পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তখন তাহার মুখে প্রশান্তভাব দর্শন করিয়াছিলেন তাহার পর তাহার ফাসী হইয়া গেল। মহারাজের নির্দিষ্ট ব্রাহ্মণ অনুরো তাহা শৰ লইয়া গেল। দর্শকগণের মধ্যে অনেকে গঙ্গা স্নান করিয়া ব্ৰহ্মহত্য-দর্শনজনিত পাপুশাস্তি করিলেন। অনেকে ব্ৰহ্মহত্যায় কলঙ্কিত কলিকাতায় বাস ত্যাগ করিয়া গঙ্গার পরপারে চলিয়া গেলেন। এই ঘটনায় বালী উত্তরপাড়ায় ব্রাহ্মণাবাসের প্রাচুর্তাব হয়। তখন কলিকাতায় এক রঙ্গালয় ( থিয়েটার) ছিল, ইংরাজেরাই অভিনয় করিতেন। তাহারা ইম্পে ও হেষ্টিংসের অত্যাচার অবলম্বন করিয়া এক রঙ্গনাট্য পর্য্যস্ত অভিনয় করিয়াছিলেন। • নন্দকুমারের চিহ্ন এখনও আছে, কীৰ্ত্তিও অাছে। তিনি ভদ্রপুরের বাড়ীতে লক্ষ ব্রাহ্মণ সমবেত করিয়া তাঁহাদের পদধূলি সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই কার্য্যে তত্ত্বাবধান করেন। এই সমারোহের কার্য উপলক্ষে একটী গাধা আছে— "ভাঙ্গুরের নন্দকুমার, 爱 লক্ষ বামুন কল্পে সুমার, কেউ খেলে মাছের মুড়ে, কেউ খেলে বন্দুকের হুড়ে।” ইত্যাদি। এই বন্দুকের হুড়ে অবশু ব্রাহ্মণের খান নাই, কেননা যিনি পদধূলির জন্ত ব্রাহ্মণ আহবান করিয়াছিলেন, তিনি ব্রাহ্মণকে হড়ে দিবার ব্যবস্থা করিতে পারেন না। এই পদধূলির কতকাংশ আজিও কুঞ্জঘাটার রাজবাড়ীতে আছে। লক্ষ ব্রাহ্মণের জাসনের জন্ত লক্ষ পিড়া ( কাষ্ঠাসন ) প্রস্তুত হইয়াছিল, তাহারও ইচারি খানি আজও ঐ রাজবাড়ীতে আছে। যে তোরণদ্বার দিয়া লক্ষ ব্রাহ্মণ পুরপ্রবেশ করেন, সে তোরণস্বারও বর্তমান আছে । ভদ্রপুরে তাহার প্রতিষ্ঠিত নবরত্ন-মন্দিরে লক্ষ্মীনারায়ণ ও বৃন্দাবনচন্দ্র নামে বিগ্রহ আছেন। গৌরীশঙ্কর নামে শিব ও আকালীপুরের ভদ্রকালীও তাহারই স্থাপিত। ভদ্রকালীর মন্দির বর্তমান । নবরত্ন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আছে। লক্ষ্মীনারায়ণ, বৃন্দাবনচন্দ্র ও গৌরীশঙ্কর প্রতিমা স্নাজ মহানন্দ (নন্দকুমারের দৌহিত্র ) কর্তৃক ভদ্রপুর হইতে কুঞ্জঘাটায় আনীত হইয়াছে। তাহারই প্রতিষ্ঠিত ভদ্রপুরের রাণীসায়র ও গুরসায়র নামে হই বৃহৎ পুষ্করিণীও বর্তমান ও কুঞ্জঘাটার বর্তমান কুমার কর্তৃক মুসংস্কৃত হইয়াছে। ভদ্রপুরের প্রাসাদের চিহ্ন আছে। মৃত্যুকালে মহারাজ ৫২ লক্ষ টাকা নগদ ও সম্পত্তি রাখিয়া গিয়াছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর রাজা গুরুদাস বিষয়াধিকার পান, গুরুদাসের পর I & 8, 1 মহারাজ বৈষ্ণব ছিলেন।

  • Dr. Busted's Echoes from Old Calcutta.

ΙΧ নন্দগাঁও প্তাহার পর রাণী জগাৰ বিবাধিকারিণী হন, কিন্তু কিছুদিন *tब्र शशंब्रांछ नन्सबूभांtब्रग्न ५कभांब cनोशिज ७ फेडद्रांषिकांनैौ রাজা মহানন্দ মাতুলানীর হস্ত হইতে বিষয়াদি হস্তগত করেন। রাজা মহানন্দ নিজামতের দেওয়ান হইয়াছিলেন ও রাজা উপাধি পাইয়াছিলেন। কুঞ্জঘাটার প্রাসাদে যে ঘরে তাহাকে খেলাৎ দেওয়া হয়, সে ঘর খেলাৎঘর নামে আজিও বর্তমান। হেষ্টিংসের বিচারপ্রণালী যে নির্দোষ তাহার সাক্ষ্যস্বরূপ হেষ্টিংসের বিলাতে বিচারকালে রাজা মহানন্দ ও অভাক্ত হেষ্টিংসপ্রিয় লোকেরা এ দেশ হইতে এক আবেদন পাঠান। রাজা মহানন্দও পরম বৈষ্ণব ছিলেন। তিনি রাধামোহন এবং গৌরাঙ্গ মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেন। নন্দকুমার বিদ্যাভূষণ, রাধামানতরঙ্গিণী নামে সংস্কৃত কাব্য রচয়িতা। , রাজাসা জেলায় বরাল নদীর একটা শাখা। নন্দকৃপ, একটী কুপ, কালিয়সৰ্পদমনের দিন ননাদি গোপগণ এই কুপ নিৰ্ম্মাণ করিয়া জল পান করেন। ( ভক্তমাল ) নন্দগড়, বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত একটা নগর। এখানে একটী ডাকঘর, তিনটী স্কুল ও বাজার অাছে। এই নগরের অনতিদূরে প্রতাপগড় নামক একটা দুর্গের ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। নন্দগাও, ভরতপুর-গিরিমালার শিখরদেশে অবস্থিত একটা গ্রাম। এইখানে কৃষ্ণের পালক-পিতা নন্দঘোষের ৰাস ছিল বলিয়া এখানকার লোকেরা ইহার যথেষ্ট সমাদর করিয়া থাকে। এখানে নন্দরায়জীর একটী মন্দির আছে। রূপসিংহ নামে কোন এক জাঠ এই মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। একটা বাধান চত্বরের মধ্যস্থলে মন্দির অবস্থিত, এবং উন্নত প্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিত। এই মন্দিরের উপর দঁাড়াইলে, গোবৰ্দ্ধন পর্যন্ত মথুরা জেলার সকল সমতল ভূভাগ দৃষ্টিগোচর হয়। গ্রাম তাশ শোভাসম্পন্ন নহে; কিন্তু ইহাতে কতিপয় সুরম্য হৰ্ম্ম আছে। মনসাদেবীর একটী মন্দির ব্যতীত, অবশিষ্ট মন্দিরগুলি একই কৃষ্ণের ভিন্ন ভিন্ন নামে উৎসগীকৃত যথা,— নরসিংহের মন্দির, গোপীনাথের মন্দির, যশোদানন্দনের মন্দির, নন্দনন্দনের মন্দির, রাধামোহনের মন্দির ইত্যাদি। যশোদানন্দনের মনিরটর গঠন নারায়জীর মন্দিরের গঠনের অনুরূপ। উৎকৃষ্ট ভরতপুর পাথরে একটী নিৰ্ম্মিত, ১১৪টা সোপানবিশিষ্ট সিঁড়ি দ্বারা ঐ মন্দিরে আরোহণ করিতে হয়। এই সিঁড়ি ১৮১৮ খুঃ অবো, কলিকাতার রামপ্রসাদবাবুর ব্যয়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। পৰ্ব্বতের পাদদেশে ব্যবসায়িগণ এবং যাত্রীদের থাকিবার জন্য অনেকগুলি প্রস্তরনিৰ্ম্মিত ঘর లిట్ర