আবুল-ফজল করিয়াছিলেন। ফৈজী লীলাবতীর গণিত শাস্ত্র অনুৰাদ করিতে লাগিলেন । কালীয় দমন এবং মহাভারতের কিয়দংশের ভার আবুল-ফজল লইলেন । ১৫৯২ সালে তিনি ই-হাজারীর মন্সৰ হনু। এই সময়ে খদেশের রাজা আলি খীণ আপনার কন্সাকে সলিমের কাছে পাঠাইয়া দেন। সম্রাট দেখিলেন, শীঘ্র তাহার সম্মান রাখা অবিস্তক। সে কারণ তিনি খদ্দেশে এবং দক্ষিণে বৰ্হান-উল-মন্ধের কাছে দূতস্বরূপ ফৈজীকে পাঠাইয়। দিলেন । ১৫৯৩ খৃঃ অব্দে ৪ঠা সেপ্টেম্বর মুবারিকের মৃত্যু হয়। দুই বৎসর না যাইতে ফৈজীও পরলোক গমন করেন। জ্ঞানীলোক সকলি বুঝেন, বুঝিয়াও শোকের সময়ে মনকে স্থির রাখিতে পারেন না । আবুল-ফজল পরম জ্ঞানী, তবু পিতার ও ভ্রাতার শোকে তাহাকে অতিভূত করিয়াছিল। আবুল-ফজল শীঘ্রই আড়াই হাজারীর মন্সব হইলেন। এই সময়ে দক্ষিণে অত্যন্ত গোলযোগ । সুলতান মুরাদ তথার শাসনকর্তা ছিলেন । কিন্তু তিনি রাজকাৰ্য্য কিছুই দেখিতেন না, দিবারাত্র মদ খাইয় পড়িয়া থাকিতেন। অতিরিক্ত সুরাপান করিয়া তাহার শরীরও ভগ্ন হইয়া আসিয়াছিল। তাই আবুল-ফজলকে সম্রাট, বলিয়। দিয়াছিলেন যে, ফিরিয়া আসিবার সময়ে তিনি যেন মুরাদকে সঙ্গে করিয়া আনেন। এ সময়ে দক্ষিণে যুদ্ধ চলিতেছিল । যে সকল কৰ্ম্মচাকী নিযুক্ত ছিলেন, তাহার। সকলেই শঠ । বিপক্ষের কাছে ঘুস লইয়া সমস্ত কাজ নষ্ট করিয়া দিতেছিলেন। ‘জাবুল-ফজল আসিলে বাহাদুর র্থ তাহার কাছে উৎকোচ পাঠাইয়াছিলেন । কিন্তু আবুল-ফজল উৎকোচ লইবার লোক নছেন । তিনি সগৰ্ব্বে বাহাদুর খার দ্রব্যাদি ফেরত পাঠাইলেন । মুরাদের শিশু সস্তান মির্জ রস্তম এই সময়ে ইলিচপুরে মরিয়া যায়। তিনি পুত্ৰশোক ভুলিবার নিমিত্ত দিবারাত্র মদ খাইতে লাগিলেন । শেযে মদাত্যয় রোগ উপস্থিত হইল। কিন্তু আবুল-ফজল আসিয়াছেন শুনিয়া সেই অবস্থাতেই তিনি আহ্মদনগরে যাইবার জন্য সাজিলেন। পথে অবস্থা আরও মন্দ হইয় পড়িল। ইলিচপুর ছাড়াইয়া নরনালছ ; তাছার পর শাহপুর, নিকটে দক্ষিণ পূর্ণানদী। সেইখানে শরীর রাখিয়া মুরাদের প্রাণবায়ু উড়িয়া গেল। [ २७] [ %ه ن: ] আবুল-ফজল পৌঁছিয়া দেখেন চারিদিকে গোলযোগ। সেনাপতিয়া তাহাকে ফিরিয়া জালিবার নিমিত্ত অনুরোধ করিতে লাগিলেন । আবুল-ফজল কাহারও কথা শুনিলেন না। পূর্বে ষে সকল স্থান জয় করা হইয়াছিল, সেই সকল স্থানে লোক পাঠাইয়। শাস্তি স্থাপন করিলেন । বৈতাল, তানটুম এবং সতমনা। তাছার इश्रुठ१ऊ झझेज । কিন্তু ইহাতেও দক্ষিণের গোলযোগ মিটিল মা, বরং আরও জটিল হইয়। দাড়াইল। ৰাছাছুর খী কুমার দানিয়ালের কাছে আসিয়া বগুত। স্বীকার করিতে অস্বীকৃত হইলেন। খন্দেশেও যুদ্ধ বাধিল । সম্রাট আকবর তখন উজ্জয়িনীতে। তঁহার ইচ্ছা ৰে নিজে গিয়া অসুরেশগড় আক্রমণ করেন । অসুরগড়, বাহাদুর খার কেল্লা । এ দিকে তিনি জাহ্মদনগর আক্রমণ করিবার নিমিত্ত কুমার দামীয়ালকে নিযুক্ত করিলেন । আবুলফজল আপনার সৈন্যদিগকে মির্জা শাহরুখ, মির মুর্তজা । এবং খাওয়া আবুল হোসনের কাছে রাখিয়া সম্রাটের নিকটে চলিয়া গেলেন । এই সময়ে তিনি চারি হাজারীর মন্সব হন। অকবর এবং আবুল-ফজল উভয়ে মিলিয়া অসুরগড় জয় করিয়া লইলেন । তাহার পর আবুল-ফজল, বাজু মান্না এবং আলি-শাহের সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া নাসিক, জালনছপুর এবং তাহার নিকটবৰ্ত্তা অন্ত অন্ত স্থান জর করেন । ইদানীং দুষ্ট লোকের কুমন্ত্রণায় সলিমের ( জাহাঙ্গিরের ) অনেকটা ভাবান্তর ঘটিয়াছিল। মধ্যে তিনি একরার বিদ্রোহী হইয়া উঠেন । অকবর তখন অসুরগড়ের যুদ্ধে ব্যস্ত । তিনি আগ্ৰায় ফিরিয়া আসিয়৷ সলিমকে নিরস্ত করিলেন । দিন কতক সম্ভাব চলিল । কিন্তু সে সম্ভাব কেবল দু-দিনের জন্ত । সলিম এবার অণলাকাবাদে গিয়া আপনিই রাজল হইলেন এবং আকবরকে রাগাইবার নিমিত্ত তাহার নিজের নামে মুদ্র চালাইয়া সম্রাটের কাছে পাঠাইতে লাগিলেম । অকযর দেখিলেন বিপদের বন্ধু আবুল-ফজল। আর যে সকল লোক অাছে, তাহারা ভিতরে ভিতরে সলিমের দিকে । নিজের স্বার্থসাধনের নিমিত্ত তাহার। সলিমের দুরভিসন্ধিতে বাতাস দিয়া থাকে । সে কারণ তিনি আবুল-ফজলকে শীঘ্ৰ আনিবার জন্ত লোক পাঠাইলেন । দক্ষিণে লোক চলিয়া গেল। সলিম সমস্ত সন্ধান
পাতা:বিশ্বকোষ দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।