পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৭১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

και - --- আত্মসাৎ করেন। পরে তঞ্জোররাজের পুনরায় হস্তগত ছইলে ১৭৭৬ খৃষ্টাব্দে তিনি উহ। ইংরাজদিগকে অর্পণ করেন। লাগোঁধ, একটা প্রাচীন নগর। আলাদাবাদ ও জব্বল পুরের মধ্যবর্তী এবং ভরহুত নামক স্থানের ৬ মাইল দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত। উচহার নামক রাজ্যে পারিহার নামে এক রাজা ছিলেন । এই নগর তাহারই রাজ্যের অন্তর্গত ছিল । তিনি নাগৌধরাজ নামে অভিহিত হইতেন। নাগোর, বিকানের রাজ্যের নিকটবর্তী একট ক্ষুদ্র স্থান। রায় বিশাল ইহার স্থাপনকৰ্ত্ত । তিনি দিল্লীর শেষ চৌহানসম্রাট পৃথীসিংহকর্তৃক উক্ত রাজ্যসংস্থাপনার্থ প্রেরিত হন। এই রাজ্য সুন্দরপ্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত, সুদৃঢ়ফটক দ্বার সুরক্ষিত ও মনোহর হৰ্ম্ম্য ও উদ্যানাদি দ্বারা সুশোভিত । এই প্রাচীর দৈর্য্যে ২২৮৯৯ ফিট্। এখানকার দুর্গ মনোহর ও মুদৃঢ়। এখানকার লোক অত্যন্ত অহিফেনপ্রিয়। ইহারা অতিসাহসী, কিন্তু বিশ্বাসঘাতক । নাঘোরা, একজাতীয় গে। ইহার মূল্য সাধারণ গোর হইতে অনেক বেশী । এদেশে নাগরী গাই নামে খ্যাত। একটী নাঘোর ঘাড়ের দাম ৫০ হইতে ১২০ টাকা পর্যন্ত এবং একটী গাভীর দাম ২০২ হইতে ৬০ টাকা পর্যন্ত। বোম্বাই প্রদেশের অন্তঃপাতী কাঠিয়াবাড়, সুরাট ও বরোদ প্রভৃতি স্থানে এই জাতীয় গোর পাওয়া যায় । তথায় থি, বড়াড়ি, এবং হনম নামে অন্ত কএক প্রকার গোরু দৃষ্ট হয়। ইহাদিগের সহিত নাঘোরীদিগের বিশেষ সাদৃশু আছে। [ গো শব্দ দেখ। ] বলদগুলি দ্বারা সাধারণতঃ চাষকার্য সম্পন্ন হইয়া থাকে ; ইহ ব্যতীত দূরবর্তী জলাশয় হইতে চৰ্ম্মনিৰ্ম্মিত ‘পাখালে’জলপুর্ণ করিয়া ইহাদের পৃষ্ঠোপরি দেওয়া হয়। কখন কখন গাড়ী টানিবার জন্ত এবং ঘানিগাছ টানিবার জন্ত নাঘোরী বলদ ব্যবহার হইয়া থাকে। সময় সময় ইহার পুষ্ঠোপরি আরোহণপূর্বক একস্থান হইতে স্থানান্তরে গমন করে। যদিও বৃষ দ্বারা নানা প্রকার কার্য্য করা হয়, তথাপি পয়স্বিনী গাভীগুলিকে অন্ত কোনকার্যে প্রয়োগ করা হয় না। ইহার কেবলমাত্র স্বমিষ্ট দুগ্ধদান করিয়া গোপালকের তৃপ্তিসাধন করিয়া থাকে। কিন্তু বন্ধ্যাগাষ্ঠীগুলি দ্বারা বঞ্জার মালপত্র বহন করাইয়া থাকে। কৃষকেরা হল কাৰ্য সমাধা করিয়া র্যাড়গুলিকে মাঠে চরাইতে গোরক্ষকের হস্তে সমর্পণ করে। ইহা ছাড়া ইহাদিগকে বিচালি, খইল, ভূষি প্রভৃতি দেওয়া হয়। বর্ষাকালে যখন কর্ষণকাৰ্য বন্ধ থাকে, তখন ইহাদিগকে পৰ্ব্বতের জঙ্গলে ছাড়িয়া দেওয়া হয়। তথায় ইহার স্বেচ্ছামত চরিয়া বেড়ায়। গাভীর আস্থার সম্বন্ধে সকলের মত একরূপ নহে মাঘোরী [ ৭০৯ ] • নাচনা

এবং বস্তুতঃ ভিন্ন ভিন্ন রূপ আহারও দেওয়া হইয়া থাকে। ভারতবর্ষীয় জোয়ার ও বজরা এই দুইটী-সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৃষ্ট খাদ্য। কুলী, কার্পাসবীজ অর্থাৎ সারকি ভূষি ইত্যাদি লবণ মিশ্রিত করিয়া খাওয়াইলে গোরুর দুগ্ধ বৃদ্ধি হয়। কিন্তু কুলথি গর্ভাবস্থায় গাভীকে দেওয়া হয় না, যেহেতু ইহাতে গর্ভপাত হইবার সম্ভবনা । নাঙ্গল ( দেশজ ) হল । নাচ্ (দেশজ ) মৃত্য, নৰ্ত্তন। নাচন, বুল্লেখণ্ডের অন্তঃপাতী একটী ক্ষুদ্র গ্রাম। পঞ্জার ২৫ মাইল দক্ষিণপূৰ্ব্বে গঞ্জ নগর। নাচনী গঞ্জ হইতে ২ মাইল পশ্চিমে এবং নাগোধ হইতে ১৫ মাইল দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত। এই ক্ষুদ্র গ্রামটা অজয়গড় রাজ্যের দক্ষিণসীম নির্দেশ করিতেছে। নাচনার প্রাচীননাম কুঠার, ঐ কুঠারে এখানকার হিন্দুরাজগণের রাজধানী ছিল । তদনুসারেও নাচনী থাস কুঠার নামে কথিত হয়। বৰ্ত্তমান সময়ে যে স্থানে নাচন, সেই স্থানে বর্তমান শতাব্দীর প্রারম্ভে কুড়ি ঘর কোল জঙ্গল কাটিয়া নিৰ্ম্মাণ করে। বুনেলাদিগের ইতিহাস পাঠে জানা যায় যে, মোহনপাল পঞ্চদশ শতাব্দীতে কুঠারগড় অবরোধ করিয়াছিলেন। কুঠারগড়ের বহির্দেশস্থ একটী স্থান লাখুরা নামে অভিহিত। ইহার নাম লাখুর অথবা লক্ষাহার। প্রবাদ আছে যে, এখানকার রাজা এই স্থানে একলক্ষ আম্রবৃক্ষ রোপণ এবং লক্ষ ব্রাহ্মণ ভোজন করাইয়াছিলেন। তাহাতেই লাখুর নাম হইয়াছে। (নাডুয়) গল্প হইতে নাচনী পর্যন্ত সমস্ত পথ জঙ্গলে পরিপূর্ণ ঐ জঙ্গলে ধাকবৃক্ষই অধিক । মধ্যে মধ্যে অনেক পাশের বরঞ্জ দেখা যায় । নাছনা গ্রামে দুইটা মন্দির আছে, একটা পাৰ্ব্বতীর মন্দিয়, অপরট চতুৰ্ম্ম,খ মহাদেবের মন্দির। পাৰ্ব্বতীমন্দিরে বর্তমান সময়ে কোন মূৰ্ত্তি স্থাপিত নাই ; কিন্তু মহাদেবমন্দিরে প্রকাণ্ড এক চতুৰ্ম্ম,খ শিবলিঙ্গ আছে। এই লিঙ্গ প্রায় ৪ হাত উচ্চ এবং মস্তক অভিপ্রকাণ্ড । ইহার চারিমুখে অতিমনোহর চারিট শিরস্ত্রাণ । এই শিরস্ত্রাণে মনোরম কারুকার্য্য অক্ষতভাবে রহিয়াছে, ইহাতে বুঝা যার যে, ইহা প্রতিমূৰ্ত্তিবিদ্বেষী যবনের চক্ষে পড়ে নাই। মন্দির দুইটী অতি নিবিড় জঙ্গলে ঢাকা অাছে । পাৰ্ব্বতীমন্দিরের নিৰ্ম্মাণ কৌশল এবং কারুকার্য্য দেখিলে বিমোহিত হইতে হয়। গুপ্তরাজাদের সময়ে মন্দিরাদি এবং প্রস্তরখোদিতমূৰ্ত্তি সমুদায় যে প্রণালীতে প্রস্তুত, হুইত, এই মন্দিরট এবং ইহার দেওয়ালের ছবিগুলিও ঠিক সেই IX ›ግbo