পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালার শীর্ষস্থানীয় জৰীদারেরাও নদকুমারের শরণাগত -হইলেন । ननाडूमांब्र कि कब्रिटवन, কিছুই বুঝিতে পারলেন ন। হেটিংস এই সমস্ত সংবাদ যতই পাইতে লাগিলেন, ততই নলকুমারের উপর চটতে লাগিলেন। হোসে তখন হইতে নন্দকুমারকে তাহার নিজের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী বলিয়৷ ভাবিতে লাগিলেন। ওদিকে কাউন্‌সিলের মন্ত্ৰিগণের সহিত নলকুমারেরও পরিচয় হইল, কাহারও কাহারও সহিত বন্ধুত্ব স্থাপিত হইল। মন্ত্রিগণ ক্রমশঃ হেষ্টিংসের অবিশ্রান্ত উৎকোচ-গ্রহণের সংবাদ পাইতেছিলেন এবং তাহার অনুসন্ধানার্থ নানা উপায় অবলম্বন করিতেছিলেন, শেষে নন্দকুমারের সহিত পরিচিত হইয় তাহাকেই এবিষয়ে উপযুক্ত লোক বিৰেচনা করিয়, তাহারই হস্তে হেষ্টিংসের অত্যাচার কাহিনীসংগ্রহের তার দিলেন । নন্দকুমার বাঙ্গালী রাজ্যের সকল দিকের সকল অবস্থা বিশেষরূপে জানিতেন। তাহার স্কার উপযুক্ত রাজ্যের অবস্থাতিজ্ঞ রাজকৰ্ম্মकांग्रैौ पञांब्र cरुझ् उथम झिण मां । मबांरु श्रांशैौदनँौं शेंद्र जमग्न হইতে একাল পর্য্যস্ত দেশের শাসনবিধি ও রাজস্ববিধির সহিত তিনি পরিচিত ছিলেন এবং খালসার দেওয়ানী করায় প্রধান প্রধান জমীদারবর্গের সহিত বিশেষ সৌহার্দ্য ছিল, কাজেই মন্ত্রীরা তাহাকেই উপযুক্ত লোক বলিয়া স্থির করিলেন। ইদানীং হেষ্টিংসের অকৃতজ্ঞতায় নহ্মকুমারও তাহার উপর চটিয়া গিয়াছিলেন, কাজেই তিনিও প্রধানতঃ দেশের অত্যাচারদমন-কল্পে হেষ্টিংসের বিরুদ্ধে কাৰ্য্য করিতে সন্মত হইলেন। হেষ্টিংস তাহাকে চক্রান্তকারী বলিয়া সন্দেহ করিতেন, বাস্তবিক সে দোষ তাহার ছিল না, তিনি যাহা করিতেন, তাহা প্রকাগু ভাবেই করিতেন। এই সময় আরও একটু সুযোগ হইল। বৰ্দ্ধমান-রাজের বিধবা পত্নী মহারাজ তিলকচন্দ্র বাহাদুরের স্ত্রী হেষ্টিংসের অত্যাচারের জন্ত কাউন্সিলে এক অভিযোগ উপস্থিত করেন। অনেকে বলেন, নন্দকুমারই উদ্যোগী হুইয়া এই অভিযোগ করান, কিন্তু তাহার কোন প্রমাণ নাই। মন্দকুমারের যদি এরূপে কাৰ্য্য করিতে প্রবৃত্তি হইত, তাহা হইলে তিনি কেবল বৰ্দ্ধমান কেন, বাঙ্গালার সমস্ত জমীদারকে দিম্বাই অভিযোগ করাইতে পারিতেন, কিন্তু তাহার এরূপ উদেশু ছিল না। তিনি অত্যাচারীর অত্যাচার দমনার্থ নিজেই অভিযোক্ত হইয়া দাড়াইবার জন্য প্রস্তুত হইতেছিলেন। পুরুষোচিত সৎসাহস তাহার ছিল । ১৭৭৫ খৃষ্টাকে ৮ই মার্চ তারিখে নন্দকুমার অভিযোগের আবেদন-পত্র প্রস্তুত করিয়া নিজেই কাউন্সিলের একতম সদস্ত মিঃ ফ্রান্সিসের হন্তে দিয়া আসেন। এই আবেদমে তিনি [ (లి4 , ] নন্দকুমার হেক্টংসের নামে উৎকোচগ্রহণ, অত্যাচারীকে অবৈধ রূপে বিচারে নিষ্কৃতিদান এবং দেশব্যাপী অত্যাচার অনুষ্ঠানের অভিযোগ করেন। হেক্টংস তাহার উপরও যে সকল অনিষ্ট করেন, তাহাও বিশেষরূপে বিবৃত করিয়াছিলেন। এখানি পারসীতে লিখিত হইয়াছিল। মিঃ ফ্রান্সিস পরবর্তী অধিবেশনে অর্থাৎ ১১ই মার্চের কাউন্সিলে ইহা পাঠ করেন। এই আবেদনে নন্দকুমার মীরকাসিমের যুদ্ধের সময় ইংরাজদিগের উপকারার্থ যে সকল অনুষ্ঠান করেন, প্রথমতঃ তাহার উল্লেখ করেন, তৎপরে মহম্মদ রেজাখ দেশে কিরূপ ভীষণ অত্যাচার করিয়াছিলেন, তাহাও বর্ণনা করেন। তাহার পর হেষ্টিংস তাহার প্রতি কিরূপ অত্যাচার করিয়াছিলেন, একে একে তাছাই বর্ণনা করেন। কাউন্সিলের সত্যের বিলাত্ত হইতে আসিলে হেটিংস স্বয়ং তাহাদিগের সহিত অঙ্গীত বাঙ্গালার সম্রাস্ত ব্যক্তির পরিচয় করাইয়া দেন, কিন্তু নন্দকুমারের পরিচয় করাইয় দেন মাই। নন্দকুমার সে বিষয়ে প্রার্থন করিলে গবৰ্ণর বলেন, আমার একজন শত্র আছে, তাহার সহিত জাপনার বড়ই ঘনিষ্ঠতা, আপনার তাহাকে মন্ত্রিসভার এই সকল সভোর নিকটু পত্রাদি লইয়া যাইবার জন্ত নিযুক্ত করিয়াছেন। আপনি তাহাঙ্ক সহায়তায় তাহদের সহিত পরিচিত হউন না কেন ? তাহার পর গবর্ণর ভয় দেখাইয় বলেন, আমার নিজের মান বঁাচাইবার জন্য ও সুবিধার क्लष्ठ अभि नकल ¢रुीव्र Cष्टेॉड़े कब्रिट्, किरु ऊांशंष्ठ আপনাকেই ক্ষতিগ্রস্ত হইতে হইবে। তাহার পর হেষ্টিংস ইলিয়ট সাহেবকে দিয়া নন্দকুমারকে কাউন্‌সিলের সভাগণের নিকট পরিচিত করাইয়া দেন। ইহার পর হইতে, বিশেষতঃ হেষ্টিংসের প্রতিদ্বন্দ্বী মিঃ , ফ্রান্‌সিসের সহিত নন্দকুমারের বিশেষ সৌহার্দ্য হওয়ার হেষ্টিংস নন্দকুমারকে দমন করিবার জন্ত নানা উপায় অবলম্বন করেন। রেসিডেণ্ট গ্রেহামের সহিত বৰ্দ্ধমানের রাজস্ব আদায়াদি লইয়া নন্দকুমারের বিবাদ ছিল। বোলাকিদাস শেঠ নামে একজন আগরওয়াল জহুরীর মৃত্যুর পর হিসাবাদি লইয়া মোহনপ্রসাদ নামক জহুরীর আম্মোক্তারের সহিতও নন্দকুমারের বিবাদ ছিল। বর্তমান কুঞ্জঘাট রাজবংশের আদিপুরুষ জগচ্চত্র বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দকুমারের জামাত। ছিলেন। ইহাকে মহারাজই বাল্যকাল হইতে পুত্রের স্থায় প্রতিপালন, শিক্ষাদান ও কস্তাদান করেন, অবশেষে অনেককে অনুরোধ করিয়া জগচ্চত্রের চাকুরীও করিয়া দেন। যখন মহারাজ নন্দকুমার এই অভিযোগ উপস্থিত করেন, তখনও জগচ্চত্র সবাবের দেওয়ান রাজা গুরুদাসের