পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরক যাহাতে আমি সত্বর প্রসব হইতে পারি, আপনি তাহার খোচিত উপায় বিধান করুন। ভগবান তাহাকে কছিলেন, ‘বক্ষৰূরে ! তোমার এ দুঃখ অধিক কাল আর সন্থ করিতে হইবে না। তোমার এই গর্ভে মহাবলবান পুত্র জন্মিবে, এইজন্স ব্রহ্মাদি দেবগণ প্রসবের বাধা জন্মাইয়াছেন। আদি কৃষ্টি হইতে অষ্টাবিংশ চতুর্কুগের অন্তর্গত ত্রেতাযুগে তুমি এই সন্তান প্রসব করিবে । এই কাল পর্য্যন্ত তোমার গৰ্ত্তধারণ করিতে হইবে । ত্রেতাযুগের মধ্যভাগে শ্রীরামচন্দ্র রাবণকে বধ করিলে তোমার গর্ড হইতে বালক ভূমিষ্ঠ হইবে, তোমার এই গর্ভধারণ জন্য কোনরূপ ধাতনা আর ভোগ করিতে হইবে ন। পৃথিবীকে বিষ্ণু এই কথা বলিয়া তিরোহিত হইলেন। পৃথিবীও গর্ভহীন নারীর স্থায় কৃশাঙ্গী হইয়া সুখে অবস্থান করিতে লাগিলেন। রাজা জনক যখন নারদের উপদেশামুসায়ে যজ্ঞ করিয়াছিলেন, তখন সেই যজ্ঞভূমি হইতে দুইট পুত্র এবং ভূবনমোহিনী এক কন্য। পৃথিবী হইতে উৎপন্ন হইল। পৃথিবী সেই স্থানে উপস্থিত হইয়া রাজর্ষি জনককে কহিলেন, রাজন্‌! ভুবনমোহিনী এই কন্যা তোমাকে অর্পণ করিলাম। ‘এই কন্যা হইতে আমার ভার হরণ এবং অশেষবিধ মঙ্গল কাৰ্য্য সাধিত হইবে ; কিন্তু আমার নিকট তোমায় একটী প্রতিজ্ঞ করিতে হইবে, রাবণবীর নিহত হইলে আমি ভার রহিত হইয়া মুখে একটী পুত্র প্রসব করিব, তুমি সেই পুত্রকে যতদিন তাহার শৈশব উত্তীর্ণ না হয় ততদিন প্রতিপালন করিবে ।’ জনক এই কথা শুনিয়া প্রণত হইয়া এই বাক্যের অনুমোদন করিলেন। পরে রাবণবধ হইলে পৃথিবী যে স্থলে সীতা প্রস্থত হইয়াছিল, সেই স্থানে যাইয়া একটী পুত্র প্রসব করিলেন। পুত্র জন্মিবা মাত্রই পৃথিবী বিষ্ণুকে স্মরণ করিলেন। ভগবান বিষ্ণু সেই স্থলে উপস্থিত হইয়া পৃথিবীকে কহিলেন, ‘দেবি ! তোমার এই পুত্র মহাপরাক্রমশালী হইবে এবং যতদিন মনুষ্যভাবে অবস্থান করিবে, ততদিন পরমমুখে কালাতিপাত করিবে। যে সময়ে মনুষ্যভাব ত্যাগ করিয়৷ কোন কাৰ্য্য করিবে, সেইকাল হইতেই তুমি তাহার জীবনের আশা ত্যাগ করিবে এবং ষোড়শ বৎসর বয়সের সময় ধনরত্নাদি দ্বারা সমৃদ্ধ রাজ্যভার প্রাপ্ত হইবে। প্রাগজ্যোতিষ নামে নগর ইহার রাজধানী হইবে । এই পুত্র নরক নামে আখ্যাত হইবে। বিষ্ণু পৃথিবীকে এইরূপ বলিয়৷ ক্তিয়োছিত হইলেন। এদিকে ধরিত্রী অর্ধয়াত্র সময়ে জনকের मिक शबम कब्रिव्र अठिशोभएम शूरजग्न छश्रदूखांछ जॉनইলেন। জাজৰি জনক তৎক্ষণাৎ যজ্ঞভূমিতে উপস্থিত হইয়। ধ্বন্ত্রিীতনয়কে লইয়া অপত্যনির্বিশেষে পালন করিতে লাগি . [ سان ] - घ#ई লেন। যে সময় নরক প্রস্থত হইয়াছিল, সেই সময় হইতেই পৃথিবী মায়াৰলে মনুষ্যরূপ ধারণ করির রাজান্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন। স্লাজৰি জনক ব্রাহ্মণৰায় যথোচিত সংস্কার কার্য্য সম্পাদন করাইলেন এবং জন্মকালীন এই বালক নর-মস্তকে মস্তক ন্যস্ত করিয়াছিল বলিয়া ইহার নাম ‘নয়ক রাখিলেন । ক্ষত্রিয়দিগের বিধিমতে সকল কাৰ্য্যই সম্পন্ন করা হইল। গৌতমপুত্র শতানন্দ ইহাকে শিক্ষা দিতে লাগিলেন। তাহার শিক্ষায় নরক অতিশয় বিনীত হইল। এদিকে দেবী ধরিত্রী মারারূপে অন্তঃপুরে অবস্থান করিয়া নরককে পালন ও বিশেষরূপে সুনীতি শিক্ষা দিতে লাগিলেন। ক্রমে নরক রূপে, লাবণ্যে, বলবীর্ঘ্যে, ধন্থ দ্ধে বা গদাযুদ্ধে অন্যান্ত সকল রাজপুত্রকে অতিক্রম করিল। নরক দিন দিন এরূপ পরাক্রমশালী হুইয়া উঠিতে লাগিল যে, জনকও মনে মনে ভীত হইতে লাগিলেন। নরক ষোড়শবর্ষ বয়ঃপ্রাপ্ত হইলেই বীরবর্গের অজেয় হইলেন। নরকের ১৬ বৎসর পূর্ণ হইতে তিনমাস অবশিষ্ট থাকিতে ধরিত্রী জনকের নিকট গমন করিয়া কহিলেন, ‘রাজনৃ! আপনি প্রতিজ্ঞাপালন করিয়াছেন, নরক আপনার নিকট প্রতিপালিত হইয়া সুনীতিপরায়ণ হইয়াছে। এখন নরককে যাইতে অনুমতি দিন। ধরিত্রী এই বলিয়৷ তৎক্ষণাৎ অন্তর্হিত হইলেন। জনকও অনুমোদন করিলেন। ধরিত্রী মায়ারূপ ধারণ করিয়া নরককে কহিলেন, ‘পুত্র! তুমি আমাকে সঙ্গে লইয়৷ গঙ্গাতীরে গমন কর, সেই স্থানে তোমার পিতাকে দেখাইব, জনক তোমার পিতা নহে, পালক পিতা মাত্র ।” নরক ধাত্রীবাক্যে বিশ্বাস করিয়া গঙ্গাতীরে পদব্রজে গমন করিল। ধরিত্র তখন মায়ারূপ পরিত্যাগ করিয়া স্বীয় মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া নরককে তাহার জন্মবৃত্তান্ত বলিলেন এবং বিষ্ণুকে তখন স্মরণ করিলেন। বিষ্ণু তৎক্ষণাৎ তথায় উপস্থিত হইয়া কহিলেন, নরকের জন্ত রাজ্য প্রভৃতি সকল প্রস্তুত রহিয়াছে’ এই বলিয়া উভয়ে গঙ্গাসলিলে প্রবেশ করিলেন। নরক তৎক্ষণাৎ প্রাগজ্যোতিষ নামক পুরে উপনীত হইলেন। এই স্থান কামরূপের মধ্যে। এখানে কিরাত জাতি বাস করিত। ঘটক নামে ইহাদের এক রাজা ছিল। বিষ্ণু ও নরক ইহাদিগের সহিত যুদ্ধ করিয়া সকলকে নিহত করেন। বিষ্ণু তৎপরে নিজ পুত্ৰকে এই রাজ্যে অভিষিক্ত করিলেন। প্রাগ্‌জ্যোতিষপুরে রাজধানী স্থাপিত হইল। বিদৰ্তরাজকন্ত মায়ার সহিত নরকের বিবাহ হয়। বিষ্ণুক্ষিতির সমক্ষে পুত্রকে সম্বোধন করিয়া কছিলেন, ‘পুত্ৰ জামি তোমাকে এই শক্তি দিলাম, ইহঃ প্রাণ দংশয় ব্যতীত ভূমি জায় কখনও ব্যবহার ক্ষরিe"ম, দি