পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নলিকা [ ७s२ ] . 源 बलेिक মহামতি শুক্রাচাৰ্য্য যুদ্ধান্ত্রের বর্ণন স্থলে বলিষ্কাষণ, যুদ্ধান্ত্র প্রধানতঃ দুই প্রকার, নালিক ও মান্ত্রিক । যে সকল অস্ত্র মন্ত্রপাঠ করিয়া নিঃক্ষেপ করিতে হয়, তাহাকে মান্ত্রিক কহে । মান্ত্রিকাস্ত্র না থাকিলে নালিকান্ত্র প্রয়োগ করিবে । মালিকাস্ত্রও দুই প্রকার, বৃহন্নালিক ও ক্ষুদ্র মালিক। ইছার মধ্যে ক্ষুদ্র নালিকের পরিমাণ পঞ্চবিতস্তি অর্থাৎ চারি হাত। একটা নল বা লাল লৌহ নিৰ্ম্মিত, ইহার মূলে তির্যাঙ্ক দিকে অর্থাৎ আড়ভাবে একটা ছিদ্র, মূল হইতে উৰ্দ্ধ পৰ্য্যন্ত অন্তঃস্থষির অর্থাৎ গৰ্ত্ত, মূলদেশে ও অগ্রভাগে লক্ষ্য ঠিক করিবার উপযুক্ত তিলবিন্দু, যন্ত্রের আঘাত পাইবামাত্র অগ্নি নিৰ্গত হয়, এইরূপ প্রস্তরখণ্ডযুক্ত। সেই স্থানে অগ্নিচুর্ণের অর্থাৎ বারুদের আধার স্বরূপ একটী কৰ্ণ, উত্তম কাষ্ঠের উপাঙ্গ ও বুদ্ধ অর্থাৎ ধরিবার মুট। এইরূপ নালান্ত্রের মধ্যগর্তের পরিমাণ মধ্যমাজুলী, অর্থাৎ ইহার মধ্যদেশে এইরূপ ছিদ্রযুক্ত হইবে, যেন মধ্যম অঙ্গুলি ইহার মধ্যে অনায়াসে যাইতে পারে। ইহার ক্রোড়দেশে অগ্নিচুৰ্ণ প্রোথিত করণের দৃঢ় শলাকা থাকে। এই প্রকার নালাস্ত্রের নাম লঘুনালিক। এই লঘুনালিক অস্ত্র পদাতি সৈন্ত ও অশ্বারোহী সৈম্ভের ব্যবহারোপযোগী । বৃহন্নালিক স্থলে ইহার ত্বকৃ যত কঠিন হইবে, এবং আয়তন যত বড় হইবে ও গর্ভস্থল যেরূপ স্থল হইৰে, তাহার গোল তত বড় হইবে, সে ততই সুরভেদী হইবে। ইহার মূলদেশে কালক এবং কাষ্ঠবুদ্ধ অর্থাৎ কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত ধরিবার মুট নাই। এই যন্ত্র শকট ও উষ্ট্র প্রভৃতি দ্বারা বাহিত হয়। ইহা উপযুক্তরূপে স্থাপিত হইলে যুদ্ধে জয় অবগুস্তাবী। এইরূপ আগ্নেয়াস্ত্র বিশেষের নাম বৃহন্নালিক। শুক্রাচার্য্যের এই বর্ণনা দ্বারা নিশ্চয়রূপে প্রতীতি হয় যে, ক্ষুদ্রনালিক বন্দুক ও বৃহন্নালিক কামান। আজকাল যে বন্দুক ও কামান ব্যবহার হয় এবং পুরাকালের এই নালিকাস্ত্র ঠিক একরূপ না হইলেও ঐ জাতীয় অস্ত্র তাহার প্রতি তার সংশয় নাই। আরও এই নালিকাস্ত্রের ধারণ, পরিচালন ও প্রয়োগপদ্ধতি পৰ্য্যালোচনা করিলে ঐ বাক্য আরও দৃঢ়ৰূপে বদ্ধমূল হয়। এই নালিকাস্ত্র প্রস্তুত করিয়া শোধন করিতে হয়। যথা— “নালাস্ত্ৰং শোধয়েদাদে দদ্যাক্তত্বাগ্নিচুৰ্ণকম্। নিবেশরেন্তু দণ্ডেন নালমূলে যথা দৃঢ়ম্ ॥ ততঃ স্বগোলকং দদ্যাৎ ততঃ কর্ণেখগ্নিচুৰ্ণকম। স্বস্থচূর্ণাগ্নিদানেন গোলং লক্ষ্যে নিপাতয়েৎ ॥ লক্ষ্যভেদো যথা বাণে ধনুৰ্জাবিনিযোগতঃ।” ( শুক্রনীতি ) প্রথমে নালাস্ত্রের শোধন করিতে হইবে, পরে তাহাতে অস্থিচূর্ণ অর্থাৎ বারুদ দিতে হইবে, অনন্তর দস্তদ্বারা সেই প্রদত্ত বারুদকে দৃঢ়স্কপে প্রোথিত করিবে, অথাৎ ভাল কন্ধিয়া গাদিয়া দিবে। পরে তাঁহাতে গুলিকা বা গোলা দিবে, অতঃপর কর্ণপ্রদেশে অগ্নিচুৰ্ণ স্থাপন করিয়া পরে যজ্ঞয়ঞ্চে প্রস্তরাদি সংযোগে অগ্নিস্থাপনপূর্বক তন্মঞ্চস্থ ওদিকে লক্ষ্য স্থানে পতিত করিৰেক । অগ্নিচুৰ্ণ ষে ৰাক্লদ ইহার প্রস্তুত প্রণালীতেই অবগপ্ত ङ्७म्नी शोग्न । शर्थी “কুবর্চিলবণান পঞ্চপলানি গন্ধৰাৎ পলম। অন্তধুমবিপক্ষার্কল্প হাদ্যঙ্গারতঃ ফলম্ ॥ শুদ্ধাৎ সংগৃহ সংচুর্ণ সঙ্গীল্য প্রপুটেদ্রসেীঃ । মহৰ্কাণাং রসোনন্ত শোষয়েদাতপেন চ | পিষ্ট শর্করবচ্চৈতদগ্নিচুৰ্ণ ভবেৎ খলু।” (শুক্রনীতি ) সুবর্চিলবণ অর্থাৎ সোরা ৫ পল, গন্ধক ১ পল, অন্তধুমবিপক্ষ স্নই অথবা অর্কাঙ্গার ১ পল, (কাষ্ঠ অগ্নিতে দগ্ধ করিয়া ধূম বাহির হইয়া না যায়, এরূপ ভাবে তাহাকে নিৰ্ব্বাপিত করিবে ; কোন দ্রব্য দ্বারা ঢাকিয় দিলে আগুণ নিবিয়া যায়, তাছাকে অস্তুধুমবিপক কহে । ) সংশোধন করিয়া পৃথক পৃথকরূপে চুর্ণ করিবে। পশ্চাৎ একত্র করিয়া তাহ। এরূপ ভাবে পেষণ করিবে, যেন পরস্পর উত্তমরূপে মিশিয়া যায়। অনন্তর সেই সিজ বা আকন্দের রসে এবং উহাতে লণ্ডনের রস দিয়া পেষণ করিবে। তাহার পর রৌদ্রে শুকাইয়া পুনরায় পেষণ করিলেই শর্কর অর্থাৎ বালুকার স্তায় অগ্নিচুৰ্ণ প্রস্তুত হইবে। দ্বিতীয় প্রকার অগ্নিচুৰ্ণ-গন্ধক ও পুৰ্ব্বকথিতরুপ অঙ্গার সমভাগে লইয়া তাহাতে ৬ বা ৪ ভাগ সোরা মিশ্রিত করিয়া পূৰ্ব্বোক্ত প্রণালীতে নালিকাস্ত্রের জন্ত অগ্নিচুৰ্ণ প্রস্তুত করিবে। তৃতীয় প্রকার অগ্নিচুর্ণ,—অঙ্গার, গন্ধক, সোর, মন্‌ছাল, হরিতাল, সীসকমল, হিঙ্গুল, উত্তম লোহার মল, কপূর, জতু বা গাল, নীলী ও খুন। এই সকল দ্রব্যের কোন কোন দ্রব্য সম বা কোন দ্রব্য অধিক বা অল্প পরিমাণে গ্রহণ করিয়া নানা প্রকার অগ্নিচুৰ্ণ প্রস্তুত করা যাইতে পারে। যাহাঁর অগ্নিচুৰ্ণ প্রস্তুতকরণবিষয়ে নিপুণ তাহারা ভাগ ঠিক করিয়া লইয়। প্রস্তুত করিবেন। ( শুক্রনীতি ) বৃহৎ ও লঘু নলিকাস্ত্রের জন্ত ষে গোলাদি প্রস্তুত হইত, তাহার বিষয় এইজশ্ব লিখিত আছে— “গোলো লোঁহোমরোগর্ত ধুটিকঃ কেবলোংপি বা। সীসন্ত লখুনালার্থে হস্তধাতু স্তবোইপি বা ॥ লৌহসারমরং বাপি নালাস্ত্রং অন্তধাতুজম্ ॥” (শুক্রনীতি ) বৃহন্নালীকের জন্তু লৌহের গোল প্রস্তুত করিবে। ইহা লগর্ত এবং কেবল অর্থাৎ নিরেট, এই দুই প্রকার করিতে