পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীলগিরি [ ૨૧૧ ] নীলগিরি कद्रकांरन ज* ख रुहेरण, छांद्रउँौद्र थांछमाव्र पधाहेन श्रश्नांtब्र ঐ প্রজার জমা বিক্রয়াদি হইবারও নিয়ম লিপিষদ্ধ হইয়াছিল। ১৮৬৩ খৃষ্টাব্দ হইতে পতিত জমি বিলি বম্বোবস্ত করিবার এইরূপ নিয়ম হইয়াছে যে, কোন একবন্দ জমির জন্ত কেহু আবেদন করিলে, গবমেণ্ট অগ্রে উহার সীমা স্থির এবং তদস্বৰ্গত জমি জরিপ করিয়া, গেজেটে বা প্রকাগু অন্ত কোন স্থানে, উক্ত জমি বন্মোবস্ত হইবার যথাবিধি নোটিশ বা বিজ্ঞাপন প্রচার করেন । পরে যে ব্যক্তি সৰ্ব্বোচ্চ কর দিতে স্বীকৃত হন, তাহার সহিত ঐ জমি লেখাপড়া দ্বারা বন্দোবস্ত হয় । যদি কেহু বৈনাদঞ্জেলাস্থ পতিত জুমি বা জঙ্গল, চা, কাফি বা সিকোনার চাষের জন্ত জমা করিয়া লয়, তবে প্রথম তিন বৎসর তাহাঁকে আদৌ খাজমা দিতে হয় না, তৎপরে প্রতি বৎসর পূৰ্ব্বোক্ত প্রকার জমির প্রতি একর ॥• আনা ও শেষোক্ত জঙ্গলের ঐ পরিমাণ জমির জন্ত ২ দুই টাকা থাকুন দিতে হয় ; কিন্তু এককালে বিনা সেলামীতে ঐ, খাজনীর ২৫ গুণ টাকা দিলে আর তাস্থাকে কোন কালে খাজনা দিতে হয় না। তবে যাহারা পূৰ্ব্বতন বন্দোবস্ত অমুসারে জমির খাজনাদি সরবরাহ করেন, তাহার এই সুবিধা ভোগ করিতে পান না । তোড়াজাতি পূৰ্ব্বে যে বিশাল ভূভাগে গোচরণ প্রভৃতি কার্যা করিত, উহার জন্ত কাহাকে ও খাজনা দিত না । এষ্টপৰ্ব্বতশ্রেণীর পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে তাহারা সুপাদাই গোমহিযাদি বিচরণ কয়াইত, সুতরাং উহাদের বিঙামুত্র প্রভৃতি স্বারা ঐ সমস্ত স্থানের জলবায়ু দূষিত হওয়ায়, স্বাস্থ্যের বিস্ত্র উৎপাদন করিয়াছে। এই হেতু গবমেণ্ট ঐ সমস্ত স্থানে প্রতি বৎসরে কএক মাস গোচরণ বন্ধ করিয়া দিয়াছেন । ঐ সমস্ত জমি গবমেন্টের পতিত জমির মধ্যে গণ্য হইয়াছে। তবে প্রত্যেক । তোড়ার বাটীসংলগ্ন পঞ্চাশ একার ভূমি ও তদনুযায়ী জঙ্গল তাঙ্গার অধিকারে রহিয়াছে। উক্ত ভূমির প্রতি একারে গবর্মেটকে y০ অান খাজনা দিতে হয় । এইরূপে প্রায় সাত হাজার একার ভুমি তোড়াদিগের অধীন আছে, কিন্তু কাৰ্য্যতঃ তাহার। এই পাৰ্ব্বত্য প্রদেশের পতিত জমিতেই গোমহি যাদি চরাইয়া থাকে । জমিজমা হস্তান্তর নিয়মদিও এখানে প্রচলিত আছে । জমির মূল্য গুণমুসারে পৃথক্ । উতকামণ্ডের জমি এখন অধিক মূল্যে বিক্রয় হয় । নীলগিরি জেলায় কখনও দুর্ভিক্ষের কথা গুলা যায় নাই । তবে সমতলভাগে ফসলের দাম অধিক হইলে, পৰ্ব্বতবাসীদিগের মধ্যেও মূল্য হয়। ১৮৭৭ খৃষ্টাব্দে এখানকার গরিব ইংরাজ ও ধীলগিরির অধিবাসীর মধ্যে অত্যন্ত অন্নক্লেশ উপস্থিত হইয়াছিল। X ૧૨ নীলগিরি জেলা পৰ্ব্বতসঙ্কুল হইলেও গমনাগমনযোগ্য পথ-সংখ্যা যথেষ্ট আছে, বলা যাইতে পারে। এখানকার প্রধান রাস্ত কুলুরঘাট ও উত্তকামও। উভকামও হইতে একটা পথ কর্ষণহরিতে এবং অপরটা গুগল্পে ও তৃতীয়টা অবলঙ্কিতে চলিয়াছে। প্রথম পথ দিয়া মহিমুরে যাইতে হয়। কুনুর হইতে পথ কোটাগিরি পর্ষ্যস্ত বিস্তৃত। কোটাগিরি-মাটরোডও বাণিজ্যাদির বিশেষ উপযোগী। এতদ্ভিন্ন অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গিরিপথ দিয়া যাতায়াত করা যায়, কিন্তু গোযান ঐ সমস্ত পথে চলিতে পারে ন! } এই সমস্ত স্থানে ভাল দ্রব্য কিছুই প্রস্তুত হয় না। তবে তোড়ার একপ্রকার মোট কাপড় প্রস্তুত করে মাত্র । এখান হইতে চা, কাফি ও সিকোন অন্তর নীত হইয়া থাকে। বড় হাটবাজার এই জেলায় অধিক নাই। উভকাম৫ে প্রতি মঙ্গলবার একবার হাট ছয় । এই হাঁটই সৰ্ব্বাপেক্ষ বড় । কুনুরে প্রতি রবি ও মঙ্গলবারে এবং কোটাগিরিতে প্রতি সোমবারে হাট বা 'পণ্ডি’ বসে । তোড়াদিগের মধ্যে কিছু উৎসব প্রচলিত অাছে। প্রতি বৎসর মুতাহ তিথিতে এই উৎসব সম্পন্ন হয়। এই উপলক্ষে মহিষাদিবধ ও নৃত্যাদি হইয়া থাকে । বড়গ ও কোটাদিগের ঐ রূপ বার্ষিক উৎসব আছে। তদুপলক্ষে নৃত্যগীত এবং মেঘ ও মহিষাদি বলি হইয়া থাকে। নীলগিরি জেলায় উতকামগুস্থ পুস্তকালয় এবং লাভডেলস্থ লরেন্স-আশ্রমের বিষয় কিছু বলা উচিত। ১৮৫৯ খৃষ্টাব্দে আটত্রিশ হাজার টাকা ব্যয়ে একটী হৰ্ম্ম্য প্রস্তুত করা হয় । তন্মধ্যে উক্ত পুস্তকালয় স্থাপিত । ইহাতে প্রায় ১২০০পুস্তক আছে। ইহার বার্ষিক আয় ৭৪০০ টাকা । শেষোক্ত লরেন্সনিবাসে ইংলণ্ডীয় সৈনিকগণের পুত্রকন্যাদি পালিত ও শিক্ষিত হয় । ইহার বাধিক অtয় এক লক্ষ টাকা । এই জেলায় একখানি ইংরাজী সংবাদপত্র ছাপা হয়। নীলগিরি পাহাড়ে অনেক পুরাতম কীৰ্ত্তিস্তম্ভ বা মুত ব্যক্তির স্মৃতিস্তস্তের ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয়। সাধারণতঃ পৰ্ব্বতশৃঙ্গেই উহা স্থাপিত। এই সমস্ত স্তম্ভের অনেকগুলি ভাঙ্গিয় ফেলায়, উহার মধ্যে অনেক অস্ত্র ও নানাপ্রকার পাত্রাদি পাওয়া গিয়াছে। তোড়ানাদ ও পরঙ্গনাদ নামক স্থানের স্তস্তে বহু প্রাচীন ও উৎকৃষ্ট ব্রোঞ্জনিৰ্ম্মিত বিবিধ পায়াদি ও নানাপ্রকারের অস্ত্রশস্ত্র দৃষ্ট হয়। এই সমস্ত স্তস্থের আকৃতিগত অনেক বৈলক্ষণ আছে। কোন ব্যক্তি বা জাতির অভু্যদয়ের সময়, কোন ব্যক্তি কর্তৃক যে, ঐ সমস্ত স্তস্ত নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তাছা অবধারণ করা দুঃসাধ্য। কোটাগিরির নিয়ভাগে যে সমস্ত কীৰ্ত্তিস্তম্ভ আছে, তাহার অনেকগুলির মধ্যে মৃত্তিক।