পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৭১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; : ** * . গবেষণা দ্বারা জানা যায় যে, চিকিৎসা শাস্ত্রেও তাইরে সেইরূপ বিশেষ ব্যুৎপতি ছিল । ইংরাজী দশম শতাব্দীতে গৌড়ে নয়পাল নামক রাজার সভায় চক্রপাণি নামে এক পণ্ডিত ছিলেন। র্তাহার লিখিত চিকিৎসাসংগ্রহে নাগাৰ্জুনের কৃত নাগাৰ্জ্জুনঞ্জন ও নাগাৰ্জুনযোগ ঔষধের উল্লেখ আছে । চক্ৰপাণি লিখিয়াছেন, পাটলিপুত্রনগরে স্তম্ভের উপর তাহার কৃত ঔষধের ব্যবস্থাসমূহ খোদিত ছিল। এরূপ কিংবদন্তী অাছে যে নাগাৰ্জুন স্থানে স্থানে স্তম্ভের গায়ে ঐক্লপ নানা প্রকার পীড়ার নানা প্রকার ব্যবস্থা লিখিয়া রাখেন। নাগার্জন কক্ষপুট নামক একখানি অতি প্রাচীন তন্ত্র গ্রন্থ পাওয়া যায়, উহাতে অনেক ঔষধের ব্যবস্থা আছে। নাগার্জন ঐ পুস্তক লইয়া নানা দেশ পরিভ্রমণ করিতেন ও রোগীদিগকে উক্ত তন্ত্রানুমোদিত ঔষধ প্রদান করিতেন । কেহ কেহ এই নাগাৰ্জুনের অস্তিত্ব সম্বন্ধে নানা প্রকার কথা বলিয়া থাকেন। কতিপয় সংস্কৃতলেখক বলেন যে, কাশ্মীরের রাজা কনিষ্ক এবং পূর্বোল্লিখিত নাগাৰ্জ্জুন একই ব্যক্তি । কিন্তু রাজতরঙ্গিণীতে লিখিত অাছে যে নাগাল্গুন, রাজা কনিন্ধের সমসাময়িক ছিলেন। অনেক বেন্ধের বিশ্বাস নাগাল্গুন হইতেই সৰ্ব্বপ্রথম তান্ত্রিক বৌদ্ধমত প্রচারিত হয়। কক্ষপুট, কৌতুহলচিস্তামণি, যোগরত্নমালা বা যোগরত্নাবলী, লঘুযোগরত্নাবলী, এবং নাগাৰ্জুনীয় নামে এক খানি চিকিৎসাশাস্ত্র নাগাৰ্জ্জুনরচিত বলিয়া খ্যাত । নাগাৰ্জ্জুনতন্ত্র নামে একখানি তন্ত্রও পাওয়া যায়। তঞ্জোরের রাজপুস্তকালয়ে নাগাৰ্জুনীয় ধৰ্ম্মশাস্ত্র নামে এক খানি স্মৃতিগ্রন্থ দৃষ্ট হয় । নাগাজুনাগুন (রা) অঙ্কন ঔষধ ভেদ। প্রস্তুত প্রণালীত্রিফল, ত্রিকটু, সৈন্ধব, যষ্টিমধু, তুৰ্থ, রসায়ন, প্রপৌগুরীক, অর্থাৎ পুগুরিয়া, বিড়ঙ্গ, লোধ ও তাম্র, এই চতুর্দশ প্রকার দ্রব্য চুর্ণ করিয়া মেঘজলে পেষণ করিয়া বৰ্ত্তি প্রস্তুত করিতে হইবে । পরে ইহা স্তন্ত দুগ্ধে ঘসিয়া চক্ষে অঞ্জন দিলে তিমির ও পটলরোগ নষ্ট হয়। পৈষ্ঠ, পুষ্প ও রক্তনেত্রতায় পলাশের রসের সহিত, আসন্ন তিমির রোগে লোধের কাখের সহিত এবং শুক্লচ্ছাদিত নেত্রে ছাগমূত্রের সহিত প্রযোজ্য। ( ভৈষজ্যরত্না" নেত্ররোগাধি” ) নাগাৰ্জ্জুনী, ১ মগধস্থ একটী ক্ষুদ্র পাহাড়, এখানে কতকগুলি কুপগৃহ আছে। উহাতে ছয়টা শিলালিপি পাওয়া যায়, নাগা"নী এবং বরাবর পাহাড়ের কুপগৃহের শিলালিপিগুলি অতি সামান্ত হইলেও ইহা পাঠ করিলে ভারতের ধৰ্ম্ম ও শিল্পবিদ্যা সম্বন্ধে অনেক জ্ঞাত হওয়া যায়। ঐ স্থানের পাঁচখানি লিপিপাঠে [ १०१ ] নাণী স্পষ্টই বোধ হয় যে অশোক ও র্তাহার পৌত্র দশরথ এই কুপগৃহগুলি আজীবকদিগকে দান করেন । এই আজীবকের ষে কাহারা তৎসম্বন্ধে অনেক মতভেদ আছে। কেহ বলেন তাহারা বৌদ্ধ, কেহ জৈন, কেহ বা অন্ত ধৰ্ম্মাবলম্বী বলিয়া নির্দেশ করেন । কিন্তু সমস্ত প্রাচীন গ্রন্থাদি পৰ্য্যবেক্ষণ করিলে এই উপলব্ধি হয় যে, তাহার বৌদ্ধ ছিলেন না, অন্ত কোন ধৰ্ম্মাবলম্বী হইবেন, বরং তাহার। যে বৈষ্ণব ছিলেন, ইহায় সম্ভাবনাই অধিক। এই লিপিপাঠে অারও ব্যক্ত হয় যে অশোক প্রথমে সমস্ত জাতীয় লোককেই গুণানুসারে সমাদর করিতে বিরত হইতেন না। সেইজনাই তাহার রাজত্বের ১২১৩ বর্ষে এই কুপগৃহগুলি আজীবকদিগের বাসের জন্য প্রদান করিয়াছিলেন। কিন্তু যখন তিনি গোড়া বৌদ্ধ হন, তখন হইতে বৌদ্ধ ভিন্ন অপর জাতীয় লোকের আর সমাদর করিতেন না । এই লিপিপাঠ করিলে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ববিদগণের অনেক ভ্ৰমাত্মক কল্পনার বিষয় অবগত হওয়া যায়। র্তাহীদের বিশ্বাস ছিল যে, বেন্ধেরাই কুপগৃহ-নিৰ্ম্মাণ-বিস্তার প্রথম আৰিস্কারক। জৈন ও ব্রাহ্মণগণ অনেক পরে ঐ সমস্ত বিদ্যাশিক্ষা করেন। বহুদিবসাবধি প্রায় যাবতীয় কৃতবিদ্য লোকেরও এই মত ছিল। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ববিদ ভগবানলাল ইন্দ্রজী স্পষ্টই প্রমাণ দিয়া দেখাইয়াছেন যে খৃষ্টজন্মের বহু পূৰ্ব্বে কটকে উদয়গিরিস্থ কুপগৃহগুলি জৈনেরাই নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল। ব্রাহ্মণদিগের কুপগৃহ নিৰ্ম্মাণ সম্বন্ধেও ঐরূপ অনেক প্রমাণ পাওয়া যায়। অতএব ব্রাহ্মণ ও জৈনেরা যে বৌদ্ধদিগের অনেক পূর্বে উক্ত স্থাপত্য-বিদ্যায় অভিজ্ঞ ছিলেন, তাহার আর সন্দেহ নাই । নাগাজুনীয় (পুং) নাগশ্চ অর্জুনশ্চ তে অধিকৃত কতো গ্রন্থ-ছ। ১ নাগ এবং অর্জুনকে অধিকার করিয়া কত কাব্যগ্রন্থবিশেষ । ২ চিকিৎসা ও ধৰ্ম্মগ্রন্থ ভেদ । নাগাল ( দেশজ ) হাতে পাওয়া । নাগালাবু (পুং) নাগ ইব অলাবুং । কুস্ততুম্বী, চলিত গোল লাউ । নাগশন (পুং ) অশ্নাতীতি অশ-লু, নাগানাং অশনঃ ৬তৎ। » १ोग्राफ़ । २ गयूझ । ७ मिश्रु । - নাগাহর (স্ত্রী) ১ হস্তিনাপুর। ২ নাগকেশর। নাগাহা (স্ত্রী ) নাগং নাগকেশরং আহরতে স্পৰ্দ্ধতে ইতি অ৷ হো-অৰ্ছ-টাপ। লক্ষ্মণাকনা। (রাজনি") নাগিন (পুং) নাগোকুশনোস্ত্যন্ত ইনি। সপতৃণ শিৰ। “নাগোপবীতিন না নানিবিড়সন" (হরিবণু) নাদী (স্ত্রী ) লাগস্ত পত্নী ভীৰু। নাগপত্নী ।