আফগনস্থান [१७ ] আফগনস্থান ৬• ) ইতি ঘঞ। আপ্লব শব্দের অর্থ। আপ্লাবিত (ত্রি) আপুথিচ ক্ৰ শিচ লোপ:। জলাদি প্রবাহ দ্বারা অভিব্যাপ্ত । যে দেশ জলপ্লাবিত হইয়াছে। আপ্লাব্য (ত্রি ) আপ্লবতে অ-প্ন, (ভব্যগেয় প্রবচনীয়োপস্থানীয় জন্তাপ্লাব্যাপাত্য বা । প৷ ৩ ৷৷ ৪ ৷৷ ৬৮ ) ইতি কৰ্ত্তরি ণ্যৎ । যিনি জল প্লাবন করেন । ভাবে শ্যৎ । ( ক্লী ) আল্লাবন । কৰ্ম্মণি ণ্যৎ । ( ত্রি ) জলাদি দ্বারা প্লাবিতব্য স্থান । আল্পত (ত্রি) অ-পুত্ত। স্বাত। গিনি স্নান করিয়াছেন। আদ্রীভূত । স্তাৎসে তে । ( পুং ) স্নাতক গৃহস্থ বিশেষ । (কী ) আ-প্ল ভাবে ত্ত। স্নান। আঞ্জু তত্ত্বতিন (পুং আধুতন্ত স্নাতকস্ত ব্ৰতমন্ত্যন্ত ইনি। স্নাতক গৃহস্থ বিশেষ । [ আপ্লবত্ৰতিন শব্দ দেখ ] । আপ্লুত (অব) আ-ধ্ব-শ্যপ, তুক। দান করিয়া। উল্লম্ফন করিয়া । , আয়ুষ্ট (ত্রি ) আ-প্ল ষ-ক্ত। অন্নদগ্ধ। সম্যক দগ্ধ। আপু (পুং ) আপ্নোতি ব্যাপ্নোতি জগৎ আপ-( শেবযহবজিহা গ্রীবাপুমীবাঃ । উ৭, ১ । ১৫২) ইতি বন । বায়ু। আফগনস্থান। আসিয়ার অন্তর্গত একটা দেশ বিশেষ । ইহার উত্তর দিকে হিন্দুকোষ পৰ্ব্বত । এই পৰ্ব্বত হিমালয়ের একটী অংশ । তাহার পর সফেদ-কে বা শ্বেতগিয়ি আছে। স্থল সীমা ধরিতে হইলে ইহার উত্তরে তুর্কস্থান। পূৰ্ব্বদিকে ভারতবর্ষ , পশ্চিমে পারস্থ এবং দক্ষিণ দিকে বেলুচুস্থান । ইহা ৬১ হইতে ৭১' পূৰ্ব্ব দ্রাঘিমার মধ্যে, এবং ৩০° হইতে ৩৫° উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত । পূৰ্ব্ব দিক হইতে পশ্চিম দিক পৰ্য্যস্ত ইহার বিস্তার ৭৫০ মাইল এবং উত্তর দিক হইতে দক্ষিণ দিকে ইহা ৪৫০ মাইল প্রশস্ত। এখানকার লোক সংখ্যা প্রায় ৫০,০০০,০০০ পাচ কোটি । এখানে এই কয়েকট প্রসিদ্ধ নদ নদী আছে— কাবুলনদ ; ইহার পূর্ক্স নাম কোফেস । হেলমন্দ; ইহার অপর নাম ইতিমন্দর । হরিরুদ । সিন্ধুনদ ও কাবুলের পুৰ্ব্ব ধরে প্রবাহিত হইতেছে । হিন্দুকোষ, স্থলেমান এবং পরোপমিসাম বা ঘোর, এই কয়েকটা এখানকার পর্বত । সিস্তান এবং অবিহস্তাদ এই ছুইটী এখানকার হ্রদ । এখন আফগনস্থানের মধ্যে প্রধান পাচটী বিভাগ আছে ; কাবুল, জেলালাবাদ, গজনী, কান্দাহার এবং হিরাত । আফগনস্থানের উত্তর দিক পৰ্ব্বতময় । স্থানে স্থানে উৎকৃষ্ট উপত্যক আছে, সেখানে প্রচুর বৃক্ষাদি জন্মে । দক্ষিণদিক বালুকাপূর্ণ মরুভূমি। স্বর্ণ, লৌহ, সীস, স্বৰ্মা, দস্তা, গন্ধক, সোরা, পাথুরিয়া কয়লা প্রভৃতি অনেক প্রকার পার্থিব পদার্থের আকর এখানে আছে । কিন্তু ঐ সকল দ্রব্য খনি হইতে তুলিবার নিমিত্ত এ পর্য্যস্ত বিশেষ যত্ন করা হয় নাই । গম, যব, ধান, মুগ, তামাকু, ইক্ষু, বিটপালং, আঙ্গুর, শেউ, তরমুজ, দাড়িম প্রভৃতি অনেক প্রকার শস্ত ও ফল মূলাদি এখানে জন্মিয়া থাকে । উট, ঘোড়া, গোরু, চুম্বভেড়া, ছাগল এবং কুকুর, এখান হইতে অন্ত্যত্র প্রেরিত হয়। আফগনস্থানের উট অতিশয় বলবান এবং কষ্টসহিষ্ণু । এখানকার গোরু বিলক্ষণ দুগ্ধবতী । এখানে দুই জাতীর চুম্বভেড়া আছে ; একজাতির পশম শাদা,আর একজাতির পশম কালবৰ্ণ । ইহার মধ্যে শ্বেতবর্ণ পশম বোম্বাই, পারস্ত এবং ইউরোপে প্রেরিত হয় । রেশম, কাপে ট এবং নানা প্রকার মাল। এখানে প্রস্তুত হইয়া থাকে । আফগন শব্দের ব্যুৎপত্তি কি তাহা ঠিক নিশ্চিত করা যায় না । কেহ কেহ বলেন আরবিক বহুবচন ‘ফেগান’ শব্দ হইতে অ্যফগন শব্দ উৎপন্ন হইয়াছে । আফগন জাতির নানা শ্রেণীতে বিভক্ত, তজ্জন্ত উহ।দিগকে ফেগান বলা হইত। আফগনস্থানের আদিম নিবাসীর নাম তৈফ ছিল । আফগানদের মধ্যে কেহ কেহ বলিয়া থাকেন যে, তাহার। ইহুদীদের বংশে জন্মিয়াছেন, সে কারণ র্তাহাদিগকে বন-ই-ইজেল কহে । এ কথাও অনেকে বলিয়া থাকেন যে, নেবুকদনেজার জেরুজুলামের মন্দির ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া ইহঁাদিগকে বাসিনে পাঠাহয় দেন । আফগন নামক জনৈক ব্যক্তি ইহঁাদিগকে সঙ্গে করিয়া আনিয়াছিলেন, তাই এখন এই জাতির নাম আফগন হইয়াছে। ভারতবর্ষে এই জাতিকে আমরা পাঠান বলিয়া থাকি । ইহাঙ্গের উপাধি খ। এতদ্ভিন্ন রোহিল প্রভৃতি আরও উপাধি আছে । আফগনের স্বল্পী সম্প্রদায়ের মুসলমান । কিন্তু ইহঁাদের মধ্যে অনেক শিয়াও আছেন । বোধ হয়, শিয়ার যথার্থ পাঠান নহে। আফগনদের মধ্যে অনেকগুলি সম্প্রদায় দেখা যায়। তাহার মধ্যে এই কয়েকট প্রধান,—
পাতা:বিশ্বকোষ দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।