- JoyBot (আলাপ) নন্দকুমার 鷲 [ ৫২৩ ] নন্দকুমার মহারাজ নন্দকুমার হইতে জরুল গ্রামের বাস একবারে উঠিয়া যায় । নন্দকুমার রাজকাৰ্য্যামুরোধে মুরশিদাবাদে, কুঞ্জাঘাটায়, কলিকাতায় ও হুগলীতে বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করান। ভদ্রপুরের ভদ্রাসনই তাহার নিকট পৈতৃক বাসভূমি বলিয়া গণ্য হইত। জরুলগ্রামে এখনও এই পীতমুণ্ডী রায়দিগের কীৰ্ত্তির অবশেষ দেখা যায়। মহাতপ নামে একটী পুষ্করিণী ও তন্নিকটস্থ বাসভূমির চিহ্ন এখনও বর্তমান আছে। যে সময়ে মহারাজ নন্দকুমারের জন্ম হয়, সে সময়ে অরঙ্গজেবের মৃত্যু হওয়ায় মোগলসাম্রাজ্যের সর্বত্র বিপ্লব উপস্থিত হইয়াছিল, কেবল বাঙ্গালা নবাব মুরশিদকুলী খার অধীনে নিরুপদ্রবে ছিল। নবাব মুরশিদকুলী খাঁ রাজস্ববিভাগের কার্য্য ভাল বুঝিতেন বলিয় তাহার বিশেষ প্রতিপত্তি ছিল, সুতরাং সেকালে নবাব সরকারে প্রবিষ্ট হইবার জন্ত যিনিই চেষ্টা করিতেন, তাহাকেই কিছু না কিছু রাজস্ব-সংক্রাস্ত কাৰ্য্যের বুৎপত্তি দেখাইতে হইত। নন্দকুমারের পিতাও ঐ বিষয়ে বিশেষ পারদর্শিতা দেখাইয়। নবাব-সরকারে আমীনপদ লাভ করেন। পদ্মনাভ আপনার ভায় পুত্রকেও ঐ বিষয়ে বিশেষরূপে শিক্ষা দেন। পদ্মনাভ ক্রমে ফতেসিংহ, ঘোড়াঘাট ও সাতশইক এই তিনট পরগণার আমীন হন। মুরশিদকুলী খ। অনেক জমীদারের হস্ত হইতে জমীদারী কাড়িয়া লইয়াছিলেন। এই সকল জমীদারীর করসংগ্রহের জন্যই তাহাকে কতকগুলি আমীন নিযুক্ত করিতে হয় । ইহার পরবর্তী নবাবের অনেককে আবার জমীদারী ফিরাইয়া দেন, কিন্তু তাহাতেও আমীনীপদের একবারে লোপ হয় নাই। পদ্মনাভ কোন সময়ে উক্ত তিন পরগণার আমীন হন, তাহার কোন উল্লেখ কোথাও দেখা যায় না। ঐ তিন পরগণা হইতে তাহাকে দেড় লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করিতে হইত। এখন ঐ তিন পরগণার মধ্যে ফতেসিংহ মুরশিদাবাদ জেলার এবং ঘোড়াঘাট ও সাতশইক বৰ্দ্ধমান জেলার অধীন হইয়াছে। নন্দকুমার পিতৃযত্নে রাজস্ব-সংক্রান্ত কৰ্ম্মে বিশেষ শিক্ষা লাভ করিয়া পিতার কার্য্যাদিতে সাহায্য করিতেন। পদ্মনাভ অনেক বিষয়ে পুত্রের অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় পাইয়া তাহাকে আপনার সহকারী বা নায়েব-আমীনপদে নিযুক্ত করেন। পিতাপুত্রে এইরূপে একস্থানে কিছুদিন কাৰ্য্য করেন। ক্রমশঃ নন্দকুমারের দক্ষতার কথা নবাবের কর্ণগোচর হয়। বাঙ্গালার সিংহাসনে যখন নবাব আলীবর্দী খাঁ উপবিষ্ট, তখন নন্দকুমার হিজলী ও মহিষাদল এই দুই পরগণার রাজস্ব आनोरञ्जब्र अछ आँगैन निपूङ श्न। नमाकूभाग्न निरल श्रागैन হইয়া নবাব সরকারের আয় বাড়াইতে মনোযোগী হইলেন।
بی بی بیبیسیسم-مسعه
এরূপে আর বাড়াইতে হইলেই প্রজার ও জমীদারের সুবিধায় কতকটা হস্তক্ষেপ না করিলে চলে না; কাজেই নন্দকুমার জমীদার ও প্রজাদিগের বিরাগভাজন হইয়া পড়িলেন । আলীবর্দী খাঁর সময়ে রায়রায় চয়েনরায় খালার দেওয়ানীপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। জমীদার-প্রজারা নন্দকুমারের বিরুদ্ধে চয়েনের নিকট অভিযোগ করিতে লাগিলেন। চয়েনরায় অনেকগুলি অভিযোগ একবারে পাইয়া একটু চটিলেন। এরূপ চটবার আরও একটু কারণ ছিল । রাজস্বসংগ্রাহকের সেকালে একবারে সমস্ত আদায়ের টাকা পাঠাইতে পারিতেন না, যেমন যেমন আদায় হইত, তেমনি কিন্তী কিস্তী বা বর্ষে একবার টাকা পাঠাইয়া দিতেন। এরূপে যে পরগণায় বার্ষিক যত টাকা আদায় হইবার বন্দোবস্ত আছে, তাহ হয়ত আদায় হইয়া উঠিত না। সেই অনাদায়ী টাকার জন্ত নবাব-সরকারে আমীনকেই দায়ী থাকিতে হইত। যে সময়ে নন্দকুমারের নামে খালসা দপ্তরে হিজলী ও মহিষাদল পরগণার জীদার ও প্রজার অভিযোগ করেন, তখন নন্দকুমারের নিকট ঐ হিসাবে নবাব সরকারে ৮০ হাজার টাকা বাকী পড়িয়াছে। দেওয়ান চয়েনরায় ইহা অবগত হইয়া নন্দকুমারকে পদচ্যুত করিয়া মুরশিদাবাদে আহবান করেন। নন্দকুমার উপস্থিত হইলে দেওয়ান সরকারী প্রাপ্য আদায়ের জন্ত বড়ই পীড়াপীড়ি করিতে লাগিলেন। হঠাৎ কৰ্ম্ম হইতে অপস্থত হইয়৷ এত টাকা একবারে নন্দকুমার সংগ্ৰহ করিতে পারেন নাই। দেওয়ানও কোনরূপেই বুঝিলেন না, কাজেই পদ্মনাভ নিজে পুত্রের ঋণ পরিশোধ করিয়া দিলেন। ননীকুমার ঋণমুক্ত হইয়। নবাব শাহ আমেদজঙ্গের নায়েব হোসেন কুলী খার নিকট কোন কাৰ্য্য প্রার্থনা করেন। দেওয়ান চয়েনরায় নন্দকুমারের উপর চটিয়া গিয়াছিলেন, সুতরাং তিনি এই সংবাদ অবগত
- প্রথম গভর্ণর জেলেরল ওয়ায়েণ হেষ্টিংসের মন্ত্ৰীসভার অন্ততম সভ্য মিঃ বারওয়েল সেই সময়ে নিজ ভগ্নীকে যে সমস্ত পত্রাদি লেখেন তাহার মধ্যে কতকগুলি মুদ্রিত হইয়াছে, তাহার একখানি হইতে জানা যায় যে, বারওয়েল এই ঘটনা উল্লেখ করিয়া লিখিয়াছেন, “এই সময় হইতে আমীন পদ্মনাভ পুত্রের প্রতি এতটা বিরক্ত হইয়াছিলেন যে আর প্তাহার মুখ দর্শন করেন নাই।" বারওয়েল হেক্টংসের অনুগত ও ননকুমারের বিরোধী ছিলেন। তাহার এ কথায় জাস্থ স্থাপন করা যায় না, এরূপ টাকা পাওনা সে কালে রাজস্ব-বিভাগের সকল কর্মচারীর নিকটই थांकिछ । *द्मनांड निरख जांभौन थाकिग्न cय ऊांश दूषिtठन न ठांश
নয়, সুতরাং পুত্রের নিকট সরকারী অর্থ পাওনা হইয়াছিল বলিয়া তিধি পুত্রের মুখ দর্শন বন্ধ করেন, ইহা বিশ্বাস্ত নহে।