যুদ্ধদেব . আনন্দের প্রার্থনায় তিনি উক্ত মাতৃত্বলাকে সৰ্ব্বপ্রথমুেদীক্ষিত । করেন। কিয়ৎকাল পরে বুদ্ধের পত্নী যশোধরাও বুদ্ধের ধৰ্ম্মে । প্রবিষ্ট ছম । ক্রমে পাঁচ শত স্ত্রীলোক বুদ্ধের ধৰ্ম্মে প্রবেশ লাভ করে । এইরূপে রৌদ্ধ ভিক্ষুণীসম্প্রদায়ের সৃষ্টি হয়। রাজা বিম্বিসায়ের পত্নী ক্ষেমা বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়া অনেক স্ত্রীলোককে তন্ধৰ্ম্মে আকৃষ্ট করেন । বিশাখানামী বণিক্কদ্যাওঁ । বৌদ্ধসম্প্রদায়ের প্রভূত উন্নতি বিধান করেন । 象 শ্রাবস্ত্রীর অনথিপিওিক নামক একজন বণিক বুদ্ধের ধৰ্ম্মে দীক্ষিত কৃষ্টয় তাহাকে জেতবম বিচার প্রদান কয়েম । যুদ্ধদেব ঐ বিহারে অবস্থিতি করিয়া ধৰ্ম্মোপদেশ প্রদান করিতেন । কিয়ৎকাল পরে বুদ্ধের প্রধান শিষ্যস্বল্প-সারিপুত্র ওঁ মোগল্যায়ন নিৰ্ব্বাণ লাভ করেন। আনন্দই বুদ্ধের প্রধান সেবক হন । আনন্দ যুদ্ধের সঙ্গে সঙ্গে বেড়াইতেন । যুদ্ধদেব অfনন্দের সমডিব্যাঙ্গারে নানা স্থানে ভ্ৰমণ করিয়া ধৰ্ম্ম প্লেটার করেন । এক সময়ে বুদ্ধদেবের আদেশ অনুসারে আনন্দ অসংখ্য । ভিক্ষু কে রাজগৃহ নগরে উপস্থানশালায় আহবান করেন । ' বুদ্ধদেব উপস্থানশালায় উপবিষ্ট হুইয়। বলিলেন---হে ভিক্ষগণ, আমি তোমাদিগকে সাতটা অপরিহানীয় ধৰ্ম্মের উপদেশ । দিভেছি, শ্রবণ কর । যভদিন তোমরা কৰ্ম্ম, ভস্ম, নিদ্রা ও মামোদ এষ্ট সকলে যত না হইবে, যতদিন তোমাদের পাপেচ্ছা প্রবল ন হইবে, ধন্তদিন তোমরা পাপমিত্রের আশ্রয় না লইলে ও সতত নিৰ্ব্বাণলাভের উপায় চিন্তা করিবে ; ততদিন তোমাদের অধঃপতন । চটবে না ।” 象 。 | ছে ভিক্ষুগণ ! অপর সাতটা অপরিষ্ঠানীয় ধৰ্ম্ম শ্রবণ কর, যতদিন তোমরা শ্রদ্ধাবান, ষ্ট্রীমান, বিনয়ী, শাস্ত্ৰজ্ঞ, বীৰ্য্যশালী, স্থতিমান ও প্রজ্ঞাবান থাকিবে, ততদিন তোমাদের ক্ষয় হইবে না।” অপর সাতটা অপরিস্থানীয় ধৰ্ম্ম এই-- যতদিন তোমরা স্মৃতি, পুণ্য, বীর্যা, প্রীতি, প্রশ্রন্ধি, সমাধি ও উপেক্ষ এই সাত প্রকার জ্ঞানাঙ্গ ভাবনা করিবে ; ততদিন তোমাদের অধঃপতন কুইবে লা ।” অপর সাতটা অপরিস্থানীয় ধর্শ্বের বিষয় লর্ণন করিড়েছি, শ্রবণ কর । যতদিন তোমরা অনিত্য, অনায়, অশুভ, আর্দীনল, প্রহাণ, বিরাগ ও নিরোপ এই সাতপ্রকার সংজ্ঞার ভাবলী করিবে ; ততদিন তোমাদের পতন হুইবে ম: । অর্থাৎ তোমরা ভাবিৰে, সংসারের সকল বন্ধই অনিত্য ; সকলই অলীক, সকলেরই পরিণাম অশুভ এবং সকলই পাপময় । এইরূপ XIII I as @ বুদ্ধদেব ভাবনা করিয়া অর্জিত পুণ্যের সংরক্ষণ, অগন্ধ পুণ্যের লাভ, উৎপন্ন পাপের পরিত্যাগ ও পাপাত্তরের অঙ্কুৎপত্তি এই চারিট ধিষয়ে সম্যক্ চেষ্টাবান হইবে । অনঞ্জর করিয়া বাসনাসমূহের ক্ষয় করিবে । অপর ছয়ট অপরিহানীয় ধৰ্ম্ম-—যতদিম ভিক্ষুগণ কায়মন ওঁ বাক্যে ব্রহ্মচারিগণের প্রতি মিত্র ব্যবহার করিবেন, যতদিন ভিক্ষুগণ ভিক্ষণলব্ধ দ্রব্যসমূহ কেবল লিঙ্গে ভোগ না করিয়া পলবান ব্রহ্মচারিগণকে কিয়দংশ বিভাগ ੇ। দিবেম, যতদিন ভিক্ষুগণ শ্বীয় সদাচার রক্ষা করিবেন ও সম্বন্মে তাহাদের দৃষ্টি থাকিবে । ততদিন উাহাদিগের ক্ষয় হইবে না।” ক্সনস্তর বুদ্ধদেব রাজগৃহ ত্যাগ করিয়া আনন্দের সমডিব্যাঙ্গারে অম্বলম্বিকী নামক স্থানে গমন করেন। সেখানে বহু ভিক্ষু সমবেত হইয়াছিল। যুদ্ধদেব ঐ স্থানে শীলসমাধি ও প্রজ্ঞা বিষয়ে নানা ধৰ্ম্মালাপ করেন ও বলেন, শীল-পরিশুদ্ধ সমাধি, সমাধিপরিশুদ্ধ প্রজ্ঞ ও প্রজ্ঞাপরিশুদ্ধচিত্ত মহাফল প্রসব করে । কিৎকাল পরে তিনি আননের সমডিব্যাহারে নালন্দায় গমন করেন। সেখানে সারিপুত্র নামক শিষ্যের সঙ্ক তাছার সাক্ষাৎ হয়। বুদ্ধদেব নালন্দার প্রাসারিকামবনে বিহার করিতেছেন ; এমন সময়ে সারিপুত্র তথায় উপস্থিত হইয়া অভিবাদনপূৰ্ব্বক মিবেদন করিল, “হে ভগবন, আপনার প্রতি আমার এরূপ ভক্তি যে, আমার মনে হয় এই পৃথিবীতে মৰ্তীত কালে এমন কোন শ্রমণ বা ব্রাহ্মণ জন্মগ্রহণ করিবেন ন, যিনি আপনার অপেক্ষা অধিকতর জ্ঞানী । উত্তর করিলেন, হে সারিপুত্র, অতীতকালে যে সকল জ্ঞানী লোক জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তঁtষ্ঠাদের চিত্ত্বের সহ তোমার চিত্ত্বের বিনিময় করিয়া কি জানিতে পারিয়াছ, ঠাচার কিরূপ শলসম্পন্ন, ধৰ্ম্মপরায়ণ ও প্রজ্ঞাবান ছিলেন এবং ভবিষ্যৎকালে যে সকল জ্ঞানীলোক আবির্ভূত হইবেন : তাহাদের চিত্তের সচিত কি তোমার চিত্ত্বের বিনিময় করিয়া জানিয়াছ, তাতাদের শীল, ধৰ্ম্ম ও প্রজ্ঞা-কিরূপ হুইবে ? হে সারিপুত্র, তুমি আমার চিত্ত্বের সহ তোমার চিত্তের বিনিময় করিয়া জানিয়াছ, আমার শীল ধৰ্ম্ম ও প্রজ্ঞা কিরূপ ? সারিপুত্র উত্তর করিলেন, “হে ভগবন, অতীত, ভবিষ্যৎ ৪ বর্তমান জ্ঞানিগণের চিত্তের সন্ত আমার চিত্তের বিনিময় করিতে মামি সমর্থ মছি । আমি কেবল তাক দিগের প্রবৰ্ত্তিত ধর্মের প্রণালী অবগত হইয়াছি । লুপতিগণ মুকুহৎ অট্টালিক নিৰ্ম্মাণ করিয়া উহা দৃঢ় থাকার দ্বারা পরিবেষ্টিত করেন। উহার একটমাত্র ধছিদ্ধার বিদ্যমান এবং একজম বিজ্ঞ দ্বারবান সতত ঐ বহিদ্বারে দণ্ডায়মান থাকে। দ্বারবান পরিচিত তথম বুদ্ধদেল
পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।