পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুরজাহান কমাইয়া দিলেন এবং যে সকল রাজকীয় ক্ষমতা নিজ হস্তে লইয়াছিলেন, তাহার অনেক সম্রাটুকে ছাড়িয়া দিলেন । এই সদ্ব্যবহারেও নুরজাহানের প্রতিহিংসাচেষ্টা কমিল না, বরং বাশাহী ক্ষমতার পুনঃপ্রাপ্তিতে তিনি আরও সুযোগ পাইলেন। তিনি বুঝাইলেন, “এইরূপ একটা ভয়ানক দুৰ্দ্ধান্ত ক্ষমতাশালী ও কুটিললোক, যে সম্রাটুকে বর্ণী করিতে পারে, তাহাকে যদি বিনা দণ্ডে ছাড়িয়া দেওয়া যায় বা তাহার মৌখিক জাম্বুগত্যে বশীভূত হইয়। যদি তাহাকে আদর করা যায়, তবে প্রজারা কি আর সম্রাটুকে প্রকৃত সম্রাটু বলিয়া মানিবে ?” এই বলিয়া বেগম সাধারণ সমক্ষে তাছার প্রাণদণ্ডাজ্ঞ চাহিলেন, সম্রাট্র সে আদেশ দিলেন না, বরং তাহাকে এসম্বন্ধে কোন কথা কহিতে নিষেধ করিলেন। নূরজাহান স্বামীর নিকট বিফল মনোরথ হইয়। একজন খোজাকে সম্রাটুশিবির হইতে প্রবেশ বা নির্গমনের সময় মহব্বতকে বিনাশ করিবার জন্য গুলি করিতে আদেশ দিলেন। জাম্বাণীর এই আদেশ শুনিতে পাইরা তৎক্ষণাৎ মহব্বতকে সংবাদ দিলেন । মহব্বত এরূপ গুপ্তহত্যার কতদিন কিরূপেই বা বাধা দিবেন এই ভাবিয়া চিন্তিত হইলেন, শেষে সম্রাটের প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভর করিয়া একাকী গোপনে ঠট্ট অভিমুখে চলিয়া গেলেন। নুরজাহান্‌ এই সংবাদ পাইয়া চতুৰ্দ্দিকের শাসনকর্তাদিগকে মহব্বতকে খুজিয়া ও ধরিয়া দিবার আদেশপত্র পাঠাইলেন। তাহাকে বিদ্রোহী বলিয়া প্রচারিত ও তাহাকে ধরিবার জন্য পুরস্কারঘোষিত হইল । - আলফা ভগিনীর এতটা নিষ্ঠুর আদেশ ভাল বলিয়া বোধ করিলেন না। তিনি মহব্বতের গুণাবলী জানিতেন এবং নিজেও তাহার সদ্ব্যবহারে বশীভুত ছিলেন । মহব্বত নুরজাহানের আদেশে তাড়িত কুকুরের নায় নানা স্থানে লুকাইয় বেড়াইতে লাগিলেন। শেষে একদিন ছদ্মবেশে অসম সাহসে নির্ভর করিয়া ঠট্ট হইতে অশ্বারোহণে ২ শত ক্রোশ পথ পার হইয় কর্ণাল নামক স্থানে বাদশাহী ছাউনীতে আসফার শিবিরে আসিলেন। রাত্রি ৯টার সময় আসফের গৃহদ্বারে উপস্থিত হইলে এক খোজ চিনিতে পারিয়া আসকে সংবাদ দিল। আসল্ক মহব্বতের মলিন বেশ ও দুর্দশা দেখিয়া তাহাকে আলিঙ্গনপূর্বক বাদিতে লাগিলেন। মহকত অন্যান্য কথার পর বলিলেন, সম্রাটের স্ত্রৈণতাই সম্রাটো সৰ্ব্বনাশ করিল। মূদ্রজাহান যেরূপ অঙ্কতজ্ঞ এবং তাছার জন্যই যখন यांशंद्र ५ऊर्फे झ%श, उधन आशि भाद्र ७क्छनरक नयाँहै। করিব বলিয়া প্রতিজ্ঞ করিয়াছি। কুমার পরবেঙ্গ ধাৰ্ম্মিক ও বন্ধু হইলেও ছলিমনা এবং নিৰ্ব্বোৰ, কিন্তু শাহজাহান্‌ X [ eఆ } নূরজাহান সৰ্ব্বাংশে উপযুক্ত, তাহার সহিত যুদ্ধে আমি তাছাকে পরাস্ত করিয়াছি। কিন্তু আমি বুঝিয়াছিলাম যে, আমি কোন গণ্ডিকে প্রাণটী ফিরাইয়া আনিয়াছি মাত্র। অতএব আপনি আমার সাহায্য করিলে আপনার জামাতাকে আমি রাজ্য দিতে পারি। আসা অপ্রাথিত বন্ধু পাইয়া বিন্মিত ও প্রীত হইলেন এবং সৈন্য ও অর্থ দিয়া সাহায্য করিতে স্বীকার করিলেন। মহব্বত চলিয়া গেলেন । ইহার পর দক্ষিণের গোলযোগের সংবাদ আসিল । সম্রাট মহব্বতের মত সেনাপতির অভাব উল্লেখ করিয়া আক্ষেপ করিলেন। আসফৰ্থ৷ সেই সুযোগে মহব্বতের মার্জনার আদেশ বাহির করিয়া লইলেন। মহব্বত আবার পূর্ব সন্মান ও পদাদি পাইয়া সৈন্যদলের অধিনায়ক হইয়। শাহজাহানের বিরুদ্ধে গ্রেরিত হইলেন (১)। মুসলমান ঐতিহাসিকগণ লিখিয়াছেন,—ইতিমধ্যে সম্রাট সদলে লাহোরে উপস্থিত হন । আসা সেখানে উপনীত হক্টলে, তাহাকে পঞ্জাবের সুবাদার ও প্রধান মন্ত্রীর পদে নিযুক্ত করা হইল এবং সমস্ত রাজনৈতিক ও রাজস্বসংক্রাস্তু মন্ত্রণাসভায় সভাপতিরূপে কাৰ্য্য করিবার আদেশও দেওয়া হইল। এই সময় মহব্বত থ বঙ্গদেশ হইতে ২২ লক্ষ মুদ্রা আনাইতে ছিলেন। বিহারের নিকট শাহাবাদে উহা পৌছিলে, সম্রাট সংবাদ পাইয়া সৈন্ত পাঠাষ্টয়া তাহা কাড়িয়া লন। ইহার পর শাহজাহান ঠট্রপ্রদেশ হইয়। পারস্তের অধীশ্বর শাহ অববাসের সাহায্য প্রার্থনায় যাইবার উদ্যোগ করেন। ঠট্রপ্রদেশে পৌঁছিলে কুমার শাহরিয়ারের কৰ্ম্মচারী সরীফ উল-মুলুক দুর্গ হইতে গোলা নিক্ষেপ করিয়া তাহার অমুচরবর্গকে বিনষ্ট করেন । এই সমরে ৩৮ বৎসর বয়সে কুমার পল্পবেঞ্জের মৃত্যু হয় ( ১০৩৫ ছিজিয়া ) । কাজেই শাহজাহান্‌ ঠট্র পরিত্যগ করিয়া নাসিকে পলায়ন করিলেন। মহব্বত থা শাহাবাদে ২২ লক্ষ টাকায় বঞ্চিত হইয়। সকল অাশা ত্যাগ করিয়া রাজপুতনায় রাশার রাজ্য মধ্যে পাৰ্ব্বত্যপ্রদেশে লুকাইত থাকেন ; পরে শাহজাহান নাসিকে আছেন শুনিয় তাহার নিকট লোক পাঠাইলেন । শাহজাহানের এসময় এরূপ এক জন লোকের প্রয়োজন ছিল, তিমি মহব্বতকে নিকটে তালিতে আদেশ দিলেন । এ সময়েও মহব্বতের সহিত হ • • • অশ্বারোহী ছিল। জুনিয় নামক স্থানে আসিয়া উভয়ে মিলিত হন। ১৯০৭ ছিজিয়ায় সম্রাটু জাৰ্হাগীরের পীড়া হয়। দিন দিন প্তাহার জাহার বন্ধ হইয়া জাগিল, কেবলমাত্র কএক পাত্র স্বাক্ষারস ব্যতীত আর কিছুই খাইবার উপায় রহিল নী, aసి ( , ) Dow's Hindostau Wol. III. p. 9.