পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নস্ত্য 歌 করিবে। কৃশ, কুৰ্ব্বল, ভীরু, মুকুমার ও স্ত্রীলোকদিগের শিরঃশুদ্ধির জন্য ঔষধের কন্ধ সহযোগে পক্ষস্নেহ অর্থাৎ পাক ভৈল প্রভৃতি প্রয়োগ করিবে । ভূক্ত, অপতপিত, অতি তরুণ, প্রতিষ্ঠায়ী, গর্ভিণী, পীতস্নেহ, পীতোদক, পীতমদ্য, অজীর্ণ, ক্রুদ্ধ, বিষাৰ্ত্ত, ভূষিত, শোকাভিভূত, শ্রান্ত, বালক, বৃদ্ধ, বেগাবরোধিত ও শিরঃন্নানাভিলাষী, এই সকল ব্যক্তিকে নস্যপ্রয়োগ করিবে না। যে দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে, সেইদিনেও নস্যপ্রয়োগ বিধেয় নহে। নস্য বা ধূম হীনমাত্রা, অতিমাত্র, শীতল, উষ্ণ বা সহসা প্রদত্ত হইলে বা প্রয়োগকালে মস্তক অতি বিলম্বিত থাকিলে বা বিচলিত হইলে অথবা নিষিদ্ধভাবে যুক্ত হইলে ব্যাপদ ঘটে। শিরোবিরেচনে দুই প্রকারে ব্যাপদ ঘটে— দোষের উৎক্লেশ এবং ক্ষীণত জন্ত । উৎক্লেশ জন্য হইলে শমনশোধনী দ্বারা এবং ক্ষয়জন্য হইলে বৃংহণীয় দ্রব্যদ্বারা প্রতিবিধান করা বিধেয় । প্রতিমৰ্শ চতুর্দশ কালে প্রযোজ্য, যথা প্রাতঃকালে নিদ্রাভঙ্গের পর, দস্তুধাবনের পর, গৃহ হইতে নির্গমনকালে, মুত্রপুরষত্যাগের পর, কবলগ্রহণ ও অঞ্জন প্রয়োগের পর, ব্যায়াম, বাবার বা পথভ্রমণের পর, অভুক্তকালে বৰ্মনাস্তে ও দিবানিদ্রার পর এবং সায়ংকালে এই চতুর্দশ সময়ে প্রয়োগ করা যাইতে পারে। এই সকল সময়ে প্রয়োগ করিলে নিম্নলিখিত ফল হইয়া থাকে। নিদ্রাভঙ্গে সেবন করিলে রাত্রিকালে নাসারন্ধে সঞ্চিতমল পরিষ্কৃত ও মন প্রফুল্ল হয়। দন্ত প্রক্ষালনের পর সেবন করিলে দস্তু দৃঢ় হয় ও মুখে স্বগন্ধ হইয়া থাকে। গৃহ হইতে নিৰ্গতকালে সেবন করিলে রজোধুম প্রভৃতি নাসারন্ধে, প্রবিষ্ট হয় না। মলমুত্রাবসানে প্রয়োগ করিলে দৃষ্টিগুরুত্ব অপনীত হয়। অভূক্ত কালে সেবন করিলে স্রোত-পথের বিশুদ্ধি ও লঘুত হয়। বৰ্মনাস্তে সেবন করিলে স্রোত-পথসংলগ্ন শ্লেষ্মা সমস্ত পরিষ্কৃত হইয়া অন্নে রুচি জন্মে। দিবানিদ্রার পর সেবন করিলে নিদ্রাজন্ত গুরুত্ব ও মলনাশ হয় এবং চিত্তের একাগ্রতা জন্মে। সায়ংকালে সেবন করিলে মুখে নিদ্রা ও প্রবোধ হয়। ঈষৎ উচ্ছি জিঘত অর্থাৎ টানিয়া লওয়া নস্যে স্নেহপ্রয়োগ করিলে যদি মুখ পর্যন্ত প্ৰসরণ করে, তাহাকে প্রতিমর্শ কছে। ইহাতে কেবল মাত্র পরিমাণের ভেদ আছে। নস্য গ্রহণ করিলে স্কন্ধসদ্ধির উৰ্দ্ধগত রোগের শাস্তি হয়, ইঞ্জিয় নিৰ্ম্মল হয়, মুখ সুগন্ধি হয়, হন্ত, দন্ত, শির, গ্রীব, কাছ ও বক্ষের বল হইয়া থাকে, এবং বলিপলিত, খালিত্য অর্থাৎ টাকু ও ব্যঙ্গ এই সকল রোগ হয় না। [ ७१३ ] নস্থ্য


নস্যের পক্ষে কফজন্তু রোগে তৈল, বায়ুজন্ত রোগে বসা, পিত্তে স্থত এবং বায়ুযুক্ত পিত্তরোগে মজ্জা প্রযোজ্য। ( সুশ্রুত চিকিৎসিত স্থান ৪০ অ” ) নাসিকাগ্রাহ অর্থাৎ যাহা নাসিকাতে প্রয়োগ করা যায় যে ঔষধ তাহার নাম নস্য। দ্বত, তৈল ও চূর্ণ প্রভৃতি যে সকল ঔষধ নাসিকাতে ব্যবহৃত হয়, সেই সকল ঔষধের নাম নস্য । “নস্যস্তত্ব কথাতে ধীরেনাসাগ্রাহ্যং তদৌষধং । مي-s নাবনং নস্য কৰ্ম্মেতি তস্য নামন্বয়ং মতম্।।” ( চরক ) চরকের সূত্রস্থানে পঞ্চ অধ্যায়ে নস্যবিষয় বিস্তৃত বিবরণ লিখিত আছে। "দিনস্য গৃহতে নস্যং রাত্রেী বাপুৎকটেগদে।" ( চরক চিকি" ৫ অ” ) দিনমানেই নস্য গ্রহণ প্রশস্ত, যদি পীড়ার অতিশয় বৃদ্ধি & হয়, তাহা হইলে রাত্রিকালেও নস্যপ্রয়োগ করা যাইতে পারে। শিরোরোগেই নস্য বিশেষ উপকারী । ভৈষজ্যরত্নাবলীতে নস্যের বিষয় এইরূপ লিখিত আছে— সৈন্ধুবলবণ, সজিনাবীজ, শ্বেতসর্ষপ ও কুড় সমভাগে একত্র করিয়া ছাগমূত্রে পেষণ করিয়া নস্য দিবে। ইহাতে তন্ত্র নষ্ট হয়। মধুকসার (মউলসার ), সৈন্ধবলবণ, বচ, মরিচ ও পিপুল সমভাগে পেষণ করিয়া জলের সহিত নস্য দিলে রোগীর চৈতন্তোদয় হয়। পিপ্পলীমূল, সৈন্ধবলবণ, পিপ্পলী ও মউলসার, ইহাদের সমভাগ চুর্ণ এবং সমুদায় চুর্ণের সমান মরিচচূর্ণ একত্র মিশ্রিত করিয়া ঈষদুষ্ণ জলের সহিত নস্য প্রদান করিলে রোগীর শীঘ্র চেতনলাভ হয়, এবং তন্দ্রী, প্রলাপ ও মস্তকের ভার নিবারিত হয় । লম্বন ও মরিচ সমভাগে পিষিয়া বস্ত্রে পুটুলী করিয়া নস্য গ্রহণ করিলে শ্লেষ্মা নষ্ট হয়। কালকুকুড়ার ডিম্বের তরলাংশ নস্য করিলে দুঃসাধ্য সান্ত্রিপাতিক জরও আশু প্রশমিত হয় । শিরীষ পুষ্পের রসে হরিদ্র ও দারুহরিদ্রার চুর্ণ এবং স্কৃত মিশ্রিত করিয়া নস্য গ্রহণ করিলে চাতুর্থক জর শাস্তি হয়। বকপুষ্প বৃক্ষের পাতার রসে নস্য লইলে চাতুর্থকজর শাত্তি छ्झ । ( ंख्छषलाङ्गज़ॉ॰ उलङ्गiक्षि” ) পক পীনসরোগে পাঠাদিতৈলের নস্য গ্রহণ করিলে আগু উপশমিত হয়। বাস্ত্রীতৈলের ন্যও পুতিনাসারোগোপশমক। তৈল ১ সের, গোসূত্র ৪ সের, কন্ধাৰ্থ ত্রিকটু, বিড়ঙ্গ, সৈন্ধব, বৃহতীফল, সজিনাছাল ও ੋ। প্রত্যেক