বুদ্ধদেব জনস্তর যুদ্ধ হিরণতী নদী পার হইয়া কুশীনগরের উপবর্তনে শালবনে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি উত্তরশীর্ষ হইয় একটা মঞ্চের উপর শয়ন করেন। অনস্তর আনন্দকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন ;–হে আনসা, চারিট স্থান সকলেরই শ্রদ্ধার সহিত অবলোকন করা উচিত, যেখানে বুদ্ধের জন্ম হইয়াছে, যেখানে তিনি সম্যক্সংবোধি লাভ করিয়াছেন, যেখানে তিমি ধৰ্ম্মচক্র প্রবর্তিত করিয়াছেন ও যেখানে তাহার পরিনিৰ্ব্বাণ লাভ হইয়াছে, এই চারিট স্থান সকলেরই শ্রদ্ধার সহিত অবলোকন করা উচিত। এই সময়ে আনন্দ জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভগবন, স্ত্রীজাতির প্রতি কিরূপ ব্যবহার করিতে হইবে ?” বুদ্ধদেব উত্তর করিলেন, “আদর্শন, অর্থাৎ তাহাদের সহিত সাক্ষাৎ করিবে না।” “ছে ভগবন, যদি সাক্ষাৎ হয়, তাহ হইলে কি করিতে হইবে ?” “হে আনন্দ ] অনালাপ, অর্থাৎ তাহাদিগের সহিত আলাপ করিবে না।” “হে ভগবন, যদি তাহার আলাপ করে, তাহ হইলে কি করিতে হুইবে ?” “হে আনন্দ ] উপস্থাপন, অর্থাৎ তাহাদিগকে দেবতার স্থায় পূজা ও উপাসনা করিবে।” অনন্তর আনন্দ বুদ্ধকে বলিলেন, “হে ভগবন, কুশীনগর একটা জঙ্গলপূর্ণ ক্ষুদ্র নগর, আপনি এখানে পরিনিবৃত হইবেন না। চম্পা, রাজগৃহ, শ্রাবস্তী, সাকেত, কৌশাম্বী, বারাণসী প্রভৃতি অনেক মহানগর আছে, সেখানকার ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়গণ ভগবানের প্রতি ভক্তি-সম্পন্ন, তাহারা ভগবানের শরীর পূজা করিবেন। হে ভগবন, এই শাখা-নগরে পরিনিৰ্ব্বাণগত হইবেন ল৷ ” বুদ্ধদেব উত্তর করিলেন, “ছে আনন্দ ! তুমি এরূপ কথা বলিও না। পুরাকালে মহাযুদৰ্শন নামে এক ধাৰ্ম্মিক ও চতুরন্তবিজয়ী রাজা জন্মগ্রহণকরিয়াছিলেন। তিনি এই কুশীনগর | বা কুশবর্তীতে রাজধানী সংস্থাপন করেন। এই নগর মহাসমৃদ্ধিশালী ও বহু-জনাকীর্ণ ছিল । ইহা পূৰ্ব্ব পশ্চিমে দ্বাদশ যোজন দীর্ঘ ও উত্তর দক্ষিণে সপ্তযোজন বিস্তৃত। হে আনন্দ, তুমি কুশীনগরের মরগণকে বল, আজ রাত্রির শেষ যামে বুদ্ধ এইস্থানে পরিনিৰ্ব্বাণ লাভ করিবেন।” তখন কুশীনগরের মল্পগণ তখায় আগমন করিয়া বুদ্ধের বদন ও পূজা করিল। এই সময়ে সুভদ্র নামক পরিব্রাজক কুশীনগরে আগমন করেন । সেই দিন রাত্রির শেষ যামে গৌতমৰুদ্ধ পরিনিৰ্ব্বাণ লাভ করিবেন। তাছা জানিয়া সুভদ্র বলিলেন, আমি প্রাচীনগপের মুখে শ্রবণ করিয়াছি, সংসারে কদাচিৎ কোন গতিকে বুদ্ধগণের জন্ম হইয়া থাকে । গৌতমৰুদ্ধ আজ পরিনিৰ্মাণ লাভ করিবেন । জামার ধৰ্ম্মবিষয়ে কঞফটী সন্দেহ আছে। [ ११ ] . ৰুদ্ধের উপদেশ শ্ৰৰণ করিয়া আমি ললেহেল্প ভঞ্জন করিব। XIII &e যুদ্ধদেব - মুম্ভত্র যুদ্ধের সমীপে গমন করিতে উদ্যত হইলে, আনন্দ বললেন, মহাপু ! ভগবান ক্লান্ত হইয়াছেন, আপনি তাহাকে বিরক্ত করিবেন না । ৰুদ্ধদেব ঐ কথা শ্রবণ করিয়৷ আনন্দকে বলিলেন, হে আনন্দ, সুভদ্রকে বারণ করিও না, তাহাকে আমার সমীপে আসিতে ৰাও। তখন সুভদ্র বুদ্ধের সমীপে গমন করিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে গৌতম, পুরণ-কাশুপ, মস্কর গোশাল, অজিত কেশকৰলী, ককুদ কাত্যায়ন, সঞ্জয়পুত্র বৈরক্তি ও নিগ্রন্থ জ্ঞাতিপুত্র প্রভৃতি যে সকল ধৰ্ম্মোপদেশক তীর্থকর বিদ্যমান আছেন ; তাছাদের উপদেশ সকল শ্রেয়ঙ্কর কি না এবং তাহার শাস্ত্রে অভিজ্ঞ কি না ? বুদ্ধদেব উত্তর করিলেন, হে সুভদ্র, ঐ সকল তীর্থকরের অভিজ্ঞতা কিরূপ, তাহ বিচার করিয়া কোন ফল নাই। আমি তোমাকে যে ধৰ্ম্মের উপদেশ দিতেছি ; তাছা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর। হে সুভদ্র, যে ধৰ্ম্মে সম্যক দৃষ্টি, সম্যক সংকল্প, সম্যক্বাক্, সমাৰু কৰ্ম্মান্ত, সম্যগাজীব, সম্যক ব্যায়াম, সম্যকৃ স্কৃতি ও সম্যক সমাধি এই অঃ আৰ্য্যমার্গের উপদেশ নাই, ঐ ধৰ্ম্মের অবলম্বিগণের মধ্যে কোন শ্রমণ জন্মিতে পারেন না । যে ধৰ্ম্মে অষ্ট আর্য্যমার্গের উপদেশ আছে, ঐ ধৰ্ম্মে শ্রমণও বিদ্যমান আছেন । শ্রমণ ভিন্ন অপর ব্যক্তিগণের বাক্য পুস্ত অর্থাৎ নিরর্থক । হে সুভদ্র, আমি উনত্রিংশৎ বর্ধ বয়ঃক্রমকালে প্রত্ৰজ্য গ্রহণ করিয়াছি । তদনন্তর ধর্মের অন্বেষণে ৫১ বৎসর প্রজ্ঞ ও সমাধির অনুষ্ঠান করিয়াছি। যাহার। আমার আচরিত স্থায় ও ধৰ্ম্মের অনুবন্ত্ৰী লছেন, তাহাদের মধ্যে শ্রমণ বিদ্যমান নাই ॥১ অনন্তর স্বভদ্র বুদ্ধের সমীপে প্রত্ৰজ্য গ্রহণ করিলেন । পরে তিনি ব্রহ্মচর্য্যের সম্যক্ জঙ্গুষ্ঠান দ্বারা অর্থৎ পদ লাভ করেন। সুভদ্রই বুদ্ধের শেষ সাক্ষাৎ শিষ্য। অনন্তর বুদ্ধ জানঙ্গকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, হে আনন্দ, আমার মৃত্যুর পর আমার প্রবর্ধিত ধৰ্ম্মই তোমাদিগের *ग्निकांणरु झहेरद । अप्ठ:"ग्न द८ग्रांtजाई छित्रू११ नया ठिकूগণকে নাম বা গোত্র উচ্চারণপূর্বক আহবান করিবেন। অথবা ‘হে বন্ধে ! এইরূপ ভাবে সম্বোধন করিবেন। নবীন ভিক্ষুগণ প্রাচীন ভিক্ষুগণকে মাননীয় বা পূজনীয় বলিয়া অভ্যর্থনা করিবেন।” ভিক্ষুগণকে আহবান করিয়া বুদ্ধ বলিলেন, হে ভিক্ষুগণ, যদি তোমাদের কাহারও আমার প্রবর্তিত ধর্মের কোন বিষয়ে ( २ ) 4कूनष्ठि<tना वञ्चना प्रङक ब: "क्वजि९ किए डूनणाश्रृं4नी । BBBB BM AB BBBBBS DDD DDD BBDDS DDDS काक्रन्न प4न्न ”(गणक्सौं। २ छ। पश्क्षिा गभर्ण) ीि अ९षि ।
পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।