পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r, "নবকৃষ্ণ অধিবাসীরা বাগবাজারনিবাসী দুর্গাচরণ মুখোপাধ্যায়কে অগ্রণী করিয়া গবর্ণরের নিকট এই আপত্তি করেন যে, মহারাজ নবকৃষ্ণ বাহাদুর এ স্থানে নুতন অধিবাসী, তাহার তাহার ব্যপূৰ্ব হইতে এখানে বাস করিতেছেন, এক্ষণে প্রাচীন জুধিবাসী হইয়াও যদি নবকৃষ্ণের প্রজা হইতে হয়, তবে তাহাদের মানের লাঘব হইবে। এতদ্ব্যতীত নবকৃষ্ণের হস্তে প্রজাপীড়ন হওয়াও সম্ভব। ইহা শুনিয়া হেষ্টিংস এ সংকল্প ত্যাগ করিয়া নবকৃষ্ণকে মফঃস্বলে একটী অধিক মূল্যের জমীদারী দিতে চাহিলেন। নবকৃষ্ণ বলিলেন যে, ইংরাজের ইচ্ছ। রাষ্ট্র হইয়া পড়িয়াছে, এখন যদি তিনি সুতানুটী না পান, তাহা হইলে তাহাকে অতিশয় খৰ্ব্ব হইয়৷ পড়িতে হইবে। হেষ্টিংস কাজেই বাধ্য হইয়া দুর্গাচরণ প্রভূতিকে মিষ্টবাক্যে ভুলাইয়। ২৮ এপ্রেল তারিখে নবকৃষ্ণকে সুতানুটীর তালুকদারীর সনন্দ দিলেন। এই সময় তালুক সুতানুটীর উত্তরসীমা বাগবাজারের খাল, পূৰ্ব্বসীম। আপার সাকিউলার রোড, পশ্চিমলীম ভাগীরথী নদী ও দক্ষিণসীমা বড়বাজারের মধ্য দিয়া টাঁকশাল পর্যন্ত। কলিকাতায় সর্বপ্রথম যে ইংরাজী জরীপ হয়। ঐ জরীপে সুতানুটী তালুকের মধ্যেও কএকটা ব্লক (জরীপী খণ্ড ) ইংরাজ কোম্পানী খাসে রাখেন। মহারাজ নবকৃষ্ণের সহিত তালুকদারীর এই বন্দোবস্ত হয় যে,-১, চেকীদারী ব্যতীত সমস্ত তালুকের ১২৩৭৮১০ বাধিক রাজস্ব কোম্পানীর ধনাগারে দাখিল করিতে হইবে। ২. তালুকে কৃষিকার্যোর ও সাধারণের জীবৃদ্ধি করিতে হইবে। ৩, প্ৰজাগণের ও অপরাপরের অসন্তোষ না হয় এরূপ ভাবে তালুকের বন্দোবস্ত করিতে হইবে। ৪, তালুকদারীর আদবকায়দা রক্ষা করিয়া যথার্থ বিচার করিতে হইবে। কোন প্রজার নিকট অন্যায় করিয়া অতিরিক্ত রাজস্ব লইলে উহার তিন গুণ টাকা দগুস্বরূপ কোম্পানীকে দিতে হইবে। এই তালুকদার লইয়া মহারাজ নবকৃষ্ণের সহিত তখনকার কএকজন সন্ত্রান্ত ব্যক্তির মোকদম হয়। কুমারটুলীর দেওস্থান গোবিন্দরাম মিত্রের বাটর জমীর কর লইয়া এক মোক

  • ইনি পক্ষীর দলের স্বষ্টিকর্তা। ইহার এখনও বংশ আছে। তালুকদায়ী গওয়ার সময় যদিও মুখোপাধ্যায় মহারাজ নবকৃষ্ণের বিরুদ্ধে দওয়মান হইয়াছিলেন, তথাপি শেষে তাহানের বিশেষ সৌহাৰ্দ্ধা হইয়াছিল। মুখোপাধ্যায়ের পক্ষীর দল নবকৃষ্ণের বাড়ীতে প্রায়ই গাছিতে আসিত ।

তখন কলিকাতার অন্তর্গত কৃষ্ণবাগান, গোপীবাগান গ্রন্থতি স্থলে कृदिकाश श्रेष्ठ। ΙΧ ኔርግ [ ७२¢ ] भुङ्क्षं o =-->-*r*r يلو. দয়া হয়। গোবিন্দরাম কলিকাতার ফৌজদার, নায়েৰ, জমীদার ইত্যাদি পদে পলাশীর যুদ্ধের পূৰ্ব্বে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ইহার বাট প্রথমে গোবিন্দপুরে ছিল। গোবিন্দপুরের হর্গনিৰ্ম্মাণের সময় গোবিন্দরাম স্বীয় বাসভূমির পরিবর্তে কুমারটুলীতে জমী পাইয়াছিলেন। ইহার কোন কর দিতে হইত না। গোবিন্দের পৌত্র দেওয়ান অভয়াচরণের সহিত মহারাজ নবকৃষ্ণের মোকদম বিলাতে কোর্ট অফ ডিরেক্টরের নিকট পৰ্য্যন্ত হয়। মোকদ্দমায় দেওয়ান অভয়াচরণ মিত্রের বাড়ীর খাজনা নবকৃষ্ণ পাইবেন না বলিয়া স্থির হয়। শোভাবাজার রাজবাটীর পূর্বাংশে চূড়ামণি দত্ত নামে এক ধনী ছিলেন। এই চূড়ামণি দত্তের সহিতও নবকৃষ্ণের মোকদম হয়। মোকদম মিটিবার পূৰ্ব্বেই চূড়ামণির আসন্নকাল উপস্থিত হয়। র্তাহার কিরূপে ঔদ্ধদেহিক ক্রিয়া সম্পন্ন হইবে বা তাঁহাতে চুড়ামণির নিজের ইচ্ছ। কি, জানিবার জন্ত চূড়ামণির পুত্রের তাহাকেই জিজ্ঞাসা করেন। চূড়ামণি বলেন যে, তোমরা যাহা ইচ্ছা করিও, এখন একটা কথা রাখ, একশত ঢোলের বায়ের সহিত আমাকে গঙ্গাতীরস্থ কর এবং আমি যে গানটা শিখাইয়া দিব, তাহাই গাহিতে গাহিতে চল । তাহাই হইল। গানটীর শেষ কবিতা এইরূপ— "সবাইকে ফেলে চুড়ে যম জিনিতে যায়। নবী তুই দেখবি যদি আয়।" কথিত আছে, নবকৃষ্ণের অত্যধিক বিষয়াসক্তির প্রতি লক্ষ্য করিয়া ঐ শ্লেষোক্তি করা হয়। চূড়ামণি উপবিষ্টভাবে ইষ্টমন্ত্র জপ করিতে করিতে শোভাবাজার রাজবাটীর সন্মুখ দিয়া গঙ্গাতীরে নীত হন। ১৭৮০ খৃষ্টাব্দে মহারাজ নবকৃষ্ণ বৰ্দ্ধমানের সাজাওলী’ পদে নিযুক্ত হন। বর্ধমানাধিপতি তিলকচাদের মৃত্যু হইলে, তাহার নাবালক পুত্র তেজচন্দ্রের ৮৭৪৭২৭ টাকা রাজস্ব বাকী পড়ে। হেষ্টিংসের অনুরোধে মহারাজ নবকৃষ্ণ ঐ টাকা বর্ধমানাধিপতিকে ধার দেন এবং বর্ধমানের জমীদারীর তত্ত্বাবধান গ্রহণ করেন। নাবালক রাজকুমার তেজচন্দ্র তিন বৎসর কাল শোভাবাজার রাজভবনে ছিলেন। তখনকার রাজকীয় কাগজপত্র পাঠে জানা যায়, মহারাজ নবকৃষ্ণ উক্ত কাৰ্য্যের জষ্ঠ বৰ্দ্ধমানরাজ হইতে বার্ষিক ৫•••• টাকা পাইতেন। বর্ধমানের মহারাণীর সহিত বনিবন। না হওয়াতে তিনি পদত্যাগ করিতে दांधी झन । মহারাজ নবকৃষ্ণের সহিত মহম্মদ রেজাখার বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল । তাহারই যত্নে মহম্মদ রেজাখার ও সেতাবরায়ের মোকদম ফসিয়া গেলে যখন নলকুমারের হাত ইণ্ডে টেদি