যব [ ৫৮৯ ] যবক্রী ক্রিয়াকলাপেছ যবের ব্যবহার আছে। জ্যৈষ্ঠমাসে মঙ্গলচণ্ডার ত্রতের সময় হিন্দুরমণীগণ যব ভক্ষণ করিয়া থাকেন। লক্ষ্মীপূজার অর্ঘ্যের জন্ত যব খুটিবার বিধি আছে। এইরূপ বিবাহ, অস্তোষ্টি, শ্রাদ্ধ প্রভৃতি কার্য্যে এবং যাগাদিতে ইহার ব্যবস্থা দেখা যায়। বৈশাখ মাসে শুক্লাচতুর্থীতে পরস্পরের গাত্রে যবচুর্ণ নিক্ষেপ করিবার নিয়ম আছে । ঐ দিন যবচতুর্থী নামে খ্যাত। ইহা ধান্তের ন্তায় লক্ষ্মীদেবীর একট নিদর্শন । এই জন্তু অনেক প্রাচীন মুদ্রাদিতে “যবগুচ্ছ” চিহ্ন প্রদত্ত হইয়া থাকে। রাজনির্ঘণ্টমতে, অশুকমুও যবগুণ-বলপ্রদ, বৃষ্য এবং মনুষ্যদিগের বীর্য্য ও পুষ্টি প্রদ। ভাব প্রকাশ মতে—যব, সিতশূক, নি:শুক, অতিযব, তোক্স এবং স্বল্পষব এই কয়েকটা যবের পৰ্য্যায়। ইহার গুণ—কষায়মধুররস, শতবীৰ্য্য, লেখনগুণযুক্ত, মৃদু, ব্রণরোগে তিলের স্থায় উপকারী, রক্ষ, মেধাজনক, অগ্নিবদ্ধক, কটুবিপাক, অনভিষান্দা, স্বরপ্রসাদক, বলকারক, গুরু, অত্য স্তবায়ু ও মলবদ্ধক, বর্ণপ্রসাদক, শরীরের স্থিরতসম্পাদক, পিচ্ছিল, এবং কণ্ঠগতরোগ, চৰ্ম্মরোগ, কফ, পিত্ত, মেদ, পীনস, শ্বাস, কাস, উরুস্তম্ভ, রক্তদোষ ও পিপাসানাশক । এই যব অপেক্ষ অতিঘব হীন গুণযুক্ত, এবং অতিযব হইতে তোক্স ও গুণহীন হইয়া থাকে । ছুই বৎসরের উপর হইলে যাব পুরাতন হয় । এই পুরাতন যব গুণকারক নহে, নুতন ঘবই উক্ত গুণবিশিষ্ট । পুরাতনঘবগুণ-নারস ও রক্ষ । ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে দেখিতে পাওয়া যায় যে, হবিয্য কায্যে যুব মোত প্রশস্ত । যব দ্বারাই হবিষ্য বিধেয় । যবদ্বারা হবিষ্য করিতে না পারিলে ব্রীহি অথাৎ ধান্ত দ্বারা ছবিষ্য করা যাইতে পারে । “হবিষ্যেষু যব মুখ্যাস্তদমু ব্রহয়: স্মতাঃ। মাষকেন্দ্রবগেীরাদি সব্বালাভেইপি বৰ্জ্জল্পেত ॥” ( কাত্যায়নসংহিতা ৯১ e ) স্মাৰ্ত্তমতে, যে সময় নুতন ঘব হয়, সেই সময় তাহ দ্বারা পিতৃদিগের উদ্দেশে শ্রাদ্ধ করিতে হয়, ইষ্টা নিত্য শ্রাদ্ধ ; মোহপ্রযুক্ত এই শ্রাদ্ধ না করিলে. পাপভাগী হইতে হয় । “নক্ষত্রগ্রহপীড়ামু দুষ্টস্বপ্নাবলোকনে । ইচ্ছাশ্রাদ্ধানি কুকীত নবশস্ত্যাগমে তথ। । ইতি বিষ্ণুপুরাণাৎ বক্ষ্যমাণবহুতরবচনেযু নবায়ক্রতে: নবান্নাগমত্বেনৈব নিমিত্ত্বং লাঘবাং । অমাবস্ত্যাস্তিম্ৰোইষ্টকা মাঘী গ্রেীষ্টপদূৰ্দ্ধং কৃষ্ণত্রয়োদশী ব্রাহিযবকে চ। “এতাংস্তু শ্ৰাদ্ধকালান বৈ নিত্যানাছ প্রজাপতিঃ । শ্রাদ্ধমেতেশ্বকুৰ্ব্বাণে নরকং প্রতিপস্ততে ॥” ( শ্রাদ্ধতত্ব ) XV 28W* সধবা স্ত্রীলোক শ্রাদ্ধ করবার কালে তিলের * পরিবর্তে যব ব্যবহার করিবে, কারণ শাস্ত্রে উক্ত হইয়াছে যে, যতদিন পৰ্য্যস্ত স্বামী থাকে, ততদিন শ্রাদ্ধকালে তিল ও দর্ভ স্পর্শ করিতে নাই । তাহার পক্ষে তিলের পরিবর্তে যব, এবং কুশার পরিবত্তে দুৰ্ব্বা ব্যবহারই কৰ্ত্তব্য । ২ পরিমাণবিশেষ। চারিধান বা ষট্সৰ্ষপ পরিমাণ । ইংরাঞ্জীমতে লম্বা ভিন ষলে এক ইঞ্চ হয়। “জালাস্তরে গতে ভানীে ষচচামুদৃপ্ততে রজঃ । তৈশ্চতুভির্ভবেল্লিখ্য লিখ্য ষড় ভিশ্চ সর্ষপ । ষট্সৰ্ষপৈর্যৰস্তুেকে। গুঞ্জৈকা তু যবৈন্ত্রিভি; ॥” (শবচন্দ্রিক) কলিঙ্গদেশে ৮ সৰ্ষপে একযব। ৩ ইশ্রযব। (বৈদ্ধ কনি•) ৪ সামুদ্রিক মতে অঙ্গুলিস্থ যবাকার রেখাবিশেষ । এহ ধবরেখা শুভস্থচক, যাহার অঙ্গুষ্ঠোদর মধ্যে যবচিহ্ন থাকে, তাহার ধন ধাদ্যাদি শুভ হহয়! থাকে । “মধ্যমায়াং যদি যবে দৃপ্ততে চ স্থশোভন । তদান্তসঞ্চিতং দ্রব্যং প্রাপ্নোত্যঙ্গুষ্ঠকে যবে । যস্তাপি চক্রমসুষ্ঠে যবপুৰ্ণশ্চ দৃশুতে । তদা পিতামহাদীনামঞ্জি তং লভতে ধনম্।।” ( সামুদ্রিক ) যাহার মধ্যম। ৪ অঙ্গুষ্ঠ দেশে সুশোভন যবচিহ্ন থাকে, সে অপরের সঞ্চিত দ্রব্য প্রাপ্ত হয় এবং ঐ অঙ্গুষ্ঠস্থিত বৰ যদি চক্রযুক্ত হয়, তাহা হইলে পিতামহাদির আজ্জিত ধন লাভ হয়। ৫ পুৰ্ব্বপক্ষ । e “একত্রিংশত স্তু বত প্রজ। অস্থ জ্যস্ত যধাশ্চাযবাশচাধিপতয়ঃ” ( শুক্লধজু• ১৪৩১ ) “যবা; পূৰ্ব্বপক্ষা:, অথবা অপরপক্ষাঃ” ( মহীধর ) যবক ( পুং ) যব প্রকার: যব ( স্থলাদিভ্য: প্রকারবচনে কন্। প। ৫৪৩ ) ইতি কন্। যব । “ঘবক। হায়নাঃ পাংশু বাপ্যলৈষধকাদয়: । শালীনং শালয়ঃ কুব্বস্ত্যমুকারং গুণ গুণৈ: ॥” ( চরক সুত্র স্থা ০ ২৭ অe) যবক্য ( ত্রি ) যবকানাং ভবনং ক্ষেত্রমিতি যবক (যবযবকযষ্টিকাদু যং পা ৫২৩) ইতি যং । যব ভবনোচিত ক্ষেত্র। ( অমর ) যবশস্ত জন্মিবার উপযুক্ত ক্ষেত্র। ঘৰকণ্টক ( পুং ) পপটক, চলিত ক্ষেত-পাপড়। (বৈদ্যকনি•) যবকঃ শ (পুং ) ইন্দ্রযব। (বৈসুকনি• ) ঘবকঞ্জিক ( ক্লা ) যবসংহিত কাঞ্জিক, চলিত যবের কাঞ্জি । [ যবান্ন দেখ। ] যবক্রিন (পুং ) ধবল্লীতের নামাস্তর । [ যবক্রীত দেখ। ] যবরল ( ত্রি ) ১ যবক্রয়কারী। .২ যবক্রীত মুনি ।
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চদশ খণ্ড.djvu/৫৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।