পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৯৭

निस्ङ्गांभ ऊांली शैt [ ৯৭ ] - রাথিলেন। ইংরাজের যথাসময়ে কর প্রদান করেন না, } এই অছিলায় নিজাম পুনরায় ১৭৮৯ খৃষ্টাৰে হায়দর আলীর সহিত বন্ধুতাস্থত্রে বন্ধ হইলেন। দাক্ষিণাত্যে টিপু সুলতানের প্রভাব বাড়িলে ১৭৮৮ খৃষ্টাব্দে নিজাম তাহার নিকট দূত পঠাইয় তাহাকে ইংরাজের বিরুদ্ধে দাড়াইতে নিষেধ করেন। টিপু ইহাতে কর্ণপাত না করিয়া যুদ্ধার্থ প্রস্তুত হইলেন। ১৭৯০ খৃষ্টাম্বে নিজাম ও ইংরাজ যুদ্ধার্থ অগ্রসর হইলেন । এই সময় নানা-ফড় নবিশ মহারাষ্ট্ৰীয় সৈন্য লইয়া তাহাদের সাহায্যাৰ্থ আসিয়া মিলিলেন। নিজাম টিপুকে পরাজিত করিয়া প্রথমে কড়াপা জেলা অধিকার করেন, ঐ বৎসর টিপু সন্ধিস্থত্রে আবদ্ধ হইয়া কড়াপ ও গুরম্কোগু দুর্গ ছাড়িয়া দেন। নিজাম ঐ সম্পত্তি জায়গীর স্বরূপ এম রেমণ্ড সাহেবকে তাহার কৃতসাহায্যের পারিতোষিক স্বরূপ প্রদান করেন। ইহাতে মাদ্রাজ গবর্মেন্ট তাহার প্রতি বিশেষ অসন্তুষ্ট হইয়াছিলেন এবং কড়াপা আক্রমণের ভয় দেখাইয়া রেমণ্ডকে ঐ সম্পত্তি পরিত্যাগ করিতে বলেন। এই সময়ে মহারাষ্ট্রীয়গণের অভু্যখানে দিন দিন তিনি হীনবল হইতে লাগিলেন। এক একটা করিয়া রাজত্বের অধিকাংশ প্রদেশেই তিনি মহারাষ্ট্রদিগের হস্তে সমর্পণ করিলেন। অবশিষ্টাংশ যাহা তিনি নিজ অংশে রাখিয়াছিলেন, তাহার জন্ত পেশবাকে কর দিতে বাধ্য হইলেন। মাধব রাওর রাজত্ব সময়ে জানুজী ভোল্লু গোপাল রাও ( পেশবার দাস) এবং অন্তান্ত মহারাষ্ট্র-সর্দারের পরামর্শে নিজ দেওয়ান বিঠল কর্তৃক উত্তেজিত হইয়া নিজাম আলী পুণা লুট করিতে অগ্রসর হন । মাধব রাওর প্রধান প্রতিনিধি ও মন্ত্রী রঘুনাথরাও তয়ে পুণ হইতে পলায়ন করিলে নিজাম আলী নগরে প্রবেশ করিয়া যথাসাধ্য লুট এবং নগর ধ্বংস করিতে কিছু মাত্র ক্রট করেন নাই। তিনি প্রত্যাবৃত্ত হইয়। যখন গোদাবরী নদী পার হইয়া অৰ্দ্ধপথ আসিয়াছেন, সেই সময় রঘুনাথ রাও সুবিধা বুঝির গোলাবর্ষণ করিতে আরম্ভ করেন, ইহাতে নিজামের প্রায় ৭ • • • আফগান ; সৈন্ত নষ্ট হয় এবং তিনি স্বয়ং পলাইয়। রক্ষা পান। হায়দরাবাদ নগরে তাহার রাজধানী ছিল । পেশব অধিক কর প্রার্থনা করায় নিজাম তাহার উপর চটিলেন এবং যুদ্ধের জন্সও প্রবৃত্ত হইলেন । ১৭৯১ খৃষ্টাবো মহাদল্লী সিন্দিয়ার মৃত্যু হইলে, মহারাষ্ট্রসচিব নানা-ফড় নবিশের ক্ষমত বাড়ির ছিল। দৌলতয়াও সিদিয়া ও কোলী হৈালকর এই সময় পুর্ণাঙ্গ ছিলেন । তাহারা নানাকে উত্তেজিত করিলেন। বেল্লাররাজ, গোৰিম্বরাও গাইকোবাড় এবং অন্যান্য Χ שי רו از: নানা-ফড় নবিশের Y মহারাষ্ট্র-সর্দারের জন্ম সহিত যোগ দিলেন । নিজাম মাষ্ট্রর না, তাঁর বাহিয়া বিদর্ভ হইতে অগ্রসর হইলেন, আহ্মদনগরের à गाहेश प्रक्रि गंभूगुर्ख"थफूल नाभक স্থানে আসিয়া মোহোরীগিরিপথ অবতরণকালে হরিপন্থ ফভূকের পুত্র বাবারাও তাহাকে আক্রমণ করেন ও পরাজিত হন। ১৭৯৫ খৃষ্টাব্দে এই খড়দার যুদ্ধে মহারাষ্ট্রগণ পরাস্ত হইলে মোগলসৈন্ত পরান্দা অভিমুখে যাত্রা করে, এই সময় মহারাষ্ট্রগণ পুনরায় আক্রমণ করে। নিজাম আসা আলী খাকে রেমও সাহেবের সহিত পাঠাইয়া উহাদিগকে আক্রমণ করেন। এদিকে পাঠানসর্দার লালখা নিজামকে আক্রমণ করিয়া পরাস্ত হন । খড়দা ( বা খুড়দলা ) যুদ্ধের পর, যে সন্ধি হয়, তাহাতে মহারাষ্ট্রসেনাপতি পরশুরাম-ভাউ কর্তৃক মুক্ত নিজামমন্ত্রী নাশীরউল-মুলক এবং নিজামআলী স্বয়ংও বাজীরাওর পক্ষে উপস্থিত থাকিয়া স্থির হয় যে বাজীরাও পেশব থাকিবেন এবং নিজামের হিসাব নিকাশ হইবে । ১৭৯৯ খৃষ্টাব্দে টিপুর মৃত্যুর পর শ্রীরঙ্গপত্ত্বননগর ইংরাজের হস্তগত হইলে পর, ১৮০০ খৃষ্টাব্দে ইংরাজের সহিত নিজামের যে সন্ধি হয় তাহাতে সাহায্যকারী সেনাদলবদ্ধন এবং যে সমস্ত রাজগণ নিজামরাজ্যের সীমা অতিক্রম করিবে ইংরাজগণ তাহাদিগকে দমন করিবেন এই সর্ব লিখিত থাকে। ঐ বন্ধিত সৈম্ভের ব্যয়ভারবহন জন্ত নিজাম কড়াপা প্রভৃতি কএকটা জেলা ইংরাজের হস্তে সমর্পণ করেন। ১৮•৩ খৃষ্টাব্দে ৬ই আগষ্ট নিজাম আলী হায়দরাবাদে দেহত্যাগ করেন। তাহার মৃত্যুর পর তদীয় জ্যেষ্ঠপুত্র মীর্জা সিক দরজাহ রাজ্যাধিকার প্রাপ্ত হন। তাহার ৪৩ বৎসর রাজত্বকালে তিনি কতবার ইংরাজের এবং কএকবার মহিমুররাজের সহিত বন্ধুতা স্থাপন করেন । ইহাতে অনুমান হয় যে, তাহার চিত্ত চঞ্চল ছিল এবং তিনি দৃঢ়তার সহিত কোন কাৰ্য্য করিতেন না। ইংরাজের সহিত বিশেষ বন্ধুতা থাকিলেও তিনি তাহাদিগকে বিশ্বাস করিতেন না। নিজামউদ্দীন, ফরগণার জনৈক স্বশিক্ষিত বীরপুরুষ। ষ্টকার ভ্রাতার নাম সাম্মদীন। উভয় ভ্রাতাই মহম্মদ-বখতিয়ারের অধীনে ‘জানবাজ সৈনিকের কার্য্যগ্রহণ করিয়াছিলেন । নিজাম-উদ্দীন-নন্দ যাম, ১৪৬ খৃঃ অব্দে ইনি সিন্ধুপ্রদেশের রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হন। কন্দtহারের তুর্কীরা পুনঃ পুনঃ সিন্ধুদেশ আক্রমণ করায়, তিনি ভঙ্করত্নৰ্গ ও স্বীয় রাজ্যের উত্তরাংশ হারাইয়া ছিলেন । এইরূপে নিরুৎসাহ হইল৷ ১৪৯২ খৃঃ অবো ইহলোক পরিত্যাগ করেন । ૨(t