পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবকৃষ্ণ [ ७२५' ] নবকৃষ্ণ * গির্জা ছিল, তাহা নষ্ট হয়। তদবধি অর্থাভাবে আর গির্জা নিৰ্ম্মিত হইতে পারে নাই। স্থানাভাবও ঘটিয়াছিল। ১৭৮৩ খৃষ্টাব্দে হেষ্টিংস এই উদ্দেশুে এক সভা আহবান করেন এবং সেই সভায় ইংরাজদের মধ্যে ৩৬• • • টাকা মাত্র চাদ উঠে। নবকৃষ্ণ একা জমী দিতে চাহেন। ইংরাজেরা সহরের দক্ষিণাংশে জমী চাহিলেন। সে স্থানে নবকৃষ্ণের তালুকের জমী না থাকায় তিনি কেল্লার নিকটবর্তী গোরস্থান ও গোলা বারুদের আডভার জমী ৪৫০০০ টাকায় ক্রয় করিয়া গির্জা নিৰ্ম্মাণার্থ ইংরাজদিগকে দান করেন। ইহার উপরে যে গির্জা নিৰ্ম্মিত হয়, উহাই বর্তমান সেণ্ট জন্‌চাৰ্চ, বা পাথুরে গির্জা। তখন গঙ্গায় চাদপাল ঘাট পর্য্যন্ত বড় বড় জাহাজ আসিতে পারিত না, কলাগাছিতে নঙ্গর করিয়া থাকিত। কাজেই লোকে বেহালার ভিতর দিয়া কুল্পী হইয়া কলাগাছি যাইত। এই সকল যাত্রীর সুবিধার্থ নবকৃষ্ণ ‘রাজার জাঙ্গাল’ নিৰ্ম্মাণ করেন। বাগবাজারে ও কুমারটুলীতে গঙ্গার উপর মহারাজ নবকৃষ্ণ ছুইটী ঘাট নিৰ্ম্মাণ করাইয় দেন। শেষোক্ত স্থানে তাহার প্রথম পত্নী একটী গঙ্গাযাত্রীর ঘর করাইয়া দিয়াছিলেন। ঘাট দুট বর্তমান আছে। তাহার উক্ত পত্নী লেখাপড়াও জানিতেন । হেষ্টিংস মুসলমানদিগের শিক্ষার জন্ত কলিকাতায় মাদ্রাসা নামক মুসলমানকলেজ স্থাপন করেন। ইহা এখনও বর্তমান । এই কলেজ প্রতিষ্ঠার টাকাও নবকৃষ্ণের প্রদত্ত। হেষ্টিংস দেশে যাইবার পূৰ্ব্বে কোম্পানীর হিসাব মিটাইবার জন্য নবকৃষ্ণের নিকট খত লিখিয়া তিন লক্ষ টাকা ধার লয়েন । বিলাতে বিচারের সময় এই টাকার কথা উঠিলে তিনি ইহার যে হিসাব দেন, তাহার মধ্যে উল্লেখ ছিল, নবকৃষ্ণ উহার কতকাংশ মাদ্রাসা স্থাপনের জন্ত দান করেন। বার্ক প্রভৃতির মতে নবকৃষ্ণ হিন্দু, তাহার মুসলমান কলেজের জন্ত এ দান অসম্ভব বলিয়া বিবেচিত হয়। কিন্তু যে ব্যক্তি হিন্দু হইয়৷ গির্জার জন্ত খৃষ্টানদিগকে ৪৫ হাজার টাকা দিতে পারেন, তাছার পক্ষে মুসলমানদিগের জন্ত কতকটা দেওয়া অসম্ভব নহে।* যে বৎসর মহারাজ নবকৃষ্ণ রাজা বাহাদুর উপাধি লাভ করেন, সেই বৎসরেই মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র ‘রাজরাজেন্দ্র বাহাঙ্কুর’ উপাধি প্রাপ্ত হন। নবকৃষ্ণের চেষ্টায় কৃষ্ণচন্দ্র ঐ উপাধি প্রাপ্ত হন । বৰ্দ্ধমানের রাজার মহারাজাধিরাজ বাহাদুর উপাধি ছিল বলিয়া কৃষ্ণচন্দ্র ক্ষুণ্ণ ছিলেন। নবকৃষ্ণ কৃষ্ণচন্দ্রের এই মনোকষ্ট জানিতেন। এই হুত্রে তিনি তাহ দূর করিবার " . See Burke's Speeches in the lmpeachment of Warren Aaatingo, Vol. II, pp, 893-4. জন্স ক্লাইধকে অনুরোধ করেন। ক্লাইব সম্রাট শাহ জালমকে বলিয়া ঐ উপাধি দেওয়ান। ইহার সেলামীর ১০ হাজার টাকা নবকৃষ্ণ দিয়াছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র শেষকালে ঐ টাকা প্রত্যপণ করিতে চাহেন, কিন্তু তিনি লইতে অস্বীকার করায় কৃষ্ণচন্দ্র তাহাকে গঙ্গার তীরবর্তী ঐরামপুর ও মুলাজোড়গ্রাম দান করেন ।* নবকৃষ্ণ বড় অভিমানী পুরুষ ছিলেন, নন্দকুমারের সহিত সামাজিক প্রতিপত্তি লইয়া যে বিবাদ হয়, তাহ হইতেই । বুঝা যায়। অার একবার ওয়ারেণ হেষ্টিংস তাহাকে কোন প্রয়োজনীয় কাগজে রায়রায়ণ রাজা রাজবল্লভের সহি করিয়া আনিতে পাঠান। রাজবল্লভ তখন কৌন্সিলের একজন সভ্য। নবকৃষ্ণ রাজা রাজবল্লভের বাগবাজারের বাড়ীতে উপস্থিত হইলে মহামানী ও অহঙ্কারী রাজ রাজবল্লভ তাহাকে বসিতে না বলিয়াই কাগজখানি পাঠ করিতে বলেন। রাজবল্লভের তখনও এতটা প্রতাপ ছিল যে, নবকৃষ্ণ এইরূপে অনাদৃত হইয়াও বিনামুমতিতে বসিতে সাহস করিলেন না বা আদেশ অবহেলা করিয়া চলিয়াও আসিতে পারিলেন না, দাড়াইয়া সে কাগজ পাঠ করিয়া স্বাক্ষর করাইয়া লইয়া চলিয়া আসিলেন । সে সময় সেখানে অন্ত দুইজন লোক উপস্থিত ছিল বলিয়া নবকৃষ্ণ বেশী অপমান বোধ করিলেন। তাহার পরই তিনি গবর্মেন্ট হাউসে আসিয়া সেই স্বাক্ষরিত কাগজ ও নিজ পদত্যাগ পত্র পাঠাইয়া দিলেন। হেষ্টিংস উহ! পাইয়া চমকিত হইয়া র্তাহাকে কারণ জিজ্ঞাসা করেন এবং সমস্ত শুনিয়া তাহাকে আশ্বাস দিলেন। ইহার কিছুদিন পরে হেষ্টিংস নিয়ম প্রচারিত করিলেন, এদেশীয় কোন ব্যক্তি কাউন্সিলের সভ্য হইতে পরিবেন না। এই নিয়মে রাজবল্লভের পদ রহিত হইল। রাজা রাজবল্লভও পদরাহিত্যের সহিত আপনার লক্ষ টাকা বৃত্তিও পরিত্যাগ করেন। এই বিবরণ হইতে গবর্ণরের উপর নবকৃষ্ণের প্রভাব কতটা ছিল তাহাও বুঝা যায়। নবকৃষ্ণ সমশ্রেণীতে যেমন অভিমানী ছিলেন, গুরুজন বা মান্তমান ব্যক্তির নিকট তেমনি বিনয়ী ছিলেন। একদিন তিনি বসিয়া কোনও সন্ত্রান্ত ব্যক্তির সহিত কথাবার্তা কহিতে ছিলেন, এমন সময়ে তাহার জ্যেষ্ঠ সহোদর তাহাকে ডাকিয়া পাঠান। নবকৃষ্ণ আভ্যাগতকে বিদায় দিয়া জ্যেষ্ঠের নিকট উপস্থিত হইলেন। বিলম্বে আসিয়াছেন বলিয়া জ্যেষ্ঠ প্রথমতঃ র্তাহার সহিত কথা কহেন নাই। নবকৃষ্ণ করযোড়ে বিনীত

  • ইতিপূৰ্ব্বে এ সম্বন্ধে কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় সাই वणिग्न शैशष्ठ नवकृएकब्र cकांन रांठ हिन न झरेक्रन जश्रृंभांम कङ्गां श्छ, কিন্তু সম্প্রতি এ সম্বন্ধে বিশ্বাস্ত কাগজপত্র পাওয়া গিয়াছে। . *