পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নামদেব সিম্পী খানি পাথরের টাটের উপর স্থাপনপূর্বক তাহাতে একখানি চুরি ও কাস্তে রাখে এবং বাটার করার ফুল, পাচ ফল, পার্ল, হরিকুও চলন প্রভৃতি স্থাপন করে। উক্ত দেবীর অন্ত 5কট প্রতিমূৰ্ত্তির মধ্যে একট তার প্রবিষ্ট করাইয়া উহ। সেই সন্তানের গলদেশে ঝুলাষ্টয়া দেয়। সস্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর হটতে তিন দিন পর্যন্ত মধু ও এরগুতৈলমিশ্রিত পানীয় দেয়, পরে চতুর্থ দিবস হইতে মাতা স্তন্ত দেয়। সন্তান হওয়ার জষ্ঠ ইহার ১২ দিন অশৌচ গ্রহণ করে। ত্রয়োদশ দিবসে যষ্ঠামাতার নামে রাস্তার উপরে ফুল, পাণ, দধি মিশ্রিত চাউল ও উপবীত প্রভৃতি পুজোপকরণ দিয়া তাহারা পাঁচখানি শিলা পূজা করে। ঐ দিনে আত্মীয়া প্রতিবেশিনীগণ আসিয়া সন্তানের নামকরণ করে। বালকের দশ হইতে বিশবৎসরের মধ্যে ও স্ত্রীলোকের বয়স্থ হইবার পুৰ্ব্বে বিবাহিত হয়। বরপক্ষীয়ের প্রথমে বিবাহপ্রস্তাব করেন। পরে বিবাহের পত্রের দিন বরের পিতা কন্যাকে একখানি কাপড়, একটা জামা ও একজোড়া রৌপ্য বলয় উপহার দেন এবং স্বজাতীয় লোকের সম্মুখে কন্যার কপাল সিঙ্গুর দ্বারা রঞ্জিত করিয়া তাহার হস্তে কতকগুলি মিষ্টান্ন অৰ্পণ করে। তৎপরে পাণ বিতরিত হইলে, বরের পিত আহার করেন । তদনন্তর বর ও কন্যার পিতা বরকন্তু উভয়ের কোষ্ঠী লইয়া গণকের নিকট গমন করেন ও বিবাহের শুভদিন স্থির করিয়া লন । শুভদিনে কন্যার গাত্রহরিদ্রা হুইয়া গেলে পর, তাহার কিয়দংশ একটী পাত্রে করিয়া বরের বাটতে বরের গাত্রে দিবীর জন্য পাঠাষ্টয়া দেওয়া হয় ও বরের বাট হইতে ঐ পাত্রে রুটি, দাল ও গুড় কন্যার বাটতে প্রেরিত হয় । তৎপরে সাধারণ বিবাহপ্রথানুসারে বিবাহকার্যা সম্পন্ন হয়। বিবাহকালে বর ও কন্ত মালা বদল করে না । বরের মাতা ঐ দিবস কন্যার বাটতে আসিয়া পুত্রবধুর মুখ দেখিয়া চিনিমিশ্রিত এক পাত্র দুগ্ধ পান করিতে দেয়। পর দিবস বর, বন্ধু বান্ধব সমভিবাহারে বহিস্রমণে গমন করেন। সঙ্গে সঙ্গে বাদ্যকরগণ বাজনা বাজাইতে থাকে। তৎপরে বর প্রত্যাবৃত্ত হইয়া গরমক্তলে স্নানপুৰ্ব্বক, আয়ীর বন্ধুগণসহ অহারের নিমিত্ত উপবেশন করিলে, তাহার কোলে হরিদ্রা, পাচফল ও অন্যানু দ্রব্য দেওয়া হয়। তৎপরে কন্যাকে সাধারণ রীতিমত বাট লইয়া যাওয়া হয় । ইহার মৃতদেহের দাহ করে । ইহাদের জাতীয় একত। অতীব প্রবল। ইহার স্ব স্ব পঞ্চায়ত মধ্যে সামাজিক বিবাদের মীমাংসা করে । কোন নিয়মভঙ্গ করিলে পঞ্চায়ত অর্থ দণ্ড করে। বারংবার নিয়ম ভঙ্গ করিলে জাতিচু্যত পৰ্য্যস্ত করা [ ১২ ] নামধারক হয়। ইহাদের বালকের বিদ্যালয়ে যায়, কিন্তু তাহার দয়ঞ্জীর কার্ধ্য ভিন্ন অন্ত ব্যবসা অবলম্বন করে না । ধারবারের নামদেব সিল্পীরা দুই ভাগে বিভক্ত। এক সম্প্রদায়ের নাম ‘নামদেব সিম্পী অপর সম্প্রদায়ের নাম "লিঙ্গায়তসিম্পী । ইহাদের আচার ব্যবহার স্থানভেদে একটু একটু পৃথকৃ। পূৰ্ব্বোক্ত সম্প্রদায় আশ্বিনমাসে নব-রাত্র পুজার সময় মদ ও মাংস ভক্ষণ করে । শেষোক্ত সম্প্রদায় কশাড়ী ভাষায় কথাবাৰ্ত্ত কহে। ইহাদের পুরুষের মুবর্ণ ইয়ারিং পরিধান করে। পুণার সিল্পীরা বহুভাগে বিভক্ত। আর আর সমস্ত বিষয়ে সিম্পীদের প্রায়ই একরূপ আচার ব্যবহার দেখা যায়। নামস্বাদশী (স্ত্রী) নামঃ দ্বাদশী। ব্রতবিশেষ। এই ব্ৰত অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লভৃতীয় তিথিতে করিতে হয়। এই ত্রতে গৌরী, কালী, উমা, ভদ্র, দুর্গা, কাস্তি, সরস্বতী, মঙ্গলা, বৈষ্ণবী, লক্ষ্মী, শিব ও নারায়ণী এই দ্বাদশ দেবতার পূজা করিতে হয়। ইহাতে স্ত্রীদিগের সকল সৌভাগ্য লাভ হয় । “গেীরী কালী উমা ভদ্র দুর্গ কাস্তি সরস্বতী। মঙ্গলা বৈষ্ণবী লক্ষ্মী শিব নারায়ণী ক্রমাৎ"। মার্গভৃতীয়ামারভ্য পুৰ্ব্বোক্তং লভতে ফলম্ ॥" ( দেবীপু" ) নামধাতু (পুং) নাগপূর্বকোধাতু। স্ববন্ত নাম প্রকৃতিক প্রত্যয়াস্তু ধাতুভেদ । যে সকল সুবন্তপদ পরে প্রত্যয় দ্বারা ধাতু সংজ্ঞা হয়, তাহাকে নামধাতু কহে । যথা—পুত্ৰকামা, ‘আয়ুনঃ পুত্রমিচ্ছতি, পুত্র এই সুবস্তের উত্তর কাম্য প্রতায় হইল । এই স্থলে পুত্রকাম্য নামধাতু। নামধাতুর উত্তর ও ধাতুবৎ সকল কার্য হইবে । মুবস্তপদের উত্তর যে কোন প্রত্যয় হইলেই যে নামধাতু হইবে তাহা নহে । নিৰ্দ্দিষ্ট কতকগুলি সুবস্তুনিমিত্তক প্রত্যয় হয়, তাহাদিগেরই ধাতু সংজ্ঞা হইয়া থাকে, এই ধাতু সংজ্ঞকপদই নামধাতু বলিয়া অাখ্যাত । নামধারক (ত্রি ) নাম মাত্ৰং ধরতি ন তদৰ্থং করেীতি ধু-ধু । নামমাত্রধারক, বিহিত ক্রিয়াবঞ্জিত বিপ্রাদি । যে সকল ব্রাহ্মণ স্বীয় স্বীয় আচারপদ্ধতির অসুষ্ঠান করেন না, তাহাকে নামধারক কহে । “অত উৰ্দ্ধন্তু যে বিপ্রাঃ কেবলং নামধারকাঃ । পরিষত্বং ন তেষাং বৈ সহস্ৰগুণিতেশ্বপি ॥ যথা কাষ্ঠময়ো হস্তী যথা চৰ্ম্মময়ে মুগঃ । ব্রাহ্মণাত্মনধীয়ানান্নয়ন্তে নামধারকাঃ ॥” ( পরাশর ) যে সকল ব্রাহ্মণ বেদাদি পাঠ করেন না, কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত হস্তী ও চৰ্ম্মনিৰ্ম্মিত মৃগ, এই তিনটী কেবল নামধারক ।