পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिश्व 8, - -ణా ১। প্রথমে নিৰুকে লঙ্কালঙ্ক ৩ ভাগে কাটিয়া উহার খোসা ক্রিয় করিয়া রাধিতে হয় । (এই খোন ভিন্ন করার নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন প্রকার ) । তদনন্তর বামহস্তের তর্জনীতে একখানি চেপ্টা স্পঞ্জ জড়াইম্বা তাহার উপরিভাগে ঐ নিৰূ খোসা রাখিয়া নিতে ৫৬ বার চাপ দিতে হয়। এইরূপে খোসার সমস্ত জলীয় ও তৈলাক্ত পদার্থ স্পঞ্চমধ্যে সংগৃহীত এবং স্পঞ্জ রসপূর্ণ হইলে, উহা নিংড়াষ্টয়া একটা নলযুক্ত মৃৎপাত্রে সংগ্ৰহ করিতে হয়। এই পাত্রে ঐ রস হইতে জলীয় ভাগ প্রক্রিয়া বিশেষ দ্বারা পৃথক্ । করিয়া বিশুদ্ধ তৈল স্বাক্ষধারে ঢালিয়া লইতে হয় । ২ । একটা মজবুদ, ফাঁপা রূপদস্তার পাত্রের তলায় কতকগুলি সুগ অথচ শক্ত, ধারাল পিতলের কাটা লাগাইয়৷ একটা যন্ত্র প্রস্বত করিতে হয় । উক্ত পাত্রের তলদেশ নিম্নরুদ্ধ একটা নলের মধ্যে কতকটা প্রবিষ্ট করাইয়া দিলে, ੋ! অনেকটা ফানেল বা তৈল-টালার চুঙ্গীর আকার ধারণ করে। এক্ষণে একটী নেবু লইয়া ঐ ধারাল কাটার উপর এরূপ জোরে নিয়ত ঘুরাও যে উহার তৈলপুর্ণ স্থানগুলি সমস্তই ভেদ কইরা যায় । তাহ হইলে ঐ তৈল উক্ত নলে সঞ্চিত হইবে । { এখন মন্ত উপায় দ্বারা জলট বাহির করিয়া ফেলিলেই বিশুদ্ধ | তৈল পৃথক হইবে। এইরূপে নেবু হইতে আরও কএকপ্রকার | সুগন্ধি প্রস্ত হয়। ফরাসীদেশেই ইহার কিছু বেশী প্রচলন । নেবুর তেল দেখিতে অনেকটা ক্ষীণ পীতবর্ণ, গন্ধ তীব্র ও । আস্বাদ কটু। নেবু চোয়াইয়া যে তৈল প্রস্তুত হয়, তদপেক্ষ । টাটুকী লেবু চাপ দিয়া রস বাহির করিলে, তাহ হইতে যে তৈল প্রস্থত হয়, তাহাই উত্তম । এই তৈল শোধিত ম্পিরিটে দিলে গলিয়া যায়। কাৰণের বাই-সলাইডে সহজেই ইহা মিশ্রিত হয়। নেবুর আতর সুগন্ধিস্বরূপ ও অপর জিনিস সুগন্ধি করিতে ব্যবহৃত হয়। ফরাসীদেশের ইউ-ডি-কলো হইতে প্রতিবর্ষে বহু পরিমাণে নেবুর সুগন্ধি রপ্তানী হইয়া থাকে। যুরোপীয় চিকিৎসকগণের মতে, লেবুর তৈলের গুণ অস্তপ্রয়োগে উত্তেজক ও বায়ুনাশক এবং বাহপ্রয়োগে উত্তেজক ও চৰ্ম্মপ্রদাহক । [ se o যুরোপীয় চিকিৎসকের ফলের তিন মংশের বিষয় উল্লেখ করিয়াছেন, (১) খোসার উপরিভাগ, (২) তৎপরে অন্তত্বক অর্থাৎ যেখান হইতে তৈল হয় এবং পঙ্কফলের রস । ত্বকের গুণ পাকাশয়ের হিতকর ও বায়ুনাশক । রসের গুণ শীতাদরোগনাশক ও শৈত্যকাল্পক । জ্বরে ও প্রদাহিক রোগে সুপেয়, প্রবল বাতরোগ, অতিসার ও উদরাময়ে বিশেষ হিতকর এবং উগ্ৰমাদকবিষয়ু । J নিম্ব

  • ...-``

এই নেবুর রস হইতে একপ্রকার দানাদার বর্ণহীন এসিড পাওয়া যায়, তাহাকে সাইট্রিক এসিড বলে। ইহা সহজেই জলে গলিখা যায়, স্পিরিটে অল্প গলে, কিন্তু বিশুদ্ধ ইথরে একবারেই গলে না। শৈত্যকারক পানীয় স্থলে এই এসিড ব্যবহৃত হয় । কাপড়ে লিখিবার কালি লাগিলে উক্ত স্থানে সাইটিক এসিড ঘসিয়া দিলে কালির দাগ নষ্ট হয়। লিমন সিরাপ—নেবুর ছাল ১ ছটাক, নেবুর রস দেড়পোয়। ও বিশুদ্ধ চিনি একসের চাই। নেবুর রস ভাল করিয়া জাল দিয়া নেবুর ছালের সহিত একটী পাত্রে ঢাকিয়া রাখ। ঠাগু। হইলে ফিলটারে চিনির সহিত মিশাইরা একটু গরম কর। দেড় সের থাকিতে রাখ। এইরূপে লিমন্‌-পিরাপ্ত প্রস্তুত হয় । ইহার আপেক্ষিক গুরুত্ব ১৩৪ ৷ কাগজীনেবুকে ( Lime ) স্থানে স্থানে পাতিনেবুও বলে। হিন্দীতে লেবু, নেবু, লিম্বু, নিৰুন্‌, পঞ্চাবে থাট্টানিষু, গুজরাতে খাটানিমু, মহারাষ্ট্রে লিম্বু, তামিল এলেমিচুম্ব, তৈলঙ্গে নিৰ্ম্মপলু, কর্ণাটে নিম্বেছন্ন, আরব লিমূল, লীমুত হামাজ, লীমু, পারসী লামু বা লীমূএ gyrt I (Citrus aci*a) হিমালয়ের বহির্ভাগে উষ্ণ স্থানে, গড়বtল হইতে চট্টগ্রামে সৰ্ব্বত্র ও মধ্যভারতের নানাস্থানে কাগজানেবুর গাছ জন্মে । নানাস্থানের জমির অবস্থাভেদে বৃক্ষ ও ফলের ইতর বিশেষ দৃষ্ট হয়। ফলের আকার প্রধানতঃ অনেকটা গোল, মস্বণ, ত্বক উজ্জ্বল ও সবুজ এবং পাকিলে পীতবর্ণ হয়। মানভূমে ইছার পাতায় চৰ্ম্মপরিষ্কার-কাৰ্য সাধিত হয় । দেশীয় চিকিৎসকেরা এই নেবুই ব্যবহার করিয়া থাকেন। র্তাহীদের মতে, ইহার গুণ পৈত্তিক-বমননিবারক, শৈত্যকর ও পচননিবারক । ইহার পেয় অতি সুখাদ্য ও তৃষ্ণানিবারক । ইহার টাটুক রস মশকদংশনের বিশেষ উপকারী ও অজীর্ণনাশক। লবণের সহিত বহুদিন জরাইয়া রাখিয়া জারকনেবু প্রস্তুত হয় । তাহ মুখরোচক ও পাচক । খালিপেটে এই নেবুর রস খাইলে অজীর্ণ ও বাত প্রভৃতি রোগে উপকার দর্শে। একপ্রকার পাতিলেবু আছে, তাহ অতি সুমিষ্ট। ইহাকে সংস্কৃত ভাষায় মধুকৰ্কটিকা বা অমৃতফল বলে। বাঙ্গালায় মিঠানেবু, হিন্দীতে মিঠানেবু, বা মিঠা অমৃতফল, তৈলঙ্গে গজনিযু, তামিল এলেমিচম্ ও সিংহলে দেহী বলে। ভারতের নানাস্থানে এই নেবু দেথা যায় । ইহার ফুল ছোট ছোট, ফল ঠিক গোলাকার, ত্বকে উঠা উঠা বুদ দৃষ্ট হয়। জরে শৈত্যসম্পাদন করিতে ও স্তাবারোগে এই নেৰু যথেষ্ট ব্যবহৃত হয়। এই নেবুর রস তেমন মাদৃত হয় না। ফল টাটুকা খায় কিংবা তাহাতে নানাখাদ্য প্রস্তুত হয়।