পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্তাহার প্রধান কৰ্ম্মচারী ও আত্মীয় স্বজনের দোষে মহামূল্য সম্পত্তি নষ্ট হইতেছে, তখন তাহার মনে বৈরাগ্য উপস্থিত হইল, তিনি সৰ্ব্বদাই দেবাঙ্গনায় অতিৰাহিত করিতে লাগিলেন। তিনি অতিশয় ধাৰ্ম্মিক হইলেও বড় নিৰ্ব্বোধ ছিলেন। র্তাহার বুদ্ধির দোষে পৈতৃক জমিদারীর ৮৪ খানি পরগণার স্থানে এখন কেবল ৫৭ খানি পরগণা রহিল। তাহার অর্থকষ্ট হইলেও তিনি কখন ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে ক্ষাস্ত হন নাই। তিনি নবদ্বীপে ছুইটী বৃহৎ মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয় তাহার একটর মধ্যে পাষাণময়ী কালীমূৰ্ত্তি ও অপরটতে এক প্রকাও শিবমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেন। ১২৪৮ সালে অগ্রহায়ণ মাসে (৫৯ বর্ষ বয়সে ) ইনি লোকাস্তর প্রাপ্ত ছন । সুপ্রসিদ্ধ রসসাগর ইহার সভায় থাকিতেন । [ কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী দেখ। ] গিরীশচন্ত্রের মৃত্যুর পর তাহার দত্তক পুত্র প্রশচন্দ্র রাজা হইলেন। ইনি বিষয় বৃদ্ধি করিবার জন্য বিশেষ চেষ্টত ছিলেন। বহুদিন হইল, নদীয়ারাজ্যের অন্তর্গত উখড়া পরগণা নিলাম হইয়া গিয়াছিল। এখন শ্ৰীশচন্দ্র বহু যত্নে তাহার বহু অংশ উদ্ধার করিলেন। রাজা ঈশ্বরচন্দ্র ও গিরীশচন্দ্র ইংরাজ গবর্মেন্টের নিকট অহঙ্কার করিয়া পৈতৃক উপাধির প্রার্থ হন নাই। কিন্তু রাজা প্রীশচন্দ্র অতিশয় চতুর ছিলেন। তাহার প্রার্থনানুসারে ১৮৪৮ খৃষ্টাব্দে তিনি মহারাজ-উপাধির ফরমাণ পাইলেন। ১৮৫০ খৃষ্টাব্দে তাহার যত্নে লাখেরাজদারগণ একপ্রকার বিষম রাজস্বদায় হইতে উদ্ধার পাইলেন। রাজা শ্ৰীশচন্দ্রের এই কার্য্যে বিস্তর অর্থ বায় হয়। ইহার কিছু পূৰ্ব্বে তিনি ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন এবং সাধারণের হিতকর অনেক কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। শ্ৰীশচন্দ্রের মৃত্যুর পর তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র সতীশচন্দ্র রাজা হইলেন । ইনি রীতিমত, ইংরাজী লেখাপড়া শিখিয়াছিলেন। ইনিও ইহার পিতামহু গিরীশচন্দ্রের স্থায় কেবল ব্যয় করিতে ভাল বাসিতেন। অনেক সময়ই তিনি পশ্চিমাঞ্চলে অতিবাহিত করিতেন। অতিশয় সুরাপানজনিত রোগে আক্রান্ত হইয়। ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে ( ২৫ অক্টোবর ) ইহলোক পরিত্যাগ করেন। তাহার পুত্র সন্তানাদি হয় নাই। মৃত্যুর পর তাহার কনিষ্ঠ পত্নী মহারাণী ভুবনেশ্বরী সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী হইলেন । ইনিই ক্ষিতীশচন্দ্রকে দত্তক গ্রহণ করেন। রাজা ক্ষিতীশচন্দ্ৰ বুদ্ধিমান ও সদ্বিবেচক । ইহার যন্ত্রে কৃষ্ণনগর রাজ্যের অনেক শ্ৰীবৃদ্ধি হইয়াছে। লকা (অব্য) নব প্রকারে ধাছ। নব প্রকার, নয় গুণ, नब्र ब्रांश्व । * "জাচারে বিনয়ে বিস্ত প্রতিষ্ঠ তীর্থদর্শনম্। নিষ্ঠাবৃত্তিস্তপোয়নিং নবধা কুললক্ষণম্।" © [ ૭8° ] बबनङ्गक " " নবধাতু (পুং ) মৰগুণিত ধাতুঃ। নয় প্রকার ধাতু। “হেমতারারনাগাশ্চ তাম্ররঙ্গে চ তীক্লকম্। কান্তকং কান্তলোক ধতিৰাে নবকীৰ্ত্তিতা " (শাখ) স্বর্ণ, রৌপ্য, শার (লৌহ ), নাগ (খ্ৰীসক ), তাম, রঙ্গ, তীক্ষ ( ইম্পাৎ ), কাংস্ত ও কান্তি লৌহ এই নয়টকে নবধাতু কহে । নবন্‌ (ত্রি ) নৃ-কণিন । ১ সংখ্যাভেদ, নয় সংখ্যা। ২ত্যক্ত, নয় সংখ্যাযুক্ত । নবনবক (ক্লী) নবগুণিতং নবকম্। দক্ষসংহিতোক্ত একাশতি পদার্থ। "সুধা নব গৃহস্থস্ত শব্দয়ামি নবৈব তু। তথৈব নব কৰ্ম্মাণি বিকৰ্ম্মাণি তথা নব ॥ প্রচ্ছন্নানি নবাক্ষানি প্রকাস্তানি তথা নব । সফলানি নবাস্তানি নিফলানি নবৈব তু ॥ অদেয়ানি নবান্তানি বস্তুজাতানি সৰ্ব্বদা । নবকা নবনির্দিষ্ট গৃহস্থোন্নতিকারকাঃ ॥” ( দক্ষসংহিতা ৩১-৩) গৃহিগণের নয়ট অমৃত, নয়ট কৰ্ম্ম, নয়ট বিকৰ্ম্ম, নয়ট প্রকাগু কাৰ্য্য, নয়ট সফল কাৰ্য্য, নয়ট নিষ্ফল কাৰ্য্য, নয়ট সুপ্তকাৰ্য্য, এই নয় নয় করিয়৷ ৮১ প্রকার কার্য্য গৃহস্থের উন্নতিকারক বলিয়া কথিত হইয়াছে। যথা—বিশিষ্ট ব্যক্তি গৃহে আগমন করিলে পর, তাহাকে মন, চক্ষু, মুখ ও বাক্য এই চারিট সুন্দরন্ধপে দিবে, অর্থাৎ প্রসন্নমনে প্রসন্ন দৃষ্টিতে সানন্দ মুখে ও সুমিষ্ট বাক্যদ্বারা আগত ব্যক্তির সন্তোষোৎপাদন করিবে। তদনন্তর প্রত্যুখান, এই স্থানে আগমন করুন, পরে স্বাগত প্রশ্ন, মিষ্টালাপ ও ভোজনাদি দ্বারা সেবা, তাহার পর গমনকালে কিয়দুর তাহার অন্ধগমন করা এই নয়টা কাৰ্য গৃহস্থের পক্ষে সুধা স্বরূপ, এই নয়ট কাৰ্য্য অতিশয় যত্নের সহিত অনুষ্ঠান করা অবশ্ন কর্তব্য । অদ্যবিধ ৯ প্রকার অল্প দান—বসিবার স্থান, পাদপ্রক্ষালনের জল, বসিবার নিমিত্ত কুশাসন, পাদপ্রক্ষালন, অভ্যঙ্গ জ্ঞাতব্য নিমিত্ত তৈলদান, গৃহে স্থানান, শয়ন নিমিত্ত শয্যা প্রস্তুত করিয়া দেওয়া, যথাশক্তি খাদ্যবস্তু প্রদান, অতিথি ব্যক্তির ভোজন না করাইয়া স্বয়ং ভোজন না কর, অতিথির ভোজন হইলে আচমন নিমিত্ব মৃত্তিকা ও জল প্রদান, এই নয়ট কাৰ্য্যও গৃহস্থের অবগু কৰ্ত্তব্য। ইহাও সুধাশ্যাবাচ্য। " ৯টী কৰ্ম্ম—প্রতিদিন যথাসময়ে সন্ধ্যানুষ্ঠান, স্নান, জপ, হোম, কোপাঠ, দেবপূজ, বলিবৈশ্ব, অতিথিসেব, পিতৃলোক, দেবগণ, মহাগ, দরিদ্র ব্যক্তি, তপস্বিগণ ও অঙ্গ গুরুজনের যথাযোগ্য বিজ্ঞা করিয়া দেওয়৷ এই ৯টা গুৰন্থের ি o,