পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* - নরহরি সরকার --- [ ৫৮৯ ] নরহরি সরকার নরহরি সরকার, শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাবপ্রসঙ্গে বঙ্গসাহিত্য বহু রত্নের অধিকারী হইয়াছিল। বাঙ্গালা সাহিত্যে বৈষ্ণব কবিগণের অধিকার অতি প্রসারিত এবং আসন অতি উচ্চ। এ সকলেরই পথপ্রদর্শক নরহরি ঠাকুর। “নারায়নাত্মকমতীব দয়ালুদেহপ্রেমপ্রবাহপরিপূরিততদ্ধিমাৰ্গং। চৈতন্যচরণেতি নিবেশ্যন্তং বন্দে প্রভুং নরহরিং পরমেষ্টদেবং ” এই প্রণাম শ্লোকটীতে র্তাহার পিতার নাম নারায়ণ ছিল, জানা যাইতেছে। - নারায়ণের দুইপুত্র, জ্যেষ্ঠ মুকুন্দ, কনিষ্ঠ নরহরি। নরহরি সরকার ঠাকুর অতি স্বপুরুষ ছিলেন– “প্রতপ্তস্বর্ণবৰ্ণাভং ভাবভরণভূষিতং, নীলাবাসোধরং দিবাং চনানোহিতভালকং । নাম সূত্রপ্রদাতারং কণ্ঠে বিপুললম্বিতং, দিবাসিংহাসনালীনং শ্ৰীমন্নরহরি ভজে ॥” এই ধ্যানটীতে জানা যায় যে, তাহার বর্ণ অতি উজ্জল গেীর ছিল, যাহাকে কবিগণ “প্রতপ্ত স্বর্ণ” বলেন, নরহরির সেই বর্ণ ছিল, তাহার কণ্ঠে দীর্ঘ লম্বিত মালা ছিল, এবং তিনি কপালে চন্দন লেপন করিতেন । শ্ৰীমহাপ্রভুর সহিত নরহরির অত্যন্ত প্রণয় (বালাকাল হইতেই ) ছিল। একদিন নবদ্বীপে গেীর রূপ দর্শনে, মহাপ্রভুর প্রতি তাহার চিত্ত আকৃষ্ট হয়। একট পদে তিনি লিখিয়াছেন— "গৌরাঙ্গ চান্দের রূপের পাথরে, সঁতারে না পাই থা। করে ঝল মল, শ্ৰীঅঙ্গ-কমল, শরদ চীদের মেলা ॥” ইত্যাদি। কিছুদিন গৌরাঙ্গের সঙ্গে বাস করিতে করিতে তাহার মনে হইল, যে গোঁর সামান্ত মনুষ্য নহে, সাক্ষাৎ ভগবান। তখন এ কথা কেহ অবগত ছিল না, যদি এ কথা প্রকাশ করেন লোকে হাসিবে, বিদ্রুপ করিবে। ভয়ে বলিতে পারেন না, আবার না বলিয়াও থাকিতে পারিতেছেন না। তাহার তথনকার একটী পদে এই অভিাস দিয়াছেন। যথা— “কারে কব মনের কথা । কে বুঝিবে মনোব্যথা ॥” কিন্তু নরহরির এ ক্ষোভ অধিক দিন ছিল না, তাহার “প্রাণনাথ" কে ? শীঘ্রই লোকে তাহা জানিতে পারিল এবং তাহার “প্রাণনাথ” কি বস্তু জগৎ তাহা বুঝিতে পারিয়া, তদীয় চরণে অবনত হইল। - অপূৰ্ব্ব গে্র-প্রেমলীলা তিনি পান করিয়া পরিতৃপ্ত হইতে লাগিলেন, তাহার বড় সাধ, এ অমৃত তৃষিত জগজ্জনে IX >8b বিতরণ করেন। কিন্তু তাহার छा फाउ নাই। কেতনি তিনি গোরলীলা লিখিতে বসিয়াছেন, কিন্তু পারেন না,তাবিতেই বিভোর হইয় পড়েন। একট পদে তিনি লিথিয়াছেন “গোরলীলা দরশনে शांह दड़ रुग्न भएन, · ভাষায় লিখিয়া সব রাখি । भूङेड एडि बक्षभ। লিখিতে না জানি ক্রম, কেমন করিয়া তাহা লিখি ॥ সে গ্রন্থ লিখিবে যে, এখনও জন্মেনি সে, छग्निष्ठ दिलष ठांटझ् रुरु । ভাষায় রচনা হলে, বুঝিবে লোক সকলে, কবে বাঞ্ছা পূৰ্বাইবে প্রভু। গেীর গদাধরলীলা, আদ্রব করয়ে শিল, কার সাধ্য করয়ে বর্ণন । সারদা লিখেন যদি, নিরস্তুর নিরবধি, আর সদাশিব পঞ্চানন ॥ কিছু কিছু পদ লিখি, যদি ইহা কেছ দেখি, প্রকাশ করয়ে প্রভু লীলা। নরহরি পাবে সুখ, ঘুচিবে মনের দুখ, গ্রন্থ গানে দরবিবে শিল ॥” নরহরি গোরলীলাত্মক পদ লিখিতে লাগিলেন, যদি ইহা দেখিয় কেহ গোরলীলা লিখেন, কেহ গেরিলীলা লিখিতে দাড়াইলে এই পদগুলিতে তিনি বিশেষ সাহায্য পাইবেন, এবং এইরূপে একখানি সত্যঘটনাপূর্ণ গ্রন্থের স্বষ্টি হইবে। নরহরি সরকার এইরূপে সৰ্ব্বপ্রথম গোরলীলার পদ লিখিতে আরম্ভ করেন। নরহরির পদগুলি মাধুর্য রসের আকর। নরহরির দৃষ্টান্তে শীঘ্রই বাসুদেব, মাধব, গোবিন, জ্ঞানদাস, মনোহর দাস, বলরাম দাস প্রভৃতি পদকর্তাগণের কবিতাকদম্বের সেগন্ধে সমস্ত বঙ্গদেশ পুরিয়া গেল। বাসুদেব ঘোষ বলিয়াছেন“শ্ৰীসরকার ঠাকুরের পদাযুত পানে । পদ্য প্রকাশিত বলি ইচ্ছা কৈমু মনে ॥ প্ৰসরকার ঠাকুরের অদ্ভুত মহিমা। ব্রজে মধুমতী যে গুণের নাহি সীম।” কিন্তু নরহরির অভিলাষ, তাহার শিষ্য লোচনদাস দ্বারা পূর্ণ হইয়াছিল। “গ্রন্থ লিখিবে যে” সেই লোচন, চৈতন্যমঙ্গল লিখিয় তাহার অভিলাষ পূর্ণ করেন। লোচনদাস সরকার ঠাকুরকৃত গোরলীলাত্মক পদাবলী পাইয়াই পরম আনন্দিত হন, এবং তঁহীর মুখে গেরিলীলার অনেক অদ্ভুত কাহিনী অবগত হন। এই জন্তই তিনি একস্থলে বলিয়াছেন—