আবু আদিনাথের মন্দিরটা নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । তাহার পর ১৩৭৯ সম্বতে,জ্যৈষ্ঠ মাসে, শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে সোমবারে উহার মেরামত করানো হয়। আদিনাথের মন্দিরের চারি দিক ৫৫টা প্রকোষ্ঠে বেষ্টিত । তাহার প্রত্যেক প্রকোষ্ঠে এক এক জন তীর্থস্কল্পের পাষাণময়ী মূৰ্ত্তি—পায়ের উপরে পা রাখিয়া যোগাসনে বসিয়া আছে । উত্তর পশ্চিম দিকের একটী প্রকোষ্ঠে অম্বাজির প্রতিমূৰ্ত্তি । স্বারের সম্মুখে নয়ট শ্বেত পাথরের হাতী,—যে অঙ্গ যেমন হইলে নকল বলিয়া চিনিতে পারা যায় না, সেই সেই অঙ্গে তাহার মত সকলি আছে,—নাই কেবল ভিতরে জীবন, আর বাহিরে চলৎ শক্তি । হাতী গুলির উপরে রত্নভূষিত হাওদা ; সন্মুখে মাহুত, মাহতের পশ্চাতে বিমল শাহ শেঠ । তাহার পর স্বারে বিমল শাহ, দেব তাকে দর্শন করিবার নিমিত্ত হাতী হইতে নামিয়াছেন । জগতে তেমন জীবন্ত প্রতিমূৰ্ত্তি আর কোথাও নাই । ১২৮৭ এবং ১২৯৩ সস্বতে বাস্তুপাল এবং তেজে{পাল নেমীনাথের মন্দির মিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । ইহঁরা দুই সহোদর। অনাহিলপত্তনে ইহঁাদের বাস স্তান ছিল। গুজরাটের রাজা বীর ধবলের সময়ে তাহার । প্রধান মন্ত্রী ছিলেন । পূৰ্ব্বে আৰু পৰ্ব্বতে আট শত আটট শিব লিঙ্গ এযং অন্য অন্ত দেব দেবীর মুক্তি ছিল । কখন কোন মহাত্মা এখান ক, স্ন মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইরাছিলেন ; কখন কোন মহাত্মা ঐ সকল মন্দিরের সংস্কার করাইয়া* , ন, এই সমস্ত বিবরণ প্রস্তরে ক্ষোদিত আছে । কিন্তু অনেক দিন হইল, তাই সকল অক্ষর পড়িতে পারা যায় না । এই সকল দেবালয় নিৰ্ম্মাণ করাষ্টতে যে, কত টাকা ব্যয় হইয়াছিল তাহ নিশ্চিত করা কঠিন। আবুপৰ্ব্ব তের চারিদিকে প্রায় দেড়শত ক্রোশের মধ্যে কোথাও শ্বেতপাথর মিলে না। অতএব অনেক দূর হইতে উটের পিঠে বোঝাই করিয়া ঐ সকল পাথর আনিতে হইয়াছিল। তাছার পর পাহাড়ের উপরে তুলিতেও অল্প খরচ পড়ে নাই । এদিকে আবার দেবালয়গুলির থাম, খিলান এবং ক্ষোদাই কাজে কত কাল লাগিয়াছিল বলা যায় না। আৰুপৰ্ব্বতে জৈন রাজাদের নগর ছিল না । নগর থাকিলে এখন তাহার কিছু না কিছু চিহ্ন দেখিতে । [ ३१ ] আবু •ाख्ब्रा बाहेछ। किच् ७हे धृष्शब्र गकि८ग ध्याबउँौं माट्य একটা বড় সহরের কিছু কিছু চিহ্ন আজও পড়িয়া আছে। গুজরাট রাজের মন্ত্রী ও পরমায়েরা এই মগয় নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । এখন এই মগরের ভগ্নাবশেষ দিন পরিষ্কার হইয়। যাইতেছে । আহ্মদাবাদের হুলভাল, গির্ণরের ঠাকুরেরণ এবং শিরোহির শেঠেরা উহার প্রায় সমস্ত প্রস্তরাদি উঠাইয়া লইয়া গিয়াছেন । এখানে শ্বেত পাথরের ছুইটী খনি আছে। কিন্তু উহার পাথর অতিশয় কঠিন ও উজ্জল, সে কারণ তাহার উপরে কাজ করিতে গেলে ভাঙ্গিয়া যায় । জৈন মন্দির গড়িবার সময়ে কোথা হইতে পাথর আনা হইয়াছিল, বলা যায় না । এখানে গম, যব, ভূটা, ধান, দাউল, আলু এবং অন্ত অম্ভ অনেক প্রকার ফসল জন্মে। সিমলা, নাইনীতাল প্রভৃতি পাহাড়ী মধুর মত এখানকার ও মধু উৎকৃষ্ট । বস্ত পশুর মধ্যে বড় বাঘ এবং শিয়াগোষ কচিৎ কথন পাহাড়ের উপরে উঠে । কিন্তু চিতা বাঘ, ভালুক, শজারু এবং শশক প্রায় সৰ্ব্বদাই দেখিতে পাওয়া যায় । এখানে শৃগাল এবং খেকশিয়ালী নাই । সামর হরিণ দল বাধির চরিতে চরিতে পাহাড়ের উপরে আসে ; কিন্তু চিতল হরিণ নীচে বালির উপরে চরির বেড়ায়। আবু পৰ্ব্বতে তাদৃশ সৰ্প ভয় নাই ; কচিৎ কেহ কথন গোখুর। সাপ দেখিতে পায় । আবুপৰ্ব্বতের মন্দিরগুলি কখন কোন রাজা বা ধনাঢ্য ব্যক্তি নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন ; কখন কোন মহাত্ম। তাছাদের সংস্কার করাইয়াছিলেন ; মন্দিরের প্রস্তরখণ্ডে তাহার সমস্ত যিবরণ ক্ষোদিত আছে । স্থানে স্থানে সেই সকল মহাত্মাদের বংশ বিবরণ ; তাছাদের মন্ত্রিগণের ও কারিকরদিগেরও নাম দেখিতে পাওয়া যায় । এখানে তাহার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া অসম্ভব । যাহাদের এ বিষরে কৌতুহল আছে, তাহার অাশিয়াটিক রিসার্চের ১৬ খণ্ডের ২৮৪ পৃষ্ঠা হইতে ৩৩০ পৃষ্ঠা পর্য্যস্ত পাঠ করিবেন । এখানে কেবল কতকগুলি প্রসিদ্ধ লোকের নাম লিখিয়া দেওয়া হইতেছে । পত্তনের অর্থাৎ গুজরাটের রাজপরিবারের—মুলরাজ, চামুণ্ড ১•১১ খৃঃ অব্দে, বল্লভ, স্থলভ ১০২৩ খৃঃ অবো, ভীম, কলদেব, সিন্ধরাজ ১৮৯৪ খৃঃ অবো, কুমার- . পাল ১১৭৪ খৃঃ অব্দে, অজয়পাল, মূল, ভীম ১২০৯ খৃঃ অব্দে । ( সারঙ্গদেব ১২৯৪ খৃঃ জন্ধে }। [ ૨૬ ]
পাতা:বিশ্বকোষ দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।