অীরতি
- [ ১৩৮ ]
অরিন্ধ এবং ব্রতপৰ্ব্বে তিনটী। সৰ্ব্বস্থদ্ধ আরণ্যগানে ছয়ট প্রপাঠক আছে । প্রত্যেক প্রপাঠক দুইভাগে বিভক্ত এযং প্রত্যেক ভাগে ১০টা হইতে ৩৪টা পৰ্য্যন্ত গান দেখিতে পাওয়া যায়। অস্তান্ত গানের দ্যায় আরণ্যগানের গানগুলি ও ঋকৃমুলক ৷ কিন্তু কয়েকটা গানের ঋক্ পাওয়া যায় না এবং সায়নাচাৰ্য্য ঐ সকল গানের ব্যাখ্যা ও করিয়াছেন কিন। সন্দেহ। কেহ কেহ আরণ্যগানকে গেয় গানের অস্ত্যভাগ বলিয়া মনে করেন, কিন্তু একথা সম্প্রদায়সিদ্ধ নন্থে । আরণ্যপশু ( পুং ) কৰ্ম্মধা । স্মৃত্যুক্ত মহিষাদি সাত প্রকার । 현행 1 [ আরণ্য শব্দে বিবৃতি দেখ। ] আরণ্যমুদ্রগ (পুং ) বনমুগ। বনমুগ। আরণ্যমুদ্গস্যে বাকারে পর্ণে হস্ত্যস্যা: অর্শ আদি অচ, টাপ। আরণ্যমুদগ। মুগানী । মুদগপণী । ( রাজ-নিং । ) [ মুগ দেখ । ] আরণ্যরাশি (পুং ) নি, কৰ্ম্মধা । আরণ্য শব্দোক্ত প্রথমাৰ্দ্ধ দিবসীয় মকর ও সিংহরাশি । মেব এবং বৃযরাশি । আরণ্যক-সংহিতা বা অরণ্যক আর্চিক । ছন্দ আর্চিকের ষষ্ঠ প্রপাঠকের নাম আরণ্যসংহিতা । উহা অরণ্যে অধ্যয়ন করিতে হয় । আরতি ( স্ত্রী) আ-রম-ক্তিন। উপরাম। নিবৃত্তি (আরত্যবরতিবিরতিয় উপরামে । অমর ৩ । ২ । ৩৬ ) ২ নীরাজন। আরত্রিক । চলিত কথায় আরুতি বলে। দেবতাপ্রতিম সমীপে ব্রাহ্মণগণ পূজাস্তে বহুপ্রকারে আরতি করিয়া থাকেন। তন্মধ্যে পঞ্চাঙ্গআরতি প্রায়ই সৰ্ব্বত্র ব্যবহৃত হইতে দেখা যায়। পঞ্চাঙ্গ আরতি এইরূপ— প্রথমে দীপমালা দ্বারা, দ্বিতীয়ত বারিপূর্ণ শঙ্খ দ্বার, তৃতীয়ত ধোঁতবস্ত্র দ্বার, চতুর্থত আম্র অথবা বিশ্বাদি পত্র দ্বারা এবং পঞ্চমত প্ৰণিপাত দ্বারা আরতি করাকেই পঞ্চাঙ্গ আরতি কহে । কোন কোন স্থলে দীপমালায় আরতির পর প্রজ্জ্বলিত কৰ্পর দ্বারা আরতি করিতেও দেখা যায়, কোথাও বা কোন বিষয়ের নূ্যনতাও দেখিতে পাওয়া যায় । ফলতঃ কৰ্ম্মকৰ্ত্তার উৎসাহের হ্রাস বৃদ্ধি অনুসারেই আরতির नृानाशिक, पृष्ठे झ्द्र । যে দীপমালা স্বারা আরতি করা যায়, সাধারণত পঞ্চ বৰ্ত্তিক বিশিষ্ট থাকায় তাহাকে পঞ্চপ্রদীপ বলে। কোন কোন স্থলে সপ্তপ্রদীপ বা তাহাতে অধিক প্রদীপ দ্বারা অথবা কেবলমাত্র একটা শিখাবিশিষ্ট প্রদীপ দ্বারাও আরতি করিতে দেখা যায়। স্বত, কপূর, অগরুচন্দন প্রভৃতি উত্তম উত্তম দ্রব্য দ্বার দ্বীপের বৰ্ত্তিক নিৰ্ম্মাণ করাই প্রশস্ত। তৈল ৰায় আতি কৰিলে তাহ নিকষ্ট বলিয়া পরিগণিত হয়। জাতি করিবার স্নময় প্রতিমার পদতলে চারিবার, নাভিদেশে দুইবার, মুখমণ্ডলে একবায় এবং সমস্ত অঙ্গে সপ্তারার করির দীপমালাদির ভ্রমণ করাইতে হয়। আরতিকালে ঘণ্টা, শঙ্খ ও বাদ্যাদির ধ্বনি হইতে থাকে। এই সময় সাধারণের মনে অভিনব উৎসাহ ও ভক্তিভাবের আবির্ভাব হুইয়। একরূপ অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দ উদয় হইয়া থাকে । বাঙ্গাল দেশে প্রচলিত রমণীগণের বরণ প্রথা ও এই আরতির প্রতিচ্ছায় বলিয়া বোধ স্থর । অন্নপ্রাশন উপনয়ন বিবাহ প্রভৃতি সমস্ত মাঙ্গলিক কার্য্যেই বরণের প্রথা দৃষ্ট হইরা থাকে। প্রতিমা বিসর্জনের পূৰ্ব্বে স্ত্রীগণ একত্রে মিলিত হইয়া প্রদীপ ও তাম্বলাদি গ্রহণ করত নানাবিধ বাদ্যাদি উৎসবের সহিত বেরূপে বরণ করিয়া থাকে, তাহা দেখিলে ব্রাহ্মণকৃত আরতির অনুকরণ বলিয়া স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় । কাশী প্রভৃতি তীর্থস্থানে প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় অতি সমারোহে আরতি ক্রিয়। সম্পন্ন হইয়! থাকে। তৎকালে সমুজ্জল দীপমালা সকল গঙ্গাবক্ষে প্রতিফলিত হইয়। এক অপূৰ্ব্ব শোভা ধারণ করে। সেই দৃশু দর্শকবৃন্দের অতিশয় মনোহর ও আনন্দজনক হইয়া থাকে । আরথ (পুং ) ঈষদ্ৰথ: প্রাদিং সং । একটা অশ্ব দ্বার। গমন সাধন রথ । একৃক । বগী প্রভৃতি । আরদ্র ( চরিদ্র। শব্দের অপভ্রংশ ) হলুদ । “আরদ্র মাথিয়। কেবা, সারদ্র বনাইল রে, ঐছন দেখি পীতাম্বর।” চণ্ডীদাস । আরদ্ধ ( ত্রি ) আরধ-ক্ত । সংসিদ্ধ। তিকাপিং । ফিঞ, r সেতুপুত্র। ( বিষ্ণু-পুং ) । মৎস্তপুরাণে ইহার নাম আরট্র ও ব্ৰহ্মাণ্ডে আরদ্বং লিখিত হইয়াছে । [ আরট্র দেথ । ] ( পুং স্ত্রী ) অীরদ্ধায়নি। আরদ্ধের পুত্র বা কন্যারূপ অপত্য। [পী । ৪ । ১ । ১৫৪ । সুত্রস্থ তিকাদিগণে অণরদ্ধ শব্দ দেখ ] আরনাল ( ক্লী ) আচ্ছতি আ-ঋ-অচ, আরঃ নল গন্ধে ঘঞ, নালঃ আরো দূরগামী নালো গদ্ধে যন্ত বহুব্রী। কাঞ্জিক । কাজি । [ কাজি দেখ । ] স্বার্থে কন আরনালক । ( আরনালকসেীবীরকুষ্মাষাভিযুতানি চ । অবস্তিসোমধন্যান্নকুঞ্জলানি চ কাঞ্জিকে । অমর ) অরিন্দ, আরন্ধ ( দেশজ ) অরন্ধন । ভাদ্রসংক্রাস্তিতে বঙ্গৰাসীর রাখেন না, পূৰ্ব্বদিনের অল্প এই দিন খান । [ অরন্ধন দেখ । ] আরন্ধ (ত্রি ) অ-রভ-ক্ত। কৃতারম্ভণ । যাহার আরম্ভ করা হইয়াছে । (ক্লী ) ভাবে-ক্ত। আরম্ভ । , •