পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৭৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sশুবাদ রটে যে, ভারতের ছিন্দু ও মুসলমানদিগের ধৰ্ম্ম ও জাতিমাশের জন্ত ইরাজের এই টােটার স্থা করিাছেন। উহাতে পূকরের চব্বি মাখান আছে। মে মাসের শেষে রসঙ্গবিভাগের একজন ইংরাজ কৰ্ম্মচারীর সহিত সিপাহীদিগের যে কথাবার্তা কুইয়াছিল, তাহার কিঞ্চিৎ পাঠ করিলেই সিপাহীদিগের ঔদ্ধত্যের কারণ সহজেই অনুমিত হইবে। একজন সিপাহী উক্ত কর্মচারীকে কহিল, "অফিসারগণ যদি বিশ্বাসঘাতক ন হইবেন, তবে তাহারা কি জন্ত তাহাদের আবাসস্থান প্রাচীরে পরিবেষ্টিত করিতেছেন। র্তাহার বিবিধ কৌশলে আমাদের জাতিনাশ করিবার ইচ্ছা করিতেছেন । দেখ, আমাদের বিরুদ্ধে কিরূপ গুরুতর ষড়যন্ত্র হইতেছে । তাহার। জানে যে, আমরা কখনও নুতন টোটা গ্রহণ করিব না, এজষ্ঠ জামাদিগকে জাতিচু্যত করিবার অতিপ্রায়ে, গাতী ও শূকরের অস্থিচূর্ণ মিশ্রিত ময়দা রুড়কি হইতে প্রেরিত হইয়াছে।” আর এক ব্যক্তি কহিল, “অফিসরের অস্ত্রাগার ও ধনাগাররক্ষক সিপাহীদিগকে অপসারিত করিয়া সেই স্থলে য়ুরোপীয়দিগকে রাখিবার চেষ্ট৷ করিয়াছিলেন।” তাহারা মিরাটের ঘটনার উল্লেখ করিয়া কহিল, "টোটা ব্যবহার করিতে অসন্মত হওয়ায়, তখনকার সিপাহীর দশবৎসরের জন্য কারারুদ্ধ হইয়াছে এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ হইয় পথ প্রস্তুত করিতে নিযুক্ত হইয়াছে। কাণপুরে য়ুরোপীয় সৈনিক দল উপস্থিত হইলেই আমাদেরও ঐ দশ ঘটিবে। আমরা সে পর্য্যন্ত অপেক্ষা করিব না ।” ইত্যাদি । এইরূপ কাল্পনিক প্রবাদে বিশ্বাস স্থাপন করিয়া সিপাহীর পূৰ্ব্ব হইতেই উত্তেজিত হইতেছিল। এখন আবার কোষাগারের ভায় তাহীদের হস্ত হইতে অপসারিত হওয়ায় বিশেষতঃ প্রাচীরবেষ্টিত স্থান কামান দ্বার স্বরক্ষিত ও তন্মধ্যে যাবতীয় ইংরাজমহিলা ও বালকবালিকাগণ আনীত হইতে থাকায় সিপাহীদিগের হৃদয়-চুল্লানিহিত ক্রোধাগ্নি প্রবলবেগে প্রধূমিত হইল । তাহার ক্রমশঃই অধিকতর উগ্রতা ও অবাধ্যতার পরিচয় দিতে লাগিল। মুসলমানের মসজিদে উপস্থিত হইয়া এ বিষয়ের পরামর্শ করিতে লাগিল। ২৪এ মে, ইহাদের প্রসিদ্ধ পৰ্ব্ব ইদের দিন ছিল । এজন্ত ইংরাজ কর্তৃপক্ষ ঐদিনে দুর্যোগের সস্তাবনা মনে করিয়াছিলেন। কিন্তু ঐ দিনও নিরাপদে অতিবাহিত হইল। য়ুরোপীরের উপস্থিত বিপদ হইতে মুক্তিলাভের আশায় যতই আত্মরক্ষায় মনোযোগী হইলেন, সিপাহীর ততই উত্তেজিত হইতে লাগিল। তাছার ইংরাজদিগকে আত্মরক্ষার্থ নিতাভ ব্যতিব্যস্ত দেখিয়া তাহীদের মনে যুগপৎ ভয় ও আশাস্ত্র সঞ্চায় হইতে লাগিল । তাছারা ভাখিল যে, তাহ য়ে পি অনতিদূরবী, আবার তাদের আশা হইল। IX [ a৬১ ] যে, ৰাছাদিগকে তাহার এতকাল সাম্বলী ও কাৰ্যনিপুণ বলিয়া মনে করিত, তাহারাও যখন প্রতিমুহূর্বে জাহাঙ্কু ও কৰ্ত্তব্যজ্ঞানশূন্ত হইয়া সাধারণ লোকের স্তার কাতর, তখন এরূপ তীত জাতিকে পরাজয় করা অলস্তৰ নছে । এরূপ মনে করিয়া, তাহারা ইংরাজদিশ্বকে অবজ্ঞাপূর্ণ দৃষ্টিতে জবলোকন করিতে লাগিল। ক্রমে যখন ইংরাজসৈগু ও কামান সকল যথাস্থানে সন্নিবেশিত হইতে লাগিল, তখন অধিনায়কদিগের প্রতি সিপাহীদিগের যাৰতীয় শ্রদ্ধা ও অনুরাগ শিখিল হইয়া আসিল । ইংরাজ সিপাহীদিগকে শক্র ও সিপাষ্ট্ৰীয়া ইংরাজদিগকে শত্রু জ্ঞান করিতে লাগিল। এইরূপে ভয়, নিরাশা ও উত্তেজনায় মে মাস অতিবাহিত হইল । বহুদিবস পূৰ্ব্ব হইতে সিপাহীর ঔদ্ধত্য দেখাইলেও প্রকাশুে এ পর্যন্ত গবমেন্টের বিপক্ষে কোনরূপ বিরুদ্ধাচরণ নী করায়, সেনাপতি হইলার সিপাহীদিগের পূর্বকথিত গৰ্ব্বিত বাক্যাবলীকে তুচ্ছ জ্ঞান করিলেন এবং আত্মরক্ষায় কথঞ্চিৎ শিথিলপ্রবন্ধু হইতে লাগিলেন। কিন্তু দুরদর্শী লর্ড ক্যানিং ভারতের রাজনৈতিক গগনে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মেঘমালার সঞ্চার দেখিয়াছিলেন এবং পরিণামে যাহা ঘোর মেঘমালায় পরিণত হইয়া সমুদয় ভারত বিপৰ্য্যন্ত করিতে পারে ; পূর্বোক্ত সিপাহীদিগের উত্তেজনা ও গৰ্ব্বিত বাক্যাবলী যে সেই ঘনীভূত মেঘমালার বিছাৎ চমক ও বঙ্গনাদ মাত্র, তিনি বিশেষরূপে তাহ অনুভব করিয়াছিলেন, কিন্তু হুইলরের মনে তাহা আদৌ স্থান পায় নাই। সেনাপতি হুইলার এখন লরেন্সের সাহায্য জন্ত লক্ষ্মেী নগরে সৈন্ত পাঠাইতে সংকল্প করিয়া, গবর্ণর জেনারলকে এই মৰ্ম্মে পত্র লিখিলেন যে, “কাণপুরে সিপাহীরা সত্বর শান্তভাব অবলম্বন করিবে বলিয়া বোধ হইতেছে । আমি বহুদিবসাবধি তাহীদের অধিনায়ক থাকায়, তাহার। আমাকে উপেক্ষা করিয়া অন্তস্থানের সিপাহীদিগের উদাহরণ অনুসরণ করিতে পরিবে না। তবে পরম্পরের মনোমালিন্য বিদূরিত না হওয়ায় এখনও আমরা মহিলা ও ब्रांलकशांतिकांत्रण সহ প্রাচীরবেষ্টিত সুরক্ষিত স্থানে অবস্থান করিতেছি । ঘত দিন সমুদয় সৈন্তমণ্ডলীতে শাস্তি স্থাপিত না হয়, তত দিন এই স্থানে থাকিতে বাসন রহিল।" ইহার পরেই তিনি বারাণসী হইতে আগত ৮৪ সংখ্যক সৈনিকদল লরেন্সের সাহায্যাৰ্থ লঙ্কে প্রেরণ করিলেন । এদিকে সিপাহীরা আপনাদিগের অতীষ্ট সিদ্ধিবাসনায় পূর্ব হইতেই সুযোগ অনুসন্ধানে তৎপর ছিল । এই সময়ে বিরাজ সালে পরিবৃত হই। নবাবগঞ্জে অৰ