পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৭১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগাজুন [ १०e ] A. • . e. নাগাজুন মাইল ভূমির উপর অবস্থিত। এই জেলাটা প্রায়ই বন, পৰ্ব্বত ও নদীতে পরিপূর্ণ। নাগাপাহাড় ও উহার উপত্যক গুলি নিবিড়বনে আচ্ছন্ন। এই সমস্ত জঙ্গল হইতে দারুচিনি প্রভৃতি নানাপ্রকার সুগন্ধি মসলা, মোম ও নানা প্রকারের স্বত আমদানি হয়। ইহার স্থানে স্থানে পাথুরিয়া কয়লা, খড়ি ও সুেট পাওয়া যায়। এখানকার বনে হস্তী, গণ্ডার, মহিষ, ব্যাস্ত্র, নেকড়ে, বস্তবৃত্ব ও নানা জাতীয় হরিণ বাস করে। পূৰ্ব্বোক্ত জঙ্গলের কতকাংশ এক্ষণে পরিষ্কৃত হইতেছে। এখানকার প্রধান প্রধান নদী যথা দেয়, ধানেশ্বরী এবং যমুনা। এই দেশ তাশ ঢালু না হওয়ায় বর্ষাকালে ইহার অধিকাংশ স্থান প্রায় জলমগ্ন থাকে। নগাপাহাড়গুলির মধ্যে রেঙ্গম এবং বারেল গিরিশ্রেণীই প্রধান । cब्रक्रम २००० श्हेटङ ७००० किो फेफ़ । गारशृी श्रृंत्र সৰ্ব্বাপেক্ষ উচ্চ, ইহা সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ১০০০০ ফিট উচ্চ। এখানে নাগাজাতির বাস থাকায় ‘নাগাপাহাড়’ নামে খ্যাত হইয়াছে । [ নাগ দেখ। ] নাগাজুন, বাৰ্ত্তনগরবাসী কাহারও মতে, খৃষ্ট জন্মের পূর্ব শতাব্দীতে, আবার কাহারও মতে খৃষ্ট জন্মের ২য় শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি আর্য্যজাতির নিকট বৌদ্ধধৰ্ম্মের আধ্যাত্মিক বা নিগুঢ় রহস্য বিশেয়রূপে ব্যাখ্যা করেন। তাহার বক্তৃত ও সুন্দর তর্কশক্তির গুণে প্রাচীন আৰ্য্যজাতি সাধারণ বৌদ্ধধৰ্ম্ম পরিত্যাগপূর্বক তত্ত্বপূর্ণ বৌদ্ধধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন । সাত বর্ষকাল তিনি অধ্যবসায় সহকারে এই ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়া, অবশেষে ভারতের তদনীন্তন প্রধান ভূপতি ব্রাহ্মণধৰ্ম্মাবলম্বী ভোজভদ্রকে স্বধৰ্ম্মে আনয়ন করেন। দলইলামার গ্রন্থমধ্যে একখানি প্রাচীনপুস্তক আছে, তন্মতে ভোজভদ্র খৃঃ জন্মের ৫৬ বৎসর পূৰ্ব্বে প্রাচুর্ভূত হন। যে দিবস ভোজতত্র নিজে বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন, সেই দিবস তাহার সভায় প্রায় দশসহস্র ব্রাহ্মণ সমবেত ছিলেন । তাহারা নাগার্জনের সুন্দর ধর্শ্বব্যাখ্যা ও সারগর্ভ বক্তৃতাৰলী শ্রবণ করিয়া একেবারে বিমোহিত হন ও তৎক্ষণাৎ মস্তক মুগুন করিয়া বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন। নাগাৰ্জুনের পূৰ্ব্বে যদিও বৌদ্ধধর্মের সারমর্ম অনেকেই ব্যাখ্যা করিতে আরম্ভ করিয়া নাগাখ্য (পুং ) মাগএব আখ্যা যন্ত । নাগকেশর। (ত্রিকা) নাগাঙ্গন (স্ত্রী ) নাগানাং অঙ্গনা। নাগদিগের অঙ্গন। নাগাঞ্চল (স্ত্রী ) নাগযষ্টি, চলিত রইকাঠ। ( জটাধর ) নাগাঞ্জন ( স্ত্রী ) ১ হস্তিনী। নাগসোব অঞ্জনং কৃষ্ণবর্ণীং ছিলেন, কিন্তু নাগাৰ্জুনই ঐ ধৰ্ম্মের দর্শন বা তত্বশাস্ত্র প্রথম যথারীতি প্রণয়ন করেন । এতদ্ভিন্ন তিনি ঐ ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে অন্যান্ত অনেক পুস্তক লিখিয়াছিলেন। তাহার প্রণীত দর্শনের নাম যস্যাঃ । ২ নাগযষ্টি । মাধ্যমিকস্বত্র। ঐ দর্শন তিনি দুইভাগে বিভক্ত করেন। এক নাগান্তক (পুং ) নাগানাং অস্তকঃ । ১ গরুড় । ২ ময়ূর। } ভাগের নাম সস্থতি-সত্য ও অপর অংশের নাম পরমার্থ-সত্য। ৩ সিংহ। সদ্ধৃতি সত্যে মায়ার মূলতথ্য ও পরমার্থ সত্যে সমাধি বা চিন্তা দ্বারা মহাত্মাকে কিরূপে জানা যায়, তাছা বর্ণিত অাছে। এই মহাত্মাকে জানিতে পারিলেই মায়া দূর হয়। মাধ্যমিকের সার এই যে, কেবল মাত্র সাধারণ নীতি দ্বারা পুনর্জন্ম নিবারিত হয় না। যাহারা মুক্তি বা ঈশ্বরে লীন হইতে প্রয়ালী, তাহারা দান, শীল, ক্ষান্তি, বীর্য, সমাধি ও প্রজ্ঞা এই ছয়ট গুণে আত্মাকে ভূষিত করিয়া আত্মাকে পূর্ণত্বে পরিণত করিতে চেষ্ট করুন। নাগার্জনের এই দর্শনশাস্ত্র প্রচলিত হওয়ার পর, বৌদ্ধধৰ্ম্ম অতি শীঘ্রই চতুর্দিকে বিস্তৃত হইতে থাকে। তাছার মতাবলম্বী বেন্ধের ‘মহাযান’ নামে অভিহিত। নাগাজুন যুক্তি ও স্বয়ং অনুষ্ঠান স্বারা এই শিক্ষা দিতেন যে, ব্রাহ্মণের ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, কালী, তার প্রভৃতি দেৰ দেবীকে যে সমস্ত গুণের জাকর বলিয়া নির্দেশ ও পূজা করিতেন, প্রকৃতপক্ষে নাগাধিপ (পুং ) নাগানাং অধিপঃ। ১ নাগদিগের অধিপতি, অনন্ত । ২ গজ ও সর্গের অধিপতি মাত্র । | নাগাধিপতি (পুং) নাগানাং অধিপতিঃ। নাগাধিপ, অনন্ত। নাগানন (পুং ) নাগসেবে আননং মুখং যস্য। গজানন, গণেশ। নাগাভিভূ (পুং) বুদ্ধের নামান্তর। নাগার (আরবী) নাগরা দেখ। ] নাগারাতি (পুং ) নাগানাং অরতি শত্রঃ। ১ বন্ধ্যাকর্কে টকী । ২ সিংহ। ৩ গরুড় । ৪ ময়ুর । নাগাজুন (পুং) কাশ্মীরের একজন বােধিলত, নাগাৰ্ছন ভূমীশ্বর হইলেও তাহার সময়ে এই দেশে বৌদ্ধধৰ্ম্ম আশ্রয় পাইয়াছিল, তাহারা বিবিধ তর্কে পণ্ডিতদিগকে পরাজয় করিয়াছিল। "বোধিসত্বশ দেশেহন্মিশ্লেকভূমীশ্বরোহভৱৎ। তাহারা ঐ সমৃস্ত গুণের অtধার ; অতএব পার্থিব উন্নতির সতু নাগনিঃ প্রমান বড়দর্শনসংশ্রয়ী।” জষ্ট গুহাদের সস্তুটির অাবস্তক, সুতরাং তাহার পুজা । ধৰ্ম্মশাস্ত্রে তিনি যেমন অদ্বিতীয় ক্ষমতাশালী ছিলেন, বিশেষ (יו יוצ,9יו צול "הפיסוף)