পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৭১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাচ t প্রকারে গঠিত। মন্দিরে প্রবেশ করিবার দরজায় মঙ্করপৃষ্ঠে গঙ্গামূৰ্ত্তি এবং কচ্ছপপৃষ্ঠে যমুনামূৰ্ত্তি স্থাপিত রহিয়াছে। এই অষ্টালিকাটী দ্বিতল এবং চতুরস্র, সন্মুখে একট প্রবেশের দ্বার আছে। উক্ত প্রবেশদ্বারের সম্মুখে একটা খোলা উঠান। দ্বিতীয় তলার বর্হিভাগ ও অন্তর্ভাগ উভয়ই অতি পরিষ্কার এবং পরিপাট । প্রকোষ্ঠের দেওয়ালের গায়ে চুইট ছিদ্র থাকায় তাহার মধ্য দিয়া স্বর্যালোক মন্দিরটকে আলোকিত করিত। আলোকপথের উভয়পাশ্বে ময়ূৰ্য্যমূৰ্ত্তি এবং সিংহমূৰ্ত্তি ছিল। লাখুরায় একখানি শিলালিপি পাওয়া গিয়াছে। বোধ হয় এই অসংলগ্ন শিলালিপি অবস্থাই উপরি উক্ত মন্দিৰুদ্ধয়ের একটার হইবে। উহাতে বাকটিকাধিপতি মহারাজ পৃথ্বীসেনের পাদানুধ্যাত ব্যামদেবের নাম আছে। ব্যাঘ্রদেব জয়নাথের পিতা। জয়নাথ ১৭৪ এবং ১৭৭ গুপ্ত সংবতে জীবিত ছিলেন ; সুতরাং তাহার পিতা ১৪০ ও ১৫০ গুপ্তসংবতের লোক (প্রায় ৪৬৯ খৃঃ অয্যের সমসাময়িক লোক ) হইতেছেন। এই পাৰ্ব্বতীমন্দির যদিও এত প্রাচীন না হইতে পারে, তথাপি ইহার নিৰ্ম্মাণকৌশলে স্পষ্ট প্রতীত হয় যে ইহা গুপ্তরাজদের সময়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। চতুর্মুখ মহাদেবের মন্দিরের সঙ্গে পাৰ্ব্বতীমন্দিরের কিছুই সাদৃশু মাই, কেবলমাত্র ইহার দরজাটা পূৰ্ব্বোক্ত মন্দিরের দরজার স্তায় এবং এটাও পূৰ্ব্ববৎ চতুরস্ৰ অট্টালিকা। ইহার চুড়াট অতি উন্নত। ইহার বহির্দেশেও নানা প্রকার ছবি আছে। এক স্থানে দেখা যায় যে চারিটা সিংহমূৰ্ত্তি ভাবস্থায় ভল্লুকোপরি উপবিষ্ট। এই মন্দিরট ৬ষ্ঠ ও ৭ম শতাব্দীর পূর্বের নয়। নাচ, বোম্বাই প্রদেশের নর্তকী। বোম্বাই অঞ্চলে হিঙ্গু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়েই নৰ্ত্তকী আছে । তথায় ইহাদিগকে ‘কলাবর্তী” বলা হয়। "কলা" শব্দের অর্থ সঙ্গীত ও মৃত্যবিদ্যা, ‘কলাবতীয় অর্থ মৃত্যগীতাদিতে অভিজ্ঞ । কেহ কেহ তাহাদিগকে কুলবস্তিনী, ( অর্থাৎ উচ্চবংশোদ্ভব) এবং কেহ বা নায়কি বলে। যে সমস্ত স্ত্রীর পুষ্পোৎসব সম্পন্ন হইয়াছে, শুদ্ধ তাহাদিগকে নায়কি বলা হয়। এই সময়ে তাহাদিগকে একটী বিবাহিত স্ত্রীলোকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। অধিকাংশ সময়ই নৃত্যগীতে অতিবাহিত করে। এই সময়ে তাহারা যে অর্থ উপার্জন কল্পিবে, তাহাতে জন্য কাহারও কোন অধিকার থাকিবে না। তাহার অাপন ইচ্ছামত তাহ ব্যস্ব কল্পিতে পরিবে । কেবলমাত্র প্রবণমাসের লোমবারে এবং অদ্যাত উৎসবের দিনে নৃত্যগীতে বাহ উপার্জন করিবে, তাহ৷ স্বজাতি ও ব্রাহ্মণভোজন ইত্যাদি সৎকার্থ্যে ব্যয় করিতে হইবে। যদি ব্রাহ্মণগণ কাছায় বাটীতে জাহার [ १३० J নাচনি । অধীকার করেন, তবে তাছাকে সমাজচ্যুত হইতে হইবে। সমাজের গণ্যমত কোনলোক তাহার বাটীতে জাহার করিবে না। অবশেষে কোন বৃহৎ কার্যোপলক্ষে সমাজপতির তাহার বাড়ীতে উপস্থিত হইয় অপরাধ অবগত হইলে যথাবিধি জগুবিধান করেন। এই দণ্ড ১৫• দেড়শত হইতে ২০০ দুই শত টাকা পর্যান্ত হইয়া থাকে। অর্থ দগু গ্ৰহণান্তর সকলে তাহার বাটতে উপস্থিত হন এবং অপরাধী করয়োড় করিয়া সৰ্ব্বসাধারণসমক্ষে অবনতমস্তকে ক্ষমাপ্রার্থনা করিয়৷ থাকে। সভামণ্ডলী তাহার অপরাধমার্জনা করিলে পর, তাহার কীর স্বজাতিবর্গের একপঙক্তিতে বসিয়া আহার করিবে। কোন মুসলমান-রমণীর তত্ত্বাবধানের নায়কিনী, পারণী কিংবা বণিয়ার অধীনস্থ নায়কিনীর সহিত একত্র আহার করিবে না। এই হেতু দেখা যায় যে, এক নিমন্ত্রণে অনেক পর্ভূক্তিতে স্ত্রীলোকের আহার করিতে বসিয়াছে। কিন্তু নায়কিনীদিগের জাতি নির্দিষ্ট থাকে না, তাহীদের কত্রীর জাতির সহিত তাহাদের জাতি পরিবর্তন হয়। আজ যে মুসলমান আছে, কাল যদি সে ব্রাহ্মণের তত্ত্বাবধানে যায়, তবে আবার সে ব্রাহ্মণ হইবে। নাচন ( দেশজ ) নৃত্য। নাচনি, (নাচুলি-নাগুলি ) এক প্রকার শস্তবিশেষ। (Eleuse coracana ) বাঙ্গালায় মরুয়া। সাধারণতঃ পাহাড়িয়া স্থানে জন্মে। কিন্তু নিম্ন জলাতেও এই শস্ত জন্মিয় থাকে। ধান্ত্যাদির দ্যায় ইহা বুনান হইয়া থাকে এবং কখন কখন বুনানের পরিবর্তে রোপণ করা হইয়া থাকে। রোপণ করিতে হইলে, নাচনির ছোট ছোট চারাগুলি সমদূরবর্তী করিয়া সামান্ত রকম প্রোথিত করা হয়। নাচনি চাষের জন্য বিশেষ উৎকৃষ্ট উর্বর ক্ষেত্রের আবগুক হয় না ; তবে কিনা একটু আর্দ্রস্থান না পাইলে मैज्जहे फांद्रांसणि ७क झट्टेग्नां श्रकांटश नटे झहेग्न शांग्न । टेछrर्छ আষাঢ়মাসে নাচনি বপন করা হয় এবং কাৰ্ভূিকমাসে পরিপক্ক হইলে বিশেষ সাবধানের সহিত কাটিয়া লওয়া হয়। ধানের গাছের মত নাচনিগাছ তত নরম নয়, এজন্ত ইহা কৰ্ত্তন করা বহুব্যয়সাধ্য এবং কষ্টকর। দুই বিঘা জমির নাচনি কাটিতে ৪ জন লোকের অনুনি ৮ দিন লাগে। আর একটা বিশেষ অসুবিধা এই যে রৌদ্রের উত্তাপ লাগিলে দানাগুলি খোলা হইতে বাহির হইয়া পড়ে, অতএব প্রাতঃকাল ভিন্ন অধিক ৰেলীয় ইহা কাট যায় না। অবশেষে রৌদ্রের উত্তাপে খোসা হইতে শস্ত বাহির করিয়া লওয়া হয়। পশ্চিমাঞ্চলের দরিদ্রলোকে স্বপঙ্ক মাচনীর পিষ্টক প্রস্তুত করিয়া আহার করে এবং ইহার হাতুতে জামিলনামক একপ্রকার সরবৎ