পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{} নবীনগর . নবাসিকা (স্ত্রী) মাত্রাবৃত্তভেদ। “তাযুগলাৰ নবাসিক স্তাৎ" (বৃত্তরত্নাকর ) নবাহ (পুং ), নবং অহঃ টছ সমসান্তঃ । ১ নবদিন, প্রতিপদ তিথি । নভিরহোভিনিবৃত্তঃ ঠঞ, তন্ত লুক্‌ অৰ্ছ সমসান্ত । ২ নবদিনসাধ্য যাগাদি । নবিক (স্ত্রী) নবোইস্তান্ত ইতি নব ঠন্‌ টাপ, নবি নবং কায়তি ইতি বী। নবশদযুক্ত। . নবিন (রী) ১ নয় সংখ্যার গুণক। ২ নবসংখ্যাযুক্ত। নবিপুল (স্ত্রী) বৈদিক ছন্দোভেদ। (খক প্রাতি) নবিষ্ট (স্ত্রী) নবাউটিং বেদে শকন্ধাদিত্বাদলোপঃ । অভিনব ইষ্টভেদ । “বভিন্নপসে নবিষ্ট্রেী” ( ঋক্ ৮২৷১৭ ) “নবিষ্ট্রে অভিনবে যাগে’ ( সায়ণ ) নবিষ্ঠ (ত্রি) অতিশয়েন নবিতা স্তোত ইষ্ঠন্‌ তৃণোলোপঃ। ১ অতিশয় স্তোতৃতম। "বিপ্ৰ নবিষ্ঠয়া” ( ঋক্ ১৮২২ ) নিবিষ্ঠয়া নবিতৃতময়ী মতী মতা স্তুত্যা’ ( সারণ) অতিশয়েন নবঃ নুতনঃ ইঠন। (ত্রি ) ২ নব্যতম। নবীগঞ্জ, ১ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে মৈনপুরীজেলায় একখানি গ্রাম। ইহা ২৭° ১১ ৫০% উত্তর অক্ষাংশে, এবং ৭০° ২৫/২৫% পূৰ্ব্ব দ্রাঘিমায়, গ্রাণ্ড ট্রাঙ্ক, রোডের উপর অবস্থিত। লোক সংখ্যা প্রায় ১৫০০, তন্মধ্যে হিন্দুই অধিক। এখানে সরাই আছে। ২ বাঙ্গালাদেশে শ্রীহট্ট জেলায় সুৰ্ম্মানদীর বারক নামক শাখার পাশ্বে অবস্থিত একটী গ্রাম। এখান হইতে চাউল, শীতলপাট ও নানাবিধ তৈলকরবীজ রপ্তানী হয় । নবীন (ত্রি) নবমেব নব খ, স্বদেশশ্চ। নুতন। “গদাধরবিনিৰ্ম্মিত বিবিধদুর্গতকাটীনবীনপদবীমুদ্ৰং বিতুতাং সতীং ধীমতাম্।।” (গদাধর) মধীন, (ন-উইন) নিম্ন ত্রন্ধে পেশুবিভাগে প্রোম জেলার এক নদী। উত্তর ন-বীন ও দক্ষিণ ন-বন নামক দুইটী শাখার সংমিশ্রণে মূল নদীর উৎপত্তি হইয়াছে। পেগুর অন্তর্গত যোয়৷ পৰ্ব্বতে পা-দৌক শৃঙ্গের উত্তরে ইহার উত্তর শাখার উৎপত্তি। ম্যো-মা গ্রামের অৰ্দ্ধ ক্রোশ নিয়ে উভয় শাখা মিলিত হইয়াছে। দক্ষিণ শাখাও ঐ শৃঙ্গের দক্ষিণে উৎপন্ন হইয়াছে। প্রোমনগরের নিকট এই নদী ইরাবতীতে মিলিত হইয়াছে। দক্ষিণ শাখায় থিন্‌-গি নামে এক উপনদী এবং উভয় শাখায় মিলনের পর ন-ধীন নদীতে কোঁক-গোয়ে, ল-থ ও থিটু-গিৎ নামে তিনটী উপনদী মিলিয়াছে। গ্রীষ্মকালে এই সমস্ত নদী প্রায় শুকাইয়া যায়, কিন্তু বর্ষায় প্রবলবেগে বহিতে থাকে। যোম পৰ্ব্বতের কাষ্ঠরাশি এই ন-বীন নদী দিয়া ভাসাইয়া আনা হয়। নবীনগর, অযোধ্যার অন্তর্গত সীতাপুর জেলার একটা সহর। IX [ ৬৬৫ ] बर्दीशष्ठीर्थ লাহরিপুর সহরের ১ ক্রোশ উত্তরপূৰ্ব্বে অবস্থিত। এখানকার লোকসংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। এই স্থানে কতেসরের তালুক ; দারের সদরকাছারী আছে। সমস্ত সহরের মধ্যে ঐতালুকদারের সুবৃহৎ অট্টালিকাই একমাত্র অট্টালিকা। দুই শতাব্দী পূৰ্ব্বে মলিহাবাদের নবাব সঞ্জার খার পুত্র নবী খাঁ এই সহর প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু ৫-৬০ বৎসর পূৰ্ব্বে গৌড়রাজপুতগণ উছ মুসলমান হস্ত হইতে কাড়িয়া লইয়া আজিও অধিকার করিয়া রাখিয়াছে। -- নবীবন্দর, বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর কাঠিয়াবাড় প্রদেশের একটা বন্দর। ইহা পুরবন্দরের ৯ ক্রোশ দক্ষিণপূৰ্ব্বে ২১° ২৬ উত্তর অক্ষাংশে এবং ৬৯° ৫• পূৰ্ব্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত। ভাদরনদীর মোহানায় ইহাই প্রধান বন্দর। মৌসুমের সময় এই নদীতে ৯ ক্রোশ পর্যন্ত নৌকা বাইতে পারে। নদীর মোহানা তেমন গভীর নয়, অথচ পৰ্ব্বতময়, সেইজন্য ছোট নৌকা ভিন্ন বনারে বড় নৌকা পৌছিতে পারে না। এই সহরের ব্যবসায় পূৰ্ব্বাপেক্ষ এখন কমিয়া গিয়াছে। রেলওয়ে হইয়াছে বটে, কিন্তু তাহাতে বাহাদুর কাঠের আমদানীই বেশী। নবীভাব (পুং) নব-ভূ-অভূত তত্ত্বাবে ছি। অনবীনের নবভাব। নবীয় (ত্রি) নব-অতিশয়ে ঈম্বন। নবতম। “প্ৰতরং নবীরঃ” ( ঋক্ ১০৮৯১ ) ‘নবীয়ে নবতরম্ (সায়শ ) ২ অতিশয় স্তুত্য । “নু নবাসে নবীরসে হুক্তায়” (খক ৯৯৮) ‘নবীয়সেহতিস্তুত্যায়’ ( সায়শ ) নবীলতীর্থ, বেলগাম জেলার মধ্যে মালপ্রভা একটা প্রসিদ্ধ নদী। সৌনক্তি নামক স্থানের ২ ক্রোশ উত্তরে মালপ্রভ মানোলী পৰ্ব্বতের দুইটী শিখরের মধ্যস্থ এক খাদ দিয়া প্রবাহিত হইয়াছে। পূৰ্ব্বে এখানে এক পাৰ্ব্বত্য হ্রদ ছিল। নদী সেই হ্রদে মিশিয়া হ্রদের জল পৰ্য্যস্ত বাহির করিয়া লইয়। যায়। কালে নদীপ্রবাহে পৰ্ব্বতগাত্রে নানা আকৃতির উদ্ভব হইয়াছে। এই স্থানকে নবীলতীৰ্থ অর্থাৎ ময়ূর-সরোবর বলে। কথিত আছে, পূৰ্ব্বে নদী ঐ পৰ্ব্বতের মূলৰেষ্টন করিয়া বস্থিত। একদিন এক ময়ুর পর্বতশিখরে বসিয়া নিজ পুচ্ছ বিস্তার করিয়া নদীকে উপহাস করিয়া বলিল, এত বেগ থাকিতে অত ঘুরিয়া যাও কেন ? নদী বিরক্ত হইয়। যে শিখরে ময়ুর বসিয়াছিল, হঠাৎ চক্ষুর নিমিষে সেই শিখর ভেদ করিয়া বহির্গত হইল, ময়ুর উড়িয়া যাইবার অবকাশ । পাইল না। তাহার দেহ পৰ্ব্বত-বিদারণের সঙ্গে সঙ্গে ছিন্ন হইয়া এদিকে অর্ধেক ওদিকে অৰ্দ্ধেক হইয় গেল। ইহ। ১৬৭