পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাখন-বট . এবং চতুর্দিকেই অন্ধ ক্রোশ দীর্ঘ; মদিরটা অতি স্থাগু এবং বান্ধতত্বের নিমিত্ত বিশেষ প্রয়োজনীয়। মন্দিরটর চতুর্দিকে ২৩০ গজ বিস্তৃত পরিখা। পশ্চিম দিকে সাকোর উপর দিয়া “গোপুরের স্তায় প্রধান প্রবেশদ্বার। এই গোপুর ছয় শত কিটু উচ্চ। কিয়লুর গিয়া অৰ্দ্ধ পথে আবার একটা ক্রুশাকার উচ্চ পখ। ইহার উভয়পর্শ্বে টুইট ক্ষুদ্র মন্দির। .তাহার পর আরও কিছু দূর গিয়া মূলমন্দিরের বহিঃপ্রাচীর। এই বহিঃপ্রাচীর ১৫ ফিটু উচ্চ । এই প্রাচীর এক এক দিকে দৈর্ঘে ৬৫• ফিন্টু ও প্রস্থে এক এক দিকে ৫৭০ ফিট্র। ইহার মধ্যস্থ ভূমি ৩ লক্ষ ৭০ হাজার বর্গ ফিট্। ৩টা প্রবেশদ্বার। প্রত্যেক দিকেই উচ্চ স্তম্ভ। এই সকল স্তম্ভ গাত্রে বারাগু!সংলগ্ন । এই সকল বারাণ্ডার কারুকার্য্য ও নিৰ্ম্মাণকৌশলই এই মন্দিরের বিশেষত্বনির্দেশক এবং প্রধান শোভাবৰ্দ্ধক। বহিঃপ্রাচীর অতিক্রম করিলে আবার আর একটী প্রাচীর, সেট উল্লঙ্ঘন করিলে সেইরূপ আর একটী প্রাচীর, এই প্রাচীরত্রয় পরস্পর ক্রমোচ্চ। শেষ অস্তঃপ্রাচীরের উচ্চতা ২০ ফিট। এই তিন প্রাচীরেই তিনটী প্রবেশদ্বার। রামেশ্বর প্রভৃতি স্থানের ভারতীয় মন্দির গুলির কারুকার্য সুদৃগু হইলেও বিশেষ শিল্পকৌশলপূৰ্ণ নহে। সেই সকলের চিত্রে বা উদ্ভাবনাকৌশলে স্বসঙ্গতি রক্ষিত হয় নাই, কিন্তু নাখনবটের কারুকার্য্যে উদ্ভাবনাকৌশল, চিত্রকৌশল ও শিল্পকৌশল পূর্ণ মাত্রায় বিরাজিত। এই প্রাচীরগুলি নিরেট অর্থাৎ গবাক্ষাদি শূন্ত । ইহা বড় বড় পাথরে গাথা। পাথরগুলি খাজ কাটিয়া মিলান। এত সুন্দর মিল যে জোড়ের মুখ ধরিতে পারা যায় না। ইহা গাঁথিতে কোনরূপ তাগাড় ব্যবহৃত হয় নাই। অন্ত তিনদিকে স্তম্ভের সারি। সমস্ত কাৰ্ণিসই সপ্তশীৰ্ষ সর্পমূৰ্ত্তি দিয়া সাজান। দেওয়ালের গাত্রে যেরূপ ভাস্কর-শিল্পের চরমোৎকর্ষ দেখা যায়, সেরূপ আর কোথাও নাই। এমন কি এই মন্দিরের অন্যান্য স্থানের শিল্পচাতুর্যও উহার সমকক্ষ হইতে পারে না। ঐ প্রাচীর-গাত্রে রামায়ণ-মহাভারতীয় যুদ্ধাদির ছবি যেন জীবন্ত খোদিত হইয়াছে। অার একস্থানে স্বর্গ নরক ও পৃথিবীর ছবি খোদিত আছে। কুৰ্ম্মবতার ও সমুদ্রমন্থনের ছবিও খোদিত হইয়াছে, কিন্তু তাহা অসমাপ্ত। তৎপরে মধ্য খণ্ডে প্রবেশ করিলেই প্রধান মন্দির পাওয়া বার। ইহা পঞ্চভূক্ষ। প্রধান চুড়া ১৮০ ফিটু উচ্চ। সারির জৈনমন্দিরের সহিত ইহার আকারগত বিশেষ সাদৃশু আছে। পঞ্চচূড়ার মধ্যে চারিট প্রাঙ্গণের স্থানে চারিট জলাশয় আছে। নাগমন্দিরের ইহাই বিশেষত্ব। এই পুত্বরণী হইতে মধ্যে মধ্যে জল উঠিা মন্দিরের নিমতল কতটা ভাসাইয়া দিত তাহা বলা যায় না। [ ৬৭৯ ] - זין: י ইহার থামগুলির মাধূলা ও গোড়া দেখিয়া স্পষ্টই যুদ্ধ যায়, সে গুলি রোমক-ডোরিয় শ্রেণীর প্লামের মত। ভারতের কোথাও এরূপ খাম নাই। কাশ্মীরের নাগ-মন্দিরগুলির খামগুলিও গ্রীক-ডোরিয় শ্রেণীয়। মাখন-বটের থামের একটতেও কাণবিশিষ্ট মাখল বা ভারতীয় ধরণের গোড়ার বেদী নাই। কোনটী ১৬ বা ৩২ পল বিশিষ্ট নহে। এইরূপ এক শ্রেণীর স্তন্ত এখানে ১৫৩২ট আছে। ইহার গঠনভী इहैएउ स्रशभिङ श्छ cग, छूद्रागैौद्र छांकग्न षांब्र हैशंद्र शर्टनकार्षी সম্পন্ন হইয়াছিল। ইহার মধ্যে যে সকল জীলোকের মূৰ্ত্তি খোদিত আছে, তাহাদের চেপূট নাসিৰাদি দেখিয়া তাতারীর বলিয়াই অনুমিত হয়। মন্দিরের প্রাচীন সর্পদেবতা ধ্বংস হইয়া গিয়াছে, পরে ইহা বৌদ্ধদিগের অধিকারে পড়িয়াছে, তবুও ইহার সর্বত্র সপ-চিহ্ন বিদ্যমান আছে। এখানে অশোক সম্বন্ধে অনেক প্রবাদ শুনা যায়। বুদ্ধঘোষের আগমন সম্বন্ধেও প্রবাদ অাছে। ১২৯৫ খৃষ্টাব্দে একজন চীনপরিব্রাজক এই মন্দিরের অস্তিত্বের ও সৌন্দর্ঘ্যের কথা লিথিয় গিয়াছেন। এই নগরের ৭ ক্রোশ পূৰ্ব্বে পতন-ত-ফ্রোম (ব্রহ্মপত্তন ) নামে এক নগরের ভগ্নাবশেষ আছে। এখানে ব্ৰহ্মার মন্দির ছিল । ওঙ্কার নগরে ব্ৰহ্মপত্তনে ব্ৰহ্মার মন্দির ছিল, ইহা শুনিলে এখানকার হিন্দুধর্মের প্রাচীনত্বের কথা বুঝা যায়। নাখরা (পারসী ) কৌতুক, ছলনা, কৌশলে ভুলান । নাখরাই (পারসী ) ছল করিয়া লুকান, ঠাট্টা করা। নাখানদী ( পারসী ) অশিক্ষিত। ষে পড়িতে জানে না। নাখু (পারসী) অসন্তু, স্কুল জনাজ্ঞাতি। নাখুলী (পারসী) হতাশ, নিরানন্ত, অসন্তুষ্টত। নাখোদা (পারসী ) ১ জাহাজের মালিম বা অধ্যক্ষ। ২ ব্যবসায়ী ব্যক্তি, মুসলমান বণিকসম্প্রদায়। নাগ ( ক্লী ) नाश श्रृंकीरउ उपः अ५१ ° बन्न । ২ গ্ৰীসক । পৰ্য্যায়—নাগ, মহাবল, চীন, পিষ্ট, যোগেই, সীসক । “নাগং মহাবলং চীনং পিষ্টং যোগেষ্টসীসকম্।।” (বৈদ্ধকরত্ন” ) রঙ্গ ও সীসক অর্থে নাগ শব্দের কোন কোন স্থলে পুংলিঙ্গেও ব্যবহার দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার উৎপত্তির বিষয় ভাবপ্রকাশে এইরূপ লিখিত আছে,-ৰামুকি কোন নাগকস্তার অলোকসামান্ত রূপ দেখিয়া কাম মোহিত হন। তাঁহাতে বামুকির শুক্র নির্গত হয়, এই শুক্রই নাগ অর্থাৎ সীসকৰূপে পরিণত হয় । ইহা মানবগণের সকল রোগ বিনাশ করিয়া থাকে । পর্যায়-সীস, ভ্রধ, বগ্র, যোগেষ্ট, ভূজঙ্গ ও নাগের। ইহা বঙ্গ সদৃশ গুণদায়ক, বিশেষতঃ প্রমেহ নাশক। ইহা সেবন করিলে শত নাগের ভুল বল হয়, এইজন্ত ইহার নাম নাগ হইছে।