পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৪৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নকুলীশ-পাশুপত-দর্শন । [ ઇન્ક. ] নকুলীশ-পাশুপত-দর্শন =-Tri আমরা যে কোন কাৰ্য্য সম্পাদন করি না কেন, অন্তের সাহায্য মা লইলেও অন্ততঃ হস্তপদাদিরও সহায়তা অবলম্বন করিতে হয়। কিন্তু জগদীশ্বর সেইরূপ অপর কোন বস্তুর সহায়তা অবলম্বন না করিয়াই এই সকল জগৎ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন । এই জন্ত র্তাহাকে স্বতন্ত্র কর্তা বলিয়া নির্দেশ করা যায় এবং আমরা যে সকল কাৰ্য্য করিতেছি তাহারও কারণ পরমেশ্বর, অতএব তাহাকে সৰ্ব্বকাৰ্য্যের কারণ বলা যাইতে পারে। এই কথায় কেহ কেহ এইরূপ আপত্তি করিয়া থাকেন এবং তাহারা বলেন, যদি সকল কার্য্যেরই কারণ পরমেশ্বর হয়, তাহ হইলে এক কালেই ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমান এই তিনকালের কার্য্য না হয় কেন, এবং কেনই বা সকল সময় সকল কাৰ্য্য না হয় ? যেহেতু কারণ-স্বরূপ জগদীশ্বর সর্বদাই সকল স্থলে বিদ্যমান রহিয়াছেন। বুদ্ধিমান জনসমূহ কি নিমিত্তই বা মুক্তির ইচ্ছায় ঘোরতর ক্লেশকর তপঃকরণে, পারলৌকিক সুথেচ্ছায় যজ্ঞাদি কৰ্ম্মে এবং সুখ অভিলাষ করিয়া ধনোপার্জনাদিতে প্রবৃত্ত হইয়া থাকে। যখন পরমেশ্বর যাহা করিবেন, তখন তাহাই হইবে। চেষ্টা করিয়া তদতিরিক্ত যখন কিছুই করিবার সাধ্য নাই, তখন যজ্ঞ প্রভৃতি কাৰ্য হইতে বিরত থাকাই বুদ্ধিমান্‌ মমুষ্যের কর্তব্য। কিন্তু এইরূপ আপত্তি যে কেবল ভ্রান্তিমূলক, বিবেচনা করিয়া দেখিলে তাহ স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় ৷ পরমেশ্বর স্বেচ্ছাক্রমে সকল বিষয় সম্পাদন করিতেছেন, র্তাহার যখন যে বিষয়ে ইচ্ছ। হয়, তখনই তিনি সেই বিষয় সম্পন্ন করিয়া থাকেন। এক সময়ে সকল কার্য্য হউক অথবা সৰ্ব্বদ সকল কাৰ্য্য হউক, এরূপ পরমেশ্বরের ইচ্ছ। হয় না বলিয়া এইরূপ কাৰ্য্য হয় না, যদি তাহার এইরূপ ইচ্ছা হয়, তাহা হইলে নিশ্চয়ই ঐক্সপ কাৰ্য হইয়া থাকে। মুমুক্ষুব্যক্তি যোগাভ্যাসে, স্বর্গাভিলাষী যজ্ঞাদি কাৰ্য্যে এবং সাংসারিক সুখে ছু ব্যক্তি ধনোপার্জনাদিতে প্রবৃত্ত হউক, এইরূপ ঈশ্বরের ইচ্ছা হয় বলিয়াই...তাহারা ঐ সকল কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইয়৷ থাকে। র্তাহার ইচ্ছা কখনই বৃথা হয় না। পরমেশ্বর সকলের প্রভু-স্বরূপ এবং তাহার ইচ্ছা আদেশ স্বরূপ, সুতরাং প্রভুর আদেশ উল্লঙ্ঘনে অসমর্থ হইয়া অগত্য সকলকে ঐ সকল বিষয়ে প্রবৃত্ত হইতে হয়। এই দর্শনের মতে, মুক্তি দুই প্রকার। দুঃখ সকলের অত্যন্ত নিবৃত্তি ও পরমৈশ্বৰ্য্যপ্রাপ্তি। রূপ মুক্তি হইলে আর কোনকালেই কোনরূপ দুঃখোৎপত্তি इहेद न । dहे खञ्च धै भूख्द्रि मांग श्रडारु छूःथनिषूद्धि । কৃষ্ণশক্তি ও ক্রিয়াশক্তিভেদে পারমৈশ্চৰ্য্য মুক্তিও দ্বিবিধ। বৃক্ষশক্তি দ্বারা কোন বিষয় অবিজ্ঞাত থাকে না। যত স্বক্ষ, অত্যন্ত দুঃখ-নিবৃত্তি যত ব্যবহিত বা যন্ত দুরন্থ হউক না কেন, স্থল সমীপৰঞ্জী বস্তুর স্থার সকল বস্তুই প্রতীয়মান হয় । সকল বিষয়ই দৃষ্টশক্তিমান ব্যক্তির জ্ঞানপথের পথিক হয়। ক্রিয়াশক্তি সম্পন্ন হইলে যখন ষে বিষয়ে অভিলাষ হয়, তখনই তাহ স্বসম্পন্ন হইয়া থাকে। ক্রিয়ী-শক্তিমুক্ত ব্যক্তির কেবল ইচ্ছ। মাত্র অপেক্ষা করে। মুক্ত ব্যক্তির ইচ্ছা হইলে অন্ত কোন রূপ কারণ অপেক্ষ না করিয়াই অবিলম্বে তাহার মনোরথ পুর্ণ হয়। এইরূপ বৃক্ৰশক্তি ও ক্রিয়াশক্তিরূপ মুক্তি পরমেশ্বরের তত্তদ শক্তিসদৃশ। এজন্য উহাকে পারমৈশ্বৰ্যমুক্তি কহে। পূর্ণপ্রজ্ঞ নামক দর্শনে যে মুক্তির লক্ষণ অাছে, এই দর্শনে তাহা খণ্ডিত হইয়াছে, সেই মতে ভগবদাসত্ব প্রাপ্তিকে মুক্তি কহে। ঐন্ধপ মুক্তি মুক্তি-পদবাচ্য নহে, কারণ, যে মুক্তিতে দাসত্বরূপ অধীনতাশূঙ্খলাবদ্ধ থাকিতে হয়, তাহাকে কি প্রকারে মুক্তি বলা যাইতে পারে। মণিমাণিক্যাদি গ্রথিত সুবর্ণপৃঙ্খলে বন্ধ-ব্যক্তিকেও বদ্ধ কহে, কেহই তাহাকে মুক্ত কহে না । অতএব অন্ধ ব্যক্তিকে পদ্মলোচন বলার দ্যায় ভগবদাসত্বরূপ অধীনতা পাশে বদ্ধ ব্যক্তিকে মুক্ত বলা যুক্তিবিরুদ্ধ ও হাস্যাম্পদ সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । এই দর্শনের মতে প্রধান ধৰ্ম্মসাধনকে চর্য্যাবিধি কহে । চৰ্য্যাও ই প্রকার, ব্রত ও দ্বার । ত্রিসন্ধ্যা ভষ্মমঙ্কণ, ভম্মশয্যায় শয়ন ও উপহার এই তিন ব্রত। ‘হ হ হা' এইরূপ শব্দ করিয়া হস্তি, গন্ধৰ্ব্বশাস্ত্রানুসারে মহাদেবের গুণ গান রূপ গীত, নাট্যশাস্ত্রসম্মত নৰ্ত্তন রূপ নৃত্য, পুঙ্গবের চীৎকারের হায় চীৎকার রূপ হুড় কার, প্রণাম ও জপ এই ছয় কৰ্ম্মকে উপহার কহে । ব্ৰতানুষ্ঠান জনসমাজে না করিয়া অতি গোপনে সম্পাদন করিতে হয় । স্বাররূপ চৰ্য্য, ক্রাথন, স্পন্দন, মন্দন, শৃঙ্গারণ, অবিতৎকরণ ও অবিতজ্ঞাষণ ভেদে ছয় প্রকার। সুপ্ত না হইয়া সুপ্তের হ্যায় প্রদর্শনকে ক্রাথন, বায়ু সম্পর্কে কম্পিতের ন্যায় শরীরাদির কম্পনকে স্পন্দন, খঞ্জব্যক্তির অমুরূপ গমনকে মন্দন, পরম রূপবতী স্ত্রীসন্দর্শনে বাস্তবিক কামুক না হইয়াও কামুকের স্থায় কুৎসিত ব্যবহার-প্রদর্শনকে শৃঙ্গারণ, কর্তব্যাকর্তব্য পৰ্য্যালোচনা পরিশুম্ভের দ্যায় বিগর্হিত কৰ্ম্মানুষ্ঠানকে অবিতৎকরণ এবং নিরর্থক বা বাধিতার্থক শব্বোচ্চারণকে অবিতম্ভাষণ কহে। এই মতে তত্ত্বজ্ঞানই মুক্তির সাধন। শাস্ত্রান্তরেও তত্ত্বজ্ঞান মুক্তির সাধন বলিয়া নির্দিষ্ট আছে বটে, কিন্তু শাস্ত্রাস্তুর দ্বারা তত্ত্বজ্ঞান হইবার সম্ভাবনা নাই, বলিয়া এই শাস্ত্রই মুমুক্ষুগণের অবলম্বনীয়। বিশেষরূপে যাবতীয় ৰম্ভ জানিতে না পারিলে তত্ত্বজ্ঞান হয় না। কিন্তু সকল বস্তুর