পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবরাত্রে “পূৰ্ব্ববিদ্ধ ফু যা শুরু ভবেৎ প্রতিপদাধিনী । নবরাত্রব্ৰতং তস্তাং নকাৰ্য্যং শুভমিচ্ছত ॥” ( মার্কণ্ডেরপুং ) অমাবস্তাবিদ্ধ প্রতিপদ তিথিতে এই ব্ৰতারস্ত করিলে অশেষবিধ অমঙ্গল হয়। এই ব্রতে প্রতিপন্ন দিনে ঘট স্থাপন করিয়া প্রাতঃকালে দেবীকে আবাহন ও পূজা করিতে হয়। এইরূপে নবমী পর্যন্ত প্রতিদিন পূজা করিতে হইবে। যিনি এই ব্ৰতাচরণ করিবেন, তিনি এই কয়দিনে একবার মাত্র ভোজন করিবেন। রাত্রিকালে ভূমিশয়ন, কুমারীভোজন, প্রতিদিন বস্ত্রাদিদান, বলি ও ত্রিকালে দেবীর পূজা করিতে হইবে। “কস্তাসংস্থে রবে শক্রগুক্লামারভ্য নন্দিকাং। অপাশী হথ বৈকাশ নক্তাশী বাথ বাঘৃদঃ ॥ ভূমৌ শীত চামন্ত্রা কুমারীৰ্ভেজিয়েযুদ্ধ। বস্ত্ৰালঙ্কারদানৈশ্চ সন্তোষা প্রতিবাসরম্ ॥ বলিঞ্চ প্রত্যহং দদ্যাদোদনং মাংসমাষ্যৎ । ত্রিকালং পূজয়েদেবাং জপস্তোত্রপরায়ণঃ ॥” ( দেবীপু ) দেবীকে পূজা করিতে হইলে জয়ন্তীত্যাদি মন্ত্র অথবা নবাক্ষর মন্ত্রে পূজা করিতে হইবে। এই পূজায় সঙ্কল্প করিয়া ঘটস্থাপন, যথাবিধি দেবীকে আবাহন, এবং ষোড়শোপচারে পূজা করিয়া মাধভক্তবলি অথবা কুষ্মাগুবলি প্রভৃতি নিবেদন করিয়া দিতে হইবে। তাহার পর কুমারীপূজা করিতে হয়। দেবীভাগবতে নবরাত্র ত্রতের বিষয় একটী উপাথ্যান ও নিয়মাদি এইরূপ লিখিত আছে— পুরাকালে কোন এক ধনহীন দুঃখী বণিক কোশল রাজ্যে বহুকুটুম্ববর্গে পরিবেষ্টিত হইয়া বাস করিতেন। ইহার অনেকগুলি পুত্ৰকল্প হইয়াছিল। এই বণিক অতিশয় ধৰ্ম্মশীল। ইনি অতি কষ্টে যাহা কিছু সংগ্ৰহ করিতেন, তাহাতে প্রতিদিন দেবতা, পিতৃ ও অতিথিগণের পূজা করিয়া পোষ্যবৰ্গ ভোজন করিলে পর, আপনি আহার করিতেন। এই বণিকের নাম সুশীল। সুশীল নিতাস্ত কষ্টে পড়িয়া একদিন এক ব্রাহ্মণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ভূদেব ! কি করিলে দারিদ্র বিনাশ হয়, আপনি কৃপা করিয়া আমাকে তাহার উপদেশ দিন। আমি ধনী হইতে অভিলাষ করিন, যাহাতে আমার মান রক্ষা হয়, আপনি তাহারই উপদেশ দিন। আমার পুত্ৰকস্তাগণ বালক, তাহারা ক্ষুধাতুর হইয়া রোদন করিতে থাকে, আমার এত আরও গৃহে নাই, যে তাহাদিগকে মুষ্টিমাত্র প্রদান করিতে পারি। যাহাতে আমার অভাবমোচন হয়, এইরূপ উপদেশ দিন। ব্ৰাদশ বৈশ্ন কর্তৃক এইরূপে জিজ্ঞাসিত হইয়া পরমপ্রতিসহকারে গাকে কহিলেন, তুমি যদি দারিখ [ scs ] নবরাত্ত্বে • • cबाळ्न कतिप्ऊ ऐकूक द७, ऊांश श्रीग मदब्राज बडर्शन কর, এই নবরাত্র ব্ৰত জ্ঞান ও মোক্ষপ্রদ, শত্রুনাশক এবং সুখ ও সস্তানবৃদ্ধিজনক । পুরাকালে রাম সীতার বিরহে কাতর হইয়া এই ব্ৰতানুষ্ঠান করিয়া সকলপ্রকার দুঃখ হইতে নিষ্কৃতি লাভ করেন । یی বণিক বিপ্রবরের এই কথা শুনিয়া তাহাকে গুরু করিয়া মায়াবীজ মন্ত্র গ্রহণ করিলেন এবং নিরালস্তভাবে নবরাত্র ব্ৰতামৃষ্ঠান করিলেন। পরে নবমবৎসর পরিপূর্ণ হইলে দেবী “ মহেশ্বরী নিশীথ সময়ে প্রত্যক্ষ হইয়। তাহাকে নানাবিধ বর প্রদান করেন, এই বরে বণিক নানাপ্রকার মুখসমৃদ্ধি ভোগ ও অস্তিমে স্বৰ্গলাভ করিয়াছিলেন। জনমেজয় ব্যাসদেবকে নবরাত্রের বিষয় জিজ্ঞাসা করিলে ব্যাসদেব বলিয়াছিলেন, নবরাত্রের বিষয় বলিতেছি শ্রবণ কর, এই ব্রত প্রতিপূর্বক বসন্তকালে কিংবা শরৎকালেই কর্তব্য। বসন্ত ও শরৎ এই ঋতুস্বয় যমদংষ্ট্রা নামে খ্যাত। এই দুই ঋতু প্রাণিগণের বিশেষরূপ অশুভ ফলদায়ক । এইজন্ত মঙ্গলাভিলাষী মানবগণ যত্নপূর্বক এই দুই ঋতুতে এই নবরাত্রব্রতের অনুষ্ঠান করিবে। শরৎ ও বসন্ত এই দুই ঋতুতে নরগণ ঘোরতর রোগক্রান্ত হইয়া থাকে, এইজন্ত অনেকের প্রাণ নষ্ট হয়। এই সকল ভোগ-নিরাকরণের জন্ত জ্ঞাতিগণের ভক্তিপূৰ্ব্বক নবরাত্র ব্রতকরা একান্তই কৰ্ত্তব্য। প্রতিপদ তিথিতে সমদেশে বিশুদ্ধ স্থানে ষোড়শহস্ত পরিমাণ স্তম্ভ ও ধ্বজসমম্বিত মণ্ডল প্রস্তুত করিতে হইবে। দেবীর পুজাকুশল ব্রাহ্মণ দ্বারা পূজা করাইতে হইবে, এবং দেবীর প্রীতির নিমিত্ত চণ্ডীপাঠ বা দেবীভাগবত পাঠে নয়জন, ৫ জন, ৩ জন বা একজন ব্রাহ্মণ নিয়োজিত করিতে হইবে। এইরূপে কৰ্ম্মারম্ভ হইলে বেদীর উপর সিংহাসন স্থাপন করিয়া আয়ুধবিশিষ্ট ভুজচতুষ্টয়সম্পন্ন৷ বা অষ্টাদশভূজা মুক্তাহার প্রভৃতি সৰ্ব্বাভরণবিভূষিত, সৰ্ব্বলক্ষণাক্রান্ত সিংহোপরিসংস্থিতা, শঙ্খচক্ৰগদাপদ্মধারিণী দেবীর প্রতিষ্ঠা করিবে। যদি প্রতিমার অভাব হয়, তাহ। হইলে সেই সিংহাসনে পীঠপুজার্থ নবাক্ষরসংযুত মন্ত্র ও তাহার পাশ্বদেশে পঞ্চপল্লবসমন্বিত কুস্ত স্থাপন করিবে। নানা উপহারে দেবীর পূজা বিধেয়। যাহারা মাংসভোজী তাহার দেবীর পূজায় পশুহিংসা করিতে পারিবে। পশুবলিদানে ছাগ ও বহুবরাহের বলিপ্রদানই উত্তমকল্প। দেবীর অগ্ৰে । নিহত পশুগণ অক্ষয় স্বৰ্গলাভ করিয়া থাকে, এইজন্স পশুঘাতী ব্যক্তিগণের পশুহনননিমিত্ত্ব পাতক জন্মেন। যান্ত্রিকী হিংসা অহিংসা বলিয়া কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। নবরাত্রব্ৰতে হোমের নিমিত্ত পরিমাণানুসারে এক হস্ত হইতে দশ