ্ধের ধৰ্ম্মগ্রহণ করেন । এই তীর্থিকগণ প্রথমে অগ্নির উপাসনা করিতেন । মগধধিপতি মহারাজ বিম্বিসার এই সময়ে বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন। সারিপুত্র ও মোগল্যায়ন এই দুই জন বুদ্ধের সঞ্চ প্রধান শিষ্য ছিলেন । ইহার অগ্রপ্রাবক নামে কথিত ছিলেন । অনন্তর বুদ্ধ কপিলবাস্ত নগরে আহূত হন। র্তাহার পিতা শুদ্ধোদন তাহাকে দেখিয়া অত্যন্ত বিক্ষিত হন। এই সময়ে বুদ্ধের পুত্র রাকুল ও বৈমাত্রেয় ভ্রাতা নন্দ উভয়েই বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন। কিয়ৎকাল পরে বুদ্ধের পিতৃব্যপুত্র অনিরুদ্ধ ? আননা এবং শুালক দেবদত্ত বুদ্ধের প্রবৰ্ত্তিত ধৰ্ম্মমতের আশ্রয় গ্রহণ করেন। বুদ্ধদেব আনন্দকে প্রধান উপস্থায়কের পদে বরণ করেন। অনন্তর বুদ্ধদেব বৈশালীনগরীতে গমন করেন । তথtয় শিষ্যগণকে সংসারের অনিত্যতা-বিষয়ে উপদেশ প্রদান করেন। তদনন্তর তিনি রাজগৃহের সমীপে একটা স্থানে গমন করেন । তথায় তিনি ব্যাধিগ্রস্ত হওয়ায় জীবক নামক সুপ্রসিদ্ধ চিকিৎসক তাহার ঔষধের ব্যবস্থা করেন । রোগমুক্ত হইয়া তিনি অনেক অলৌকিক ঘটনা সম্পন্ন করেন । তাছার অলৌকিক কাৰ্য্য দেখিয়া কুটদন্তু ও শৌলনামক ব্রাহ্মণদ্বয় বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন । কোশলরাজ প্রসেনজিৎও বুদ্ধের ধৰ্ম্মে भैोकिउ झन । এই সময়ে দেবদত্ত, তদানীনস্তন মগধরাজ অজাতশত্রর সহিত মিলিত হইয়া বুদ্ধদেবের প্রাণসংহারের চেষ্টা করেন । পরিশেষে দেবদত্তের চেষ্ট ব্যর্থ হইয়া পড়ে ও অজাতশত্রু বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম ও সঙ্ঘের আশ্রয়গ্ৰহণ করেন । দেবদত্ত সামুষ্ঠিত পাপের ফলভোগের নিমিত্ত নিরত্নগামী হন । 戴 বুদ্ধদেব প্রথমতঃ স্ত্রীলোকদিগকে স্বীয়ধৰ্ম্মে গ্রহণ করিতেন না । তাছার মাতৃৰসা মহাপ্রজাপতির বিশেষ অনুরোধে ও swye
পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।