পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগপূজা [ ఆపిరి ) fאיקאה স্পষ্ট বুৰী বাইতে পারে। পৃথিবীর অনেক অসাধুারণ লোক সৰ্প হইতে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া আপনার পরিচয় দিয়া fratcea , cxfw*τπτ•fè fìiffs ( Scipio Africanus) নাগের সস্তান বলিয়া পরিচিত। Augustus বলেন যে, তাহার মাতা অtটক্ট (Atia ) নামক সৰ্প কর্তৃক গর্ভবতী হইয়াছিলেন। অনেকের বিশ্বাস ছিল যে, আলেকসান্দর নাগনমান ছিলেন। এন্দরের (Endor) স্ত্রীলোকদিগকে ওবের উপপত্নী বলা इह । ইসরাইলের রাজা যোথাম নাগপুজার নিমিত্ত সৰ্পদেবতার একটা মনোহর মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। এসিয়া মাইনরের বহুসংখ্যক প্রাচীন মুদ্রার উপর সপের আকৃতি অঙ্কিত দেখা যায়। খৃষ্ট-জন্মের পরে গ্রীকৃদেশে Esculapiusএর দণ্ডবেষ্টিত সৰ্পদ্বয় দেবতা সদৃশ সন্মানিত হইত। কথিত আছে, ৪৬২ খৃষ্টাব্দে রোমনগরে মহামারি উপস্থিত হইলে, গ্রীস হইতে একটা জীবিত সৰ্প তথায় আনীত হইয়াছিল, এবং নগরের সমস্ত লোক ও রাজকীয় মহাসভার সভ্যগণ একত্র হইয়া যথাবিধি সন্মানপ্রদর্শনপূর্বক ইহার অভ্যর্থনা করিয়াছিলেন । এই ঘটনার পর, একদিন রোমনগরের কোন স্থানে একটা সৰ্প দেখিতে পাওয়া যায় ; এই সপটী আশ্চৰ্য্য অবস্থায় তথায় অবস্থান করিতেছিল, ইহা দেখিয়া রোমবাসী ঐ স্থানকে পুণ্যক্ষেত্র বলিয়া নির্দিষ্ট করিয়াছেন। পদ্মপুরাণ এবং গরুড়পুরাণ এই উভয় পুরাণেই কালিয় নাগের বিবরণ অাছে। কৃষ্ণ শৈশবাবস্থায় ইহাকে নিধন করেন। ভারতে বর্তমান সময়েও কালিয় নাগের পুজা হইয়া থাকে। শ্রাবণমাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে “নাগপঞ্চমী” হইয়া থাকে। ভারতের উত্তরাংশে, মহারাষ্ট্রে এবং তৈলঙ্গে নাগপঞ্চমীর পরিবর্তে ‘নাগচেতি’ উৎসব প্রচলিত। এই উৎসব শ্রাবণের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে হয় বলিয়া উক্ত নাম হইয়াছে। নাগচেীতি ভারতের আরও অনেকস্থলে হয় । নাগপঞ্চমী পুজার দিন হিন্দুমহিলাগণ স্নান করিয়া বহুমূল্য বসনভূষণে সজ্জিত হইয়া নাগপুজা করিতে বহির্গত হয়। অনস্তর যেখানে মাগমুর্তি স্থাপিত আছে তথায়, অথবা উয়ের ঢিপির নিকট উপস্থিত হইয়া দুগ্ধ, পিষ্টক, ফল, মূল, পান, মুপারি ইত্যাদি উপহার প্রদান করিয়া থাকে এবং নানা প্রকার পুষ্পমালা, বিশেষতঃ সিমুলফুলের মালা অর্পণ করিয়া থাকে। ঐ দিবসে পুজান্তে সকলে নাগরাজের নিকট আপনাপন অতীষ্ট বর যাজ্ঞা করে । হিন্দুদিগের বিশ্বাস যে, নাগপুঞ্জ করিলে কুষ্ঠ, চক্ষুউঠা, বন্ধাদোষ প্রভৃতি রোগ ভাল হয়। এক ব্রাহ্মণ ঢোলকা নগরে একটা পুরাতন বাড়ী কিনিয়াছিলেন। ঐ পুরাণ বাট খনন IX করিয়া তথায় একটা মূক্তন অট্টালিকা নিশ্বাণ মানসে উক্ত স্থান খুঁড়িতে খুড়িতে দেখিলেন যে, মাটির মধ্যে বহুসংখ্যক স্বর্ণমুদ্রাবিশিষ্ট একটী কলসী বেষ্টন করিয়া এক প্রকাও অজগর রহিয়াছে। রাত্রিকালে স্বপ্লাবস্থায় ঐ সৰ্প আসিয়া তাছাকে বলিল, “তুমি এই ভগ্নমন্দির নষ্ট করিওন। এই ধনসম্পত্তি আমার এবং আমি এই সমস্ত রক্ষা করিতেছি। যদি তুমি আমার কথা অমান্ত করিয়া, ইহার প্রতি লোভ কর, তবে আমি তোমাকে সবংশে নিৰ্ব্বংশ করিব।” প্রাতঃকালে ব্রাহ্মণ গাত্রোথান করিয়া সপের গাত্রোপরি উত্তপ্ততৈল ঢালিয়া দিলেন এবং ভগ্ন মন্দির ধূলিসাৎ করিয়া মহাননো ধনরত্ন লইয়া গৃহে আসিলেন। কিন্তু ঐ ব্রাহ্মণের পুত্র সস্তান হইল না এবং তাহার কন্যারও সস্তানসন্ততি কিছুই হয় নাই। অধিক কি যাহারা ঐ ধনের অতি সামান্ত অংশ গ্রহণ করিয়াছিল অথবা যাহারা তাহার কৰ্ম্মচারী ও ভৃত্য হইয়াছিল কিম্ব যাহার। তাহার কুলপুরোহিতের কার্য্য করিয়াছিলেন, তাহারা সকলেই নিঃসন্তান হইলেন । ১৮৩০ খৃষ্টাব্দে এই ঘটনা হইয়াছিল। মাত্রাজের সন্নিকটে ত্রিবেতুর, পেরাম্বর, বাসরপাড়ী এবং পশ্চিম ঘাটে কয়েকট নাগমন্দির অাছে। অনেক হিন্দুযাত্রী পশ্চিমঘাটে স্বর্ণমণির মন্দিরে গমন করিয়া থাকেন এবং তথা হইতে কিঞ্চিৎ কর্দম অনিয়া বন্ধ্যাস্ত্রীলোকদিগকে তিলকধারণ করিবার জন্ত ও কুষ্ঠ রোগীকে অঙ্গে লেপন করিবার জন্ত প্রদান করেন । ফারগুসান সাহেব লিথিয়াছেন যে, বৃক্ষপূজা ও নাগপুঞ্জ। সমস্ত মনুষ্যজাতির আদিধৰ্ম্ম । যেখানেই নরবলি দেওয়া হইত, সেইখানেই নাগপুজা চলিত ছিল। মেক্সিকো ও দাহোমি নামক দেশে নাগপুঞ্জা সৰ্ব্ব সাধারণের প্রিয় ধৰ্ম্ম ছিল। দহোমি নাগপূজার একটা প্রধান স্থান। এখানে আজ পর্যন্ত নাগপূজা পুৰ্ব্ববৎ সমারোহের সহিত সুসম্পন্ন হইয়া থাকে। ১৮৭২ খৃঃ অধো মাম্রাজ নগরে অসাধারণ ধীসম্পন্ন এক ব্রাহ্মণের একটী কস্ত জন্মগ্রহণ করেন। গর্ভধারণকালে একটা সৰ্প দেখা গিয়াছিল বলিয়া, ঐ ক্যার নাম “নাগষ্মা" রাখা হয়। এই সমস্ত দেখিয়া স্পষ্ট প্রতীত হয় যে, ভারতবর্ষে নাগপুজার প্রভাব বিশেষরূপেই ছিল। বৌদ্ধ ও জৈন ধৰ্ম্মগ্রন্থেও নাগপূজার উল্লেখ আছে। মাগফণি, তুরীর স্তায় একপ্রকার শুষিরযন্ত্র। নেপালদেশে এই যন্ত্রের ব্যবহার আছে। সাধারণতঃ ইহা তাম্র দ্বার নিৰ্ম্মিত হয়। ইহা পাৰ্ব্বতীয় যন্ত্র, এবং নরশিঙ্গ অপেক্ষ ক্ষুদ্র । ইহা অনেকটা ফ্রেঞ্চহরণের মত। এই ধন্ত্রের ধ্বমি ভণ্ড मभूब नाए । می-ت • እፄ8 *