পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নলমীন নলদিক (ত্রি) নলদ কিশরাদিত্বাৎ ঠন্‌। নলদ-বিক্রেতা। নলদিয়র, তামিল ভাষার একখানি আদি গ্রন্থ। ইহাতে সৰ্ব্ব সমেত চল্লিশট অধ্যায় এবং প্রত্যেক অধ্যায়ে নীতিবিষয়ক দশটী শ্লোক আছে। গ্ৰন্থখানির মামকরণ সম্বন্ধে নিম্নলিখিতরূপ একটী আখ্যায়িকা আছে,— কোন এক কাব্যোৎসাহী রাজার সভায় এক দিন আটশত কবি উপস্থিত হইয়াছিলেন ; রাজা তাহাদিগকে সন্মানপূর্বক গ্রহণ করেন। কিন্তু তাহাতে রাজার পূর্বতন সভাকবির অত্যন্ত ঈর্বাপরতন্ত্র হইয়া উঠে, এবং অল্প দিন মধ্যেই নানা কৌশলে নবাগত কবিদের উপর রাজার অপ্রীতি জন্মাইয়া দেয়। পরিশেষে এমন হইয়া উঠিল যে, , নবাগতের রাজকোপ হইতে প্রাণ বাচাইবার জন্ত নিস্তব্ধ মধ্যরাত্রে রাজভবন পরিত্যাগ করিয়া পলায়ম করেন। পলায়নের পূৰ্ব্বে প্রত্যেক কবিই এক এক খণ্ড কাগজে এক একট শ্লোক লিখিয়া স্ব স্ব উপাধানের তলে রাখিয়াছিলেন। রাজা এই কথা শুনিয়া সেই সকল ঈর্ষান্বিত কবিদের পরামর্শানুসারে উক্ত কাগজথগুগুলি নদীর জলে ফেলিয়া দিতে আদেশ করিলেন । কাগজগুলি জলে ফেলিয়া দিবা মাত্র চারি শত থগুই নদীর উজান দিকে চারি ফিট্‌ (নলদি ) উঠিতে দেখা গেল । এই অস্বাভাবিক ঘটনা সন্দর্শন করিয়া রাজা বিস্ময়াপন্ন হইলেন, এবং সে গুলিকে রক্ষা করিতে আদেশ দিলেন। সেই রক্ষিত শ্লোকগুলি লইয়া এই গ্রন্থখানি রচিত হইয়াছে, এ জন্য ইহার নাম নলদিয়র। , হায়দরাবাদে (নিজামরাজ্যে) হর্গ দ্বারা সংরক্ষিত একটা নগর। এই দুর্গ একটা দেখিবার জিনিস। ছুটির পরিধি প্রায় দেড় মাইল । স্থানীয় ইতিহাসে এই নগরট বিখ্যাত । খৃষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীতে মুসলমানদিগের আক্রমণের পূৰ্ব্বে, নলদূর্গ এথানকার হিন্দু রাজার অধিকারভুক্ত ছিল। ১৩৫১ হইতে ১৪৮০ খৃঃ অধ্য পর্যস্ত, ইহা বাহ্মণী রাজ্যের পশ্চিম সীমা রক্ষা করিতেছিল। পরে ১৪৮০ খৃঃ অব্দে, যখন বাহ্মণী রাজ্য বিভক্ত হয়, তখন নলচুর্গ বিজাপুরের আদিলশাহী রাজাদের অংশে পড়ে। র্তাহারা দুর্গ ও প্রাকার সকলের সংস্কার এবং সুদৃঢ় করিয়াছিলেন। ১৮৫৩ খৃঃ অবো নিজাম নলচুর্গ-জেলাটা ইংরাজদিগকে সমর্পণ করেন। কিন্তু ১৮৬০ খৃঃ অব্দে ঐ স্থান তাহাকে প্রত্যপণ করা হইয়াছে। নলপট্রিক (স্ত্রী) নলনিৰ্ম্মিত পাটক। তলাট, চলিত দয়ম । ( হারা” ) নলপুর (†) বৌদ্ধশাস্ত্রোক্ত এক প্রাচীন নগর। - নলমান (পুং) নলাপ্রয়ে মীন। মৎস্তম্ভেদ, চিদিড়ি মৎস্ত, এই [ ৬১০ } নলিকা মৎস্ত কফবৰ্দ্ধক। নলমীনঃ কক্ষাত্মকঃ" (হারীত প্রথম ১১ অ” ) নলবন, চিন্ধা হ্রদের মধ্যে দিয়া একট দ্বীপ। পরিধি প্রায় ৫ মাইল। এখানে লোকের বাস নাই। স্থানান্তর হইতে লোক আসিয়া নল কাটিয়া লইয়া যায় । ** নলসেতু (পুং) নলবানরকৃত সেতু। মধ্যপদলোপিকৰ্ম্মধা। : সমুদ্রোপরি নলবানর কৃত সেতু। যখন রামচন্দ্র সমুদ্র বন্ধনের জন্ত সমুদ্রের নিকট স্থান প্রার্থনা করিয়াছিলেন, তখন সমুত্র রামচন্দ্রকে বলিয়াছিলেন, শিল্পিকুশল বিশ্বকৰ্ম্মার পুত্র নল নামে যে বানর অাছে, সে কাষ্ঠ, তৃণ বা প্রস্তরাদি যে কিছু বস্তু নিক্ষেপ করিবে, সেই সকল বস্তুই আমি ধারণ করিব, ইহাতে যে সেতু হইবে, এই সেতু নলসেতু নামে প্রসিদ্ধ হইবে। রামচন্দ্রও সেই উপায়ে সেতুবন্ধন করিয়াছিলেন। এই সেতু শতযোজন আয়ত ও দশযোজন বিস্তৃত। “দশযোজনবিস্তারমায়তং শতৰোজনম্। নলসেতুরিতিখ্যাতে যোহদ্যাপি প্রথিতে ভুবি।” ( ভারত বনপ” ২৮২ অ” ) নলাপাণি, উত্তরপশ্চিম প্রদেশের অন্তর্গত দেরাছন্ন জেলার একটা গিরিষ্ঠুর্গ। অক্ষা” ৩০° ২০/৩০° উঃ, দ্রাঘি ৭৮ ৮। ৩০" পূঃ। গুর্থার নেপাল যুদ্ধের প্রারম্ভে এই দুর্গট নিৰ্ম্মাণ করে, কিন্তু রক্ষা করিতে পারে নাই। - নলিকা (স্ত্রী) নল ইব আকরোহস্তান্ত ইতি নল-ঠন্‌-টপ্‌। নাড়ী নামে সুগন্ধি দ্রব্য বিশেষ। উত্তরাপথে নলী এই নামে প্রসিদ্ধ। ইহার আকৃতি প্রবাল সদৃশ, এইজন্য কোন কোন স্থানে ইহাকে প্রবালী এবং কোন কোন স্থলে ইহাকে পঠারী কহে। পৰ্য্যায় বিক্রমলতিক, কপোতচরণ, নলিনী, নিৰ্ম্মধ্য, শুষিরা, আত্মানী, স্তুত্য, রক্তদল, নর্তকী, নট । ইহার গুণ—তিক্ত, কটু, তীক্ষ, মধুর ; কৃমি, বাত, উদর, অর্শ ও শুলরোগনাশক এবং মলশোধক। ( রাজনি” ) ইহার বিষয় ভাবপ্রকাশে এইরূপ লিখিত আছে— "নলিকা বিক্রমলত কপোতচরণ নট । ধমলুঙ্গনকেশী চ নিৰ্ম্মধ্য শুধিয়া নলী । নলিক শীতল লম্বী চক্ষুষা কক্ষপিত্তহৃৎ। | কুচ্ছ শ্বেরী বাতকৃষ্ণাস্ত্ৰকুষ্ঠকঙুজরাপহ ॥” (ভাবপ্র” ) শীতল, লঘু, চক্ষুর হিতকর, কফ ও পিত্তনাশক, তৃষ্ণ, কুষ্ঠ, কও, ও জর নাশক। ২ অস্ত্র বিশেষ । এই অস্ত্রের সাধারণতঃ তিনটা নাম দৃষ্ট হইয় থাকে, যথা নলিকা, নালীক ও নাল। বৈশম্পায়ন কৃত ধনুৰ্ব্বেদ, শাঙ্গ% ধর সংগৃহীত ধনুৰ্ব্বেদ, শুক্রনীতি ও বীরচিন্তামণি প্রকৃতি গ্রন্থে शरै ब्रप्ङ्गद्ग से झष cमरिरङ *ीसग्नां शांझ । ब्रांमांबृश् च